খুঁজুন
                               
বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

পদত্যাগের আলোচনায় ইউনূস কী করবেন, সেদিকে দৃষ্টি দেশবাসীর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
পদত্যাগের আলোচনায় ইউনূস কী করবেন, সেদিকে দৃষ্টি দেশবাসীর

ক্ষোভ ও হতাশা থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে চাইছেন, এমন খবর তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সারাদেশে। এ নিয়ে বিএনপিসহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগ করুন, কোনো দলই সেটা চায় না। তবে দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় চায়।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় তাঁর পদত্যাগের ভাবনার কথা বলেন। জানা যায়, এ সময় তিনি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে নানা প্রতিবন্ধকতার কথা বলেন। প্রায়ই সড়ক আটকে আন্দোলন, সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হওয়া, রাষ্ট্রীয় কাজে নানা পক্ষের অসহযোগিতাসহ দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের ভাবনার কথা জানাজানি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। এর আগের দিন বুধবার ঢাকা সেনানিবাসে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের কিছু বক্তব্য জনসমক্ষে প্রকাশ পায়। তাতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান, তার মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠাসহ জাতীয় নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তব্য ছিল।

এর পরদিনই অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার পদ ছাড়তে চান, এই আলোচনা আসে। এটাকে বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে কৌশলগত ‘হুমকি’ কি না, সেটিও বিবেচনায় নিচ্ছেন বলে দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে। অবশ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা তো ওনার (প্রধান উপদেষ্টা) পদত্যাগ চাই না। আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছি। তিনি কেন সেদিকে যাচ্ছেন না, সেটা আমরা জানি না। এরপরও তিনি যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন, তাহলে জাতি নিশ্চয়ই বিকল্প বেছে নেবে। কারণ, এটা কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয়, রাষ্ট্রীয় ব্যাপার।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি কী ভূমিকা নেয়, রাজনীতি–সচেতন ব্যক্তিরা সে দিকেই দৃষ্টি রাখছেন। তবে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দলের নেতাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা হয়েছে, তাতে সম্ভাব্য সংকট বা অনিশ্চয়তা নিরসনে দলগুলোর মধ্যে একধরনের ঐকমত্য হয়েছে বলে জানা গেছে। সেটি হচ্ছে, তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে পদত্যাগ না করতে অনুরোধ করবেন।

এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বা সরকারের বিভিন্ন কাজে যুক্ত এমন কেউ কেউ এরই মধ্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গেও অনানুষ্ঠানিক কথা বলেছেন। সবার মধ্যে একটা ঐকমত্য হয় যে অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকুন। তবে তাঁকে দ্রুত নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট পথনকশা (রোডম্যাপ) ঘোষণা করতে হবে। এ ছাড়া সরকারের একজন উপদেষ্টাকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিও অনেকে আলোচনায় এনেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে। বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, তাঁরা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চান। এ লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাঁরা পথনকশা চেয়ে আসছেন। নির্বাচনের পথনকশা দিলে অনেক সংকটের সমাধান হয়ে যায়। এ বিষয়ে ব্যাংককে চিকিৎসাধীন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল শুক্রবার রাতে বলেন, ‘আমরা দেশের স্থিতিশীলতা চাই। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। এর জন্য নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়া কি অপরাধ? এখনকার পরিস্থিতিতে আমি বলব, সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক, সবার ধৈর্য ধরা উচিত। বিশেষ করে সরকারের।’

বিএনপি সূত্র থেকে জানা যায়, এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়ে গত মঙ্গলবার তাঁর কার্যালয়ে বার্তা পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কোনো সাড়া না পেয়ে বিএনপি জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ তিন উপদেষ্টার অব্যাহতি চায়। এরপর রাতে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা–সংক্রান্ত খবর ব্যাপকভাবে প্রকাশ পেতে থাকে। প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করতে চান, এ খবর জানাজানির পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চাওয়া হয়। গত রাতে সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বিএনপিকে আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সাক্ষাতের সময় দেওয়া হয়েছে।

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতেই এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানান। জামায়াত নেতা গতকাল বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যান। তবে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাননি; আজ সন্ধ্যা ছয়টায় জামায়াতের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর নায়েব আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের গত রাতে বলেন, ‘আমরা মনে করি, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়াটা অনিবার্য। তিনি যদি পদত্যাগ করেন, তাতে যে শূন্যতা তৈরি হবে, সেটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা একেবারেই অনিশ্চিত। তাই এ ধরনের শূন্যতা সৃষ্টি হোক, কোনো দেশপ্রেমিক নাগরিকের কাম্য হতে পারে না।’

অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও চায় বিভাজন কাটিয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হোক। সে লক্ষ্যে গতকাল এক বিবৃতিতে অবিলম্বে বিচার-সংস্কার-নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিপিবি। দলটির নেতারা গতকাল পল্টনে এক সমাবেশে বলেছেন, ‘সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করুন।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলে দাবিদাওয়া আদায়ের রাজনীতি ও পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ রেজাউল করীম। সম্ভাব্য রাজনৈতিক সংকট ও জটিল পরিস্থিতিতে অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগ নয়; বরং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব পক্ষকে সমঝোতামূলক সমাধানে পৌঁছার আহ্বান জানিয়েছে এবি পার্টি।

ইসলামি দলগুলোতে ঐকমত্য

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের ভাবনা এখনো আগের পর্যায়ে রয়েছে। এ নিয়ে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরাসহ বিভিন্ন মহল চিন্তিত। এর মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা তরুণদের দল এনসিপির নেতারা বৃহস্পতিবার রাতেই অন্যান্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। ওই রাতেই বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একজন নেতার সঙ্গে এনসিপিসহ আরও কয়েকটি দলের নেতাদের অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা হয়।

এ ছাড়া জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ রেজাউল করীমের মধ্যেও ফোনে কথা হয় বলে জানা গেছে। আবার ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী’ পাঁচটি দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সৈয়দ রেজাউল করীম। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, এবি পার্টির মহাসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, সারোয়ার তুষার প্রমুখ।

ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা আছে, তিনি প্রত্যাশাও তৈরি করেছেন। এখন তিনি চাইলেই একটা রাষ্ট্রকে অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখে চলে যেতে পারেন না। এটা ক্ষোভ-অভিমানের জায়গা না। তবে কেউ তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করলে বা চাপ প্রয়োগ করলে সেটা জনগণ দেখবে, রাজনৈতিক দলগুলো দেখবে। এ ছাড়া জামায়াতসহ ইসলামপন্থী দলগুলোর মধ্যেও দ্রুত যোগাযোগ গড়ে ওঠে। তারা মনে করে, অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগ করলে দেশে বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, এই মুহূর্তে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য, চলমান সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ বড় ধরনের সংকটের তৈরি করবে। তিনি বলেন, ‘তাই আমরা যার যার জায়গা থেকে অনুরোধ করছি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত না নেওয়ার। তবে নির্বাচনে স্পষ্ট রোডম্যাপ দেওয়ার জন্য তাঁর প্রতি আহ্বান করব। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোকে বলব, নিজ নিজ জায়গায় অনড় না থাকতে। অন্যথায় দেশ খুব ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

ইউনূসের নেতৃত্বেই সংস্কার ও নির্বাচন চায় এনসিপি

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বেই রাষ্ট্রের সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় এনসিপি। অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের আলোচনা ওঠার পর দলটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছে। এনসিপির নেতাদের ধারণা, প্রধান উপদেষ্টা পদে থাকার জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে যদি বিএনপিসহ বিভিন্ন দল অনুরোধ না করে, তিনি পদত্যাগ করার সম্ভাবনা বেশি। সে ক্ষেত্রে তাঁকে রাখতে বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীসহ বিপুল মানুষ রাস্তায় নেমে আসবেন।

গতকাল এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের চারজন নেতার সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয়। তাঁরা জানান, অধ্যাপক ইউনূস বেশ কিছু কারণে বিরক্ত। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব ও সেনাপ্রধানের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আগ বাড়িয়ে কথা বলা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তিতে প্রতিক্রিয়া, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে বসানোর দাবির আন্দোলন যমুনা পর্যন্ত চলে আসা এবং সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য অন্যতম। এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বেই জুলাই গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে, সেটাই আমরা দেখতে চাই।’

দৃষ্টি আজকের একনেকের বৈঠকে

এদিকে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক রয়েছে আজ। প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এ সভা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারাও থাকেন। এই সভায় অধ্যাপক ইউনূস উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলেন কি না; সেদিকেও রাজনীতিকদের দৃষ্টি রয়েছে। সূত্র : প্রথম আলো।

বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আজ সোমবার সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাজেটের যে কাঠামো উপস্থাপন করা হয়েছে, সেখানে বাজেটের আকার সামান্য ছোট করা হয়েছে। পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সেখানেও কিছুটা কাটছাঁট করা হয়েছে। বাজেটের আকার নিয়ে অনেকদিন ধরে আলোচনা হয়েছে, সেটার অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমাদের যে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, অর্থাৎ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ স্থবিরতা, কর্মসংস্থানে সমস্যা এবং রাজস্ব আহরণের সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বাজেট প্রস্তাব করেছে বলে আমাদের মনে হয়েছে।’

ড. ফাহমিদা বলেন, ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির দিকে তাকালে দেখা যাবে, চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ২ শতাংশ কমানো হয়েছে এবং ১৫টি খাতের মধ্যে ১৪টি খাতেই কমানো হয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য এবং চিন্তার বিষয় হচ্ছে, তিনটি খাত—শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে টাকার অংকে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সেটা আমাদের কাছে উদ্বেগজনক মনে হয়, কারণ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা সব সময় বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলে আসছি এবং কৃষি খাতে, বিশেষত খাদ্য নিরাপত্তার দিকে এখানে বরাদ্দ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘ভৌত অবকাঠামো, বিশেষ করে পরিবহন ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি বরাবরের মতো উপরের দিকে আছে যুক্তিযুক্তভাবে।’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, কর কাঠামোর মধ্যে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ দশমিক ৫ লাখ, অর্থাৎ সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, এটা একটা ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু প্রায় ৩ বছরের মতো সময় ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে, ১০-১১ শতাংশে উঠে গেছে। সেদিক থেকে যে খুব একটা উল্লম্ফন হয়েছে সেটা না। তবে এটাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যারা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত, তাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, সেটাও আমরা ভালো পদক্ষেপ মনে করি।’

‘করের বিভিন্ন স্ল্যাবগুলোতে পরিবর্তন করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যারা নিম্ন মধ্যআয়ের যারা পড়েছেন, কর দেওয়ার ক্ষেত্রে হারটা তাদের মধ্যেই বেশি পড়বে। আবার যারা আয়ের উচ্চ পর্যায়ে রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে অনেক কম পড়বে। এখানে বৈষম্যের চিত্র দেখা যাচ্ছে। অঞ্চলভিত্তিক ন্যূনতম কর ধরা হয়েছে ৫ হাজার টাকা, এখানে আমরা মনে করছি বৈষম্য রয়েছে। কারণ রাজধানী ঢাকা কিংবা অন্য আরেকটি জেলার সবাইকে এক করে দেখানো; সরকারি সেবা সব জায়গায় সবাই কিন্তু সমানভাবে নেয় না। এখানে পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে বলে আমরা মনে করি,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘শুল্ক যৌক্তিকরণ হয়েছে এবং আমদানি শিল্প যৌক্তিকিকরণ করতে গিয়ে হয়তো কিছু কিছু শিল্প চাপে পড়তে পারে। বিশেষ করে যখন মূল্যস্ফীতি বেশি, কস্ট অব ডুইং বিজনেস বেশি। এটাকে শুল্কের যৌক্তিকিকরণ করতেই হবে, কারণ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে যাবে। আস্তে আস্তে ট্যারিফ কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। যে প্রতিঘাত আসবে, সেটা মোকাবিলা করার জন্য কস্ট অব ডুইং বিজনেসের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ী মূল্যে কিংবা সহজ শর্তে ঋণ কিংবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে কস্ট অব ডুইং বিজনেস কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’

প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ই-কমার্সের সুযোগ-সুবিধা এবং ই-কমার্সকে ফরমাল সেক্টরে আনা; এখানে করের আওতায় আনা এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের অধীনে যে ৫ হাজার ৪০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন হয়েছে। আমরা মনে করি, আগেও পিপিপি মডেলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো কিন্তু খুব একটা এগোয় নাই।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিডি।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কালো টাকা সাদার করার সুযোগটা রয়ে গেছে। যদিও এখানে রেট বাড়ানো হয়েছে কিন্তু আমরা আগেও বলেছি, কালো টাকার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান হচ্ছে, এই সুযোগ দিয়ে যারা নৈতিকভাবে প্রতি বছর স্বচ্ছ আয় করে, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার সঙ্গে কর দিয়ে থাকেন, তাদের প্রতি নৈতিক আঘাত। কারণ তাদের আদর্শিকভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। দুটি জিনিস সমান্তরালভাবে চলতে পারে না!’

ফাহমিদা আরও বলেন, ‘আগে করের হারটাও কম রাখা হতো, এখন করের হার বেশি রাখা হয়েছে। তারপরও এটা থেকে খুব একটা আদায় হয় না। যদি এখান থেকে সত্যি আদায় করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে কিন্তু সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া দুএকবার সুযোগ দিয়ে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’ উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় কর রেয়াত কিংবা বিভিন্ন জায়গা থেকে কমানো এবং পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে ১৪০টির মতো কার্যক্রম একসঙ্গে চলতো, সেগুলো কমিয়ে ৯৫টি করা হয়েছে এবং সেখানে অর্থ বরাদ্দ কম করা হয়েছে। খুব কম না কিন্তু বাজেটের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার মতো।’ ‘আমরা বারবার বলেছি, এখানে কতগুলো উপাদান যুক্ত করা হয়, যেগুলো সামাজিক নিরাপত্তা বা সামাজিক সুরক্ষার অধীনে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ এটা একেবারেই অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। সরকারি কর্মচারীদের পেনশন, সেখানে আছে ৩৫ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। কৃষি ভর্তুকি আছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই দুটি মিলিয়ে ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি হয়, সেটা বাদ দিয়ে রয়ে যায় ৬৪ হাজার কোটি টাকার মতো। সেটা অনেকখানি কমে আসে। এগুলো বাদ দিয়ে যে নেট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, সেটাকে দেখাতে হবে। সেটা দেখে তুলনা করা যেতে পারে যে আসলেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কী করা হলো,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বলতে চাই, কিছু কিছু পদক্ষেপ ভালো নেওয়া হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে। কিন্তু সামগ্রিক কাঠামোগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যে একই কাঠামোর মধ্যে এখানে একটু বেশি, ওখানে একটু কম—এ রকম করে নেওয়া হয়েছে। বাজেটের যে দর্শন, এখানে বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যের সঙ্গে যে বাস্তব পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে, সব ক্ষেত্রে সেটা সাযুজ্যপূর্ণ হয়নি।’

ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৬ অপরাহ্ণ
ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (৩ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি আমরা জানিয়েছি। রোজার আগে অথবা যদি কোনো কারণে সম্ভব না হয়, তাহলে যেন এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া হয়। কারণ আবহাওয়ার কারণে মে মাসের পর নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকেও যদি সমতল মাঠ তৈরি হয়, ফেয়ার ইলেকশন যদি সম্ভব হয়, তাহলেও আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু ফেয়ার ইলেকশনের মাঠ তৈরি না হলে এপ্রিলে নির্বাচন হলেও তো কোনো লাভ নেই।’

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রবাসীদের অবশ্যই ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে, এ বিষয়ে আমরা ছাড় দিতে রাজি নই।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। আমরা ইসির কাছে দাবি জানিয়েছি, প্রবাসীরা যেন ভোট দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য। এটা কোনো কঠিন বিষয় নয়। কিন্তু ইসির পক্ষ থেকে আমরা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।’

এর আগে গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরও বলেন, বৈঠকে তারা বলেছেন, জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। আর নির্বাচন হতে পারে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে।

তাহের বলেন, ‘আমরা বলেছি জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। বেশিরভাগ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। সামান্য কিছু বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার শেষ হবে। এরপর একটি জুলাই সনদ হবে। সেখানে আমরা সব দল স্বাক্ষর করব।’

জুলাই সনদ করব, এটাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:৩১ পূর্বাহ্ণ
জুলাই সনদ করব, এটাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‌জুলাই সনদ করব এটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার আজকে প্রথম পর্ব শেষ হলো, দ্বিতীয় পর্ব শুরু হলো। সোমবার (২ জুন) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিতে বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। বিকেল সাড়ে ৪টার পর থেকে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা।  ড. ইউনূস বলেন, আমি সারা দিনে যত মিটিং করি, যত মিটিং করে এসেছি, সবচাইতে আনন্দ পাই যখন এরকম বসার সুযোগ পাই। এখানে সবাই মিলে বাংলাদেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ রচনা করা হচ্ছে। এটা আমাকে শিহরণ জাগায় যে, এরকম কাজে আমি যুক্ত হতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সংস্কার করার জন্য আমার ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমরা বুঝতে পারছিলাম না কোথা থেকে শুরু করব। প্রথমে নানা আলাপের মাধ্যমে ঠিক হলো যে, আমরা কয়েকটি কমিশন করে দেব। তারা ভেতরে গিয়ে প্রকৃত জিনিসটা তৈরি করবে। আমরা কমিশন গঠন করলাম। দ্রুত গতিতে কাজ করার জন্য তাদেরকে ৯০ দিন আমরা সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। আমরা খুব আনন্দিত তারা করতে পেরেছে। কয়েকটা কমিশন বেশি সময় নিয়েছে, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। ‘কমিশন থেকে রিপোর্ট এল। তারপর কথা হলো আমরা ঐকমত্য গঠন করতে চাচ্ছি, এটা কীভাবে হবে? সেখান থেকে একটা আইডিয়া আসল যে আলাদা একটা ঐকমত্য কমিশন দরকার। সেটা ফলপ্রসূ হয়েছে। আলী রীয়াজ সাহেব যখনই আমার সঙ্গে বৈঠক করেন তখনই খুব আনন্দিত হই।’

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার দ্বিতীয় পর্বে কী হবে তা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌অনেকগুলো বিষয় কাছাকাছি এসে গেছে। আরেকটু হলে আমাদের তালিকায় আরেকটি সুপারিশ যুক্ত হবে, সেটা হচ্ছে ঐকমত্যের সুপারিশ। সেই সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি। আমাদের জুলাই সনদের যতগুলো বিষয় আছে তাতে যদি আরও কিছু যুক্ত করতে পারি, দেখতে সুন্দর লাগবে। জাতীয় একটা সনদ হলো, অনেকগুলো বিষয়ে আমরা এক হতে পেরেছি, জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত হতে পারি। আমরা দেশের উন্নতির জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছি।