খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২

বসন্ত : সৌন্দর্য, আনন্দ ও নবজাগরণের ঋতু

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৩০ অপরাহ্ণ
বসন্ত : সৌন্দর্য, আনন্দ ও নবজাগরণের ঋতু

প্রকৃতির চির পরিবর্তনশীল রূপের মধ্যে ঋতু পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে বসন্ত হলো সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর ও প্রাণচাঞ্চল্যপূর্ণ ঋতু। শীতের শুষ্কতা ও নিস্তব্ধতার পর বসন্ত আসে নতুন প্রাণের সঞ্চার নিয়ে। চারপাশ ভরে ওঠে ফুলের সৌরভ, কোকিলের সুমধুর ডাক আর প্রাণবন্ত বাতাসে। এ ঋতু শুধু প্রকৃতির পরিবর্তনই নয়, বরং মানুষের মনেও এক নতুন উদ্দীপনা, উচ্ছ্বাস ও সৃজনশীলতার সঞ্চার করে। তাই বসন্তকে বলা হয় সৌন্দর্য, আনন্দ ও নবজাগরণের ঋতু।
বসন্ত ঋতু প্রকৃতির এক অনন্য উপহার, যা শীতের নিষ্প্রাণ পরিবেশের পর এক নতুন জীবনের বার্তা নিয়ে আসে। ফাল্গুন আর চৈত্র, এই দুই মাসজুড়ে বাংলার প্রকৃতি এক অপরূপ সাজে সেজে ওঠে। গাছের নতুন সবুজ পাতা, বাহারি ফুলের মেলা, পাখির গান, বাতাসের মৃদু স্পর্শ— সব মিলিয়ে বসন্ত এক আনন্দঘন আবহ তৈরি করে।

শীতের কারণে যে গাছগুলো পত্রশূন্য হয়ে পড়ে, বসন্তের আগমনে সেগুলোতে নতুন প্রাণ ফিরে আসে। চারদিকে ফুটতে শুরু করে কচি সবুজ পাতা। কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, পলাশ, গুলমোহর ফুলে ফুলে লাল-হলুদ-কমলা রঙে রঙিন হয়ে ওঠে প্রকৃতি। আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন ফলগাছে মুকুল ধরতে শুরু করে, যা বসন্তের অন্যতম সৌন্দর্য। বসন্তকে ফুলের ঋতু বলা হয়। এ সময় বিভিন্ন ধরনের ফুল ফুটে ওঠে, যা প্রকৃতিকে করে তোলে মনোমুগ্ধকর। লাল-কমলা রঙের আগুনের মতো পলাশ ফুল বসন্তের অন্যতম আকর্ষণ। বড় লাল ফুল বিশিষ্ট শিমুল গাছ বসন্তের রূপ বৈচিত্র্যে অনন্য। কৃষ্ণচুড়া গাছে আগুনের মতো উজ্জ্বল লাল ফুল ফোটে, যা পথ-প্রান্তরকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে।ররজনীগন্ধা ও বেলি ফুলের মৃদু সুগন্ধ বসন্তের রাতকে আরও মোহনীয় করে তোলে। শীতের নিস্তব্ধতা কাটিয়ে বসন্তে পাখিরা যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়। কোকিলের ডাকে চারপাশ মুখরিত হয়ে ওঠে। কোকিলের ডাক বসন্তের অন্যতম প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়া দোয়েল, শ্যামা, টিয়া, ময়না, শালিক, ফিঙে, বাবুইসহ নানা পাখির কলতানে প্রকৃতি হয়ে ওঠে সুরেলা। বসন্তের বাতাস থাকে হালকা ও মৃদু শীতল। এটি শরীরে এক অনন্য প্রশান্তি এনে দেয়। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমের আগে বসন্তের আবহাওয়া থাকে মনোরম, neither too hot nor too cold। দিনের আলো হয় মিষ্টি উজ্জ্বল, আর রাতের চাঁদনী বসন্তের মোহময় পরিবেশকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন নদী ও জলাশয় বসন্তে আরও উজ্জ্বল ও স্নিগ্ধ হয়ে ওঠে। শাপলা, পদ্মসহ বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদও বসন্তে নতুন রূপ লাভ করে। নদীর পাড়ে গাছের সবুজ পাতার প্রতিচ্ছবি ও বাতাসের হালকা দোলায় পানির ঢেউ এক মায়াময় পরিবেশ সৃষ্টি করে। বাংলার গ্রাম ও শহর বসন্তের আগমনে এক নতুন প্রাণ ফিরে পায়।

সরিষা ফুলের হলুদ মাঠ, ধানক্ষেতের কচি সবুজ চারাগাছ, তাল ও খেজুর গাছের কচি পাতা বসন্তের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। বসন্ত উৎসব উপলক্ষে রাস্তাঘাট, পার্ক, ক্যাম্পাস, বাগান সাজানো হয় বিভিন্ন রঙিন ফুল দিয়ে। বসন্ত প্রকৃতির নবজাগরণের ঋতু। এটি শুধু গাছপালা ও ফুলের পরিবর্তন নয়, বরং পাখির গান, বাতাসের মিষ্টি পরশ, নদীর কূলের স্নিগ্ধতা— সব মিলিয়ে এক অপূর্ব সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে। বসন্ত আমাদের শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগই দেয় না, বরং এটি আমাদের মনকেও আনন্দ ও সৃজনশীলতায় ভরিয়ে তোলে। বসন্ত ঋতুর আগমনে প্রকৃতির চেহারা বদলে যায়। শুষ্ক গাছগুলো নতুন পাতায় সজীব হয়ে ওঠে। বিভিন্ন রকম ফুলের সমারোহে চারদিক রঙিন হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের বসন্তে যে পরিবর্তনগুলো লক্ষণীয়—শীতের কারণে ঝরে যাওয়া পাতা বসন্তের আগমনে নতুন কুঁড়ি ও সবুজ পত্রপল্লবে ভরে ওঠে। আম, কাঁঠাল, লিচু, কদম, কৃষ্ণচূড়া, পলাশ— এসব গাছে নতুন পাতা ও ফুল ফুটতে শুরু করে। বসন্তের প্রধান আকর্ষণ ফুল। এই ঋতুতে পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, গুলঞ্চ, কেয়া, বেলি, রজনীগন্ধা ইত্যাদি ফুল ফুটে। ফুলের রঙ ও সুবাস প্রকৃতিকে মোহনীয় করে তোলে। বসন্ত মানেই কোকিলের মধুর গান। এ সময় শুধু কোকিল নয়, দোয়েল, শ্যামা, টিয়া, ময়না, ফিঙে, বাবুই, শালিকের কণ্ঠেও ভরে ওঠে প্রকৃতি।
বাতাসের মৃদুমন্দ পরশ: বসন্তের হালকা মৃদু বাতাস শরীরে এক অদ্ভুত প্রশান্তি এনে দেয়। এটি প্রকৃতিতে এক নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায়।
বাংলাদেশে বসন্ত ফাল্গুন ও চৈত্র মাসজুড়ে স্থায়ী হয়। শীতের বিদায়ের পর বসন্তের উষ্ণতা অনুভূত হয়, তবে এটি তীব্র গরমের মতো নয়। আবহাওয়া থাকে মনোরম, neither too cold nor too hot। সূর্যের আলো হয় মিষ্টি উজ্জ্বল, বাতাস থাকে হালকা ও সতেজ। বসন্তের এই মনোরম পরিবেশ মানবমনেও এক স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ নিয়ে আসে। এ সময় প্রকৃতি যেমন নবজাগরণ লাভ করে, তেমনি মানুষের মনেও সৃষ্টিশীলতা ও নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্ম হয়।

বাংলাদেশে বসন্ত শুধুমাত্র একটি ঋতুই নয়, এটি বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বসন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠান রয়েছে—বসন্তের প্রথম দিন অর্থাৎ পহেলা ফাল্গুন বাংলাদেশে অত্যন্ত আনন্দঘনভাবে উদযাপিত হয়।
নারীরা বাসন্তী রঙের শাড়ি আর গাঁদা ফুলের মালা পরে উৎসবে যোগ দেন। তরুণরা পাঞ্জাবি পরে, ফুল হাতে রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও অন্যান্য স্থানে ঘুরে বেড়ায়। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন এই দিনে গান, কবিতা, নৃত্য ও নাটকের আয়োজন করে। আধুনিক সময়ে পহেলা ফাল্গুনের পাশাপাশি ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও পালিত হয়। ফলে বসন্তের আনন্দের সঙ্গে প্রেম ও ভালোবাসার আবহও যুক্ত হয়। তরুণ-তরুণীরা এই দিনে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে। চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষের প্রস্তুতি বসন্তের শেষ মাস চৈত্র। এটি বাংলা বছরের শেষ মাস। চৈত্র সংক্রান্তির উৎসবের মাধ্যমে পুরাতন বছরকে বিদায় জানানো হয় এবং নতুন বছরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এ সময় গ্রামীণ মেলা, বিভিন্ন রকম হস্তশিল্প ও খাবারের আয়োজন হয়।
বসন্ত ঋতু বাংলা সাহিত্যে এক বিশাল প্রভাব ফেলেছে। কবি-সাহিত্যিকরা এই ঋতুর রূপ, রং, সুর ও সৌন্দর্যকে তাদের কাব্য, গান, উপন্যাস ও গল্পে ফুটিয়ে তুলেছেন। বসন্ত শুধু প্রকৃতির পরিবর্তন নয়, এটি মানুষের মনেও এক নতুন আবেগ, সৃজনশীলতা ও প্রেমের উদ্দীপনা জাগায়। তাই বাংলা সাহিত্যে বসন্তের উপস্থিতি এক বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসন্তকে শুধু প্রকৃতির ঋতু হিসেবে দেখেননি, বরং এর সঙ্গে প্রেম, ভালোবাসা ও নবজাগরণের ভাবনা যুক্ত করেছেন। তার অসংখ্য কবিতা, গান ও গল্পে বসন্ত এসেছে এক অনন্য রূপে। তার বিখ্যাত গান “এসো হে বৈশাখ, এসো এসো” বসন্তের শেষ লগ্নে গ্রীষ্মের আগমনকে উদযাপন করে। বসন্ত নিয়ে তার বিখ্যাত কবিতাগুলো হলো—
“বসন্ত এসে গেছে, বসন্ত এসে গেছে”
“ওরে গৃহবাসী, খুলে দে দ্বার, আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে”

রবীন্দ্রসংগীতে বসন্তের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার রচিত “ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়”, “ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে”, “আজি ঝর ঝর মুখর বায়” ইত্যাদি গান বসন্ত উৎসবের অংশ হয়ে গেছে।

কাজী নজরুল ইসলামের লেখায় বসন্ত এসেছে এক উচ্ছ্বল, বর্ণিল ও বিপ্লবী রূপ নিয়ে। তার কবিতায় বসন্ত মানেই প্রাণচাঞ্চল্য, প্রেম, উচ্ছ্বাস ও বিদ্রোহের সমন্বয়।

তার বিখ্যাত কবিতা “আসছে বসন্ত, গাইবে ভুবন, ফাগুন লেগেছে বনে বনে”
বসন্তকে তিনি প্রেমের উন্মাদনা ও নতুন জীবনের বার্তা হিসেবে দেখেছেন—
“ফাগুনের আগুনে ঝর ঝর ঝরিছে পলাশ শিমুল”
“আজ বসন্ত জোছনা রাতে সবাই গেছে বনে”
৩. জীবনানন্দ দাশের কবিতায় বসন্ত

জীবনানন্দ দাশ বসন্তকে প্রকৃতির এক মায়াময় ও বিষণ্ন সৌন্দর্য হিসেবে দেখেছেন। তার কবিতায় বসন্ত শুধু রঙিন ফুলের নয়, বরং এক নৈঃশব্দ্যপূর্ণ, একাকীত্বময় অনুভূতিরও প্রতিচ্ছবি।

তার বিখ্যাত কবিতায় বসন্তের রূপ ধরা পড়ে—
“কিন্তু বসন্ত চলে যায়, কেবল প্রকৃতি থেকে যায়”।
“বনলতা সেন”-এ বসন্তের চিত্র ফুটে ওঠে, যেখানে কবি হারিয়ে যান প্রকৃতির মাঝে।
বাংলার লোকগান, পালাগান, বাউল গান ও ভাটিয়ালিতে বসন্তের উল্লেখ পাওয়া যায়। বিশেষ করে— বসন্তের রঙ, প্রেম ও আধ্যাত্মিক ভাব ধরা পড়ে বাউল গানে।  গ্রামবাংলার বসন্ত উৎসবের আনন্দ ফুটে ওঠে এসব গানে। আধুনিক বাংলা সাহিত্যে বসন্ত প্রেমের প্রতীক হয়ে উঠেছে। অনেক উপন্যাস ও গল্পে বসন্তকে ভালোবাসা, নতুন জীবনের সূচনা ও প্রকৃতির পুনর্জন্ম হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।

বসন্ত বাংলা সাহিত্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি কবিদের অনুপ্রাণিত করেছে, প্রেমিকের মনে ভালোবাসার অনুভূতি জাগিয়েছে, আর প্রকৃতির রূপবৈচিত্র্যকে সাহিত্যে চিরন্তন করে তুলেছে। বসন্ত তাই কেবল ঋতু নয়, এটি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রাণ। বসন্ত কেবল একটি ঋতুই নয়, এটি সমাজ ও অর্থনীতির ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বসন্ত উৎসবকে কেন্দ্র করে ফুল, পোশাক, গয়না, খাবারের দোকানগুলোতে কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। পোশাকের বাজারে হলুদ ও বাসন্তী রঙের পোশাকের চাহিদা বেড়ে যায়। বসন্তকালে দেশের বিভিন্ন পার্ক, উদ্যান, পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় বাড়ে। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজারের মতো স্থানগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায়। বসন্ত উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নাটক, গান, কবিতা পাঠের আয়োজন করে। এতে শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। যদিও বসন্ত আনন্দের ঋতু, তবু কিছু চ্যালেঞ্জও দেখা দেয়। বসন্তে ধুলোবালির পরিমাণ বেড়ে যায়, যা অনেকের শ্বাসকষ্টের কারণ হয়।
বসন্তকালে অনেক গাছের পরাগায়ন শুরু হয়, যা অ্যালার্জির সমস্যা সৃষ্টি করে। বসন্ত শেষে তীব্র গরমের সূচনা হয়, যা অনেকের জন্য অস্বস্তিকর। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বসন্তের আবহাওয়ায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আগের মতো বসন্তের দীর্ঘস্থায়িত্ব এখন আর নেই।
বসন্ত প্রকৃতির নবজাগরণের ঋতু। এটি শুধু ফুল, পাখি ও বাতাসের পরিবর্তন নিয়ে আসে না, বরং মানুষের মনেও এক নতুন আশার আলো জ্বালায়। বসন্তের সৌন্দর্য, সংস্কৃতি ও আনন্দ আমাদের জীবনকে রঙিন করে তোলে। তাই, বসন্তের প্রকৃতি ও আবহ সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। বসন্ত হোক আনন্দের, সৃষ্টিশীলতার ও মানবতার উৎসব!

লেখক পরিচিতি : ‍উজ্জ্বল হোসাইন, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক, চাঁদপুর।

ঈদে নতুন জামা : স্বপ্ন আর ভালোবাসা জড়ানো

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ণ
ঈদে নতুন জামা : স্বপ্ন আর ভালোবাসা জড়ানো

ঈদ মানেই আনন্দ, উৎসব, মিলন এবং নতুন করে বাঁচার প্রেরণা। এই দিনে সবাই চায় নিজেকে সাজিয়ে নিতে, নতুন কাপড় পরে প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে। কিন্তু এমন অনেকের মধ্যেও থাকে এমন কেউ, যার জন্য একটি নতুন জামা শুধু পোশাক নয়, বরং স্বপ্ন, গর্ব, আত্মমর্যাদা এবং একটি আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। এই প্রবন্ধে আমরা এমন এক নতুন জামার কথা বলব, যে জামার শুধু দামী কাপড় বা ডিজাইনের গর্ব নেই, বরং রয়েছে আত্মার গভীরে জমে থাকা এক মানুষের স্বপ্নের গল্প।

শহরের এক কোণায় বাস করে ছোট্ট ছেলেটি রিয়াদ। বয়স প্রায় দশ। তার বাবা একজন দিনমজুর, মা গৃহিণী। সংসারে অভাব-অনটনের মধ্যে কোনোভাবে দিন কাটে তাদের। বছরের প্রতিটি দিন কাটে সংগ্রামের মাঝে, কিন্তু ঈদ আসে স্বপ্নের আলো নিয়ে। ঈদে নতুন জামা পাবে, এই আশায় রিয়াদ এক মাস রোজা রাখে, নিজের মনকে শক্ত করে।

তবে এই জামা আসবে কি না, তা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, বাবার মুখে ভাঁজ আর চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। মা বারবার বলেন, “এবার হয়তো পুরনো জামাতেই ঈদ করতে হবে।” কিন্তু রিয়াদ বিশ্বাস করে—আল্লাহ যদি রোজা কবুল করেন, তাহলে একটা নতুন জামা হয়তো আসবেই।

এই জামার অপেক্ষা শুধু রিয়াদের নয়, এটি যেন তার মন-প্রাণের আকুতি। এই জামা তার জন্য স্বপ্নপূরণ, আত্মমর্যাদা, শ্রেষ্ঠত্বের অনুভব।

আমরা অনেক সময় বুঝি না, একটি নতুন জামা একজন শিশুর জন্য কতটা অর্থবহ হতে পারে। ধনী পরিবারের শিশুর কাছে এটি হয়তো একটি চমকপ্রদ পোশাক, কিন্তু রিয়াদের কাছে এটি স্বপ্ন পূরণের মতো। সে ভাবে, ঈদের দিন সবার মতো তাকেও যদি নতুন জামায় দেখা যায়, তাহলে সে আর অবহেলিত হবে না, তার বন্ধুরা তাকে হাসবে না। তারও মুখে হাসি ফুটবে, তারও ছবি উঠবে মোবাইল ক্যামেরায়।

এই জামা তার আত্মবিশ্বাস, যেটা সে স্কুলে পড়ার সময় খুঁজে বেড়ায়, যখন ক্লাসের অন্য ছেলেরা নতুন জামা পরে আসে আর সে পড়ে থাকে একঘেয়ে মলিন কাপড়।

এখানে জামার একটি কল্পিত স্বর ও ভাষা কল্পনা করা যাক—যেখানে জামাটি যেন নিজের মনে নিজের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছে: “আমি কোনো বিলাসী দোকানের শেলফে ঝুলে থাকা দামি জামা নই। আমি সেই জামা, যাকে এক দরিদ্র বাবার কষ্টের টাকায় কিনে আনা হবে তার ছেলের মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাতে।
আমি হয়তো রঙিন নই, হয়তো আমার ডিজাইনে জাঁকজমক নেই, কিন্তু আমি গর্বিত। কারণ আমি হব একটি শিশুর ঈদের স্বপ্ন পূরণের বাহক। আমি হব আত্মমর্যাদার প্রতীক, আমি হব ঈদের প্রাপ্তির প্রতিচ্ছবি।”

এই ভাবনার মধ্যেই ফুটে ওঠে জামার স্বপ্ন—সে চায়, তাকে কেউ ভালোবাসুক, পরিধান করুক, আর আনন্দ পাক।

রিয়াদের মা হয়তো নিজের জন্য কোনো কাপড় কিনবেন না, বাবা হয়তো একজোড়া চপ্পল না কিনে সেই টাকায় ছেলের জামা কিনে দেবেন। কারণ, সন্তানের হাসির চেয়ে বড় কিছু তাদের কাছে নেই। একটি নতুন জামার পেছনে লুকিয়ে থাকে একটি পরিবারের নীরব ত্যাগ, ভালোবাসা আর গোপন কান্না।

ঈদের নতুন জামা এই পরিবারগুলোর কাছে শুধু পোশাক নয়—এটা এক সম্মান, ভালোবাসা এবং আত্মতৃপ্তির চিহ্ন। অনেক সময় বাবা-মায়েরা নিজেদের প্রয়োজন বিসর্জন দিয়ে সন্তানের মুখে হাসি দেখতে চান। নতুন জামা যেন সেই আত্মত্যাগের স্বাক্ষর হয়ে উঠে।

ঈদের দিন আমরা যখন দেখি কেউ চকচকে কাপড় পরে বেরিয়েছে, আর কেউ পুরনো জামা পরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে, তখন সামাজিক বৈষম্যের চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নতুন জামার গুরুত্ব সেখানে দ্বিগুণ। এটি একধরনের সামাজিক মর্যাদা।

রিয়াদ হয়তো তার বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়ে ভাবে—আমারও যদি এমন একটা জামা থাকত! শুধু ঈদের দিনটা নয়, পুরো জীবনজুড়ে সেই হাহাকার থেকে যায়। এই এক টুকরো জামাই তার স্বপ্নকে উঁচুতে নিয়ে যেতে পারে, আর না থাকলে আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়ে।

দরিদ্র শিশুদের জন্য ঈদে জামার প্রাপ্তি মানে কী? সমান মর্যাদা – অন্যদের মতো তাকেও দেখা হয় একজন ‘পূর্ণ’ শিশুর মতো।  আত্মবিশ্বাস – নতুন জামা পরে সে খুশি মনে বন্ধুদের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। পরিবারের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি – সে উপলব্ধি করে, তার মা-বাবা তাকে কত ভালোবাসে।

৪. ভবিষ্যতের স্বপ্ন – একজন শিশু জানে, সে যদি চেষ্টার মধ্যে থাকে, তার স্বপ্ন একদিন পূরণ হবেই।

ঈদের সকালে রিয়াদের ঘুম ভাঙে ভোরবেলা। মা হাসিমুখে এসে বলে—
“এই দেখ, তোমার নতুন জামা।”
রিয়াদ প্রথমে বিশ্বাস করতে পারে না। হাত বাড়িয়ে জামাটা নেয়, চোখে জল চলে আসে। “আমার?”
মা মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়, “হ্যাঁ বাবা, তোমার।”
রিয়াদ তার ছোট জামাটিকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে, যেন এটিই তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

সেই জামা তখন আর শুধু সুতা ও রঙের মিশ্রণ নয়, সেটি তখন একটি ‘স্বপ্ন’। একটি সন্তুষ্টির প্রতীক, একটি ছোট শিশুর গর্বের নিশান।

আমরা যারা সমাজের ভাগ্যবান অংশ, তাদের উচিত এই বৈষম্য দূর করতে সচেষ্ট হওয়া। প্রতিবছর ঈদের আগে আমরা অনেকেই প্রচুর জামা কিনি, কিন্তু ভাবি না পাশের দরিদ্র শিশুটার কথা। যদি আমরা একটি নতুন জামা কাউকে দিতে পারি, তাহলে তার ঈদটা হয়ে উঠতে পারে জীবনের সেরা দিন।সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার—সবাই যদি চায়, তাহলে প্রত্যেক শিশুর ঈদে একটি নতুন জামা নিশ্চিত করা সম্ভব। এটি দান নয়, এটি মানুষের স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা।

“ঈদে একটি নতুন জামা যার স্বপ্ন” এই বাক্যটি শুধুমাত্র কোনো এক জামা বা একটি শিশুর গল্প নয়, এটি হাজারো রিয়াদের গল্প। এটি আমাদের সমাজে লুকিয়ে থাকা অসংখ্য মানুষের জীবনবোধের চিত্র। একটি নতুন জামা কেবল দেহ ঢাকার উপকরণ নয়, এটি মানুষের সম্মান, আত্মবিশ্বাস এবং ভালোবাসার প্রতীক। আমরা যদি এই একটুকরো জামার ভেতর মানুষের আবেগ, স্বপ্ন ও আত্মত্যাগ দেখতে পারি, তাহলে সমাজে সত্যিকার পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। আসুন, এই ঈদে আমরা কেবল নিজেদের জন্য না, অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যও একটি নতুন জামার স্বপ্ন বুনি।

লেখক পরিচিতি : উজ্জ্বল হোসাইন, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক, চাঁদপুর।

চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল আজম সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল আজম সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস

চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভা (১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৫) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি (২০২৫-২০২৮) ঘোষণা করা হয়েছে। সমবায় সমিতি আইন ২০০১ (সর্বশেষ সংশোধন ২০১৩) ও সমবায় সমিতি বিধিমালা ২০০৪ (সর্বশেষ সংশোধন ২০২০) অনুযায়ী নির্বাচন কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন (পরিদর্শক, জেলা সমবায় কার্যালয়, চাঁদপুর) কোন পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছয় সদস্য বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটি ঘোষণা করেন। নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি- মোঃ ইকবাল আজম (প্রতিনিধি, দি চাঁদপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ), সহ-সভাপতি- মোঃ আফজাল হোসেন খান (প্রতিনিধি, মিলেনিয়াম বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ), সম্পাদক- দুলাল চন্দ্র দাস (প্রতিনিধি, বাগড়া শিক্ষিত বেকার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ), সদস্য- মোঃ আক্কাস ফরাজী (প্রতিনিধি, রূপসী পল্লী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ), সদস্য- খন্দকার ফখরুল আলম (প্রতিনিধি, আশার আলো মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ), সদস্য- মোঃ খোরশেদ আলম (প্রতিনিধি, খাজুরিয়া বাজার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ)।
জেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ও নির্বাচন কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সমবায়ী ও বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন শেখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন জেলা সমবায় ইউনিয়ন, জেলার সমবায় সমিতি ও সমবায়ীদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব থাকলেও চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নে দীর্ঘদিন নির্বাচিত কমিটি ছিল না, যার কারণে এটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন থেকে চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নকে কার্যকর করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করি। সমবায় বিভাগ এতে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন করে, যার ফলশ্রুতিতে আজকে আমরা একটি নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করতে পেরেছি। এজন্য তিনি সমবায় বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান পাশাপাশি নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান। সভায় তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা সকলের সামনে উপস্থাপন করেন। সকলের সহযোগিতায় তা বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সভাপতি মুরাদ হোসেন খান, জুন হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর প্রতিনিধি এ ওয়াই এম জাকারিয়া, ওয়ারলেস বাজার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিনিধি মোঃ জিয়াউদ্দিন, ইসলামীয়া সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিনিধি নাজমুল হুদা প্রমূখ।
উল্লেখ্য প্রতি ৩ বছর পর পর নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের বিধান থাকলেও ২০১২ সালের পর, দীর্ঘ ১৩ বছর পর এই ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হলো।

আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ
আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামী ২ জুন নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সম্প্রতি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল ও বাজেট ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, সংসদ না থাকায় এবার সংসদে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে না। অর্থ উপদেষ্টা টেলিভিশনে নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে ২ জুন বাজেট ঘোষণার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণত আগের অর্থবছরগুলোতে বৃহস্পতিবার বাজেট দেওয়া হতো, এবার সোমবার ঘোষণা করা হবে। বাজেট ঘোষণার পর আগের রীতি অনুযায়ী অর্থ উপদেষ্টা বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

সূত্রটি জানিয়েছে, সাধারণত প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের তুলনায় বড় রাখা হয়। তবে এবার বাজেট ঘাটতি কমিয়ে বাজেট ছোট কারার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বাজেটের আকার কমানো হলেও সমাজে বৈষম্য কমানোর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে সামাজিকীকরণ সুরক্ষা কর্মসূচিতে উপকারভোগী ও কিছু ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ থাকছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। একই সঙ্গে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ ধরতে পারে। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার। চলতি অর্থবছরেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। যদিও গত মার্চ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।