খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

শিশু-কৈশোরে মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:১৮ অপরাহ্ণ
শিশু-কৈশোরে মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ

শিশু থেকে কৈশোরে রূপান্তর হলো মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়, যেখানে মানসিক, শারীরিক, এবং সামাজিক পরিবর্তনের এক জটিল প্রক্রিয়া ঘটে। এটি জীবনের সেই সময়, যখন ব্যক্তি তার পরিচয়, চাহিদা, এবং সামগ্রিক ব্যক্তিত্বের একটি ভিত্তি তৈরি করতে শুরু করে। কৈশোরকাল সাধারণত ১০ থেকে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত বিস্তৃত, যা শৈশবের সরলতা থেকে প্রাপ্তবয়স্কের জটিল বাস্তবতায় প্রবেশের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে।
এই রূপান্তরের সময়ে শিশুরা শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়, যা তাদের ব্যক্তিত্ব, চিন্তাভাবনা, এবং সামাজিক আচরণের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনগুলো এই পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ববহ, কারণ এগুলোই ভবিষ্যতের ব্যক্তিত্ব গঠনে ভূমিকা রাখে।
কৈশোরকালীন মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন বলতে বোঝায় শিশুদের মানসিক বিকাশের সেই ধাপগুলো, যেখানে তারা শৈশবের নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে স্বাধীন পরিচয় এবং চিন্তাধারার দিকে এগিয়ে যায়। এই সময়ে কিশোর-কিশোরীরা তাদের আবেগ, চিন্তা-ভাবনা, এবং আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন অনুভব করে। শিশু থেকে কৈশোরে মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনের প্রধান দিক-শিশুদের আবেগ সরল এবং প্রত্যক্ষ থাকে, কিন্তু কৈশোরে তা জটিল রূপ নিতে শুরু করে। কৈশোরে হরমোনের পরিবর্তন আবেগকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। ফলে, তারা হঠাৎ রাগ, আনন্দ, দুঃখ বা উদ্বেগ অনুভব করতে পারে। কৈশোরে শিশুরা নিজের পরিচয় খুঁজতে শুরু করে। তারা “আমি কে?” এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চায়। এই সময়ে তারা কখনো খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে এবং ছোটখাটো বিষয়েও অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখায়। জ্ঞানীয় পরিবর্তন হলো চিন্তাশক্তির বিকাশ।
শিশুরা সাধারণত কংক্রিট চিন্তাভাবনার ওপর নির্ভরশীল থাকে, তবে কৈশোরে তারা বিমূর্ত চিন্তা করতে শেখে। উদাহরণস্বরূপ, তারা ন্যায়-অন্যায়, নীতি, এবং আদর্শ নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে শুরু করে। তারা যুক্তিসঙ্গত চিন্তা এবং সমস্যার সমাধানে সক্ষম হয়ে ওঠে। তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ সম্পূর্ণ না হওয়ার কারণে তারা অনেক সময় ঝুঁকি নিতে পছন্দ করে। শিশু থেকে কৈশোরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। কৈশোরীরা পরিবারের চেয়ে বন্ধুদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। তারা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে এবং তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে শুরু করে।
সমবয়সীদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া এবং তাদের মতো আচরণ করার প্রবণতা দেখা যায়। শিশুরা এই সময়ে পরিবারের নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে স্বাধীন হতে চায়।
এই সময়ে শিশুরা আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মান সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে। শারীরিক পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া শারীরিক পরিবর্তনের কারণে তারা আত্মবিশ্বাস হারাতে পারে। যেমন: উচ্চতা, শরীরের গঠন, বা ত্বকের সমস্যার কারণে আত্মসম্মান কমে যেতে পারে। নিজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলা এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কৈশোরকালীন পরিবর্তনে প্রভাবক-পরিবার এই পরিবর্তনগুলোতে বড় ভূমিকা পালন করে। ইতিবাচক পারিবারিক পরিবেশ কিশোরের মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। সমাজের মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতি কৈশোরের চিন্তাভাবনা এবং আচরণকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। আজকের প্রযুক্তি-নির্ভর যুগে মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কৈশোরের মানসিকতায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। এ সময় থাকে মানসিক চাপ এবং হতাশা। পরিচয় সঙ্কট। ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ, যেমন : নেশা, বিদ্রোহ। সমবয়সীদের চাপ।
উত্তরণের উপায় : পারিবারিক সমর্থন বৃদ্ধি। পজিটিভ রোল মডেল প্রদান। মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা। সৃজনশীল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ।
শিশু থেকে কৈশোরে রূপান্তর শুধুমাত্র শারীরিক বা বাহ্যিক পরিবর্তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি মনস্তাত্ত্বিক, আবেগীয়, সামাজিক এবং জ্ঞানীয় দিক থেকে গভীর প্রভাব ফেলে। এই পর্যায়টি মানব জীবনের ভিত্তি গঠনের অন্যতম প্রধান ধাপ হিসেবে বিবেচিত হয়। কৈশোরের সঠিক বিকাশ ভবিষ্যৎ ব্যক্তিত্ব এবং সামাজিক অবস্থানের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।
কৈশোরে শারীরিক পরিবর্তন, যেমন উচ্চতা বৃদ্ধি, যৌন বৈশিষ্ট্যের বিকাশ এবং শরীরে হরমোনের পরিবর্তন, শিশুদের আবেগ, আচরণ এবং মানসিকতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। কৈশোরে হরমোনের পরিবর্তন আবেগের অস্থিরতা এবং মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে। টেস্টোস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেনের বৃদ্ধি: এটি আবেগপ্রবণতা এবং কখনো কখনো বিদ্রোহী আচরণে প্রভাব ফেলে। অল্পতেই খুশি হওয়া বা রাগান্বিত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। শরীরে আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের প্রতি আত্মবিশ্বাস হারাতে পারে। শরীরের চেহারা বা ওজন নিয়ে অসন্তুষ্টি তাদের আত্মসম্মানকে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে শারীরিক পরিবর্তন (যেমন : মাসিক) নতুন অভিজ্ঞতা এবং মানসিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।
কিশোরদের মানসিক বিকাশ বিশ্লেষণের জন্য বিভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্ব রয়েছে। এরিকসন কৈশোরকালকে “পরিচয়ের সংকট” বা Identity vs. Role Confusion পর্যায় বলে চিহ্নিত করেন। এই সময়ে কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের পরিচয় খুঁজতে চায়। তারা নিজেদের লক্ষ্য এবং সমাজে অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করে। পরিচয় গঠনে ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং সংকট দেখা দিতে পারে। পিয়াজে কৈশোরকে Formal Operational Stage হিসেবে বর্ণনা করেন, যেখানে কিশোর-কিশোরীরা বিমূর্ত এবং যৌক্তিক চিন্তাভাবনা করতে শুরু করে। এই সময়ে তারা “কী হতে পারে” এই ধারণাগুলো নিয়ে চিন্তা করতে পারে। নীতি এবং মূল্যবোধের বিষয়ে গভীরভাবে ভাবতে শুরু করে। ফ্রয়েড কৈশোরকে Genital Stage হিসেবে বর্ণনা করেন, যেখানে যৌন চেতনার বিকাশ ঘটে। এই পর্যায়ে যৌন আকর্ষণ এবং সম্পর্ক নিয়ে আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। সামাজিক সম্পর্ক এবং যোগাযোগ এই পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
আবেগপ্রবণতা এবং মানসিক সংকট। কৈশোরীরা নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে কঠিন সময় পার করে। তারা কখনো খুশি, কখনো হতাশাগ্রস্ত হয়। তারা নিজেদের আত্মপরিচয় নিয়ে বিভ্রান্ত থাকে। কৈশোরে আত্মসম্মান এবং আত্মবিশ্বাস গঠনের কাজ শুরু হয়। শারীরিক গঠন এবং চেহারার প্রভাব, সমাজ এবং সমবয়সীদের প্রতিক্রিয়া তাদের আত্মসম্মান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য বা ব্যর্থতা আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। সামাজিক সম্পর্ক এই সময়ে নতুন মাত্রা লাভ করে। কৈশোরীরা বন্ধুদের সঙ্গে নিজেদের অনুভূতি শেয়ার করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এই সময়ে তারা ভালোবাসা এবং সম্পর্কের প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করে। পরিবারের প্রভাব কমে যাওয়া: কিশোর-কিশোরীরা ধীরে ধীরে পরিবারের উপর নির্ভরতা কমিয়ে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যায়। এই সময়ে মস্তিষ্কের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স পুরোপুরি বিকশিত না হওয়ার কারণে তারা ঝুঁকি নিতে বেশি পছন্দ করে। মাদকাসক্তি, ধূমপান, বা ঝুঁকিপূর্ণ খেলায় অংশগ্রহণ এই সময়ে বৃদ্ধি পেতে পারে। সামাজিক চাপ এবং বন্ধুবান্ধবের প্রভাব তাদের আচরণকে প্রভাবিত করে।
কৈশোরের সময়ে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেমন-কৈশোরে আবেগপ্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা ডিপ্রেশন এবং উদ্বেগে ভুগতে পারে। শিক্ষার চাপ, সম্পর্কের জটিলতা, এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে। “আমি কে?” এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে কিশোর-কিশোরীরা হতাশায় পড়তে পারে। পরিবার এবং বন্ধুদের কাছ থেকে দূরত্ব তৈরি হলে তারা একাকিত্ব অনুভব করতে পারে। বন্ধুদের মতামত অনুসরণ করার প্রবণতা তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। কৈশোরে সঠিক দিকনির্দেশনা এবং সমর্থন তাদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
পরিবার ও সমাজের ভূমিকা-আবেগপ্রবণ মুহূর্তে তাদের পাশে থাকা। উন্মুক্ত আলোচনা এবং সমালোচনা না করা। ভালো অভ্যাস এবং মূল্যবোধ শেখানো। তাদের দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা। পরীক্ষার চাপ বা অন্য কোনো মানসিক সমস্যায় সমাধান দেওয়া। ইতিবাচক রোল মডেল সৃষ্টি। শিক্ষামূলক এবং সৃজনশীল কার্যক্রম পরিচালনা।
শিশু থেকে কৈশোরে রূপান্তরের সময় মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন গভীর এবং বহুস্তরীয়। এটি এমন একটি পর্যায়, যা সঠিকভাবে পরিচালিত হলে একজন সুস্থ, সৃজনশীল, এবং দায়িত্বশীল প্রাপ্তবয়স্ক তৈরি করতে সাহায্য করে। এই সময়ে পরিবার, শিক্ষক এবং সমাজের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৈশোরের চ্যালেঞ্জগুলোকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করে তাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে সাফল্যময় এবং সমৃদ্ধ করা সম্ভব। শিশু থেকে কৈশোরে মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন একটি জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এটি সঠিকভাবে পরিচালিত হলে একজন কিশোর সুস্থ এবং সফল প্রাপ্তবয়স্কে পরিণত হতে পারে। পরিবার, সমাজ, এবং শিক্ষা এই পর্যায়ে বড় ভূমিকা পালন করে। যত্ন এবং সমর্থনের মাধ্যমে এই সময়ের পরিবর্তনগুলোকে ইতিবাচক অভিজ্ঞতায় রূপ দেওয়া সম্ভব।
লেখক পরিচিতি : উজ্জ্বল হোসাইন, লেখক ও সাংবাদিক, চাঁদপুর।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে

চাঁদপুরে “হুইলস অব পিস”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে “হুইলস অব পিস”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

মিশন গ্রিন বাংলাদেশ-এর সহায়তায়, এসডিজি ভিত্তিক পিস প্রজেক্টের পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ । বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর জেলা স্কাউটস ভবনের সামনের প্রাঙ্গণে আয়োজিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। আয়োজনটি করেছে “প্রজেক্ট হুইলস অব পিস”, যা একটি এসডিজি (SDG) ভিত্তিক স্কাউট পিস প্রজেক্ট।

এই উদ্যোগে সহায়তা করে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, এবং সহযোগিতা করে মেঘনাপাড় ওপেন স্কাউট গ্রুপ। সারাদেশে ৬৪ জেলায় ৫ জুন একসাথে বৃক্ষরোপণের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ৪০ জন তরুণ স্বেচ্ছাসেবক সক্রিয়ভাবে অংশ নেন, যারা শুধু গাছ লাগিয়ে দায়িত্ব শেষ করেননি, বরং পরিবেশ সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে মাঠে-ময়দানে কাজ করেছেন।

পরিবেশ দূষণ ও প্লাস্টিকের অপব্যবহার প্রতিরোধে আয়োজনস্থল এবং আশেপাশের এলাকায় সচেতনতামূলক পোস্টার লাগানো হয়। এছাড়াও স্থানীয় বাজার ও জনবহুল স্থানে লিফলেট বিতরণ করে সাধারণ মানুষের মাঝে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়—”সবুজ পৃথিবী, নিরাপদ ভবিষ্যৎ”।

বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে ফলজ গাছ যেমন আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, জামসহ স্থানীয় প্রজাতির চারা রোপণ করা হয়। এসব গাছ একদিকে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করবে, অন্যদিকে স্থানীয় মানুষের উপকারে আসবে।

উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট হুইলস অব পিস এর প্রতিষ্ঠাতা ওমর তামীম সাফি। তিনি বলেন:
**”পরিবেশ রক্ষা আমাদের দায়িত্ব নয়, বরং এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। একটি গাছ মানে শুধু ছায়া বা ফল নয়—এটি জীবনের ধারক। আজকের এই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমরা শপথ করছি, সবুজের জন্য কাজ করব—শুধু শহরে নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সচেতনতার আলো ছড়িয়ে দেব।

এই কর্মসূচি সফল করতে যারা পাশে ছিলেন, বিশেষ করে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, মেঘনাপাড় মুক্ত স্কাউট গ্রুপ এর সদস্যবৃন্দ। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে, এ ধরনের পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ড আরও সংগঠিতভাবে, বৃহৎ পরিসরে এবং টেকসইভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে।”**

প্রজেক্ট হুইলস অব পিস, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)-এর বিভিন্ন দিক যেমন পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, যুবসম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই ইনিসিয়েটিভ এর মাধ্যমে স্কাউট এবং নন স্কাউট দের সাথে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে । ১৭ টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮ টি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে চলেছে প্রজেক্ট হুইলস অব পিস । প্রকৃতি, পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক, ছেলে ও মেয়েদের বয়:সন্ধিকালের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন, এলাকা ভিত্তিক ভাবে পরিবেশ দূষণরোধে সচেতনতা সৃষ্টি এছাড়া প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে, প্লাস্টিকের পুন:ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী পরিচালনা করে যাচ্ছে । কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট হুইলস অব পিসের সদস্য রুমাইয়া বিনতে রহিম, সাব্বির আহমেদ, নূর মোহাম্মদ, তাসফিয়া সুলতানা সহ আরোও অনেক সদস্যবৃন্দ।

এই কর্মসূচি তাদের চলমান সবুজ উদ্যোগেরই একটি অংশ। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও তারা একই রকম কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চান।

বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আজ সোমবার সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাজেটের যে কাঠামো উপস্থাপন করা হয়েছে, সেখানে বাজেটের আকার সামান্য ছোট করা হয়েছে। পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সেখানেও কিছুটা কাটছাঁট করা হয়েছে। বাজেটের আকার নিয়ে অনেকদিন ধরে আলোচনা হয়েছে, সেটার অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমাদের যে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, অর্থাৎ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ স্থবিরতা, কর্মসংস্থানে সমস্যা এবং রাজস্ব আহরণের সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বাজেট প্রস্তাব করেছে বলে আমাদের মনে হয়েছে।’

ড. ফাহমিদা বলেন, ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির দিকে তাকালে দেখা যাবে, চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ২ শতাংশ কমানো হয়েছে এবং ১৫টি খাতের মধ্যে ১৪টি খাতেই কমানো হয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য এবং চিন্তার বিষয় হচ্ছে, তিনটি খাত—শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে টাকার অংকে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সেটা আমাদের কাছে উদ্বেগজনক মনে হয়, কারণ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা সব সময় বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলে আসছি এবং কৃষি খাতে, বিশেষত খাদ্য নিরাপত্তার দিকে এখানে বরাদ্দ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘ভৌত অবকাঠামো, বিশেষ করে পরিবহন ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি বরাবরের মতো উপরের দিকে আছে যুক্তিযুক্তভাবে।’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, কর কাঠামোর মধ্যে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ দশমিক ৫ লাখ, অর্থাৎ সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, এটা একটা ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু প্রায় ৩ বছরের মতো সময় ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে, ১০-১১ শতাংশে উঠে গেছে। সেদিক থেকে যে খুব একটা উল্লম্ফন হয়েছে সেটা না। তবে এটাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যারা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত, তাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, সেটাও আমরা ভালো পদক্ষেপ মনে করি।’

‘করের বিভিন্ন স্ল্যাবগুলোতে পরিবর্তন করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যারা নিম্ন মধ্যআয়ের যারা পড়েছেন, কর দেওয়ার ক্ষেত্রে হারটা তাদের মধ্যেই বেশি পড়বে। আবার যারা আয়ের উচ্চ পর্যায়ে রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে অনেক কম পড়বে। এখানে বৈষম্যের চিত্র দেখা যাচ্ছে। অঞ্চলভিত্তিক ন্যূনতম কর ধরা হয়েছে ৫ হাজার টাকা, এখানে আমরা মনে করছি বৈষম্য রয়েছে। কারণ রাজধানী ঢাকা কিংবা অন্য আরেকটি জেলার সবাইকে এক করে দেখানো; সরকারি সেবা সব জায়গায় সবাই কিন্তু সমানভাবে নেয় না। এখানে পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে বলে আমরা মনে করি,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘শুল্ক যৌক্তিকরণ হয়েছে এবং আমদানি শিল্প যৌক্তিকিকরণ করতে গিয়ে হয়তো কিছু কিছু শিল্প চাপে পড়তে পারে। বিশেষ করে যখন মূল্যস্ফীতি বেশি, কস্ট অব ডুইং বিজনেস বেশি। এটাকে শুল্কের যৌক্তিকিকরণ করতেই হবে, কারণ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে যাবে। আস্তে আস্তে ট্যারিফ কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। যে প্রতিঘাত আসবে, সেটা মোকাবিলা করার জন্য কস্ট অব ডুইং বিজনেসের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ী মূল্যে কিংবা সহজ শর্তে ঋণ কিংবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে কস্ট অব ডুইং বিজনেস কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’

প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ই-কমার্সের সুযোগ-সুবিধা এবং ই-কমার্সকে ফরমাল সেক্টরে আনা; এখানে করের আওতায় আনা এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের অধীনে যে ৫ হাজার ৪০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন হয়েছে। আমরা মনে করি, আগেও পিপিপি মডেলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো কিন্তু খুব একটা এগোয় নাই।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিডি।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কালো টাকা সাদার করার সুযোগটা রয়ে গেছে। যদিও এখানে রেট বাড়ানো হয়েছে কিন্তু আমরা আগেও বলেছি, কালো টাকার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান হচ্ছে, এই সুযোগ দিয়ে যারা নৈতিকভাবে প্রতি বছর স্বচ্ছ আয় করে, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার সঙ্গে কর দিয়ে থাকেন, তাদের প্রতি নৈতিক আঘাত। কারণ তাদের আদর্শিকভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। দুটি জিনিস সমান্তরালভাবে চলতে পারে না!’

ফাহমিদা আরও বলেন, ‘আগে করের হারটাও কম রাখা হতো, এখন করের হার বেশি রাখা হয়েছে। তারপরও এটা থেকে খুব একটা আদায় হয় না। যদি এখান থেকে সত্যি আদায় করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে কিন্তু সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া দুএকবার সুযোগ দিয়ে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’ উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় কর রেয়াত কিংবা বিভিন্ন জায়গা থেকে কমানো এবং পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে ১৪০টির মতো কার্যক্রম একসঙ্গে চলতো, সেগুলো কমিয়ে ৯৫টি করা হয়েছে এবং সেখানে অর্থ বরাদ্দ কম করা হয়েছে। খুব কম না কিন্তু বাজেটের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার মতো।’ ‘আমরা বারবার বলেছি, এখানে কতগুলো উপাদান যুক্ত করা হয়, যেগুলো সামাজিক নিরাপত্তা বা সামাজিক সুরক্ষার অধীনে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ এটা একেবারেই অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। সরকারি কর্মচারীদের পেনশন, সেখানে আছে ৩৫ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। কৃষি ভর্তুকি আছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই দুটি মিলিয়ে ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি হয়, সেটা বাদ দিয়ে রয়ে যায় ৬৪ হাজার কোটি টাকার মতো। সেটা অনেকখানি কমে আসে। এগুলো বাদ দিয়ে যে নেট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, সেটাকে দেখাতে হবে। সেটা দেখে তুলনা করা যেতে পারে যে আসলেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কী করা হলো,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বলতে চাই, কিছু কিছু পদক্ষেপ ভালো নেওয়া হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে। কিন্তু সামগ্রিক কাঠামোগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যে একই কাঠামোর মধ্যে এখানে একটু বেশি, ওখানে একটু কম—এ রকম করে নেওয়া হয়েছে। বাজেটের যে দর্শন, এখানে বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যের সঙ্গে যে বাস্তব পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে, সব ক্ষেত্রে সেটা সাযুজ্যপূর্ণ হয়নি।’

ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৬ অপরাহ্ণ
ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (৩ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি আমরা জানিয়েছি। রোজার আগে অথবা যদি কোনো কারণে সম্ভব না হয়, তাহলে যেন এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া হয়। কারণ আবহাওয়ার কারণে মে মাসের পর নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকেও যদি সমতল মাঠ তৈরি হয়, ফেয়ার ইলেকশন যদি সম্ভব হয়, তাহলেও আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু ফেয়ার ইলেকশনের মাঠ তৈরি না হলে এপ্রিলে নির্বাচন হলেও তো কোনো লাভ নেই।’

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রবাসীদের অবশ্যই ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে, এ বিষয়ে আমরা ছাড় দিতে রাজি নই।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। আমরা ইসির কাছে দাবি জানিয়েছি, প্রবাসীরা যেন ভোট দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য। এটা কোনো কঠিন বিষয় নয়। কিন্তু ইসির পক্ষ থেকে আমরা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।’

এর আগে গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরও বলেন, বৈঠকে তারা বলেছেন, জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। আর নির্বাচন হতে পারে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে।

তাহের বলেন, ‘আমরা বলেছি জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। বেশিরভাগ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। সামান্য কিছু বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার শেষ হবে। এরপর একটি জুলাই সনদ হবে। সেখানে আমরা সব দল স্বাক্ষর করব।’