খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ
কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল কচুয়া সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপি ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে বদরপুর এলাকায় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন ও তার স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সভাপতি নাজমুন নাহার বেবী পৌঁছালে আওয়ামী লীগের ৪০-৫০ জন যুবক তাদের গাড়ি ও অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল ভাঙচুর করে এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে এবং আসামিরা অস্ত্র, পিস্তল, রিভলবার ও শর্টগান দিয়ে আক্রমণ করে ২৭ জনকে জখম করে। এ ঘটনায় উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের গোবিদপুর গ্রামের জিনাত আলীর ছেলে মতিউর রহমান বাদী হয়ে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও সাবেক এমপি ড. সলিম মাহমুদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব আলম ও সাবেক মো. নাজমুল আলম স্বপনসহ ৮৯ জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত ৫শ জনকে বিবাদী করা হয়। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার খ্যাত শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় মামলা দায়ের করেন বলে এজহারে উল্লেখ করেন বাদী।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে একাধিক মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে আমরা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত অফিসারদের চিঠি দিয়েছিলাম। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালে শাহজালাল বিমানবন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের থানা থেকে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মাকে ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, ছেলের যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ৯:২২ পূর্বাহ্ণ
মাকে ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, ছেলের যাবজ্জীবন

চাঁদপুরে মাদকের টাকা না দেওয়ায় মাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে শরীফ বেপারী (৩২) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৪ মে) বিকেলে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহার। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি কুহিনুর বেগম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হত্যার শিকার ওই নারী (মা) চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে কলোনী এলাকায় আরব আলী বেপারী স্ত্রী জায়েদা বেগম (৪৫)। আসামি শরীফ বেপারী (৩২) তাদের বড় ছেলে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, শরীফ বেপারী প্রতিনিয়ত মাদক সেবনের কারণে তার মা জায়েদা বেগমের সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত। তাকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করানোর পরিবারের পক্ষে চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই সন্ধ্যায় শরীফ বেপারী তার মায়ের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বসত ঘরের দরজা বন্ধ করে তার মাকে ইট ও দা দিয়ে বেদম মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তার মাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জায়েদা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ শরীফ বেপারীকে আটক করেন। এ ঘটনায় আরব আলী বেপারী বাদী হয়ে ওই বছরের ১২ জুলাই চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, শরীফ তার মাকে হত্যার পূর্বে মাদক সেবনের দায়ে আদালতে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও ছিল। ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাসেদুজ্জামান আদালতে শরীফকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ মামলার রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি কুহিনুর বেগম জানান, এই মামলায় ১৬ জন সাক্ষি সাক্ষ্য প্রদান করেন। সাক্ষিদের সাক্ষ্যপ্রদান শেষেই আদালত আসামির বিরুদ্ধে এ রায় দেন।

ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ
ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। চলতি মাসের শুরুতে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর মিরাজ ২০০০ ফাইটার জেটটি ভূপাতিত করে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পাকিস্তান অবশ্য আগেই ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছিল। আর এবার আরেকটি ফাইটার জেট ভূপাতিত করা কথা জানানোর পর ভূপাতিত ভারতীয় যুদ্ধবিমানের সংখ্যা দাঁড়াল ৬টিতে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে)রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নিশ্চিত করেছেন যে— পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ) কাশ্মিরের পামপুর এলাকায় গত ৬-৭ মে রাতে ভারতের আরেকটি যুদ্ধবিমান — মিরাজ ২০০০ — ভূপাতিত করেছে। এ নিয়ে মোট ছয়টি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার দাবি করল পাকিস্তান।

বৃহস্পতিবার কামরায় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি অপারেশনাল ঘাঁটি পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “এই ঘটনা আমাদের বিমান বাহিনীর অসাধারণ দক্ষতা এবং মাতৃভূমি রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর অটল প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।”

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বিবৃতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ এদিন পাইলট, প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদসহ সামনের সারির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের পেশাদারিত্ব ও নিখুঁত দক্ষতার গভীর প্রশংসা করেন।

পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সংযম দেখিয়েছে, কৌশলগত দূরদর্শিতা দেখিয়েছে এবং কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তাদের নিখুঁত ও দ্রুত জবাব শত্রুর সামরিক অবকাঠামোয় বড় ধাক্কা দিয়েছে এবং প্রমাণ করেছে যে— দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাকিস্তান কখনো পিছপা হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “সামরিক বাহিনীর প্রতিটি শাখা যেভাবে সচেতনতা ও সাহসিকতা দেখিয়েছে, তাতে পুরো জাতি গর্বিত। সেনাপ্রধানের যোগ্য নেতৃত্বে তারা আবারও প্রমাণ করেছে যে— পাকিস্তানের নিরাপত্তা দুর্ভেদ্য।”

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “পাকিস্তান সরকার ও জাতি—উভয়েই জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষায় আমাদের বাহিনী প্রস্তুত এবং কোনও আগ্রাসন ঘটলে তার উপযুক্ত, সময়োপযোগী এবং কঠোর জবাব দেওয়া হবে।”

চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী নির্বাচন বানচাল ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরে লেখকদের মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ৩:৩৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী নির্বাচন বানচাল ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরে লেখকদের মানববন্ধন

চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী নির্বাচনকে বানচাল, অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে চাঁদপুর জেলার সর্বস্তরে লেখক সমাজ।  বৃহস্পতিবার (১৫ মে ২০২৫) বেলা ১২টায় শহরের জোড় পুকুরপাড়স্থ চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কবি ও প্রাবন্ধিক আবদুল্লাহিল কাফী, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির সাবেক নির্বাহী সদস্য প্রবীণ লেখক এবং চাঁদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব আনোয়ার বাবলু, সাহিত্য একাডেমীর এডহক কমিটির সদস্য, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং কবি গল্পকার ও প্রাবন্ধিক কাদের পলাশ, চাঁদপুর সাহিত্য মঞ্চের সাবেক সভাপতি কবি ও অনুবাদক মাইনুল ইসলাম মানিক, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী সাধারণ সদস্য কবি ও গল্পকার নুরুন্নাহার মুন্নি, সাহিত্য একাডেমীর নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য কবি ও সম্পাদক ম. নূরের আলম পাটোয়ার‌, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর সাধারণ সদস্য এবং জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কবি আশরাফুজ্জামান কাজী রাসেল, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর সাবেক অডহক কমিটির সদস্য এবং চাঁদপুর সাহিত্য মঞ্চের সভাপতি কবি আশিক বিন রহিম, সাহিত্য একাডেমীর সাধারণ সদস্য কবি ও গীতিকার কবির হোসেন মিজি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সদস্য মুখলেসুর রহমান ভূঁইয়া, সুমন কুমার দত্ত, পলাশ দে, আতিকুর রহমান রুবেল, আরিফুল ইসলাম শান্ত, এএম সাদ্দাম হোসেন, লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী নূরে আলম, লেখক ও সাংবাদিক বিল্লাল ঢালী, এইচএম নিজাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন পর চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর সাধারণ সভা হতে যাচ্ছে.। এই সভায় সাধারণ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে সাহিত্য একাডেমীর নিয়মিত কমিটি গঠন করা হবে। সাহিত্য একাডেমি নির্বাচনকে ঘিরে চাঁদপুর লেখকদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। অথচ দুই একজন ব্যক্তি চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার করছে। তারা জেলা প্রশাসনের এই সুন্দর প্রয়াসকে বানচাল করতে উঠে পড়ে লেগেছে।

বক্তারা আরো বলেন, মূলত তাদের ক্ষোভ হলো সাহিত্য একাডেমী সদস্য হতে না পারা। গত এক বছর পূর্বে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্থানীয় সকল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাহিত্য একাডেমীর সদস্য আহবান করা হয়। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে এক লেখক অপর লেখকের সাথে যোগাযোগ করেন। ‌পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন সুদীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাথমিক সদস্য থেকে যাচাই-বাছাই করে প্রাথমিক সদস্য পরে সাধারণ সদস্য করেন। পাশাপাশি যারা অলেখক তাদেরকে সদস্য থেকে বাতিল করেন।
পরবর্তীতে সাহিত্য একাডেমীর ইতিহাস এই প্রথমবারের মতো সাধারণ সভার আহবান করে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্মিত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেন জেলা প্রশাসন। এখন যারা সাহিত্য একাডেমির নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা কেউ তখন সদস্য হওয়ার জন্য আগ্রহ দেখায়নি। এখন নির্বাচনের উৎসব দেখে গাত্রদাহ থেকে তারা মূলত এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।

মানববন্ধন থেকে লেখকরা দীর্ঘদিন পর সাহিত্য একাডেমী সাধারণ সভা এবং নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের আয়োজন করায় জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানান।