খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

নারী ও পুরুষ : একে অপরের শক্তি ও সহযোগী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:৩৭ অপরাহ্ণ
নারী ও পুরুষ : একে অপরের শক্তি ও সহযোগী

নারী ও পুরুষের সম্পর্ক মানব সভ্যতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও সূক্ষ্ম দিক। তারা একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি ভারসাম্য বজায় রাখে। সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে এই সম্পর্ক গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা যায়। জীববিজ্ঞানের ভাষায়, নারী ও পুরুষ দুটি ভিন্ন লিঙ্গ হলেও তারা একে অপরের সাথে জীবনের মূল গঠন প্রক্রিয়ায় জড়িত। প্রজনন ব্যবস্থায় তাদের ভূমিকা ভিন্ন হলেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। একটি শিশুর জন্মের জন্য যেমন পুরুষের শুক্রাণু প্রয়োজন, তেমনই নারীর ডিম্বাণু ও গর্ভাধারণের ভূমিকা অপরিহার্য। এভাবে তারা একে অপরকে পরিপূরক হিসেবে কাজ করে, যা মানবজাতির টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য।

নারী-পুরুষের শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য ভিন্ন হলেও এই বৈচিত্র্য তাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করে তোলে। পুরুষের শক্তি ও ধৈর্য সাধারণত শারীরিক কাজে কার্যকর, যেখানে নারীর সহানুভূতি ও পরিচর্যা সম্পর্কিত গুণাবলী পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

নারী ও পুরুষ একসঙ্গে সমাজ গঠন করেছে। প্রাচীন যুগে পুরুষ প্রধানত শিকার ও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করত, আর নারী পরিবারের যত্ন ও খাবার সংগ্রহে মনোনিবেশ করত। যদিও আধুনিক যুগে এই ভূমিকার অনেক পরিবর্তন ঘটেছে, তবুও এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এখনও আমাদের আচরণ ও সামাজিক কাঠামোয় প্রভাব ফেলে। নারী ও পুরুষ উভয়েই সমাজে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে থাকে। একজন পুরুষ যেমন পরিবারের অর্থনৈতিক দায়িত্ব নিতে পারে, তেমনি একজন নারীও কর্মজীবনে অংশগ্রহণ করতে পারে। বর্তমান সমাজে নারী ও পুরুষের সমান অংশগ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, কারণ এটি শুধু তাদের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করে না, বরং সমাজকে আরও উন্নত করে।

বিভিন্ন ধর্মে নারী ও পুরুষকে স্রষ্টার সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ইসলাম ধর্মে নারী ও পুরুষ একে অপরের “লিবাস” (পোশাক) হিসেবে বর্ণিত হয়েছে, যা পরস্পরের পূর্ণতা ও নিরাপত্তার প্রতীক। হিন্দুধর্মে স্ত্রী ও পুরুষকে “অর্ধনারীশ্বর” (শিব ও পার্বতীর মিলিত রূপ) বলে চিত্রিত করা হয়েছে, যা তাদের সমান গুরুত্ব বোঝায়। খ্রিস্টান ধর্মে ঈশ্বর আদম ও হাওয়াকে একে অপরের সহচর হিসেবে সৃষ্টি করেছেন বলে বলা হয়েছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নারী ও পুরুষের সম্পর্ক কেবল শারীরিক বা মানসিক নয়, বরং এটি একটি আধ্যাত্মিক সংযোগ। একে অপরের সহায়তা ছাড়া তাদের পূর্ণতা লাভ সম্ভব নয়। আধুনিক সমাজে নারী ও পুরুষের ভূমিকা আরও বৈচিত্র্যময় হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, এবং পুরুষও ঘরোয়া কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এই পরিবর্তন সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তি তৈরি করছে। তবে, এই পরিবর্তনের ফলে নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে। যেমন, অনেক ক্ষেত্রে কর্মজীবন ও পারিবারিক জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তবুও, নারী ও পুরুষের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে সহায়তা করে। নারী ও পুরুষের মধ্যে মানসিক সংযোগ তাদের সম্পর্কের ভিত্তি। এটি কেবল ভালোবাসা বা রোমান্সের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তাদের মধ্যে শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও সহযোগিতা সম্পর্ককে মজবুত করে। একটি পরিবার গঠন করার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়েরই ভূমিকা অপরিসীম। পুরুষের নেতৃত্ব ও সুরক্ষা এবং নারীর পরিচর্যা ও মানসিক সমর্থন একটি সুস্থ ও সুষ্ঠু পরিবারের জন্য অপরিহার্য।

নারী ও পুরুষের সম্পর্ক যত গভীরই হোক, তাতে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। যেমন, সামাজিক সংস্কার, লিঙ্গবৈষম্য, এবং সমান সুযোগের অভাব। অনেক সমাজে পুরুষদের তুলনায় নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বা সামাজিক স্বীকৃতিতে নারী পিছিয়ে থাকতে পারে। অনেক সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার ও সংস্কার নারী ও পুরুষের সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। অনেক সময় নারী ও পুরুষের মধ্যে সঠিক যোগাযোগের অভাব সম্পর্কের দূরত্ব তৈরি করে।

নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন শিক্ষা, সচেতনতা, এবং সামাজিক ন্যায়বিচার। সমাজে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠার জন্য নারীর ক্ষমতায়ন ও পুরুষের মানসিকতার পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। নারী ও পুরুষ যদি একে অপরকে সমান সম্মান দেয় এবং সহযোগিতার মনোভাব বজায় রাখে, তবে সমাজ আরও প্রগতিশীল ও শক্তিশালী হবে। নারী ও পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। তাদের সম্পর্ক কেবল শারীরিক বা মানসিক নয়, বরং তা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, এবং আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্কের মাধ্যমে মানবজাতি একদিকে যেমন টিকে আছে, তেমনি সমাজ, সংস্কৃতি, এবং সভ্যতার অগ্রগতিও নিশ্চিত হচ্ছে। তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার মাধ্যমেই একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধিশালী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

পুরুষের শারীরিক চাহিদা পূরণ হলেই তার মানসিক শান্তি ফিরে আসে। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। একজন নারী মানসিক শান্তি পেলে তবেই শারীরিক চাহিদার কথা ভাবে। নারী ও পুরুষের চাহিদার এই ভিন্নতার কারণেই তাদের সম্পর্ক আরও জটিল এবং গভীর। পুরুষের সমস্ত ডিপ্রেশন এবং ক্লান্তি দূর হয় সঙ্গীর সাথে শারীরিক সংযোগে। যদি আপনি আপনার পুরুষ সঙ্গীকে খুশি করতে চান, তবে তার সাথে অবশ্যই শারীরিক Attachment থাকা প্রয়োজন, এবং তা মন থেকে হতে হবে। নারীরা, বিপরীতে, মানসিক Attachment-এ বেশি গুরুত্ব দেয়। যদি তার মন ভালো থাকে, তাহলে সে স্বাভাবিকভাবেই শারীরিক সংযোগে আগ্রহী হয়। কিন্তু যদি তার মানসিক অবস্থা ভালো না থাকে, তাহলে সে কোনো কিছুতেই সাড়া দেয় না। নারীর মনই তার আসল শক্তি। একজন নারী চাইলে একজন পুরুষের জীবনকে নতুন করে সাজাতে পারে। আবার সেই নারী চাইলে একজন পুরুষের জীবনকে পুরোপুরি নষ্টও করে দিতে পারে। একজন নারী চাইলেই একজন পুরুষকে সম্মানের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। আবার চাইলে তাকে অসম্মানের তলানিতে নামিয়ে আনতে পারে।

নারী চাইলে একজন পুরুষকে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ করতে পারে। আবার চাইলে তাকে নিঃস্ব করে দিতে পারে।
নারী চাইলে একটি সুন্দর পরিবার এবং সুখী সংসার গড়ে তুলতে পারে। আবার চাইলে সেই সংসারকে ধ্বংস করে দিতে পারে। নারী একজন পুরুষকে পরিবার, সমাজ, এবং নিজের প্রতি আবদ্ধ রাখতে পারে। আবার চাইলে সে পুরুষকে একা করে, পরিবারহীন করে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে।
নারী তার শিক্ষা, শক্তি, মায়া, ভালোবাসা এবং মমতার মাধ্যমে পুরো পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
নারী চাইলে একজন পুরুষকে শত খারাপ অভ্যাস থেকে মুক্ত করে ভালো মানুষে পরিণত করতে পারে। আবার ভালো মানুষকে নষ্ট করতেও সক্ষম। নারী, তোমার প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস। তুমি তোমার সৌন্দর্য, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার শক্তি দিয়ে তোমার সংসার, পরিবার এবং সমাজকে সুন্দর করে তুলবে।

তোমার প্রেম হোক তোমার সংসার,
তোমার ভালোবাসা হোক তোমার স্বামী,
আর তোমার মায়ার বাঁধন হোক তোমার সন্তান।

নারী, তুমি চাইলেই অনেক কিছু করতে পারো। তুমি পারো, পুরো পৃথিবী বদলে দিতে। জীবনের পরিপূরক দুই অঙ্গ। নারী ও পুরুষ মানবজীবনের দুটি অপরিহার্য উপাদান। এদের মধ্যে সম্পর্ক শুধু শারীরিক বা মানসিক নয়, বরং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, এবং আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রেও গভীর প্রভাব বিস্তার করে। তারা একে অপরকে পরিপূরক হিসেবে সহযোগিতা করে মানবসভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করেছে। নারী ও পুরুষ একে অপরের উপর নির্ভরশীল। জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিতে তারা প্রজনন প্রক্রিয়ায় সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুরুষের শক্তি ও উদ্যম এবং নারীর পরিচর্যা ও সহানুভূতি মানবজাতির টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য।

প্রাচীনকাল থেকে সমাজে নারী ও পুরুষ ভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছে। পুরুষ প্রধানত বাহ্যিক কাজ এবং নিরাপত্তা প্রদান করত, আর নারী পরিবার ও সমাজের অন্তর্গত কাজগুলোর ভার বহন করত। আধুনিক যুগে এই দায়িত্ব পালনের ধরন পরিবর্তিত হয়েছে। এখন নারীরা কর্মক্ষেত্রে পুরুষের সমান অবদান রাখছে, আর পুরুষরা পারিবারিক দায়িত্ব ভাগ করে নিচ্ছে।

প্রত্যেক ধর্ম নারী ও পুরুষের সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, নারী ও পুরুষ একে অপরের পোশাকস্বরূপ, যা তাদের পারস্পরিক সুরক্ষা ও সম্মানের প্রতীক। অন্যদিকে, হিন্দু ধর্মে স্ত্রী ও পুরুষকে “অর্ধনারীশ্বর” রূপে চিত্রিত করা হয়েছে, যা তাদের সমানতা ও একতার প্রতীক। সমাজে এখনও নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা অর্জন একটি চ্যালেঞ্জ। লিঙ্গবৈষম্য, কর্মক্ষেত্রে নারীর সুযোগের অভাব, এবং সামাজিক কুসংস্কার এই সমতা প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করে। তবে শিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। নারী ও পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। তাদের সম্পর্কের মধ্যে সমতা, সম্মান, এবং সহযোগিতা থাকলে একটি সমাজ উন্নত ও স্থিতিশীল হয়। তাই তাদের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে মানবজীবনের সব দিককে আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে

চাঁদপুরে “হুইলস অব পিস”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে “হুইলস অব পিস”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

মিশন গ্রিন বাংলাদেশ-এর সহায়তায়, এসডিজি ভিত্তিক পিস প্রজেক্টের পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ । বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর জেলা স্কাউটস ভবনের সামনের প্রাঙ্গণে আয়োজিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। আয়োজনটি করেছে “প্রজেক্ট হুইলস অব পিস”, যা একটি এসডিজি (SDG) ভিত্তিক স্কাউট পিস প্রজেক্ট।

এই উদ্যোগে সহায়তা করে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, এবং সহযোগিতা করে মেঘনাপাড় ওপেন স্কাউট গ্রুপ। সারাদেশে ৬৪ জেলায় ৫ জুন একসাথে বৃক্ষরোপণের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ৪০ জন তরুণ স্বেচ্ছাসেবক সক্রিয়ভাবে অংশ নেন, যারা শুধু গাছ লাগিয়ে দায়িত্ব শেষ করেননি, বরং পরিবেশ সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে মাঠে-ময়দানে কাজ করেছেন।

পরিবেশ দূষণ ও প্লাস্টিকের অপব্যবহার প্রতিরোধে আয়োজনস্থল এবং আশেপাশের এলাকায় সচেতনতামূলক পোস্টার লাগানো হয়। এছাড়াও স্থানীয় বাজার ও জনবহুল স্থানে লিফলেট বিতরণ করে সাধারণ মানুষের মাঝে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়—”সবুজ পৃথিবী, নিরাপদ ভবিষ্যৎ”।

বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে ফলজ গাছ যেমন আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, জামসহ স্থানীয় প্রজাতির চারা রোপণ করা হয়। এসব গাছ একদিকে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করবে, অন্যদিকে স্থানীয় মানুষের উপকারে আসবে।

উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট হুইলস অব পিস এর প্রতিষ্ঠাতা ওমর তামীম সাফি। তিনি বলেন:
**”পরিবেশ রক্ষা আমাদের দায়িত্ব নয়, বরং এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। একটি গাছ মানে শুধু ছায়া বা ফল নয়—এটি জীবনের ধারক। আজকের এই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমরা শপথ করছি, সবুজের জন্য কাজ করব—শুধু শহরে নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সচেতনতার আলো ছড়িয়ে দেব।

এই কর্মসূচি সফল করতে যারা পাশে ছিলেন, বিশেষ করে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, মেঘনাপাড় মুক্ত স্কাউট গ্রুপ এর সদস্যবৃন্দ। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে, এ ধরনের পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ড আরও সংগঠিতভাবে, বৃহৎ পরিসরে এবং টেকসইভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে।”**

প্রজেক্ট হুইলস অব পিস, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)-এর বিভিন্ন দিক যেমন পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, যুবসম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই ইনিসিয়েটিভ এর মাধ্যমে স্কাউট এবং নন স্কাউট দের সাথে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে । ১৭ টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮ টি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে চলেছে প্রজেক্ট হুইলস অব পিস । প্রকৃতি, পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক, ছেলে ও মেয়েদের বয়:সন্ধিকালের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন, এলাকা ভিত্তিক ভাবে পরিবেশ দূষণরোধে সচেতনতা সৃষ্টি এছাড়া প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে, প্লাস্টিকের পুন:ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী পরিচালনা করে যাচ্ছে । কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট হুইলস অব পিসের সদস্য রুমাইয়া বিনতে রহিম, সাব্বির আহমেদ, নূর মোহাম্মদ, তাসফিয়া সুলতানা সহ আরোও অনেক সদস্যবৃন্দ।

এই কর্মসূচি তাদের চলমান সবুজ উদ্যোগেরই একটি অংশ। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও তারা একই রকম কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চান।

বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আজ সোমবার সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাজেটের যে কাঠামো উপস্থাপন করা হয়েছে, সেখানে বাজেটের আকার সামান্য ছোট করা হয়েছে। পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সেখানেও কিছুটা কাটছাঁট করা হয়েছে। বাজেটের আকার নিয়ে অনেকদিন ধরে আলোচনা হয়েছে, সেটার অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমাদের যে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, অর্থাৎ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ স্থবিরতা, কর্মসংস্থানে সমস্যা এবং রাজস্ব আহরণের সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বাজেট প্রস্তাব করেছে বলে আমাদের মনে হয়েছে।’

ড. ফাহমিদা বলেন, ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির দিকে তাকালে দেখা যাবে, চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ২ শতাংশ কমানো হয়েছে এবং ১৫টি খাতের মধ্যে ১৪টি খাতেই কমানো হয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য এবং চিন্তার বিষয় হচ্ছে, তিনটি খাত—শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে টাকার অংকে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সেটা আমাদের কাছে উদ্বেগজনক মনে হয়, কারণ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা সব সময় বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলে আসছি এবং কৃষি খাতে, বিশেষত খাদ্য নিরাপত্তার দিকে এখানে বরাদ্দ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘ভৌত অবকাঠামো, বিশেষ করে পরিবহন ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি বরাবরের মতো উপরের দিকে আছে যুক্তিযুক্তভাবে।’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, কর কাঠামোর মধ্যে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ দশমিক ৫ লাখ, অর্থাৎ সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, এটা একটা ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু প্রায় ৩ বছরের মতো সময় ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে, ১০-১১ শতাংশে উঠে গেছে। সেদিক থেকে যে খুব একটা উল্লম্ফন হয়েছে সেটা না। তবে এটাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যারা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত, তাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, সেটাও আমরা ভালো পদক্ষেপ মনে করি।’

‘করের বিভিন্ন স্ল্যাবগুলোতে পরিবর্তন করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যারা নিম্ন মধ্যআয়ের যারা পড়েছেন, কর দেওয়ার ক্ষেত্রে হারটা তাদের মধ্যেই বেশি পড়বে। আবার যারা আয়ের উচ্চ পর্যায়ে রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে অনেক কম পড়বে। এখানে বৈষম্যের চিত্র দেখা যাচ্ছে। অঞ্চলভিত্তিক ন্যূনতম কর ধরা হয়েছে ৫ হাজার টাকা, এখানে আমরা মনে করছি বৈষম্য রয়েছে। কারণ রাজধানী ঢাকা কিংবা অন্য আরেকটি জেলার সবাইকে এক করে দেখানো; সরকারি সেবা সব জায়গায় সবাই কিন্তু সমানভাবে নেয় না। এখানে পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে বলে আমরা মনে করি,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘শুল্ক যৌক্তিকরণ হয়েছে এবং আমদানি শিল্প যৌক্তিকিকরণ করতে গিয়ে হয়তো কিছু কিছু শিল্প চাপে পড়তে পারে। বিশেষ করে যখন মূল্যস্ফীতি বেশি, কস্ট অব ডুইং বিজনেস বেশি। এটাকে শুল্কের যৌক্তিকিকরণ করতেই হবে, কারণ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে যাবে। আস্তে আস্তে ট্যারিফ কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। যে প্রতিঘাত আসবে, সেটা মোকাবিলা করার জন্য কস্ট অব ডুইং বিজনেসের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ী মূল্যে কিংবা সহজ শর্তে ঋণ কিংবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে কস্ট অব ডুইং বিজনেস কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’

প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ই-কমার্সের সুযোগ-সুবিধা এবং ই-কমার্সকে ফরমাল সেক্টরে আনা; এখানে করের আওতায় আনা এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের অধীনে যে ৫ হাজার ৪০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন হয়েছে। আমরা মনে করি, আগেও পিপিপি মডেলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো কিন্তু খুব একটা এগোয় নাই।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিডি।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কালো টাকা সাদার করার সুযোগটা রয়ে গেছে। যদিও এখানে রেট বাড়ানো হয়েছে কিন্তু আমরা আগেও বলেছি, কালো টাকার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান হচ্ছে, এই সুযোগ দিয়ে যারা নৈতিকভাবে প্রতি বছর স্বচ্ছ আয় করে, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার সঙ্গে কর দিয়ে থাকেন, তাদের প্রতি নৈতিক আঘাত। কারণ তাদের আদর্শিকভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। দুটি জিনিস সমান্তরালভাবে চলতে পারে না!’

ফাহমিদা আরও বলেন, ‘আগে করের হারটাও কম রাখা হতো, এখন করের হার বেশি রাখা হয়েছে। তারপরও এটা থেকে খুব একটা আদায় হয় না। যদি এখান থেকে সত্যি আদায় করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে কিন্তু সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া দুএকবার সুযোগ দিয়ে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’ উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় কর রেয়াত কিংবা বিভিন্ন জায়গা থেকে কমানো এবং পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে ১৪০টির মতো কার্যক্রম একসঙ্গে চলতো, সেগুলো কমিয়ে ৯৫টি করা হয়েছে এবং সেখানে অর্থ বরাদ্দ কম করা হয়েছে। খুব কম না কিন্তু বাজেটের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার মতো।’ ‘আমরা বারবার বলেছি, এখানে কতগুলো উপাদান যুক্ত করা হয়, যেগুলো সামাজিক নিরাপত্তা বা সামাজিক সুরক্ষার অধীনে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ এটা একেবারেই অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। সরকারি কর্মচারীদের পেনশন, সেখানে আছে ৩৫ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। কৃষি ভর্তুকি আছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই দুটি মিলিয়ে ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি হয়, সেটা বাদ দিয়ে রয়ে যায় ৬৪ হাজার কোটি টাকার মতো। সেটা অনেকখানি কমে আসে। এগুলো বাদ দিয়ে যে নেট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, সেটাকে দেখাতে হবে। সেটা দেখে তুলনা করা যেতে পারে যে আসলেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কী করা হলো,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বলতে চাই, কিছু কিছু পদক্ষেপ ভালো নেওয়া হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে। কিন্তু সামগ্রিক কাঠামোগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যে একই কাঠামোর মধ্যে এখানে একটু বেশি, ওখানে একটু কম—এ রকম করে নেওয়া হয়েছে। বাজেটের যে দর্শন, এখানে বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যের সঙ্গে যে বাস্তব পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে, সব ক্ষেত্রে সেটা সাযুজ্যপূর্ণ হয়নি।’

ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৬ অপরাহ্ণ
ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (৩ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি আমরা জানিয়েছি। রোজার আগে অথবা যদি কোনো কারণে সম্ভব না হয়, তাহলে যেন এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া হয়। কারণ আবহাওয়ার কারণে মে মাসের পর নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকেও যদি সমতল মাঠ তৈরি হয়, ফেয়ার ইলেকশন যদি সম্ভব হয়, তাহলেও আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু ফেয়ার ইলেকশনের মাঠ তৈরি না হলে এপ্রিলে নির্বাচন হলেও তো কোনো লাভ নেই।’

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রবাসীদের অবশ্যই ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে, এ বিষয়ে আমরা ছাড় দিতে রাজি নই।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। আমরা ইসির কাছে দাবি জানিয়েছি, প্রবাসীরা যেন ভোট দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য। এটা কোনো কঠিন বিষয় নয়। কিন্তু ইসির পক্ষ থেকে আমরা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।’

এর আগে গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরও বলেন, বৈঠকে তারা বলেছেন, জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। আর নির্বাচন হতে পারে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে।

তাহের বলেন, ‘আমরা বলেছি জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। বেশিরভাগ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। সামান্য কিছু বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার শেষ হবে। এরপর একটি জুলাই সনদ হবে। সেখানে আমরা সব দল স্বাক্ষর করব।’