খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫, ৪ শ্রাবণ, ১৪৩২

চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী নির্বাচন বানচাল ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরে লেখকদের মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ৩:৩৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী নির্বাচন বানচাল ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরে লেখকদের মানববন্ধন

চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী নির্বাচনকে বানচাল, অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে চাঁদপুর জেলার সর্বস্তরে লেখক সমাজ।  বৃহস্পতিবার (১৫ মে ২০২৫) বেলা ১২টায় শহরের জোড় পুকুরপাড়স্থ চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কবি ও প্রাবন্ধিক আবদুল্লাহিল কাফী, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির সাবেক নির্বাহী সদস্য প্রবীণ লেখক এবং চাঁদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব আনোয়ার বাবলু, সাহিত্য একাডেমীর এডহক কমিটির সদস্য, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং কবি গল্পকার ও প্রাবন্ধিক কাদের পলাশ, চাঁদপুর সাহিত্য মঞ্চের সাবেক সভাপতি কবি ও অনুবাদক মাইনুল ইসলাম মানিক, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী সাধারণ সদস্য কবি ও গল্পকার নুরুন্নাহার মুন্নি, সাহিত্য একাডেমীর নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য কবি ও সম্পাদক ম. নূরের আলম পাটোয়ার‌, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর সাধারণ সদস্য এবং জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কবি আশরাফুজ্জামান কাজী রাসেল, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর সাবেক অডহক কমিটির সদস্য এবং চাঁদপুর সাহিত্য মঞ্চের সভাপতি কবি আশিক বিন রহিম, সাহিত্য একাডেমীর সাধারণ সদস্য কবি ও গীতিকার কবির হোসেন মিজি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সদস্য মুখলেসুর রহমান ভূঁইয়া, সুমন কুমার দত্ত, পলাশ দে, আতিকুর রহমান রুবেল, আরিফুল ইসলাম শান্ত, এএম সাদ্দাম হোসেন, লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী নূরে আলম, লেখক ও সাংবাদিক বিল্লাল ঢালী, এইচএম নিজাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন পর চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর সাধারণ সভা হতে যাচ্ছে.। এই সভায় সাধারণ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে সাহিত্য একাডেমীর নিয়মিত কমিটি গঠন করা হবে। সাহিত্য একাডেমি নির্বাচনকে ঘিরে চাঁদপুর লেখকদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। অথচ দুই একজন ব্যক্তি চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার করছে। তারা জেলা প্রশাসনের এই সুন্দর প্রয়াসকে বানচাল করতে উঠে পড়ে লেগেছে।

বক্তারা আরো বলেন, মূলত তাদের ক্ষোভ হলো সাহিত্য একাডেমী সদস্য হতে না পারা। গত এক বছর পূর্বে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্থানীয় সকল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাহিত্য একাডেমীর সদস্য আহবান করা হয়। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে এক লেখক অপর লেখকের সাথে যোগাযোগ করেন। ‌পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন সুদীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাথমিক সদস্য থেকে যাচাই-বাছাই করে প্রাথমিক সদস্য পরে সাধারণ সদস্য করেন। পাশাপাশি যারা অলেখক তাদেরকে সদস্য থেকে বাতিল করেন।
পরবর্তীতে সাহিত্য একাডেমীর ইতিহাস এই প্রথমবারের মতো সাধারণ সভার আহবান করে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্মিত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেন জেলা প্রশাসন। এখন যারা সাহিত্য একাডেমির নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা কেউ তখন সদস্য হওয়ার জন্য আগ্রহ দেখায়নি। এখন নির্বাচনের উৎসব দেখে গাত্রদাহ থেকে তারা মূলত এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।

মানববন্ধন থেকে লেখকরা দীর্ঘদিন পর সাহিত্য একাডেমী সাধারণ সভা এবং নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের আয়োজন করায় জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানান।

আজ সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ
আজ সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় আজ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ফরিদপুরসহ সারা দেশের এনসিপির পূর্বঘোষিত পদযাত্রা অব্যাহত থাকবে। শুধুমাত্র মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে বৃহস্পতিবারের যে কর্মসূচি ছিল সেটি স্থগিত করে পরবর্তীতে তারিখ ঘোষণা করা হবে। বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সারা দেশে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এনসিপির এটি ছিল পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি। সেই লক্ষ্যে প্রশাসনকে জানিয়ে এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার কথা জেনেই গোপালগঞ্জ সফরে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করেছে। গোপালগঞ্জে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে আওয়ামী লীগের বাইরেও যে অন্য কোনো দল কর্মসূচি করতে পারে সেটি এনসিপি প্রমাণ করে দিয়েছে।
সমাবেশের আগে ও পরে দফায় দফায় হামলার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ হামলা পূর্ব পরিকল্পিত সেটি প্রমাণিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও সতর্ক থাকতে পারতো উল্লেখ করে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেভাবে সহায়তা দিয়েছে সেজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোপালগঞ্জের হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান নাহিদ ইসলাম। উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনা এসে পৌঁছান।

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ২

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ২

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা–সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। হাসপাতাল ও পরিবার সূত্র এ কথা জানিয়েছে। নিহত দুজন হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫) ও কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮)। আজ বুধবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, বিকেলে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁরা গুলিবিদ্ধ ছিলেন।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে নিহত দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। অপরজনের মৃত্যুর বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হাসপাতালের একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই ব্যক্তির লাশ স্বজনেরা নিয়ে গেছেন। হাসপাতালের কর্মকর্তা জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, আরও ৯ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের অস্ত্রোপচার চলছে।
মৃত্যুর তথ্য জানতে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি। তথ্য জানতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ কামরুজ্জামান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবিরকে কল দিলে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি। নিহত দীপ্ত সাহার চাচা বলেন, দীপ্ত দুপুরের খাবার খেয়ে তাঁর দোকানে যাচ্ছিলেন। শহরের চৌরঙ্গীতে তাঁর পেটে গুলি লাগে।
নিহত রমজান কাজীর বাবা কামরুল কাজী বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলছে। আমার ছেলে তো কোনো দোষ করেনি। আমি আমার সন্তানকে কোথায় পাব?’ এর আগে গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশ শেষে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, এনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে নেতা-কর্মীদের ঘিরে হামলা চালান। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্যদিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। হামলার ঘটনার পর এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন। এ সময় পুলিশ-সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। তাদের (এনসিপি) বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তাঁরা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন, পরিস্থিতি ঠিক নেই।

গোপালগঞ্জ কারফিউয়ে থমথমে, আটক ১৪

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
গোপালগঞ্জ কারফিউয়ে থমথমে, আটক ১৪

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় কারফিউ জারি করে প্রশাসন। কারফিউয়ের মধ্যে যৌথ বাহিনী বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করেছে। তাদের গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান।
এদিকে চলমান কারফিউয়ে জেলায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। গতকাল রাত থেকে সীমিত আকারে রিকশা চলাচল করলেও অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি, বন্ধ ছিল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হয়নি। রাতে শহরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এখনো পর্যন্ত রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারে মানুষের আনাগোনা নেই বললেও চলে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কারফিউয়ের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। নেই টহলও। তবে জেলা কারাগারের সামনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।