খুঁজুন
                               
বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ১ শ্রাবণ, ১৪৩২

বছরের প্রথম প্রান্তিকে বাড়ল ১১৪ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ১২:৩০ অপরাহ্ণ
বছরের প্রথম প্রান্তিকে বাড়ল ১১৪ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিদেশি বিনিয়োগে ১১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময়ে দেশে নিট ৮৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। যা আগের ৩ মাসের চেয়ে ৭৬ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি। এছাড়াও এই প্রবৃদ্ধি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিনিয়োগ হিসেবে চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে মোট তহবিল এসেছে ১৫৭ কোটি ৬১ লাখ ডলার। অন্যদিকে ৭১ কোটি ১৫ লাখ ডলার মুনাফা, আন্তঃকোম্পানি ঋণ পরিশোধসহ নানা উপায়ে বাইরে গেছে। এই হিসাবে ৮৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার নিট বিনিয়োগ এসেছে।

এর আগে গত বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে ৪০ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের নিট বিনিয়োগ এসেছিল। আর আগের প্রান্তিকে গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এসেছিল ৪৯ কোটি ডলার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিদেশি বিনিয়োগ গতিশীল করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে জমিসহ বিভিন্ন সেবা নেয়া সহজ করা হয়েছে। এসব কারণে বিনিয়োগ বাড়তে পারে। তবে আওয়ামী সরকারের পতনের পর নানা ক্ষেত্রে যদি অনিশ্চয়তা না থাকত, তবে বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পেত বলেও মনে করেন তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদেশি ঋণ কিছুটা বেড়েছে। সবমিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ কিছুটা বেড়ে মার্চ শেষে ১০৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৪৭৬ কোটি ডলারে উঠেছে। প্রতি ডলার ১২২ টাকা দরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা।

গত ডিসেম্বর শেষে বিদেশি ঋণ ছিল ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ডলার। তারও আগে গত বছরের জুন শেষে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৩৪১ কোটি ডলার।

এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো বিদেশি ঋণ ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিগত সরকারের সময়ে নেয়া ঋণের বড় অংশই ছিল উচ্চ সুদের বাণিজ্যিক ঋণ। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বাণিজ্যিক ঋণ কমিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বেশি ঋণ নিচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাকের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশি ঋণের মধ্যে গত মার্চ পর্যন্ত সরকারি খাতে রয়েছে ৮ হাজার ৪৮৯ কোটি ডলার। গত ডিসেম্বর শেষে এর পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৪৩১ কোটি ডলার। আর গত বছরের জুনে সরকারি খাতে ৮ হাজার ২৮১ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ ছিল।

অন্যদিকে গত মার্চ শেষে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৮৭ কোটি ডলারে। গত ডিসেম্বরে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৪২ কোটি ডলার। আর গত বছরের জুন শেষে বেসরকারি খাতে ঋণের স্থিতি ছিল ২০ হাজার ৬০ কোটি ডলার।

গত জুনের শেষ সপ্তাহে আইএমএফের ঋণের দুই কিস্তির ১৩৪ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে কম সুদে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা, এআইআইবিসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকেও ঋণ এসেছে। যার পরিমাণ ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি। অন্যদিকে রেমিট্যান্সে সুবাতাসের ফলে সবমিলিয়ে দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে গত জুন শেষে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। আর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুসারে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে। যা সবশেষ ২৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের সময় দেশে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সবশেষ চলতি সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধের পর গ্রস রিজার্ভ নেমেছে ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। বিপিএম৬ অনুযায়ী যার পরিমাণ ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার।

খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে ১১ মাসে ২৬ কোটি টাকার প্রতারণা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে ১১ মাসে ২৬ কোটি টাকার প্রতারণা

খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে ১১ মাসে ২৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে প্রতারক মোতাল্লেছ হোসেন। বিএফআইইউ জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে ‘আমি খালেদা জিয়া বলছি’- এমন কণ্ঠে ফোন করে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেন মোতাল্লেছ।
বিষয়টি সামনে আসে, যখন সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখায় গত ৫ নভেম্বর থেকে ৩ মাসের ব্যবধানে মোতাল্লেছ হোসেন নামে জমা হয়, ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। হঠাৎ এত টাকা জমা হওয়ায় তার তথ্য চায় ব্যাংকটি। এরপরই তার আর্থিক লেনদেন নিয়ে অনুসন্ধানে নামে বিএফআইইউ। এরপরেই জব্দ করা হয়, মোতাল্লেছ ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৯ টি ব্যাংক হিসাব। অনুসন্ধান শেষে ৭টি একাউন্টে ২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সন্ধান পায় বিএফআইইউ। এর মধ্যে নভেম্বর থেকে পরবর্তী তিন মাসে জমা হয় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। তবে মোতাল্লেছের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আয়কর রিটার্নের তথ্য বলছে, তার মাত্র ৩৪ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে।
বিএফআইইউ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, রাজনৈতিক পরিচিতি ভাঙিয়ে খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে অর্থ চেয়েছেন মোতাল্লেছ। যার ফলে সরল বিশ্বাসে অনেকেই টাকা পাঠিয়েছেন তার অ্যাকাউন্টে। এ ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। বিষয়টি প্রতারণা উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী আসিফ হোসেন বলেন, “এটি স্পষ্ট প্রতারণা হলেও এখন পর্যন্ত কেউ কোনো মামলা করেনি।”
এদিকে, মোতাল্লেছের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নমিনী হিসেবে আছেন তার ভাই, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাইয়ুমুজ্জামান। তিনি বর্তমানে নৌ পুলিশে কর্মরত।

নীতি সুদহার কমালো বাংলাদেশ ব্যাংক: আজ থেকে কার্যকর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ
নীতি সুদহার কমালো বাংলাদেশ ব্যাংক: আজ থেকে কার্যকর

মুদ্রানীতির কাঠামো আরো কার্যকর করতে নীতি সুদের হার কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার জারি করা এক সার্কুলারে জানানো হয়েছে, স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) হার ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এই হার আজ থেকে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে কার্যক্রমে গতি আনা এবং সুদের হার কাঠামোর সুষ্ঠু পরিচালনার উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুদ্রানীতির করিডোর ব্যবস্থার আওতায় সুদের নিম্নসীমা কমিয়ে আনা হচ্ছে, যাতে ব্যাংকগুলোর তারল্য ব্যবস্থাপনা সহজ হয় এবং বাজারে সুদের হার বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।
সার্কুলারে আরো বলা হয়েছে, সুদের ঊর্ধ্বসীমা বা স্ট্যান্ডিং লাইন ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) হার ১১ দশমিক ৫০ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে। একইভাবে, ওভারনাইট রিপো হারও ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাষ্য মতে, সুদের হার কমানোর মাধ্যমে ব্যাংক ব্যবস্থার মধ্যে স্বল্পমেয়াদি অর্থের প্রবাহ আরো সক্রিয় হবে এবং আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকগুলোর মুনাফার চাপ কিছুটা কমবে এবং তারল্য ব্যবস্থাপনা সহজ হবে, যা অর্থনীতির সামগ্রিক গতিপ্রবাহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ২২ অক্টোবর নীতি সুদের হার সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ সার্কুলার জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকালে নতুন সিদ্ধান্ত সেই আগের সার্কুলারের ধারাবাহিকতায় হলেও এতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে এসডিএফ হারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, নতুন এই সুদের হার কাঠামো দেশের অর্থনৈতিক নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মুদ্রানীতির বাস্তবায়নকে আরো ফলপ্রসূ করবে। এই সিদ্ধান্তে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরো দক্ষতার সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি তহবিল ব্যবস্থাপনা করতে পারবে বলেও মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

১১৪ বছর বয়সে থেমে গেল জীবনের দৌড়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ
১১৪ বছর বয়সে থেমে গেল জীবনের দৌড়

এক শতক পেরিয়েছেন, তারপরও থামেননি। বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ দৌড়বিদ হিসেবে দৌড়েছেন শতায়ুর পরও। সেই অনন্য অনুপ্রেরণার নাম ফৌজা সিং। এবার ১১৪ বছর বয়সে থেমে গেল তার জীবনের দৌড়। সোমবার ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধর-পাঠানকোট মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। স্থানীয় সময় বিকেলে গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। মাথায় আঘাত পান। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ রাখা হয়েছে জলন্ধরের একটি মর্গে। প্রবাসে থাকা সন্তানেরা দেশে ফিরলে হবে শেষকৃত্য।

দীর্ঘ জীবনজুড়ে শুধু দৌড়েই নয়, সমাজের নানা কর্মকাণ্ডে ছিলেন সচেতন মুখ। তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন পাঞ্জাবের রাজ্যপাল গুলাব চাঁদ কাটারিয়া। শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘ফৌজা সিংজির প্রয়াণে আমরা একজন অসাধারণ মানুষকে হারালাম। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নেশামুক্ত পাঞ্জাব অভিযানে তার সঙ্গে হাঁটার অভিজ্ঞতা আমার জন্য আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

১৯১১ সালের ১ এপ্রিল, পাঞ্জাবের জলন্ধরের বেয়াস গ্রামে জন্ম ফৌজা সিংয়ের। জীবনের মধ্যভাগে স্ত্রী ও সন্তান হারানোর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। জীবনের অর্থ খুঁজতে গিয়ে ৮৯ বছর বয়সে শুরু করেন দৌড়। ২০০০ সালে লন্ডন ম্যারাথনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক দৌড়ে পা রাখেন তিনি। এরপর লন্ডন, নিউইয়র্ক, টরন্টোসহ নয়টি আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন। ২০০৩ সালের টরন্টো ম্যারাথনে ৫ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ৪ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন, যা ছিল তার দীর্ঘতম সময়ের দৌড়।

কেবল ক্রীড়াবিদ হিসেবে নয়, ফৌজা সিং ছিলেন বিশ্বব্যাপী মানবিক মূল্যবোধের প্রতীক। ২০০৪ সালের এথেন্স ও ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে অলিম্পিক মশাল বহনের সম্মান পান। ডেভিড বেকহ্যাম ও কিংবদন্তি মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপনেও অংশ নিয়েছেন এই প্রবীণ দৌড়বিদ।