খুঁজুন
                               
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৩০ বৈশাখ, ১৪৩২

সাহিত্য একাডেমী আমাদের শিল্পগৌরব সৃষ্টিশীল লেখনিতে আনন্দের পৃথিবী

সামীম আহমেদ খান
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ১:৩৯ অপরাহ্ণ
সাহিত্য একাডেমী আমাদের শিল্পগৌরব সৃষ্টিশীল লেখনিতে আনন্দের পৃথিবী

সাহিত্য মানেই আড়ালে থেকে যাওয়া সুন্দর, সাহিত্য মানেই ঊষাবেলার রঙ, সাহিত্য মানেই সন্ধ্যার সাজ, সাহিত্য মানেই কালোত্তীর্ণ কর্মের অনবদ্য ফসল। সাহিত্য মানেই শেক্সপীয়র, শেলী, কীট্স, পাবলো নেরুদা, বেঞ্জামিন মলিয়ের, রবীন্দ্র, নজরুল, জীবনানন্দ ও সুকান্ত অর্থাৎ সাহিত্য শিল্পী মননশীল শিল্পকর্মের স্রষ্টা। শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতির শতাব্দীপ্রাচীন পূর্ণতার ঐতিহ্য বহন করছে চাঁদপুর জেলা। এক অর্থে সংস্কৃতির এক চারণভূমি চাঁদপুর। মেধা ও প্রজ্ঞার সমন্বয় ঘটিয়ে চাঁদপুরের সংস্কৃতিকর্মীরা স্বাক্ষর রেখেছেন বিভিন্ন পর্যায়ে। ভৌগোলিক পরিচিতিকে করেছেন আপন মহিমায় ভাস্বর। এখানকার প্রত্যেকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন স্ব স্ব আভিজাত্য এবং শুভ্রতা নিয়ে সাংস্কৃতিক তথা সামাজিক বলয় সৃষ্টি করে চলছে অবিরত। প্রশান্ত সৃজনশীল বৃত্তিগুলো ব্যক্তিত্ব বিকাশে যেমন সহায়ক, তেমনি সহায়ক মানসিক উৎকর্ষ অর্জনের পথ সুগম করতে। এ উৎকর্ষতার পরিপূর্ণতায় কেটে উঠবে স্থবিরতা, পাশাপাশি আবদ্ধতা। প্রয়োজন তাই মুক্ত চিন্তা এবং সৃষ্টিশীল কর্ম, যা সময়ের দাবিতে উপজীব্য মাধ্যম। এই মহামিলনের অঙ্কুরিত স্বপ্নকে বুকে ধারণ করেই কবি খুরশেদুল ইসলাম তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব এস.এম. শামসুল আলম সাহেবের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে তুলেছিলেন চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী এবং তিনি নিজেই ছিলেন সাহিত্য একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক।
|আরো খবর

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঁচদিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা উদ্বোধন
সাহিত্য একাডেমী চাঁদপুর-এর ভোটার তালিকায় প্রকাশ
আরিফুল ইসলাম শান্তের ‘মৌন বৃক্ষের রাত্রিদিন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের বরাত দিয়েই বলতে হয়, অন্তত পনেরো বছর যাবৎ সাহিত্য একাডেমীর ওপর নিষ্ক্রিয়তার জগদ্দল পাথর চেপে বসেছিলো। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি লোকজনের শতকরা ৯০ ভাগই নানান উপাধি, পদবীতে ভারাক্রান্ত, বয়সের ভারে এদের গতিশীলতা হারিয়ে গেছে। অতএব গ্রহণযোগ্য যে কোনো পদ্ধতিতে সাহিত্য একাডেমীর কমিটিতে গতিশীল, কর্মোদ্যমী নতুন মুখ আনা দরকার। এজন্যে বিদ্যমান গঠনতন্ত্রের মধ্যে যদি পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় তাও করা দরকার।

উল্লেখিত অংশটুকু নিয়ে ‘সাহিত্য একাডেমী হোক আমাদের সমতা সম্পদ আর আনন্দের পৃথিবী’ এ শিরোনামে এ পত্রিকায়ই লিখেছিলাম ২০০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। তখন কলম ধরেছিলাম সাহিত্য একাডেমীর ব্যর্থতার দায়ভার প্রতিটি প্রতীক্ষিত সুন্দরকে যাতে ম্লান করে না দেয় তার জন্যে, কলম ধরেছিলাম সাহিত্য একাডেমীর অর্বাচীন ভূমিকায় সাহিত্যপিপাসুদের যাতে আলোহীন অন্ধকারে যেতে না হয় তার জন্যে। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের আরো একটি শিরোনাম মনকে নাড়া দিয়েছিলো। ২০০৯ সালে চাঁদপুরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক আ.ক.ম. শাহীদুর রহমান মহোদয় বললেন, সাহিত্য একাডেমী ভবন শিশু একাডেমীকে হস্তান্তর করা হবে। সাহিত্যপ্রেমীদের প্রাণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আবার কলম ধরলাম ২০০৯ সালের ২৫ জানুযারি।

ইতিহাস পর্যালোচনা করলে হস্তান্তর প্রক্রিয়ার কিছু নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গি চোখে পড়ে। যেমন : ১৭৬৫ সালের ১২ আগস্ট রবার্ট ক্লাইভ যখন দ্বিতীয় বারের মতো বাংলার গভর্নর হয়ে আসেন, তিনি এসেই সম্রাট দ্বিতীয় শাহআলম ও অযোধ্যার নবাবের সঙ্গে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পাদন করেন।

ইতিহাসে এর একটি ইতিবাচক দিক রয়েছে।

ফ্রান্স স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মূর্ত প্রতীক ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’ ১৮৮৬ সালের ২৮ অক্টোবর আমেরিকার নিকট হস্তান্তর করে, যা মার্কিনীরা লিবার্টি আইল্যান্ড, নিউইয়র্কে ১৯২৪ সালের ১৫ অক্টোবর তাদের জাতীয় স্থাপনা হিসেবে বিশ্বকে পরিচয় করে দেয়।

১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সরকারি নির্দেশে হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মাঝে রাখী বন্ধন হস্তান্তর করেন, যা উভয় সম্প্রদায়ের ঐক্যের প্রতীক ছিলো। তৎকালীন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সে সময়ের প্রেক্ষাপটে সাহিত্য একাডেমী হস্তান্তর প্রক্রিয়া আমাদের জন্যে গৌরবের ছিলো না বরং হতাশার, সুদীপ্ত ইচ্ছার প্রতিফলনতো নয়ই বরং নির্লিপ্ত চেয়ে থাকা মাত্র।

প্রেক্ষাপট সমৃদ্ধ লেখাটি তৎকালীন জেলা প্রশাসক হৃদয়ঙ্গম করায় সাহিত্য একাডেমী তার নিজস্বতা হারায়নি। সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বর্তমান জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন মহোদয়কে দূর থেকে যতটুকু আবিষ্কার করেছি, ওনার রয়েছে বর্ণাঢ্য ও মেধাবী জীবনের ইতিবৃত্ত। পাশাপাশি তিনি একজন সফল ও সৃষ্টিশীল জীবনবোধের অধিকারী। এমন অনুভবে সমৃদ্ধ বর্তমান জেলা প্রশাসক মহোদয় সাহিত্য একাডেমীর স্বকীয়তা বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইতোমধ্যে। গত ১৭ মার্চ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের স্বাক্ষরিত ১২০ সদস্যের একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যা বাস্তবিক অর্থে ইতিবাচক। এ কথা স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে, প্রতিভাধর ব্যক্তির আনন্দবোধের উৎসারণ ঘটে বিভিন্ন উৎস থেকে। সাহিত্যপ্রেমীদের তেমনি এক উৎসের নাম সাহিত্য একাডেমী।

সাহিত্যপ্রেমীদের প্রাণের দাবিকে মূল্যায়ন করে চাঁদপুরের প্রাক্তন জেলা প্রশাসক জনাব মো. আবদুর রব হাওলাদার গণি মডেল হাইস্কুলে সাহিত্যসেবীদের বিশাল সমাবেশে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেন। আমার প্রিয় শিক্ষক চাঁদপুর সরকারি কলেজের তৎকালীন ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কবি খুরশেদুল ইসলাম সাহিত্য একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক। সাহিত্য একাডেমীর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমি একজন সাহিত্যসেবী হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য। প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক কবি খুরশেদুল ইসলাম চিরবিদায় নিয়েছেন। তবে তাঁর আত্মা শান্তি পাবে যদি তাঁর সন্তানতুল্যদের লালিত্যে গড়া সাহিত্য একাডেমী আবার জেগে উঠে। আবার এখানে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, সুকান্তচর্চা শুরু হয়। সময়ের ধমনীতে প্রবহমান স্বচ্ছ প্রাণবিন্দুগুলো, আবার নতুন অবয়বে তার সৌন্দর্য ফিরে পাবে, আবার আমরা সরলা জননীকে নিয়ে লিখবো কবিতা। বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন মহোদয়কে বিনীতভাবে বলছি যে, সাহিত্য একাডেমীকে প্রাণসঞ্চার করার জন্যে অতীতের দগ্ধ-বিগলিত ও বিচ্ছিন্ন অসম্পূর্ণতা দূরে ঠেলে দিয়ে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সাহিত্যপ্রেমীদের প্রতিভার মূল্যায়ন করা হোক। সাহিত্য একাডেমীর সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডের ধমনীতে বিশুদ্ধ চেতনাবোধ প্রবাহিত হোক এটাই প্রত্যাশা। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রলয় শিখা কাব্যগ্রন্থের বিংশ শতাব্দী কবিতার পংক্তিমালা–“সংস্কারের জগদ্দল পাষান/তুলিয়া বিশ্বে আমরা করেছি প্রাণ/সর্ব আচার-বিচার-পঙ্ক হতে/তুলিয়া জগতে এনেছি মুক্ত স্রোতে/অচলায়তনে বাতায়ন খুলি-প্রাণ/এনেছি, গেয়েছি নব আলোকের গান”-এর বাণীমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সাহিত্য একাডেমী যথার্থভাবে উদ্ভাসিত হোক।
লেখক পরিচিতি : সামীম আহমেদ খান, সভাপতি, জাতীয় কবিতা পরিষদ, চাঁদপুর জেলা শাখা।

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত : ইসি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত : ইসি

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। সোমবার (১২ মে) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক শেষে সোয়া ৯টার দিকে ইসি সচিব আখতার আহমেদ এসে সাংবাদিকদের জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে।

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠন ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। তার ধারাবাহিকতায় ইলেকশন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ ‘সে অনুযায়ী আমরা গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছি। আপনারা গেজেটের কপি বিজি প্রেস থেকে পেয়ে যাবেন।’ কোন গ্রাউন্ডে এই নিবন্ধন স্থগিত করা হলো জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে প্রজ্ঞাপন তার ধারাবাহিকতায় আমরা এটা করেছি।’

কমিশন সভায় নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ উপস্থিত ছিলেন। সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ, আইন শাখার যুগ্ম সচিব ফারুক আহমেদসহ কর্মকর্তারা আইনি দিকগুলো তুলে ধরেন। নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর ৯০ জ অনুচ্ছেদ দফা ১ (খ) অনুযায়ী সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে এখনো নিষিদ্ধ করা হয়নি, তাদের দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই আপাতত নির্বাচন কমিশনও নিবন্ধন বাতিল না করে স্থগিত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিবন্ধন স্থগিত হওয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে গেল। এর আগে, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। সোমবার বিকেলে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক

২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন প্রথা চালু করে নির্বাচন কমিশন। গত চারটি নির্বাচনে ৫৫টি দল নিবন্ধন পেয়েছিল। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নম্বর ৬, প্রতীক নৌকা। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিতের মাধ্যমে বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯টি।

এখনও ভিসা হয়নি ৬৫৩ জনের, সৌদি পৌঁছেছেন ৪০৬০৮ হজযাত্রী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৯:২২ পূর্বাহ্ণ
এখনও ভিসা হয়নি ৬৫৩ জনের, সৌদি পৌঁছেছেন ৪০৬০৮ হজযাত্রী

বাংলাদেশ থেকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬০৮ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মোট ১০১টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৮৩ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৬ হাজার ০২৫ হজযাত্রী রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৮৬ হাজার ৪৪৭টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্প ডেস্ক। হেল্প ডেস্কের তথ্য মতে, ১০১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৫১টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ৩৪টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ১৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

চলতি বছর হজ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও একজন নারী। এরা হলেন— জামালপুর বকশীগঞ্জের হাফেজ উদ্দিন (৭৩), রাজবাড়ীর খলিলুর রহমান, কিশোরগঞ্জের মো. ফরিদুজ্জামান, পঞ্চগড়ের আল হামিদা বানু, ঢাকার মোহাম্মদপুরের মো. শাহজাহান কবীর ও নীলফামারির ফয়েজ উদ্দীন (৭২)। গত ২৯ এপ্রিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৩৯৮ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মধ্য দিয়েই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ৩১ মে। চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনা হজ করতে যাবেন ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৮১ হাজার ৯০০ জন।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ৭০টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ২৯ এপ্রিল। শেষ হজ ফ্লাইট ৩১ মে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ১০ জুন, আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ১০ জুলাই।

ফিরতি লেগেও দুর্দান্ত হামজা, ফাইনাল নিশ্চিত করল শেফিল্ড

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ
ফিরতি লেগেও দুর্দান্ত হামজা, ফাইনাল নিশ্চিত করল শেফিল্ড

নিজেদের কাজটা প্রথম ম্যাচেই অনেকটা সেরে রেখেছিল শেফিল্ড ইউনাইটেড। ব্রিস্টল সিটিকে তাদেরই মাঠে উড়িয়ে দিয়েছিল ৩-০ গোলে। ঘরের মাঠে হার এড়াতে পারলেই ফাইনাল নিশ্চিত হবে শেফিল্ড ইউনাইটেডের। এমন এক সমীকরণের ম্যাচেও দাপুটে খেলা উপহার দিয়েছে ক্রিস ওয়াইল্ডারের শিষ্যরা। প্রথম লেগের মতো এবারেও জয় এসেছে ৩-০ গোলে। আর এই ম্যাচ দিয়েই প্লে-অফের ফাইনাল নিশ্চিত করল তারা। তাদের প্রতিপক্ষ থেকে সান্দারল্যান্ড কিংবা কভেন্ট্রি সিটি। দুই দলের অন্য সেমিতে ১-০ গোলে এগিয়ে আছে সান্দারল্যান্ড। আজ ফিরতি লেগ শেষে জানা যাবে কারা হবে শেফিল্ডের ফাইনালের প্রতিপক্ষ। যে ম্যাচ জিতলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নেবে শেফিল্ড ও হামজা।

বিগত কয়েক ম্যাচের মতো এদিনও শেফিল্ডের রাইটব্যাকের ভূমিকায় বাংলাদেশের হামজা চৌধুরী। ডিফেন্সে তিনি ঠিক কতটা কার্যকর, সেটার প্রমাণ দিয়েছেন মৌসুমের পুরোটা জুড়ে। গতকালও তাই ঘটল। দারুণ পারফরম্যান্সে আরও একবার ঘরের মাঠে দর্শকদের ভালোবাসায় হলেন সিক্ত। ইএফএল প্লে-অফের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রক্ষণে হামজা ছিলেন রক-সলিড। ম্যাচে সফলভাবে করেছেন ৪ ট্যাকেল। একটি ক্লিয়ারেন্স এবং দুইবার বল রিকোভারি করে ব্রিস্টলের ম্যাচে ফেরার রাস্তাটাই বন্ধ করেছেন। গ্রাউন্ড ডুয়েলে বরাবরের মতোই সফল হামজা। এদিন সাফল্যের হার ছিল ৮৩ শতাংশ। আর এরিয়াল ডুয়েলে একবার পরাস্ত হলেও জিতেছেন একবার।

তবে রাইটব্যাক হিসেবে দলের আক্রমণ রচনাতেও কম ভূমিকা রাখেননি। প্রতিপক্ষের ফাইনাল থার্ডে ৪টি সফল পাস। ৯৩ শতাংশ পাসিং অ্যাকুরিসি হামজাকে এই ম্যাচে আলাদা করে চিনিয়েছে আবার। গোল কিংবা অ্যাসিস্ট না থাকলেও ম্যাচে নিজের নিয়ন্ত্রণের ছাপ রেখেছেন পুরোটা সময় জুড়ে। অবশ্য কলাম ও’হারা, কেইফার মুর কিংবা গুস্তাভো হ্যামারদের কল্যাণে গোলের জন্য মরিয়া হতে হয়নি হামজাকে। ৩-০ গোলে বেশ সহজ এক জয় এসেছে ব্রিস্টলের বিপক্ষে। নিশ্চিত হলো প্লে-অফের ফাইনাল। সেই ম্যাচ জিতলেই হামজার দল চলে যাবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে।