খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

তৈলবাজ-তৈলসংস্কৃতি সামাজিক ও নৈতিকতার অবক্ষয়

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৩৩ অপরাহ্ণ
তৈলবাজ-তৈলসংস্কৃতি সামাজিক ও নৈতিকতার অবক্ষয়

তৈলমর্দন এক অত্যন্ত পরিচিত সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, যা যুগে যুগে বিভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতিতে বিদ্যমান ছিল এবং এখনও রয়েছে। এটি মূলত ক্ষমতাসীন বা উচ্চপদস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা লাভের জন্য তাদের চাটুকারিতা, প্রশংসা বা অহেতুক প্রশংসার মাধ্যমে নিজের স্থান সুসংহত করার কৌশল। তৈলমর্দনের প্রক্রিয়া কেবল ব্যক্তিগত পর্যায়েই নয়, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং পেশাগত ক্ষেত্রেও প্রভাব বিস্তার করে থাকে। তৈলমর্দন বলতে বোঝানো হয় এমন এক ধরণের আচরণ, যেখানে একজন ব্যক্তি নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অন্য একজনের প্রতি অতিরিক্ত প্রশংসা বা চাটুকারতা প্রদর্শন করে। সাধারণত, এটি করতে দেখা যায় এমন ব্যক্তিকে যিনি কোনো না কোনো সুবিধা পাওয়ার আশায় থাকেন। তৈলমর্দনের পেছনে লুকিয়ে থাকা প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো, নিজেকে উচ্চতর অবস্থানে নিয়ে যাওয়া বা নিজস্ব সমস্যার সহজ সমাধান লাভ করা। বাংলা ভাষায় তৈলমর্দন শব্দটি অত্যন্ত কৌতুকপূর্ণ অর্থে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন এক সামাজিক ব্যাধি, যা ব্যক্তি বা সমাজের স্বাভাবিক বিকাশে অন্তরায় সৃষ্টি করে। এ ধরনের আচরণ ব্যক্তিগত নীতিবোধ এবং আত্মসম্মানের পরিপন্থী।

মানবসভ্যতার প্রাচীন যুগ থেকেই তৈলমর্দনের উপস্থিতি লক্ষণীয়। প্রাচীন রাজা-রাজড়া বা সম্রাটদের দরবারে চাটুকারদের অস্তিত্ব ছিল খুবই সাধারণ। এদের কাজ ছিল রাজা বা শাসককে তুষ্ট করা এবং নিজের সুবিধা অর্জন করা। এ ধরনের আচরণ রাজদরবারে বা শাসনব্যবস্থার মধ্যে একধরনের গোষ্ঠীগত প্রভাব সৃষ্টি করত। শাসকগণ তৈলমর্দকদের আশীর্বাদে নিজের ক্ষমতা সুসংহত করতেন এবং তৈলমর্দকগণ সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিত হতেন। আধুনিক যুগে তৈলমর্দন কেবল রাজনীতি নয়, কর্মক্ষেত্র, ব্যবসা, শিক্ষা ও অন্যান্য সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এখন এর রূপ ও মাত্রা কিছুটা পরিবর্তিত হলেও মূল ধারণাটি একই রয়ে গেছে।

তৈলমর্দন সাধারণত দুইভাবে প্রকাশ পায়-প্রশংসা বা চাটুকারিতা-একজন ব্যক্তিকে অহেতুক প্রশংসা করা বা তার কাজকে বাড়িয়ে দেখানো। বশ্যতা প্রদর্শন-ক্ষমতাসীন বা প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রতি অতিরিক্ত নম্রতা বা বিনয় প্রদর্শন করা। এ ধরনের আচরণে তৈলমর্দকের মধ্যে আত্মসম্মানের অভাব পরিলক্ষিত হয়। অনেকে মনে করেন, এটি একটি সামাজিক কৌশল, যা ব্যক্তিকে সুবিধাপ্রাপ্তির পথ সুগম করে। অন্যদিকে, এটি একটি নেতিবাচক মনোভাব, যা নৈতিকতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

তৈলমর্দনের প্রভাব ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রের উপর বহুমুখী। এর মধ্যে কিছু ইতিবাচক এবং বেশিরভাগই নেতিবাচক। তৈলমর্দনকারী ব্যক্তি অল্প সময়ে সুবিধা অর্জন করলেও তার দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য প্রায়শই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে, তার স্বভাব চাটুকার বা স্বার্থপর হিসেবে পরিচিতি পায়, যা সামাজিক অবস্থানকে দুর্বল করে।সমাজে তৈলমর্দনের কারণে প্রকৃত মেধা এবং যোগ্যতার অবমূল্যায়ন হয়। তৈলমর্দকরা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মন জয় করে, ফলে প্রকৃত মেধাবী এবং সৎ মানুষ প্রায়শই উপেক্ষিত হয়। এটি সমাজে বৈষম্য ও অবিচারের জন্ম দেয়। কর্মক্ষেত্রে তৈলমর্দনের ফলে যোগ্য ব্যক্তির পরিবর্তে চাটুকারদের প্রাধান্য বৃদ্ধি পায়। এতে প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা কমে যায় এবং কাজের পরিবেশে একধরনের নেতিবাচক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়। যোগ্য কর্মীদের অবমূল্যায়ন কর্মক্ষেত্রে অস্থিরতা তৈরি করে।

রাজনীতিতে তৈলমর্দনের ফলে শাসকগণ প্রকৃত সমস্যাগুলো থেকে দূরে সরে যান। তৈলমর্দকরা তাদের চাটুকারিতার মাধ্যমে শাসকদের ভুল পথে পরিচালিত করে। এতে জনগণের সমস্যা সমাধানে বিলম্ব হয় এবং শাসনব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারায়। তৈলমর্দনের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ কাজ করে। সেগুলো হলো : স্বার্থসিদ্ধি- ব্যক্তিগত বা পেশাগত সুবিধা অর্জনের উদ্দেশ্যে। আত্মবিশ্বাসের অভাব-নিজের যোগ্যতায় বিশ্বাসের অভাব থাকলে মানুষ অন্যের তুষ্টির মাধ্যমে নিজের অবস্থান তৈরি করতে চায়। ক্ষমতায় আসীনদের প্রভাব-ক্ষমতাসীন ব্যক্তির প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা তৈলমর্দনের প্রধান কারণ।
৪. নৈতিকতার অভাব: চাটুকারিতার পেছনে প্রায়শই নৈতিক মূল্যবোধের অভাব লক্ষ্য করা যায়।

তৈলমর্দনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। সেগুলো হলো : ব্যক্তি এবং সমাজের মধ্যে নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। যোগ্যতা এবং দক্ষতার ভিত্তিতে মূল্যায়নের সংস্কৃতি গড়ে তোলা। জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে তৈলমর্দনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা। প্রশাসন ও রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

তৈলমর্দনের ধারণা আরও বিশদে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এটি মূলত এক প্রকার মানসিক কৌশল, যা মানুষ তার নিজের সুবিধার জন্য ব্যবহার করে। এই চর্চা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এবং প্রতিটি সময়ে এর ভিন্ন ভিন্ন রূপ দেখা গেছে। তবে এটি সর্বত্রই এক ধরনের স্বার্থপরতা এবং মানসিক দাসত্বের প্রতীক হিসেবে কাজ করেছে। প্রাচীন ভারতীয় রাজসভা থেকে শুরু করে রোমান সাম্রাজ্যের দরবার এবং চীনের সম্রাটদের প্রাসাদ পর্যন্ত সর্বত্র তৈলমর্দনের অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল। এ সময়ে রাজসভায় চাটুকাররা রাজা-রাজড়ার মনোরঞ্জনের জন্য গান গাওয়া, কবিতা রচনা এবং কল্পিত প্রশংসা করতেন। রাজদরবারে মিথ্যা প্রশংসা রাজাকে বাস্তবতা থেকে দূরে রাখত এবং এর ফলে রাজ্যের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হতো। উপনিবেশিক শাসনামলে শাসকগোষ্ঠীর কাছ থেকে সুযোগ পাওয়ার জন্য স্থানীয় মানুষদের একাংশ তৈলমর্দনের আশ্রয় নিত। ব্রিটিশদের প্রতি দাসত্ব প্রদর্শন করে অনেকেই ব্যক্তিগত ও পেশাগত সুবিধা আদায় করত। আধুনিক কালে এই চর্চাটি রাজনীতি ও কর্পোরেট সংস্কৃতিতে বিশেষভাবে দৃশ্যমান। এখন এটি কিছুটা পরিশীলিত হয়েছে, তবে মূল উদ্দেশ্য একদমই বদলায়নি।

তৈলমর্দনের সামাজিক প্রভাব সর্বব্যাপী। এটি সমাজের প্রতিটি স্তরে বিদ্যমান এবং ভিন্ন ভিন্ন রূপে দেখা যায়। অনেক সময় পরিবারের মধ্যে একজন সদস্য অন্য সদস্যের প্রশংসা বা চাটুকারতা করেন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। যেমন, অনেক সময় বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের মন জয় করতে তাদের প্রশংসা করা হয়। শিক্ষক বা প্রভাষকের কাছ থেকে ভালো গ্রেড বা সুবিধা পেতে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই তৈলমর্দনের আশ্রয় নেয়। এতে প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কর্পোরেট জগতে তোষামোদের প্রবণতা খুবই সাধারণ। কর্মক্ষেত্রে বস বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মনোরঞ্জনের জন্য তৈলমর্দন করার সংস্কৃতি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মসংস্কৃতিকে দুর্বল করে। রাজনীতিতে তৈলমর্দন সবচেয়ে বিপজ্জনক। নেতাদের চাটুকারিতা করা এবং তাদের ভুল সিদ্ধান্তকে সমর্থন করা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

তৈলমর্দন একটি নৈতিক সংকট সৃষ্টি করে। এটি ব্যক্তির নৈতিকতাবোধকে দুর্বল করে এবং তাকে এক ধরনের স্বার্থপরতার পথে পরিচালিত করে। নৈতিকভাবে শক্তিশালী সমাজ তৈলমর্দনের চর্চা কমিয়ে আনতে পারে। তৈলমর্দক ব্যক্তি নিজের স্বার্থের জন্য অন্যের প্রতি অসৎ আচরণ করে। এটি অন্যের প্রতি ঈর্ষা, অবিশ্বাস এবং হিংসার জন্ম দেয়। একজন তৈলমর্দক ব্যক্তি কেবল নিজের উন্নতির জন্য কাজ করে, ফলে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং সামাজিক বন্ধন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়া তৈলমর্দনের একটি নতুন ক্ষেত্র তৈরি করেছে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উচ্চপদস্থ ব্যক্তি বা জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের পোস্টে অহেতুক প্রশংসা করেন, যাতে তারা সেই ব্যক্তির মনোযোগ পান। ইনফ্লুয়েন্সার বা জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের পোস্টে অসংখ্য চাটুকার মন্তব্য দেখা যায়, যা এক ধরনের ভার্চুয়াল তৈলমর্দনের উদাহরণ। কর্পোরেট সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্মচারীরা অনেক সময় তাদের বস বা সহকর্মীদের প্রশংসা করে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করেন।

তৈলমর্দনের কিছু সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে, যা ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। তৈলমর্দনের কারণে প্রকৃত মেধাবী এবং যোগ্য ব্যক্তিরা প্রায়শই অবমূল্যায়িত হন। শাসকগোষ্ঠী বা প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তৈলমর্দকদের আশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারেন। এটি সমাজে একধরনের অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করে, যা বৈষম্যের জন্ম দেয়। তৈলমর্দন ব্যক্তির নৈতিক মূল্যবোধকে দুর্বল করে এবং তাকে আত্মকেন্দ্রিক করে তোলে। তৈলমর্দনের চর্চা নির্মূল করতে হলে নৈতিক শিক্ষা, সঠিক মূল্যবোধ এবং যোগ্যতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তৈলমর্দনের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। প্রতিভা ও মেধার যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে, যাতে তৈলমর্দকরা সুযোগ না পায়। শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা তরুণ প্রজন্মকে সৎ এবং নীতিনিষ্ঠ হতে সাহায্য করবে। কর্মক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে হবে, যাতে তৈলমর্দকরা অন্যায় সুবিধা না পায়।

তৈলমর্দন একধরনের সামাজিক ব্যাধি, যা ব্যক্তি ও সমাজের অগ্রগতির পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে। এটি কেবলমাত্র সাময়িক সুবিধা প্রদান করে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এর নেতিবাচক প্রভাব সুদূরপ্রসারী। ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রের যৌথ প্রচেষ্টায় এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাই তৈলমর্দনের পরিবর্তে নৈতিকতা, সৎকর্ম ও যোগ্যতার ভিত্তিতে একটি সুষম সমাজ গঠনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তৈলমর্দন একটি সামাজিক ব্যাধি, যা সমাজের বিকাশ এবং নৈতিকতার উন্নয়নে প্রধান অন্তরায়। এটি ক্ষণস্থায়ী সুবিধা প্রদান করলেও দীর্ঘমেয়াদে ব্যক্তি এবং সমাজের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের সবার উচিত, তৈলমর্দনের বদলে সৎকর্ম, যোগ্যতা এবং ন্যায়বিচারের উপর গুরুত্বারোপ করা। এ ধরনের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সমাজকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং নৈতিকতার ভিত্তিতে একটি সুশৃঙ্খল সমাজ গড়ে তুলবে।

লেখক পরিচিতি : উজ্জ্বল হোসাইন, লেখক ও সংগঠক, চাঁদপুর।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে

চাঁদপুরে “হুইলস অব পিস”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে “হুইলস অব পিস”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

মিশন গ্রিন বাংলাদেশ-এর সহায়তায়, এসডিজি ভিত্তিক পিস প্রজেক্টের পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ । বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর জেলা স্কাউটস ভবনের সামনের প্রাঙ্গণে আয়োজিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। আয়োজনটি করেছে “প্রজেক্ট হুইলস অব পিস”, যা একটি এসডিজি (SDG) ভিত্তিক স্কাউট পিস প্রজেক্ট।

এই উদ্যোগে সহায়তা করে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, এবং সহযোগিতা করে মেঘনাপাড় ওপেন স্কাউট গ্রুপ। সারাদেশে ৬৪ জেলায় ৫ জুন একসাথে বৃক্ষরোপণের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ৪০ জন তরুণ স্বেচ্ছাসেবক সক্রিয়ভাবে অংশ নেন, যারা শুধু গাছ লাগিয়ে দায়িত্ব শেষ করেননি, বরং পরিবেশ সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে মাঠে-ময়দানে কাজ করেছেন।

পরিবেশ দূষণ ও প্লাস্টিকের অপব্যবহার প্রতিরোধে আয়োজনস্থল এবং আশেপাশের এলাকায় সচেতনতামূলক পোস্টার লাগানো হয়। এছাড়াও স্থানীয় বাজার ও জনবহুল স্থানে লিফলেট বিতরণ করে সাধারণ মানুষের মাঝে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়—”সবুজ পৃথিবী, নিরাপদ ভবিষ্যৎ”।

বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে ফলজ গাছ যেমন আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, জামসহ স্থানীয় প্রজাতির চারা রোপণ করা হয়। এসব গাছ একদিকে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করবে, অন্যদিকে স্থানীয় মানুষের উপকারে আসবে।

উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট হুইলস অব পিস এর প্রতিষ্ঠাতা ওমর তামীম সাফি। তিনি বলেন:
**”পরিবেশ রক্ষা আমাদের দায়িত্ব নয়, বরং এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। একটি গাছ মানে শুধু ছায়া বা ফল নয়—এটি জীবনের ধারক। আজকের এই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমরা শপথ করছি, সবুজের জন্য কাজ করব—শুধু শহরে নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সচেতনতার আলো ছড়িয়ে দেব।

এই কর্মসূচি সফল করতে যারা পাশে ছিলেন, বিশেষ করে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, মেঘনাপাড় মুক্ত স্কাউট গ্রুপ এর সদস্যবৃন্দ। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে, এ ধরনের পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ড আরও সংগঠিতভাবে, বৃহৎ পরিসরে এবং টেকসইভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে।”**

প্রজেক্ট হুইলস অব পিস, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)-এর বিভিন্ন দিক যেমন পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, যুবসম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই ইনিসিয়েটিভ এর মাধ্যমে স্কাউট এবং নন স্কাউট দের সাথে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে । ১৭ টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮ টি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে চলেছে প্রজেক্ট হুইলস অব পিস । প্রকৃতি, পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক, ছেলে ও মেয়েদের বয়:সন্ধিকালের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন, এলাকা ভিত্তিক ভাবে পরিবেশ দূষণরোধে সচেতনতা সৃষ্টি এছাড়া প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে, প্লাস্টিকের পুন:ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী পরিচালনা করে যাচ্ছে । কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট হুইলস অব পিসের সদস্য রুমাইয়া বিনতে রহিম, সাব্বির আহমেদ, নূর মোহাম্মদ, তাসফিয়া সুলতানা সহ আরোও অনেক সদস্যবৃন্দ।

এই কর্মসূচি তাদের চলমান সবুজ উদ্যোগেরই একটি অংশ। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও তারা একই রকম কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চান।

বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আজ সোমবার সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাজেটের যে কাঠামো উপস্থাপন করা হয়েছে, সেখানে বাজেটের আকার সামান্য ছোট করা হয়েছে। পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সেখানেও কিছুটা কাটছাঁট করা হয়েছে। বাজেটের আকার নিয়ে অনেকদিন ধরে আলোচনা হয়েছে, সেটার অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমাদের যে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, অর্থাৎ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ স্থবিরতা, কর্মসংস্থানে সমস্যা এবং রাজস্ব আহরণের সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বাজেট প্রস্তাব করেছে বলে আমাদের মনে হয়েছে।’

ড. ফাহমিদা বলেন, ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির দিকে তাকালে দেখা যাবে, চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ২ শতাংশ কমানো হয়েছে এবং ১৫টি খাতের মধ্যে ১৪টি খাতেই কমানো হয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য এবং চিন্তার বিষয় হচ্ছে, তিনটি খাত—শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে টাকার অংকে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সেটা আমাদের কাছে উদ্বেগজনক মনে হয়, কারণ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা সব সময় বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলে আসছি এবং কৃষি খাতে, বিশেষত খাদ্য নিরাপত্তার দিকে এখানে বরাদ্দ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘ভৌত অবকাঠামো, বিশেষ করে পরিবহন ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি বরাবরের মতো উপরের দিকে আছে যুক্তিযুক্তভাবে।’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, কর কাঠামোর মধ্যে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ দশমিক ৫ লাখ, অর্থাৎ সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, এটা একটা ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু প্রায় ৩ বছরের মতো সময় ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে, ১০-১১ শতাংশে উঠে গেছে। সেদিক থেকে যে খুব একটা উল্লম্ফন হয়েছে সেটা না। তবে এটাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যারা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত, তাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, সেটাও আমরা ভালো পদক্ষেপ মনে করি।’

‘করের বিভিন্ন স্ল্যাবগুলোতে পরিবর্তন করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যারা নিম্ন মধ্যআয়ের যারা পড়েছেন, কর দেওয়ার ক্ষেত্রে হারটা তাদের মধ্যেই বেশি পড়বে। আবার যারা আয়ের উচ্চ পর্যায়ে রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে অনেক কম পড়বে। এখানে বৈষম্যের চিত্র দেখা যাচ্ছে। অঞ্চলভিত্তিক ন্যূনতম কর ধরা হয়েছে ৫ হাজার টাকা, এখানে আমরা মনে করছি বৈষম্য রয়েছে। কারণ রাজধানী ঢাকা কিংবা অন্য আরেকটি জেলার সবাইকে এক করে দেখানো; সরকারি সেবা সব জায়গায় সবাই কিন্তু সমানভাবে নেয় না। এখানে পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে বলে আমরা মনে করি,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘শুল্ক যৌক্তিকরণ হয়েছে এবং আমদানি শিল্প যৌক্তিকিকরণ করতে গিয়ে হয়তো কিছু কিছু শিল্প চাপে পড়তে পারে। বিশেষ করে যখন মূল্যস্ফীতি বেশি, কস্ট অব ডুইং বিজনেস বেশি। এটাকে শুল্কের যৌক্তিকিকরণ করতেই হবে, কারণ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে যাবে। আস্তে আস্তে ট্যারিফ কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। যে প্রতিঘাত আসবে, সেটা মোকাবিলা করার জন্য কস্ট অব ডুইং বিজনেসের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ী মূল্যে কিংবা সহজ শর্তে ঋণ কিংবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে কস্ট অব ডুইং বিজনেস কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’

প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ই-কমার্সের সুযোগ-সুবিধা এবং ই-কমার্সকে ফরমাল সেক্টরে আনা; এখানে করের আওতায় আনা এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের অধীনে যে ৫ হাজার ৪০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন হয়েছে। আমরা মনে করি, আগেও পিপিপি মডেলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো কিন্তু খুব একটা এগোয় নাই।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিডি।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কালো টাকা সাদার করার সুযোগটা রয়ে গেছে। যদিও এখানে রেট বাড়ানো হয়েছে কিন্তু আমরা আগেও বলেছি, কালো টাকার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান হচ্ছে, এই সুযোগ দিয়ে যারা নৈতিকভাবে প্রতি বছর স্বচ্ছ আয় করে, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার সঙ্গে কর দিয়ে থাকেন, তাদের প্রতি নৈতিক আঘাত। কারণ তাদের আদর্শিকভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। দুটি জিনিস সমান্তরালভাবে চলতে পারে না!’

ফাহমিদা আরও বলেন, ‘আগে করের হারটাও কম রাখা হতো, এখন করের হার বেশি রাখা হয়েছে। তারপরও এটা থেকে খুব একটা আদায় হয় না। যদি এখান থেকে সত্যি আদায় করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে কিন্তু সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া দুএকবার সুযোগ দিয়ে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’ উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় কর রেয়াত কিংবা বিভিন্ন জায়গা থেকে কমানো এবং পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে ১৪০টির মতো কার্যক্রম একসঙ্গে চলতো, সেগুলো কমিয়ে ৯৫টি করা হয়েছে এবং সেখানে অর্থ বরাদ্দ কম করা হয়েছে। খুব কম না কিন্তু বাজেটের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার মতো।’ ‘আমরা বারবার বলেছি, এখানে কতগুলো উপাদান যুক্ত করা হয়, যেগুলো সামাজিক নিরাপত্তা বা সামাজিক সুরক্ষার অধীনে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ এটা একেবারেই অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। সরকারি কর্মচারীদের পেনশন, সেখানে আছে ৩৫ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। কৃষি ভর্তুকি আছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই দুটি মিলিয়ে ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি হয়, সেটা বাদ দিয়ে রয়ে যায় ৬৪ হাজার কোটি টাকার মতো। সেটা অনেকখানি কমে আসে। এগুলো বাদ দিয়ে যে নেট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, সেটাকে দেখাতে হবে। সেটা দেখে তুলনা করা যেতে পারে যে আসলেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কী করা হলো,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বলতে চাই, কিছু কিছু পদক্ষেপ ভালো নেওয়া হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে। কিন্তু সামগ্রিক কাঠামোগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যে একই কাঠামোর মধ্যে এখানে একটু বেশি, ওখানে একটু কম—এ রকম করে নেওয়া হয়েছে। বাজেটের যে দর্শন, এখানে বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যের সঙ্গে যে বাস্তব পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে, সব ক্ষেত্রে সেটা সাযুজ্যপূর্ণ হয়নি।’

ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৬ অপরাহ্ণ
ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (৩ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি আমরা জানিয়েছি। রোজার আগে অথবা যদি কোনো কারণে সম্ভব না হয়, তাহলে যেন এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া হয়। কারণ আবহাওয়ার কারণে মে মাসের পর নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকেও যদি সমতল মাঠ তৈরি হয়, ফেয়ার ইলেকশন যদি সম্ভব হয়, তাহলেও আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু ফেয়ার ইলেকশনের মাঠ তৈরি না হলে এপ্রিলে নির্বাচন হলেও তো কোনো লাভ নেই।’

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রবাসীদের অবশ্যই ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে, এ বিষয়ে আমরা ছাড় দিতে রাজি নই।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। আমরা ইসির কাছে দাবি জানিয়েছি, প্রবাসীরা যেন ভোট দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য। এটা কোনো কঠিন বিষয় নয়। কিন্তু ইসির পক্ষ থেকে আমরা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।’

এর আগে গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরও বলেন, বৈঠকে তারা বলেছেন, জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। আর নির্বাচন হতে পারে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে।

তাহের বলেন, ‘আমরা বলেছি জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। বেশিরভাগ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। সামান্য কিছু বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার শেষ হবে। এরপর একটি জুলাই সনদ হবে। সেখানে আমরা সব দল স্বাক্ষর করব।’