খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:৩৭ অপরাহ্ণ
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা

বৈষম্যহীন সমাজ গঠন একটি রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক ও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য। এটি কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়ন বা সামাজিক স্থিতিশীলতার প্রশ্ন নয়; এটি ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, ও সামাজিক ঐক্যের প্রতীক। বাংলাদেশ, একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে, বৈষম্যের নানা রূপের সঙ্গে লড়াই করছে—যেমন অর্থনৈতিক বৈষম্য, লিঙ্গ বৈষম্য, ধর্মীয় বৈষম্য এবং শহর-গ্রামের উন্নয়ন বৈষম্য। এই প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের কার্যক্রম কেবল তথ্য সরবরাহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; তারা সমাজ পরিবর্তনের জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যমও।

সাংবাদিকতার মাধ্যমে বৈষম্যের উৎস চিহ্নিত করা, জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা এবং নীতি-নির্ধারকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব। নিচে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা বিশদভাবে আলোচনা করা হলো:

বাংলাদেশের সমাজে বৈষম্যের বিভিন্ন রূপ বিদ্যমান। অর্থনৈতিক বৈষম্য, লিঙ্গ বৈষম্য, শিক্ষার অপ্রতুলতা, স্বাস্থ্যসেবার অসমতা, এবং ধর্মীয় ও জাতিগত বৈষম্য—এসব বিষয় নিয়ে সাংবাদিকরা যদি তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদন করেন, তাহলে সমাজ ও রাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ ধনী-গরিবের মধ্যে সম্পদের ফারাক প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সংবাদপত্র বা টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যদি এই বৈষম্যের মূল কারণ এবং এর প্রভাব তুলে ধরে, তাহলে নীতিনির্ধারকরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। নারী ও পুরুষের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে সুযোগের অপ্রতুলতা, বেতন বৈষম্য এবং নারীর প্রতি সহিংসতা—এসব ইস্যুতে সাংবাদিকরা বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারেন। এ বিষয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণ জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে সাহায্য করবে। শহরাঞ্চলে যেখানে আধুনিক শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য, সেখানে গ্রামীণ অঞ্চলে এর অভাব প্রকট। সাংবাদিকরা এ বিষয়গুলো তুলে ধরে যদি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, তাহলে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে।

সাংবাদিকরা জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য জনগণের মধ্যে মানবাধিকার, সমতা এবং সাম্যবাদের ধারণা প্রচার করা অপরিহার্য। উদাহরণস্বরূপ  টকশো, ডকুমেন্টারি, ফিচার আর্টিকেল, এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে সাংবাদিকরা সাধারণ মানুষের মধ্যে বৈষম্য সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে পারেন। সমাজে এমন অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আছে যারা বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে। সাংবাদিকরা তাদের কাজ তুলে ধরে জনগণকে উৎসাহিত করতে পারেন। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা, নীতিমালা, এবং প্রকল্পগুলোর কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করা সাংবাদিকদের দায়িত্ব। তারা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে বৈষম্য দূরীকরণের প্রক্রিয়ার ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ সরকারি বাজেট বা প্রকল্পের বরাদ্দ যদি কোনো বিশেষ অঞ্চল বা জনগোষ্ঠীর পক্ষে থাকে, তবে সাংবাদিকরা এটি প্রকাশ করে সকলের মধ্যে ন্যায়বিচারের দাবি জানাতে পারেন। বৈষম্যের অন্যতম প্রধান কারণ হলো দুর্নীতি। সাংবাদিকরা যদি এই দুর্নীতিগ্রস্ত প্রকল্প বা কর্মকর্তাদের উন্মোচন করেন, তাহলে রাষ্ট্রের জবাবদিহিতা বাড়বে। বাংলাদেশে অনেক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী রয়েছে, যেমন- হরিজন, আদিবাসী, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, এবং সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগোষ্ঠী। তাদের সমস্যা, চাহিদা, এবং অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। এই জনগোষ্ঠীগুলোর প্রতি যে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়, তা যদি সাংবাদিকরা তুলে ধরেন, তবে তাদের প্রতি সহানুভূতি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সাংবাদিকরা বিশেষ প্রতিবেদনের মাধ্যমে জনমত গঠন করতে পারেন। কর্মজীবী নারীদের অধিকার সংরক্ষণেও সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

সাংবাদিকদের কেবল সমস্যা প্রকাশ করলেই চলবে না; পাশাপাশি তারা নীতিগত সুপারিশ প্রদান করতে পারেন। যেমন- অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করার পাশাপাশি সমাধানের দিকনির্দেশনা দেওয়া। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য সাফল্যের গল্প তুলে ধরা, যাতে অন্যরা তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়।

বর্তমানে সাংবাদিকরা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে বৈষম্যবিরোধী প্রচারণা চালাতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন সংবাদমাধ্যম, এবং পডকাস্টের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো সহজ হয়েছে।বৈষম্যের শিকার মানুষের গল্প যদি সাংবাদিকরা তথ্যপূর্ণ ও আবেগময় উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরেন, তবে তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে সমাজে প্রভাব ফেলতে পারে। বিভিন্ন বৈষম্যের পরিসংখ্যান উপস্থাপন করে সমস্যার গভীরতা বোঝানো যায়, যা নীতিনির্ধারকদের প্রভাবিত করতে পারে।

সাংবাদিকদের কাজ শুধুমাত্র তথ্য প্রচার নয়; তাদের উচিত মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজের দুর্বল ও বৈষম্যের শিকার মানুষদের পক্ষে দাঁড়ানো। যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সংকটকালীন সময়ে ত্রাণসামগ্রী বণ্টনে বৈষম্য নিয়ে প্রতিবেদন করা। ধর্ম, জাতি, বা গোষ্ঠীর কারণে বৈষম্যের শিকার মানুষদের কাহিনী তুলে ধরা।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাংবাদিকরা বৈষম্য মোকাবিলার সফল উদাহরণগুলো তুলে ধরতে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে পারে। অন্য দেশে কীভাবে বৈষম্য দূর করার জন্য কাজ করা হচ্ছে, তা তুলে ধরে বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের অনুপ্রাণিত করা। রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের মতো আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বৈষম্যের নতুন দিক উন্মোচনে সহায়ক হতে পারে।

বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে বৈষম্য এখনো প্রকট। শহরাঞ্চলে যেখানে আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সহজলভ্য, গ্রামীণ এবং দরিদ্র অঞ্চলে শিক্ষার মান অত্যন্ত নিম্ন। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। সরকারি স্কুলের মান ও বেসরকারি স্কুলের উচ্চতর শিক্ষার সুযোগের মধ্যে বিশাল ফারাক রয়েছে। সাংবাদিকরা যদি এই বৈষম্যের কারণগুলো প্রকাশ করেন এবং সমাধানের প্রস্তাব দেন, তবে তা নীতিনির্ধারকদের চাপ সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে এখনো মেয়েদের শিক্ষার প্রতি উদাসীনতা দেখা যায়। সাংবাদিকরা এই ইস্যুতে সচেতনতা তৈরি করতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন। বাংলাদেশের শ্রমজীবী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী নানা বৈষম্যের শিকার। তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলা প্রায়ই উপেক্ষিত হয়। সাংবাদিকরা তাদের সমস্যা তুলে ধরে সমাধানের রাস্তা খুঁজে বের করতে পারেন। গার্মেন্টস শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা প্রায়ই বেতন বৈষম্য ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার শিকার হন। সাংবাদিকরা এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করলে তা শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার লড়াইকে ত্বরান্বিত করতে পারে। গ্রামীণ ও শহুরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্টিং বৈষম্য দূরীকরণে সরকারের পদক্ষেপকে জোরদার করতে পারে।

বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে প্রকৃত গণতন্ত্র অপরিহার্য। সাংবাদিকরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রচার করে এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে কাজ করতে পারেন। নির্বাচনী অনিয়ম, দুর্নীতি, ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করলে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সমাজে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা প্রায়ই কঠিন হয়। সাংবাদিকরা নির্ভীকভাবে সত্য কথা তুলে ধরে জনগণের কণ্ঠস্বর হতে পারেন।

বাংলাদেশে পরিবেশগত বৈষম্যও গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু। শহরের উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে গ্রামীণ পরিবেশ প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নদী দূষণ, বন উজাড়, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে কাজ করতে পারেন সাংবাদিকরা। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে অনেক মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন। তাদের জীবনযাত্রার বাস্তবতা তুলে ধরলে বৈষম্যের চিত্র পরিষ্কার হবে। শিল্প কারখানার কারণে নদী দূষণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করলে সরকার ও জনগণ সচেতন হবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে, যা বৈষম্য সৃষ্টি করে। সাংবাদিকরা এই ধরনের ইস্যুতে নিরপেক্ষ ও সাহসী ভূমিকা পালন করতে পারেন। সাংবাদিকরা যদি বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ানোর উদ্যোগে কাজ করেন, তবে সমাজে সহিংসতার আশঙ্কা কমবে। সাংবাদিকরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে সহিংসতার আসল কারণ বের করে জনসচেতনতা বাড়াতে পারেন। বাংলাদেশের অনেক মানুষ আইন সম্পর্কে সচেতন নয়। ফলে তারা বৈষম্যের শিকার হলেও আইনি সহায়তা নিতে পারে না। সাংবাদিকরা আইন ও অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারেন। বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কীভাবে সহজে আইনি সহায়তা নিতে পারে, তা নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা।

বৈষম্য নিয়ে কাজ করতে হলে সাংবাদিকদেরও প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সাংবাদিকদের উচিত নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করার দক্ষতা অর্জন করা। সংবাদ পরিবেশনের সময় নিরপেক্ষতা ও নৈতিকতা বজায় রাখা জরুরি, যাতে সাংবাদিকতার মূল উদ্দেশ্য সফল হয়।

বাংলাদেশে বৈষম্য দূরীকরণে সাংবাদিকদের ভূমিকা সীমাহীন। তারা সমাজের অসাম্য ও অবিচারের বিরুদ্ধে একটি নির্ভীক কণ্ঠস্বর। সাংবাদিকতার মাধ্যমে বৈষম্য চিহ্নিত করা, জনগণকে সচেতন করা এবং নীতিনির্ধারকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা সম্ভব। তবে এটি করতে হলে সাংবাদিকদের অবশ্যই তথ্যভিত্তিক, নৈতিক এবং মানবিক হতে হবে। এভাবে সাংবাদিকরা বৈষম্যহীন, সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক একটি বাংলাদেশ গড়ার পথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, যেখানে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের নিরপেক্ষ, নৈতিক এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করে, বৈষম্যের মূল কারণ চিহ্নিত করে, এবং সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষায় সাংবাদিকদের অবদান বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের পথকে সুগম করে। একজন দক্ষ সাংবাদিকের কাজের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব, যা একটি সমতা ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশের ভিত্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

লেখক পরিচিতি: উজ্জ্বল হোসাইন, লেখক ও সাংবাদিক, চাঁদপুর।

ঈদে নতুন জামা : স্বপ্ন আর ভালোবাসা জড়ানো

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ণ
ঈদে নতুন জামা : স্বপ্ন আর ভালোবাসা জড়ানো

ঈদ মানেই আনন্দ, উৎসব, মিলন এবং নতুন করে বাঁচার প্রেরণা। এই দিনে সবাই চায় নিজেকে সাজিয়ে নিতে, নতুন কাপড় পরে প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে। কিন্তু এমন অনেকের মধ্যেও থাকে এমন কেউ, যার জন্য একটি নতুন জামা শুধু পোশাক নয়, বরং স্বপ্ন, গর্ব, আত্মমর্যাদা এবং একটি আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। এই প্রবন্ধে আমরা এমন এক নতুন জামার কথা বলব, যে জামার শুধু দামী কাপড় বা ডিজাইনের গর্ব নেই, বরং রয়েছে আত্মার গভীরে জমে থাকা এক মানুষের স্বপ্নের গল্প।

শহরের এক কোণায় বাস করে ছোট্ট ছেলেটি রিয়াদ। বয়স প্রায় দশ। তার বাবা একজন দিনমজুর, মা গৃহিণী। সংসারে অভাব-অনটনের মধ্যে কোনোভাবে দিন কাটে তাদের। বছরের প্রতিটি দিন কাটে সংগ্রামের মাঝে, কিন্তু ঈদ আসে স্বপ্নের আলো নিয়ে। ঈদে নতুন জামা পাবে, এই আশায় রিয়াদ এক মাস রোজা রাখে, নিজের মনকে শক্ত করে।

তবে এই জামা আসবে কি না, তা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, বাবার মুখে ভাঁজ আর চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। মা বারবার বলেন, “এবার হয়তো পুরনো জামাতেই ঈদ করতে হবে।” কিন্তু রিয়াদ বিশ্বাস করে—আল্লাহ যদি রোজা কবুল করেন, তাহলে একটা নতুন জামা হয়তো আসবেই।

এই জামার অপেক্ষা শুধু রিয়াদের নয়, এটি যেন তার মন-প্রাণের আকুতি। এই জামা তার জন্য স্বপ্নপূরণ, আত্মমর্যাদা, শ্রেষ্ঠত্বের অনুভব।

আমরা অনেক সময় বুঝি না, একটি নতুন জামা একজন শিশুর জন্য কতটা অর্থবহ হতে পারে। ধনী পরিবারের শিশুর কাছে এটি হয়তো একটি চমকপ্রদ পোশাক, কিন্তু রিয়াদের কাছে এটি স্বপ্ন পূরণের মতো। সে ভাবে, ঈদের দিন সবার মতো তাকেও যদি নতুন জামায় দেখা যায়, তাহলে সে আর অবহেলিত হবে না, তার বন্ধুরা তাকে হাসবে না। তারও মুখে হাসি ফুটবে, তারও ছবি উঠবে মোবাইল ক্যামেরায়।

এই জামা তার আত্মবিশ্বাস, যেটা সে স্কুলে পড়ার সময় খুঁজে বেড়ায়, যখন ক্লাসের অন্য ছেলেরা নতুন জামা পরে আসে আর সে পড়ে থাকে একঘেয়ে মলিন কাপড়।

এখানে জামার একটি কল্পিত স্বর ও ভাষা কল্পনা করা যাক—যেখানে জামাটি যেন নিজের মনে নিজের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছে: “আমি কোনো বিলাসী দোকানের শেলফে ঝুলে থাকা দামি জামা নই। আমি সেই জামা, যাকে এক দরিদ্র বাবার কষ্টের টাকায় কিনে আনা হবে তার ছেলের মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাতে।
আমি হয়তো রঙিন নই, হয়তো আমার ডিজাইনে জাঁকজমক নেই, কিন্তু আমি গর্বিত। কারণ আমি হব একটি শিশুর ঈদের স্বপ্ন পূরণের বাহক। আমি হব আত্মমর্যাদার প্রতীক, আমি হব ঈদের প্রাপ্তির প্রতিচ্ছবি।”

এই ভাবনার মধ্যেই ফুটে ওঠে জামার স্বপ্ন—সে চায়, তাকে কেউ ভালোবাসুক, পরিধান করুক, আর আনন্দ পাক।

রিয়াদের মা হয়তো নিজের জন্য কোনো কাপড় কিনবেন না, বাবা হয়তো একজোড়া চপ্পল না কিনে সেই টাকায় ছেলের জামা কিনে দেবেন। কারণ, সন্তানের হাসির চেয়ে বড় কিছু তাদের কাছে নেই। একটি নতুন জামার পেছনে লুকিয়ে থাকে একটি পরিবারের নীরব ত্যাগ, ভালোবাসা আর গোপন কান্না।

ঈদের নতুন জামা এই পরিবারগুলোর কাছে শুধু পোশাক নয়—এটা এক সম্মান, ভালোবাসা এবং আত্মতৃপ্তির চিহ্ন। অনেক সময় বাবা-মায়েরা নিজেদের প্রয়োজন বিসর্জন দিয়ে সন্তানের মুখে হাসি দেখতে চান। নতুন জামা যেন সেই আত্মত্যাগের স্বাক্ষর হয়ে উঠে।

ঈদের দিন আমরা যখন দেখি কেউ চকচকে কাপড় পরে বেরিয়েছে, আর কেউ পুরনো জামা পরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে, তখন সামাজিক বৈষম্যের চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নতুন জামার গুরুত্ব সেখানে দ্বিগুণ। এটি একধরনের সামাজিক মর্যাদা।

রিয়াদ হয়তো তার বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়ে ভাবে—আমারও যদি এমন একটা জামা থাকত! শুধু ঈদের দিনটা নয়, পুরো জীবনজুড়ে সেই হাহাকার থেকে যায়। এই এক টুকরো জামাই তার স্বপ্নকে উঁচুতে নিয়ে যেতে পারে, আর না থাকলে আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়ে।

দরিদ্র শিশুদের জন্য ঈদে জামার প্রাপ্তি মানে কী? সমান মর্যাদা – অন্যদের মতো তাকেও দেখা হয় একজন ‘পূর্ণ’ শিশুর মতো।  আত্মবিশ্বাস – নতুন জামা পরে সে খুশি মনে বন্ধুদের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। পরিবারের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি – সে উপলব্ধি করে, তার মা-বাবা তাকে কত ভালোবাসে।

৪. ভবিষ্যতের স্বপ্ন – একজন শিশু জানে, সে যদি চেষ্টার মধ্যে থাকে, তার স্বপ্ন একদিন পূরণ হবেই।

ঈদের সকালে রিয়াদের ঘুম ভাঙে ভোরবেলা। মা হাসিমুখে এসে বলে—
“এই দেখ, তোমার নতুন জামা।”
রিয়াদ প্রথমে বিশ্বাস করতে পারে না। হাত বাড়িয়ে জামাটা নেয়, চোখে জল চলে আসে। “আমার?”
মা মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়, “হ্যাঁ বাবা, তোমার।”
রিয়াদ তার ছোট জামাটিকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে, যেন এটিই তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

সেই জামা তখন আর শুধু সুতা ও রঙের মিশ্রণ নয়, সেটি তখন একটি ‘স্বপ্ন’। একটি সন্তুষ্টির প্রতীক, একটি ছোট শিশুর গর্বের নিশান।

আমরা যারা সমাজের ভাগ্যবান অংশ, তাদের উচিত এই বৈষম্য দূর করতে সচেষ্ট হওয়া। প্রতিবছর ঈদের আগে আমরা অনেকেই প্রচুর জামা কিনি, কিন্তু ভাবি না পাশের দরিদ্র শিশুটার কথা। যদি আমরা একটি নতুন জামা কাউকে দিতে পারি, তাহলে তার ঈদটা হয়ে উঠতে পারে জীবনের সেরা দিন।সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার—সবাই যদি চায়, তাহলে প্রত্যেক শিশুর ঈদে একটি নতুন জামা নিশ্চিত করা সম্ভব। এটি দান নয়, এটি মানুষের স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা।

“ঈদে একটি নতুন জামা যার স্বপ্ন” এই বাক্যটি শুধুমাত্র কোনো এক জামা বা একটি শিশুর গল্প নয়, এটি হাজারো রিয়াদের গল্প। এটি আমাদের সমাজে লুকিয়ে থাকা অসংখ্য মানুষের জীবনবোধের চিত্র। একটি নতুন জামা কেবল দেহ ঢাকার উপকরণ নয়, এটি মানুষের সম্মান, আত্মবিশ্বাস এবং ভালোবাসার প্রতীক। আমরা যদি এই একটুকরো জামার ভেতর মানুষের আবেগ, স্বপ্ন ও আত্মত্যাগ দেখতে পারি, তাহলে সমাজে সত্যিকার পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। আসুন, এই ঈদে আমরা কেবল নিজেদের জন্য না, অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যও একটি নতুন জামার স্বপ্ন বুনি।

লেখক পরিচিতি : উজ্জ্বল হোসাইন, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক, চাঁদপুর।

চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল আজম সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল আজম সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস

চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভা (১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৫) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি (২০২৫-২০২৮) ঘোষণা করা হয়েছে। সমবায় সমিতি আইন ২০০১ (সর্বশেষ সংশোধন ২০১৩) ও সমবায় সমিতি বিধিমালা ২০০৪ (সর্বশেষ সংশোধন ২০২০) অনুযায়ী নির্বাচন কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন (পরিদর্শক, জেলা সমবায় কার্যালয়, চাঁদপুর) কোন পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছয় সদস্য বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটি ঘোষণা করেন। নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি- মোঃ ইকবাল আজম (প্রতিনিধি, দি চাঁদপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ), সহ-সভাপতি- মোঃ আফজাল হোসেন খান (প্রতিনিধি, মিলেনিয়াম বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ), সম্পাদক- দুলাল চন্দ্র দাস (প্রতিনিধি, বাগড়া শিক্ষিত বেকার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ), সদস্য- মোঃ আক্কাস ফরাজী (প্রতিনিধি, রূপসী পল্লী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ), সদস্য- খন্দকার ফখরুল আলম (প্রতিনিধি, আশার আলো মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ), সদস্য- মোঃ খোরশেদ আলম (প্রতিনিধি, খাজুরিয়া বাজার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ)।
জেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ও নির্বাচন কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সমবায়ী ও বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন শেখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন জেলা সমবায় ইউনিয়ন, জেলার সমবায় সমিতি ও সমবায়ীদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব থাকলেও চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নে দীর্ঘদিন নির্বাচিত কমিটি ছিল না, যার কারণে এটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন থেকে চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নকে কার্যকর করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করি। সমবায় বিভাগ এতে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন করে, যার ফলশ্রুতিতে আজকে আমরা একটি নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করতে পেরেছি। এজন্য তিনি সমবায় বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান পাশাপাশি নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান। সভায় তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা সকলের সামনে উপস্থাপন করেন। সকলের সহযোগিতায় তা বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সভাপতি মুরাদ হোসেন খান, জুন হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর প্রতিনিধি এ ওয়াই এম জাকারিয়া, ওয়ারলেস বাজার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিনিধি মোঃ জিয়াউদ্দিন, ইসলামীয়া সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিনিধি নাজমুল হুদা প্রমূখ।
উল্লেখ্য প্রতি ৩ বছর পর পর নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের বিধান থাকলেও ২০১২ সালের পর, দীর্ঘ ১৩ বছর পর এই ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হলো।

আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ
আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামী ২ জুন নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সম্প্রতি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল ও বাজেট ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, সংসদ না থাকায় এবার সংসদে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে না। অর্থ উপদেষ্টা টেলিভিশনে নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে ২ জুন বাজেট ঘোষণার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণত আগের অর্থবছরগুলোতে বৃহস্পতিবার বাজেট দেওয়া হতো, এবার সোমবার ঘোষণা করা হবে। বাজেট ঘোষণার পর আগের রীতি অনুযায়ী অর্থ উপদেষ্টা বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

সূত্রটি জানিয়েছে, সাধারণত প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের তুলনায় বড় রাখা হয়। তবে এবার বাজেট ঘাটতি কমিয়ে বাজেট ছোট কারার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বাজেটের আকার কমানো হলেও সমাজে বৈষম্য কমানোর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে সামাজিকীকরণ সুরক্ষা কর্মসূচিতে উপকারভোগী ও কিছু ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ থাকছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। একই সঙ্গে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ ধরতে পারে। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার। চলতি অর্থবছরেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। যদিও গত মার্চ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।