খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

স্বপ্নপুরীর রাজা ও কাল্পনিক প্রেমের গল্প

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৩৩ অপরাহ্ণ
স্বপ্নপুরীর রাজা ও কাল্পনিক প্রেমের গল্প

পনেরো বছরের কিশোর রোহান ছিল গ্রামাঞ্চলের একজন সাধারণ ছেলে। প্রতিদিনের মতো সেদিনও বিকেলে সে তার প্রিয় বাঁশি নিয়ে গ্রামের পাশের বনের ধারে গিয়ে বসেছিল। আকাশ লালচে হয়ে গিয়েছিল, পাখিরা ফিরছিল তাদের নীড়ে। হঠাৎ করেই তার চোখে পড়ল এক বর্ণিল আলো। গাছপালার ফাঁক দিয়ে আলোটা ঠিক যেন কোনো সোনার বাক্স থেকে বেরিয়ে আসছিল। রোহান কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে গেল।
অবাক হয়ে সে দেখল, বনের মাটিতে একটা ছোট, চকচকে বাক্স পড়ে আছে। বাক্সটা খুলতেই ঝলমলে আলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল। তার ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো এক ছোট্ট, মায়াবী প্রাণী। প্রাণীটি বলল, “আমি স্বপ্নপুরীর দূত। তুমিই আমাদের রাজ্যকে রক্ষা করতে পারবে।”
রোহান কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রাণীটি তাকে হাত ধরে টেনে এক ঝলমলে গুহার দিকে নিয়ে গেল। গুহার ভেতর ঢুকতেই চারপাশ বদলে গেল। রোহান নিজেকে আবিষ্কার করল এক অদ্ভুত জায়গায়—স্বপ্নপুরী। এটি ছিল এক রঙিন রাজ্য যেখানে সবকিছুই স্বপ্নের মতো সুন্দর। কিন্তু এখানকার বাসিন্দাদের মুখে ছিল গভীর দুশ্চিন্তার ছাপ।
প্রাণীটি জানাল, স্বপ্নপুরীর রাজা কোনো অজ্ঞাত শক্তির কারণে ঘুমিয়ে পড়েছেন। যদি তিনি জাগ্রত না হন, তবে স্বপ্নপুরী ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের একমাত্র ভরসা তুমি।
রোহান প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। সে তো একজন সাধারণ ছেলে, রাজাকে জাগানোর মতো কাজ কীভাবে করবে? কিন্তু প্রাণীটির অনুরোধে এবং স্বপ্নপুরীর বাসিন্দাদের দুঃখ দেখে সে সাহস সঞ্চয় করল। তাকে বলা হলো, রাজাকে জাগানোর জন্য “জীবনের ফুল” আনতে হবে। ফুলটি স্বপ্নপুরীর পূর্ব প্রান্তে থাকা কালের গুহাতে রয়েছে।
প্রাণীটি তাকে একটি যাদুর মানচিত্র দিল, যা তাকে সঠিক পথে নিয়ে যাবে। রোহান যাত্রা শুরু করল। পথে তার সঙ্গে যুক্ত হলো আরও কিছু সাহসী বাসিন্দা—টুকু, একজন কথা বলা কাক; মিষ্টি, এক ছোট্ট মেয়ে, যার হাসি মানুষকে শক্তি দেয়।
যাত্রার পথে তাদের প্রথম বাধা আসে এক ধোঁয়াশার জঙ্গলে। জঙ্গলটি ছিল প্রহরীদের দ্বারা সুরক্ষিত, যারা কেবল ধাঁধার উত্তর দিতে পারলেই পথ ছাড়ত। রোহান এবং তার সঙ্গীরা মিলে ধাঁধাগুলোর উত্তর দিল।
প্রহরী একবার জিজ্ঞাসা করল : যে জিনিসটি যত বেশি নেওয়া হয়, তত কমে যায়। সেটি কী?
রোহান উত্তর দিল, শ্বাস।
প্রহরীরা তাদের পথ ছেড়ে দিল।
এরপর তারা পৌঁছাল এক ভাঙা সেতুর কাছে। সেতু পার হতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। রোহান সবার সঙ্গে সমন্বয় করে সেতু মেরামত করল। এই কাজ করতে গিয়ে তারা বুঝল, দলবদ্ধভাবে কাজ করলে বড়ো বড়ো বাধাও অতিক্রম করা যায়।
অবশেষে তারা কালের গুহার প্রবেশদ্বারে পৌঁছাল। কিন্তু সেখানে অপেক্ষা করছিল এক বিশাল দৈত্য। দৈত্যটি বলল, যদি আমার তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারো, তবে আমি তোমাক রাজ্য দান করবো।…..

অরণী ও আদ্রিত—দুজনের জীবন একদম ভিন্ন জগৎ থেকে শুরু। অরণী শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী, আর আদ্রিত পেশায় একজন চিত্রশিল্পী। অরণীর বইয়ের প্রতি ভালোবাসা, আর আদ্রিতের রঙের প্রতি নেশা তাদের দুজনকে ভিন্ন ভিন্ন পথে নিয়ে চলেছে।
তবে এক বিকেলে, বৃষ্টির পর আকাশে যখন রোদ মেখে উঠেছিল, ঠিক তখনই তাদের প্রথম দেখা। অরণী ক্যাম্পাসের পাশের পুরোনো বইয়ের দোকানে একটা কবিতার বই খুঁজছিল। বইয়ের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে হঠাৎ তার হাত গিয়ে ছুঁল আরেকটি হাতে। “সরি!” বলে মুখ তুলে তাকাতেই অরণী দেখতে পেল আদ্রিতের মায়াময় চোখ।
আদ্রিত তখন একটু হাসল। “আপনি কি হিউগো-র কবিতা পড়তে চান?”
অরণী হেসে বলল, “হ্যাঁ, তবে এই কপিটা হয়তো আপনার আগে আমি ধরেছি।”
সেই ছোট্ট হাসির বিনিময়েই শুরু হয়েছিল তাদের গল্প।
আদ্রিত আর অরণীর মধ্যে একটা অদ্ভুত সংযোগ তৈরি হয়েছিল। ফোন বা মেসেজ নয়, তারা চিঠি লিখত একে অপরকে। পুরোনো দিনের কাগজে কালির গন্ধে ভরা চিঠি। অরণী লিখত নিজের অনুভূতি, পড়া কবিতা, আর দিনযাপনের কথা। আদ্রিত তার জবাবে আঁকত কিছু স্কেচ, কিছু কবিতা, আর নিজের চিত্রশিল্পের ভাবনা।
চিঠিগুলো হয়ে উঠেছিল তাদের হৃদয়ের আয়না। প্রতিটি বাক্যে ছিল নতুন অনুভূতির স্পর্শ।
তাদের জীবনে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন আদ্রিত জানাল, তাকে অন্য শহরে যেতে হবে একটা বড় আর্ট এক্সিবিশনে। “এটা আমার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ, অরণী। কিন্তু আমি জানি, এই দূরত্ব আমাদের গল্পকে কঠিন করে তুলবে।”
অরণী মুচকি হেসে বলল, “তোমার স্বপ্ন আমারও স্বপ্ন, আদ্রিত। চিঠিগুলোই তো আমাদের কাছে থাকছে। দূরত্ব কিছুই নয়।”
তবে বাস্তবতা সবসময় গল্পের মতো সুন্দর নয়। দূরত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চিঠির সংখ্যা কমে এলো। আদ্রিত কাজের চাপে ডুবে গেল, আর অরণীর মন কিছুটা ভারী হয়ে উঠল।
একদিন, কয়েক মাস পরে, অরণী একটি চিঠি পেল। খামের উপর আদ্রিতের হাতের লেখা। ভিতরে শুধু একটি বাক্য:
“যদি সময়ের সঙ্গে সব বদলে যায়, তবে কি ভালোবাসাও বদলে যায়?”
অরণীর হাত কাঁপছিল। চিঠির সঙ্গে ছিল একটি ছোট্ট পেইন্টিং—একটি মেয়ে, যার চোখে অশ্রু। অরণী বুঝতে পারল, আদ্রিত হয়তো এই গল্পের ইতি টানতে চাইছে।
কয়েক মাস কেটে গেল। অরণী নিজেকে কাজ আর পড়াশোনায় ডুবিয়ে রাখল। তবে একদিন হঠাৎ ক্যাম্পাসে একটি আর্ট গ্যালারির পোস্টার দেখতে পেল। “আদ্রিতের একক প্রদর্শনী।”
অরণী দ্বিধা নিয়েই প্রদর্শনীতে গেল। দেয়ালে ঝুলানো প্রতিটি ছবির মাঝে নিজের আর আদ্রিতের গল্পের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পেল। একটি ছবির সামনে থেমে গেল সে—ছবিতে ছিল তার মুখ। নিচে লেখা ছিল : আমার চিঠির শেষ বাক্য।
পেছন থেকে একটি কণ্ঠ ভেসে এলো, “তুমি কি জানো, শেষ বাক্যটা তখনো অসম্পূর্ণ ছিল।
অরণী ঘুরে দেখল, আদ্রিত দাঁড়িয়ে আছে। তাদের চোখে চোখ পড়ল, আর বুঝতে পারল, কিছু গল্পের সত্যি কোনো শেষ হয় না।
তাদের গল্প আবার নতুন করে শুরু হলো। ভালোবাসা সময়ের সঙ্গে বদলায় না, বরং সময় তার গভীরতা বাড়ায়। চিঠির শেষ বাক্যও নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে।
নিশ্চয়ই! গল্পটি আরও বিস্তারিতভাবে প্রসারিত করছি। নিচের অংশে তাদের জীবনের নানা নতুন মোড়, সম্পর্কের গভীরতা, এবং কাহিনির উত্তেজনা যোগ করছি।
আদ্রিত আর অরণী দেখা করার পর তাদের কথোপকথন শুরু হলো এক অদ্ভুত জড়তা নিয়ে।
“তুমি কীভাবে এতদিন আমার খোঁজ নাওনি?” অরণী প্রশ্ন করল।
আদ্রিত দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “আমি চেয়েছিলাম তোমার জন্য কিছু হয়ে উঠতে, অরণী। কিন্তু যতই নিজের স্বপ্নের পেছনে ছুটেছি, ততই তোমার কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছি। অরণীর চোখে পানি চলে এল। তুমি ভাবলে, দূরে সরে গিয়ে আমাকে সুখী করতে পারবে? ভালোবাসা তো একসঙ্গে লড়াই করার জিনিস। দূরত্ব তৈরি করার নয়।
তাদের কথোপকথন চলতে থাকল। গ্যালারি থেকে বের হয়ে তারা বৃষ্টির মধ্যে হাঁটতে লাগল। পুরোনো স্মৃতি ভেসে উঠল দুজনের মনে।
সেদিনের পর তারা নতুন করে কথা বলা শুরু করল। তবে এবার তাদের সম্পর্কের ভিত আরও গভীর ছিল। আগের মতো চিঠি লিখতে শুরু করল তারা। চিঠির ভাষা আরেকটু পরিণত হলো। এখন শুধু অনুভূতির কথা নয়, ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা হতে লাগল।
আদ্রিত বলল, আমাদের এই গল্পটা যেন কোনো দিন অসমাপ্ত না হয়। আমি আর তোমাকে হারাতে চাই না।
অরণী মুচকি হেসে বলল, তাহলে একটা প্রতিজ্ঞা কর। আমাদের গল্পটাকে এবার থেকে একসঙ্গে লিখব।
তাদের সম্পর্ক যখন ভালোই চলছিল, তখন এক নতুন সমস্যা দেখা দিল। আদ্রিতের আর্ট গ্যালারির জন্য একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান তার কাজ নিয়ে আগ্রহ দেখাল। তবে শর্ত ছিল, তাকে অন্তত দুই বছরের জন্য বিদেশে থাকতে হবে।
আদ্রিত বিষয়টি অরণীকে জানাল। তুমি কি মনে কর, আমি এই সুযোগ গ্রহণ করলে আমাদের গল্পে আবার দূরত্ব আসবে?
অরণী কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, দূরত্ব গল্প বদলে দিতে পারে, কিন্তু ভালোবাসার গভীরতা থাকলে গল্পটা কখনো শেষ হয় না। তুমি যাও। আমি অপেক্ষা করব।
বিদেশে থাকা অবস্থায় আদ্রিত প্রতিদিন ভিডিও কল করত, চিঠি লিখত। কিন্তু দূরত্বের কারণে মাঝে মাঝে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতো।
একদিন, আদ্রিত বলল, তুমি জানো, তোমার না থাকাটা আমাকে কীভাবে একা করে দেয়?
অরণী মৃদু হেসে বলল, তুমি হয়তো দূরে আছ, কিন্তু তোমার প্রতিটি চিঠি আর প্রতিটি কথা আমাকে বলছে, তুমি এখনো আমারই সঙ্গে আছ।
এই ধৈর্য আর ভালোবাসার সঙ্গে তারা দুই বছর পার করে ফেলল।
দুই বছর পর, এক বিকেলে অরণী একটি চিঠি পেল। চিঠির সঙ্গে একটি বিমানের টিকিট আর একটি নোট ছিল :
তোমার কাছে আর ফিরে আসছি না। এবার তোমাকে আমার কাছে আনতে চাই। এই টিকিটটা তোমার জন্য।
অরণী বিমানে চড়ে আদ্রিতের কাছে গেল। তাকে দেখে আদ্রিত বলল, “আমি হয়তো দূরে থেকে অনেক ভুল করেছি, কিন্তু এবার আর তোমাকে কোনো দিন একা রাখব না।”
তাদের গল্প এবার সত্যিই পূর্ণতা পেল। চিঠির শেষ বাক্যটি আর কোনো প্রশ্নে শেষ হলো না, বরং তা হয়ে উঠল একটি প্রতিজ্ঞার প্রতীক।
ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না, তা শুধু রঙ, শব্দ আর অনুভূতির ভিন্নতায় ধরা দেয়।
এভাবেই রোহান আর অরণীর গল্প সময়ের পরীক্ষায় টিকে গেল, আর তাদের ভালোবাসা হয়ে রইল এক অনন্ত অধ্যায়।

লেখক : উজ্জ্বল হোসাইন, প্রাবন্ধিক ও গল্পকার, মোবাইল : 01675127483, ই-মেইল : rtrujjal@gmail.com

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে

চাঁদপুরে “হুইলস অব পিস”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে “হুইলস অব পিস”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

মিশন গ্রিন বাংলাদেশ-এর সহায়তায়, এসডিজি ভিত্তিক পিস প্রজেক্টের পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ । বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর জেলা স্কাউটস ভবনের সামনের প্রাঙ্গণে আয়োজিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। আয়োজনটি করেছে “প্রজেক্ট হুইলস অব পিস”, যা একটি এসডিজি (SDG) ভিত্তিক স্কাউট পিস প্রজেক্ট।

এই উদ্যোগে সহায়তা করে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, এবং সহযোগিতা করে মেঘনাপাড় ওপেন স্কাউট গ্রুপ। সারাদেশে ৬৪ জেলায় ৫ জুন একসাথে বৃক্ষরোপণের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ৪০ জন তরুণ স্বেচ্ছাসেবক সক্রিয়ভাবে অংশ নেন, যারা শুধু গাছ লাগিয়ে দায়িত্ব শেষ করেননি, বরং পরিবেশ সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে মাঠে-ময়দানে কাজ করেছেন।

পরিবেশ দূষণ ও প্লাস্টিকের অপব্যবহার প্রতিরোধে আয়োজনস্থল এবং আশেপাশের এলাকায় সচেতনতামূলক পোস্টার লাগানো হয়। এছাড়াও স্থানীয় বাজার ও জনবহুল স্থানে লিফলেট বিতরণ করে সাধারণ মানুষের মাঝে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়—”সবুজ পৃথিবী, নিরাপদ ভবিষ্যৎ”।

বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে ফলজ গাছ যেমন আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, জামসহ স্থানীয় প্রজাতির চারা রোপণ করা হয়। এসব গাছ একদিকে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করবে, অন্যদিকে স্থানীয় মানুষের উপকারে আসবে।

উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট হুইলস অব পিস এর প্রতিষ্ঠাতা ওমর তামীম সাফি। তিনি বলেন:
**”পরিবেশ রক্ষা আমাদের দায়িত্ব নয়, বরং এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। একটি গাছ মানে শুধু ছায়া বা ফল নয়—এটি জীবনের ধারক। আজকের এই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমরা শপথ করছি, সবুজের জন্য কাজ করব—শুধু শহরে নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সচেতনতার আলো ছড়িয়ে দেব।

এই কর্মসূচি সফল করতে যারা পাশে ছিলেন, বিশেষ করে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, মেঘনাপাড় মুক্ত স্কাউট গ্রুপ এর সদস্যবৃন্দ। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে, এ ধরনের পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ড আরও সংগঠিতভাবে, বৃহৎ পরিসরে এবং টেকসইভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে।”**

প্রজেক্ট হুইলস অব পিস, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)-এর বিভিন্ন দিক যেমন পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, যুবসম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই ইনিসিয়েটিভ এর মাধ্যমে স্কাউট এবং নন স্কাউট দের সাথে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে । ১৭ টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮ টি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে চলেছে প্রজেক্ট হুইলস অব পিস । প্রকৃতি, পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক, ছেলে ও মেয়েদের বয়:সন্ধিকালের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন, এলাকা ভিত্তিক ভাবে পরিবেশ দূষণরোধে সচেতনতা সৃষ্টি এছাড়া প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে, প্লাস্টিকের পুন:ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী পরিচালনা করে যাচ্ছে । কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট হুইলস অব পিসের সদস্য রুমাইয়া বিনতে রহিম, সাব্বির আহমেদ, নূর মোহাম্মদ, তাসফিয়া সুলতানা সহ আরোও অনেক সদস্যবৃন্দ।

এই কর্মসূচি তাদের চলমান সবুজ উদ্যোগেরই একটি অংশ। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও তারা একই রকম কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চান।

বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আজ সোমবার সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাজেটের যে কাঠামো উপস্থাপন করা হয়েছে, সেখানে বাজেটের আকার সামান্য ছোট করা হয়েছে। পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সেখানেও কিছুটা কাটছাঁট করা হয়েছে। বাজেটের আকার নিয়ে অনেকদিন ধরে আলোচনা হয়েছে, সেটার অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমাদের যে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, অর্থাৎ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ স্থবিরতা, কর্মসংস্থানে সমস্যা এবং রাজস্ব আহরণের সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বাজেট প্রস্তাব করেছে বলে আমাদের মনে হয়েছে।’

ড. ফাহমিদা বলেন, ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির দিকে তাকালে দেখা যাবে, চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ২ শতাংশ কমানো হয়েছে এবং ১৫টি খাতের মধ্যে ১৪টি খাতেই কমানো হয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য এবং চিন্তার বিষয় হচ্ছে, তিনটি খাত—শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে টাকার অংকে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সেটা আমাদের কাছে উদ্বেগজনক মনে হয়, কারণ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা সব সময় বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলে আসছি এবং কৃষি খাতে, বিশেষত খাদ্য নিরাপত্তার দিকে এখানে বরাদ্দ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘ভৌত অবকাঠামো, বিশেষ করে পরিবহন ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি বরাবরের মতো উপরের দিকে আছে যুক্তিযুক্তভাবে।’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, কর কাঠামোর মধ্যে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ দশমিক ৫ লাখ, অর্থাৎ সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, এটা একটা ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু প্রায় ৩ বছরের মতো সময় ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে, ১০-১১ শতাংশে উঠে গেছে। সেদিক থেকে যে খুব একটা উল্লম্ফন হয়েছে সেটা না। তবে এটাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যারা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত, তাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, সেটাও আমরা ভালো পদক্ষেপ মনে করি।’

‘করের বিভিন্ন স্ল্যাবগুলোতে পরিবর্তন করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যারা নিম্ন মধ্যআয়ের যারা পড়েছেন, কর দেওয়ার ক্ষেত্রে হারটা তাদের মধ্যেই বেশি পড়বে। আবার যারা আয়ের উচ্চ পর্যায়ে রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে অনেক কম পড়বে। এখানে বৈষম্যের চিত্র দেখা যাচ্ছে। অঞ্চলভিত্তিক ন্যূনতম কর ধরা হয়েছে ৫ হাজার টাকা, এখানে আমরা মনে করছি বৈষম্য রয়েছে। কারণ রাজধানী ঢাকা কিংবা অন্য আরেকটি জেলার সবাইকে এক করে দেখানো; সরকারি সেবা সব জায়গায় সবাই কিন্তু সমানভাবে নেয় না। এখানে পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে বলে আমরা মনে করি,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘শুল্ক যৌক্তিকরণ হয়েছে এবং আমদানি শিল্প যৌক্তিকিকরণ করতে গিয়ে হয়তো কিছু কিছু শিল্প চাপে পড়তে পারে। বিশেষ করে যখন মূল্যস্ফীতি বেশি, কস্ট অব ডুইং বিজনেস বেশি। এটাকে শুল্কের যৌক্তিকিকরণ করতেই হবে, কারণ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে যাবে। আস্তে আস্তে ট্যারিফ কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। যে প্রতিঘাত আসবে, সেটা মোকাবিলা করার জন্য কস্ট অব ডুইং বিজনেসের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ী মূল্যে কিংবা সহজ শর্তে ঋণ কিংবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে কস্ট অব ডুইং বিজনেস কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’

প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ই-কমার্সের সুযোগ-সুবিধা এবং ই-কমার্সকে ফরমাল সেক্টরে আনা; এখানে করের আওতায় আনা এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের অধীনে যে ৫ হাজার ৪০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন হয়েছে। আমরা মনে করি, আগেও পিপিপি মডেলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো কিন্তু খুব একটা এগোয় নাই।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিডি।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কালো টাকা সাদার করার সুযোগটা রয়ে গেছে। যদিও এখানে রেট বাড়ানো হয়েছে কিন্তু আমরা আগেও বলেছি, কালো টাকার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান হচ্ছে, এই সুযোগ দিয়ে যারা নৈতিকভাবে প্রতি বছর স্বচ্ছ আয় করে, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার সঙ্গে কর দিয়ে থাকেন, তাদের প্রতি নৈতিক আঘাত। কারণ তাদের আদর্শিকভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। দুটি জিনিস সমান্তরালভাবে চলতে পারে না!’

ফাহমিদা আরও বলেন, ‘আগে করের হারটাও কম রাখা হতো, এখন করের হার বেশি রাখা হয়েছে। তারপরও এটা থেকে খুব একটা আদায় হয় না। যদি এখান থেকে সত্যি আদায় করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে কিন্তু সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া দুএকবার সুযোগ দিয়ে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’ উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় কর রেয়াত কিংবা বিভিন্ন জায়গা থেকে কমানো এবং পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে ১৪০টির মতো কার্যক্রম একসঙ্গে চলতো, সেগুলো কমিয়ে ৯৫টি করা হয়েছে এবং সেখানে অর্থ বরাদ্দ কম করা হয়েছে। খুব কম না কিন্তু বাজেটের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার মতো।’ ‘আমরা বারবার বলেছি, এখানে কতগুলো উপাদান যুক্ত করা হয়, যেগুলো সামাজিক নিরাপত্তা বা সামাজিক সুরক্ষার অধীনে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ এটা একেবারেই অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। সরকারি কর্মচারীদের পেনশন, সেখানে আছে ৩৫ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। কৃষি ভর্তুকি আছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই দুটি মিলিয়ে ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি হয়, সেটা বাদ দিয়ে রয়ে যায় ৬৪ হাজার কোটি টাকার মতো। সেটা অনেকখানি কমে আসে। এগুলো বাদ দিয়ে যে নেট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, সেটাকে দেখাতে হবে। সেটা দেখে তুলনা করা যেতে পারে যে আসলেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কী করা হলো,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বলতে চাই, কিছু কিছু পদক্ষেপ ভালো নেওয়া হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে। কিন্তু সামগ্রিক কাঠামোগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যে একই কাঠামোর মধ্যে এখানে একটু বেশি, ওখানে একটু কম—এ রকম করে নেওয়া হয়েছে। বাজেটের যে দর্শন, এখানে বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যের সঙ্গে যে বাস্তব পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে, সব ক্ষেত্রে সেটা সাযুজ্যপূর্ণ হয়নি।’

ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৬ অপরাহ্ণ
ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (৩ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি আমরা জানিয়েছি। রোজার আগে অথবা যদি কোনো কারণে সম্ভব না হয়, তাহলে যেন এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া হয়। কারণ আবহাওয়ার কারণে মে মাসের পর নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকেও যদি সমতল মাঠ তৈরি হয়, ফেয়ার ইলেকশন যদি সম্ভব হয়, তাহলেও আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু ফেয়ার ইলেকশনের মাঠ তৈরি না হলে এপ্রিলে নির্বাচন হলেও তো কোনো লাভ নেই।’

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রবাসীদের অবশ্যই ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে, এ বিষয়ে আমরা ছাড় দিতে রাজি নই।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। আমরা ইসির কাছে দাবি জানিয়েছি, প্রবাসীরা যেন ভোট দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য। এটা কোনো কঠিন বিষয় নয়। কিন্তু ইসির পক্ষ থেকে আমরা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।’

এর আগে গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরও বলেন, বৈঠকে তারা বলেছেন, জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। আর নির্বাচন হতে পারে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে।

তাহের বলেন, ‘আমরা বলেছি জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। বেশিরভাগ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। সামান্য কিছু বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার শেষ হবে। এরপর একটি জুলাই সনদ হবে। সেখানে আমরা সব দল স্বাক্ষর করব।’