খুঁজুন
                               
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

কসবা প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটি বিলুপ্ত করে আহবায়ক কমিটি গঠন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৮:৪৩ অপরাহ্ণ
কসবা প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটি বিলুপ্ত করে আহবায়ক কমিটি গঠন

ঐতিহ্যবাহী কসবা প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে তিন সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রকৌশলী মোঃ আবদুল বাকের সরকারকে এবং সদস্য হিসেবে রয়েছে  মোঃ আবদুল হান্নান (সাবেক সভাপতি), অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদ।

উল্লেখ্য, ক্লাবের জরুরি সভা অনিবার্য কারণবশতঃ কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের পরিবর্তে গত (৩ মে, ২০২৫) বিকেলে পাক্ষিক সকালের সূর্য পত্রিকা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রেসক্লাবের কিছু সদস্যের সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ড, সদস্যদের মধ্যে দলাদলি, নিজেদের বিভিন্ন স্থানে সভাপতি, সাধারণ স¤পাদক পরিচয় দিয়ে সংগঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন মর্মে আলোচনা হয়। সংগঠনের সভাপতি এ সমস্ত বিষয়ে ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির জন্য গত ২৮ এপ্রিল সাধারণ সদস্য ও কার্যকরি সদস্যদের যৌথসভা আহ্বান করেন। এতে ওই সকল সদস্যগণ উপস্থিত না হয়ে অন্যান্য সদস্যদেরকেও সভায় উপস্থিত না হওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালান। এতে সংগঠনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্বঘোষিত সভাপতি ও সাধারণ স¤পাদক সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে নানা রকম অবান্তর ও অসত্য বিষয় উপস্থাপন করে প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছেন।
ফলে প্রেসক্লাব সভাপতি সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি কসবা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ১৮, ধারা-২৯ উপধারার ক/(রা) এর ক্ষমতা বলে কার্যকরি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট অন্তবর্তীকালীন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। বর্ণিত ধারা অনুযায়ী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ সোলেমান খান, আহ্বায়ক, জয়নগর লিয়াকত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও কসবা প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি জনাব মোঃ আবদুল হান্নান এবং কসবা তফজ্জল আলী কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে সদস্য করা হয়। আহ্বায়ক অন্তবর্তীকালীন কমিটির মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে পরবর্তী কার্যকরি পরিষদ গঠন করবেন। আহ্বায়কের অনুপস্থিতিতে কসবা প্রেসক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করবেন, সাবেক সভাপতি জনাব আবদুল হান্নান। অন্যান্য সদস্যগণ সাধারণ সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
কিন্তু অকস্মাৎ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্মারক নং কপ্রেক/৫(২৪)২০২৫ এর  মর্মানুযায়ী ঐতিহ্যবাহী কসবা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির এক সভা ৬ মে ২০২৫ খ্রি: সকাল ১০টায় মোঃ সোলেমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কসবা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির সকল সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় আহবায়ক শারীরিক ও পারিবারিক সমস্যার কারণে প্রেসক্লাবের আহবায়কের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন এবং প্রকৌশলী মোঃ আবদুল বাকের সরকারকে কো-অপ্ট করে আহবায়ক নির্বাচন করা হয়। আহবায়ক কমিটির সকল সদস্যগণ সম্মতি প্রদান করেন।

সাম্য হত্যা : ছাত্রদলের বিক্ষোভ, ঢাবি ভিসির পদত্যাগ দাবি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ
সাম্য হত্যা : ছাত্রদলের বিক্ষোভ, ঢাবি ভিসির পদত্যাগ দাবি

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) থেকে তাৎক্ষণিক মিছিল বের করেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে ভিসির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ঢাবি ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস। এ সময় ‘দফা এক দাবি এক, ভিসির পদত্যাগ’, আমার ভাইয়ের লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।

মিছিলে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হন। সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা এলাকায়।

গাজায় হাসপাতালেও হামলা চালাল ইসরায়েল, একরাতে নিহত ৮১

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ
গাজায় হাসপাতালেও হামলা চালাল ইসরায়েল, একরাতে নিহত ৮১

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দক্ষিণ গাজায় হাসপাতালে চালানো হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জন। আর উত্তর গাজায় হামলায় মধ্যরাতের পর থেকে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫১ জন। মূলত হাসপাতালে হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই উত্তর গাজায় ওই হামলা চালায় ইসরায়েল। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা তীব্রতর করেছে এবং মধ্যরাত থেকে কমপক্ষে ৫১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে চিকিৎসকরা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৫ জন উত্তর গাজায় নিহত হয়েছেন। আল জাজিরা বলছে, দক্ষিণ গাজার ইউরোপীয় এবং নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৩০ জনকে হত্যা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই সর্বশেষ হামলাগুলো শুরু হয়েছে। হাসপাতালে হওয়া ওই হামলায় নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসা নিতে আসা একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

এদিকে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৫২ হাজার ৯০৮ জনে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৯ হাজার ৭২১ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭৮০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও প্রায় ৭ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের অধিকাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল।

আবার লম্বা ছুটির কবলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ
আবার লম্বা ছুটির কবলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ১ জুন শুরু হচ্ছে ১৯ দিনের ছুটি। কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ। অভিভাবকরা বলছেন, দীর্ঘ ছুটিতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। বিকল্প উপায়ে পড়তে পারে না, এমন শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।

শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন পাঠ্যবই হাতে না পাওয়ায় শিক্ষাবর্ষের প্রথম দুই মাস গেছে পড়াশোনা ছাড়া। তৃতীয় মাস (২ মার্চ শুরু) থেকে রোজাসহ ৪০ দিনের ছুটি ছিল। খোলার পর দু’দিন ক্লাস পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। এরপর শুরু হয় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা; যা এখনও চলছে। আসছে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর আবার শুরু হবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বেশির ভাগ বড় ছুটি পড়ে গেছে বছরের প্রথমার্ধে। এতে তারা সিলেবাস শেষ করা নিয়ে গলদঘর্ম হচ্ছেন। কারণ ‌‌‌‘অ্যাকটিভ ক্লাসরুম টাইম’ পাওয়া তাদের জন্য দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

অভিভাবকরা বলছেন, বিদ্যালয় খোলা না থাকলে সন্তান শুয়েবসে সময় কাটায়। পড়াশোনায় মনোযোগ থাকে না। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সন্তানদের কোচিং সেন্টার বা শিক্ষকের কাছে ব্যাচে পড়ান। এতে শিক্ষাব্যয় বাড়ে। আবার গ্রামের অভিভাবকদের সামর্থ্য না থাকায় সন্তানরা খেলাধুলা করে ছুটি কাটায়। ফলে তারা জ্ঞান অর্জনে পিছিয়ে পড়ছে।

গত বছর জুলাই আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বেশ কিছুদিন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়। আগস্টজুড়েই বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অচলাবস্থা বিরাজ করে। সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে ক্লাস শুরু হয়।

শিক্ষকরা জানান, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক। তবে চাকরি হারানো শিক্ষকদের স্থলে নতুন নিয়োগ হয়নি। এতে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাডেমিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে। পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষক জোটের আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম তালুকদার সমকালকে বলেন, গত ৫ আগস্টের পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত বহু খ্যাতনামা অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের অপমান, অপদস্ত, হেনস্তা ও মারধর করে জোরপূর্বক পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি, কর্মস্থলে প্রবেশে বাধাসহ অনেকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের হিসাবে এ সংখ্যা তিন সহস্রাধিক। তারা পদবঞ্চিত হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। এই হয়রানি ও বিপর্যয়কর অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

দেখা যায়, পাবলিক পরীক্ষার কারণেও অস্বাভাবিক ক্লাস বন্ধের সমস্যা রাজধানীর বড় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এই বন্ধ আবার ছুটি হিসেবে ধরা হয় না। সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ছুটির তালিকায় এসএসসি পরীক্ষার সময় ক্লাস বন্ধের কথা নেই। এ বছরের তালিকায় ৭৬ দিন ছুটি রয়েছে। বাস্তবে ছুটি আরও বেশি।

সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর খ্যাতনামা ও বড় প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাবলিক পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোতে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষার সময় ক্লাস বন্ধ থাকছে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফেরদাউস বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার সময় আমাদের শাখা ক্যাম্পাসগুলোতে ক্লাস নেওয়া হয়। মূল ক্যাম্পাসে পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে ক্লাস নেওয়া হয়।’

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম বলেন, লম্বা ছুটিতে নির্দিষ্ট সিলেবাস শেষ করা চ্যালেঞ্জের। আমরা চেষ্টা করি, ছাত্রীদের যেন ক্ষতি না হয়। তারা যেন সিলেবাস শেষ করতে পারে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানান, যেদিন এসএসসি পরীক্ষা থাকবে না, সেদিন ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলবে ১ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত। সরকারি-বেসরকারি কলেজে এই ছুটি চলবে ৩ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ছুটি চলবে।

এদিকে আগামী ১৭ ও ২৪ মে (দুই শনিবার) স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। ওই দুই দিন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস খোলা রাখার নির্দেশনাও রয়েছে।

দীর্ঘ ছুটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। রাজধানীর একটি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মুনিরাতুল হক অর্থি জানায়, ছুটি আমাদের ভালো লাগে। তবে দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকলে ভালো লাগে না। কারণ এতে একদিকে পড়াশোনার অপূরণীয় ক্ষতি হয়; আবার লম্বা ছুটির কারণে অনেক পড়া জমে যায়।
মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল আলম আসিফের মন্তব্য হলো, স্কুল খোলা থাকলে ভালো। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়। নইলে বাসায় টিভি দেখে, মোবাইল ফোনে গেমস খেলে বিরক্তিকর সময় কাটে।

গত ফেব্রুয়ারিতে ‘শিক্ষার হালচাল ও আগামীর ভাবনা’ শীর্ষক এক পরামর্শ সভায় গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৪ মাসের চিত্র তুলে ধরা হয়। তিনি জানান, মোট ৪২৭ দিন। খোলা ছিল ১৪৮ দিন। বন্ধ ছিল ২৭৯ দিন।

এ বিষয়ে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে, নিয়মিত ক্লাস হলেও যেখানে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না, সেখানে লম্বা সময় বন্ধ থাকলে পরিস্থিতি কি দাঁড়ায় তা সহজে অনুমেয়। ব্যাপক শিখন ঘাটতি তৈরি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এ ঘাটতি পূরণে সরকারের মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজাদ খান বলেন, শিক্ষাপঞ্জি অনুসরণ করে সিলেবাস সাজানো হয়। অস্বাভাবিক ছুটির কারণে কোনো শিখন ঘাটতি তৈরি হলে প্রয়োজনে ছুটির দিনে বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করে হলেও তা মেটানো হবে।