খুঁজুন
                               
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর ভোটার তালিকা প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৬:৫৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর ভোটার তালিকা প্রকাশ

১৭ মার্চ চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দীন স্বাক্ষরিত ১২০ সদস্যের একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, গঠনতন্ত্র উপ-পরিষদ সদস্য, আজীবন সদস্য, নির্বাহী পরিষদের সদস্য, সাধারণ সদস্যের সমন্বিত তালিকা (খসড়া ভোটার তালিকা) সাহিত্য একাডেমী, চাঁদপুর-এর গঠনতন্ত্র ১৪-এর ‘ক’ ধারা মোতাবেক প্রকাশ করা হলো।
তালিকায় ১৯৮৬ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে সদস্য হওয়াদের নাম রয়েছে। ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তারা হলেন।
১. জনাব এস এম শামসুল আলম, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, প্রথম সভাপতি ও আজীবন সদস্য
২. জনাব কাজী শাহাদাত, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, আজীবন সদস্য, সাবেক প্রধান সম্পাদক ও মহাপরিচালক
৩. অধ্যাপক রুহুল আমিন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
৪. জনাব আবদুল্লাহিল কাফী, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
৫. জনাব আ ত ম আ. মতিন মোল্লা, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
৬. কাজী নজরুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
৭. অধ্যাপক ইসমাইল তপাদার, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
৮. জনাব মোহাম্মদ হোসেন খান, প্রতিষ্ঠাকালীন গঠনতন্ত্র উপ-পরিষদ সদস্য
৯. জনাব জীবন কানাই চক্রবর্তী, প্রতিষ্ঠাকালীন গঠনতন্ত্র উপ-পরিষদ সদস্য, সাবেক সহ-সভাপতি
১০. জনাব শ্যামাপদ ঘোষ ভুলু, প্রতিষ্ঠাকালীন গঠনতন্ত্র উপ-পরিষদ সদস্য
১১. জনাব এম এ মাসুদ ভূঁইয়া, প্রতিষ্ঠাকালীন গঠনতন্ত্র উপ-পরিষদ সদস্য ও সাবেক পরিচালক, নির্বাহী পরিষদ
১২. জনাব রণজিত কুমার বণিক, প্রতিষ্ঠাকালীন গঠনতন্ত্র উপ-পরিষদ সদস্য
১৩. জনাব অজয় কুমার ভৌমিক, সাবেক পরিচালক, নির্বাহী পরিষদ
১৪. জনাব মাহবুব আনোয়ার বাবলু, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
১৫. জনাব মোরশেদা খানম বেবী, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
১৬. জনাব জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
১৭. জনাব সুভাষ চন্দ্র রায়, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
১৮. জনাব ফজলুল হক সরকার, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
১৯. জনাব ইকবাল বিন বাশার, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২০. জনাব গোলাম কিবরিয়া জীবন, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২১. জনাব জালাল চৌধুরী, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২২. জনাব ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাবেক পরিচালক, নির্বাহী পরিষদ
২৩. জনাব সামীম আহমেদ খান, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২৪. জনাব শহীদ পাটওয়ারী সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২৫. জনাব ইফতেখারুল আলম মাসুম সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২৬. ডা. পীযূষ কান্তি বড়ুয়া সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২৭. জনাব এস এম জয়নাল আবেদীন সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২৮. জনাব মির্জা জাকির সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২৯. জনাব ম. নূরে আলম পাটওয়ারী সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
৩০. জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩১. জনাব শেখ মহিউদ্দিন রাসেল, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩২. জনাব মুহাম্মদ শেখ সাদী (সাদী শাশ^ত), সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩৩. জনাব আশিক বিন রহিম, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩৪. জনাব দুখাই মুহাম্মদ, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩৫. জনাব মুহাঃ আবু বকর বিন ফারুক, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩৬. জনাব খান মোঃ মনিরুজ্জামান উজ্জল, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩৭. জনাব মিজানুর রহমান রানা, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩৮. জনাব শ্যামল চন্দ্র দাস, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩৯. জনাব লিটন ভূঁইয়া, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪০. জনাব এ এফ এম ফতেউল বারী রাজা, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪১. জনাব ডাঃ মোঃ আহসান উল্যাহ, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪২. বিএম ওমর ফারুক, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪৩. জনাব অভিজিৎ আচার্যী, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪৪. জনাব খান-ই-আজম, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪৫. জনাব দুলাল চন্দ্র দাস, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪৬. জনাব জহির উদ্দিন বাবর, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪৭. জনাব তপন সরকার, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪৮. জনাব মোঃ হারুন অর রশীদ, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪৯. জনাব মোঃ রফিক আহমেদ মিন্টু, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৫০. জনাব গিয়াসউদ্দিন মিলন সাধারণ সদস্য (২০১২)
৫১. জনাব সোহেল রুশদী সাধারণ সদস্য (২০১২)
৫২. জনাব ইকবাল পারভেজ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৫৩. জনাব শাহাদাত হোসেন শান্ত, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৫৪. জনাব জসীম মেহেদী, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৫৫. জনাব নুরুন্নাহার মুন্নি, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৫৬. জনাব সৌম্য সালেক, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৫৭. জনাব স্বপন ভঞ্জ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৫৮. জনাব মোঃ সাইদুজ্জামান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৫৯. জনাব শরীফ মাহমুদ চিশ্তী, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬০. জনাব সুমন কুমার দত্ত, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬১. জনাব আবদুল গণি, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬২. জনাব মাইনুল ইসলাম মানিক, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬৩. জনাব মোঃ কবির হোসেন মিজি, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬৪. জনাব এইচ এম জাকির, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬৫. জনাব মুক্তা পীযূষ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬৬. জনাব মনিরা আক্তার, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬৭. জনাব শাহমুব জুয়েল, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬৮. জনাব খোকন চন্দ্র মজুমদার, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬৯. জনাব জাহিদ নয়ন, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭০. জনাব মাহমুদ হাসান খান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭১. জনাব সঞ্জয় দেওয়ান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭২. জনাব আরিফ রাসেল, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭৩. জনাব মোখলেছুর রহমান ভূঁইয়া, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭৪. জনাব পলাশ কুমার দে, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭৫. জনাব আবু ইউসুফ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭৬. মনিরুজ্জামান বাবলু, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭৭. জনাব আরিফুল ইসলাম শান্ত, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭৮. জনাব ফারজানা মুন্নি, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭৯. জনাব বিথী নন্দী, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮০. জনাব মোঃ শাহাদাত হোসেন (সৌরভ সালেকীন), সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮১. জনাব মোঃ আরিফ বিল্লাহ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮২. জনাব মোঃ কামরুজ্জামান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮৩. জনাব শিউলি মজুমদার, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮৪. জনাব মুহাম্মদ সালাউদ্দীন, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮৫. জনাব আসাদুল্লাহ কাহাফ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮৬. জনাব কাজী সাইফ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮৭. জনাব উজ্জ্বল হোসাইন, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮৮. জনাব বাঁধন চন্দ্র শীল, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮৯. জনাব হুসাইন মিলন, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯০. জনাব তাশফীয়া কাফী, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯১. জনাব খোরশেদ আলম বিপ্লব, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯২. জনাব জাহিদ হাসান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯৩. দেওয়ান মাসুদ রহমান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯৪. জনাব আশরাফুজ্জামান কাজী রাসেল, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯৫. জনাব এম. আর. ইসলাম বাবু, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯৬. জনাব মানিক দাস, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯৭. জনাব আলমগীর হোসেন আঁচল, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯৮. জনাব হাজেরা বেগম, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯৯. জনাব রাজিব কুমার দাস, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০০. জনাব কাদের পলাশ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০১. জনাব মোঃ আউয়াল হোসেন পাটওয়ারী, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০২. জনাব মুহাম্মদ হানিফ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০৩. জনাব ইমরান শাকির ইমরু, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০৪. জনাব শাদমান শরীফ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০৫. জনাব মোঃ ইয়াছিন দেওয়ান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০৬. জনাব সাদ আল-আমিন, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০৭. জনাব রিয়াজ বেপারী, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০৮. জনাব ইমরান নাহিদ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০৯. জনাব মুহাম্মদ ফরিদ হাসান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১০. জনাব মোঃ তাফাজ্জল ইসলাম, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১১. জনাব মাইনুল তোহা, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১২. জনাব সাদিয়া হোসেন মাধুরী, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১৩. জনাব সুধীর বরণ মাঝি, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১৪. জনাব সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১৫. জনাব নূরুল ইসলাম ফরহাদ (অমৃত ফরহাদ), সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১৬. জনাব মোহাম্মদ হাসান খান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১৭. জনাব আহনাফ আব্দুল কাদির, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১৮. জনাব মোঃ আতিকুর রহমান রুবেল, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১৯. জনাব মোঃ জিহাদ সরকার, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১২০. জনাব রেজাউল করিম, সাধারণ সদস্য (২০২৪)

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে

চাঁদপুরে “হুইলস অব পিস”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে “হুইলস অব পিস”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

মিশন গ্রিন বাংলাদেশ-এর সহায়তায়, এসডিজি ভিত্তিক পিস প্রজেক্টের পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ । বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর জেলা স্কাউটস ভবনের সামনের প্রাঙ্গণে আয়োজিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। আয়োজনটি করেছে “প্রজেক্ট হুইলস অব পিস”, যা একটি এসডিজি (SDG) ভিত্তিক স্কাউট পিস প্রজেক্ট।

এই উদ্যোগে সহায়তা করে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, এবং সহযোগিতা করে মেঘনাপাড় ওপেন স্কাউট গ্রুপ। সারাদেশে ৬৪ জেলায় ৫ জুন একসাথে বৃক্ষরোপণের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ৪০ জন তরুণ স্বেচ্ছাসেবক সক্রিয়ভাবে অংশ নেন, যারা শুধু গাছ লাগিয়ে দায়িত্ব শেষ করেননি, বরং পরিবেশ সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে মাঠে-ময়দানে কাজ করেছেন।

পরিবেশ দূষণ ও প্লাস্টিকের অপব্যবহার প্রতিরোধে আয়োজনস্থল এবং আশেপাশের এলাকায় সচেতনতামূলক পোস্টার লাগানো হয়। এছাড়াও স্থানীয় বাজার ও জনবহুল স্থানে লিফলেট বিতরণ করে সাধারণ মানুষের মাঝে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়—”সবুজ পৃথিবী, নিরাপদ ভবিষ্যৎ”।

বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে ফলজ গাছ যেমন আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, জামসহ স্থানীয় প্রজাতির চারা রোপণ করা হয়। এসব গাছ একদিকে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করবে, অন্যদিকে স্থানীয় মানুষের উপকারে আসবে।

উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট হুইলস অব পিস এর প্রতিষ্ঠাতা ওমর তামীম সাফি। তিনি বলেন:
**”পরিবেশ রক্ষা আমাদের দায়িত্ব নয়, বরং এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। একটি গাছ মানে শুধু ছায়া বা ফল নয়—এটি জীবনের ধারক। আজকের এই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমরা শপথ করছি, সবুজের জন্য কাজ করব—শুধু শহরে নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সচেতনতার আলো ছড়িয়ে দেব।

এই কর্মসূচি সফল করতে যারা পাশে ছিলেন, বিশেষ করে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, মেঘনাপাড় মুক্ত স্কাউট গ্রুপ এর সদস্যবৃন্দ। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে, এ ধরনের পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ড আরও সংগঠিতভাবে, বৃহৎ পরিসরে এবং টেকসইভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে।”**

প্রজেক্ট হুইলস অব পিস, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)-এর বিভিন্ন দিক যেমন পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, যুবসম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই ইনিসিয়েটিভ এর মাধ্যমে স্কাউট এবং নন স্কাউট দের সাথে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে । ১৭ টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮ টি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে চলেছে প্রজেক্ট হুইলস অব পিস । প্রকৃতি, পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক, ছেলে ও মেয়েদের বয়:সন্ধিকালের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন, এলাকা ভিত্তিক ভাবে পরিবেশ দূষণরোধে সচেতনতা সৃষ্টি এছাড়া প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে, প্লাস্টিকের পুন:ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী পরিচালনা করে যাচ্ছে । কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট হুইলস অব পিসের সদস্য রুমাইয়া বিনতে রহিম, সাব্বির আহমেদ, নূর মোহাম্মদ, তাসফিয়া সুলতানা সহ আরোও অনেক সদস্যবৃন্দ।

এই কর্মসূচি তাদের চলমান সবুজ উদ্যোগেরই একটি অংশ। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও তারা একই রকম কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চান।

বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আজ সোমবার সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাজেটের যে কাঠামো উপস্থাপন করা হয়েছে, সেখানে বাজেটের আকার সামান্য ছোট করা হয়েছে। পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সেখানেও কিছুটা কাটছাঁট করা হয়েছে। বাজেটের আকার নিয়ে অনেকদিন ধরে আলোচনা হয়েছে, সেটার অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমাদের যে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, অর্থাৎ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ স্থবিরতা, কর্মসংস্থানে সমস্যা এবং রাজস্ব আহরণের সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বাজেট প্রস্তাব করেছে বলে আমাদের মনে হয়েছে।’

ড. ফাহমিদা বলেন, ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির দিকে তাকালে দেখা যাবে, চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ২ শতাংশ কমানো হয়েছে এবং ১৫টি খাতের মধ্যে ১৪টি খাতেই কমানো হয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য এবং চিন্তার বিষয় হচ্ছে, তিনটি খাত—শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে টাকার অংকে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সেটা আমাদের কাছে উদ্বেগজনক মনে হয়, কারণ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা সব সময় বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলে আসছি এবং কৃষি খাতে, বিশেষত খাদ্য নিরাপত্তার দিকে এখানে বরাদ্দ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘ভৌত অবকাঠামো, বিশেষ করে পরিবহন ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি বরাবরের মতো উপরের দিকে আছে যুক্তিযুক্তভাবে।’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, কর কাঠামোর মধ্যে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ দশমিক ৫ লাখ, অর্থাৎ সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, এটা একটা ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু প্রায় ৩ বছরের মতো সময় ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে, ১০-১১ শতাংশে উঠে গেছে। সেদিক থেকে যে খুব একটা উল্লম্ফন হয়েছে সেটা না। তবে এটাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যারা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত, তাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, সেটাও আমরা ভালো পদক্ষেপ মনে করি।’

‘করের বিভিন্ন স্ল্যাবগুলোতে পরিবর্তন করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যারা নিম্ন মধ্যআয়ের যারা পড়েছেন, কর দেওয়ার ক্ষেত্রে হারটা তাদের মধ্যেই বেশি পড়বে। আবার যারা আয়ের উচ্চ পর্যায়ে রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে অনেক কম পড়বে। এখানে বৈষম্যের চিত্র দেখা যাচ্ছে। অঞ্চলভিত্তিক ন্যূনতম কর ধরা হয়েছে ৫ হাজার টাকা, এখানে আমরা মনে করছি বৈষম্য রয়েছে। কারণ রাজধানী ঢাকা কিংবা অন্য আরেকটি জেলার সবাইকে এক করে দেখানো; সরকারি সেবা সব জায়গায় সবাই কিন্তু সমানভাবে নেয় না। এখানে পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে বলে আমরা মনে করি,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘শুল্ক যৌক্তিকরণ হয়েছে এবং আমদানি শিল্প যৌক্তিকিকরণ করতে গিয়ে হয়তো কিছু কিছু শিল্প চাপে পড়তে পারে। বিশেষ করে যখন মূল্যস্ফীতি বেশি, কস্ট অব ডুইং বিজনেস বেশি। এটাকে শুল্কের যৌক্তিকিকরণ করতেই হবে, কারণ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে যাবে। আস্তে আস্তে ট্যারিফ কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। যে প্রতিঘাত আসবে, সেটা মোকাবিলা করার জন্য কস্ট অব ডুইং বিজনেসের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ী মূল্যে কিংবা সহজ শর্তে ঋণ কিংবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে কস্ট অব ডুইং বিজনেস কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’

প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ই-কমার্সের সুযোগ-সুবিধা এবং ই-কমার্সকে ফরমাল সেক্টরে আনা; এখানে করের আওতায় আনা এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের অধীনে যে ৫ হাজার ৪০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন হয়েছে। আমরা মনে করি, আগেও পিপিপি মডেলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো কিন্তু খুব একটা এগোয় নাই।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিডি।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কালো টাকা সাদার করার সুযোগটা রয়ে গেছে। যদিও এখানে রেট বাড়ানো হয়েছে কিন্তু আমরা আগেও বলেছি, কালো টাকার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান হচ্ছে, এই সুযোগ দিয়ে যারা নৈতিকভাবে প্রতি বছর স্বচ্ছ আয় করে, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার সঙ্গে কর দিয়ে থাকেন, তাদের প্রতি নৈতিক আঘাত। কারণ তাদের আদর্শিকভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। দুটি জিনিস সমান্তরালভাবে চলতে পারে না!’

ফাহমিদা আরও বলেন, ‘আগে করের হারটাও কম রাখা হতো, এখন করের হার বেশি রাখা হয়েছে। তারপরও এটা থেকে খুব একটা আদায় হয় না। যদি এখান থেকে সত্যি আদায় করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে কিন্তু সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া দুএকবার সুযোগ দিয়ে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’ উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় কর রেয়াত কিংবা বিভিন্ন জায়গা থেকে কমানো এবং পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে ১৪০টির মতো কার্যক্রম একসঙ্গে চলতো, সেগুলো কমিয়ে ৯৫টি করা হয়েছে এবং সেখানে অর্থ বরাদ্দ কম করা হয়েছে। খুব কম না কিন্তু বাজেটের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার মতো।’ ‘আমরা বারবার বলেছি, এখানে কতগুলো উপাদান যুক্ত করা হয়, যেগুলো সামাজিক নিরাপত্তা বা সামাজিক সুরক্ষার অধীনে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ এটা একেবারেই অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। সরকারি কর্মচারীদের পেনশন, সেখানে আছে ৩৫ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। কৃষি ভর্তুকি আছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই দুটি মিলিয়ে ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি হয়, সেটা বাদ দিয়ে রয়ে যায় ৬৪ হাজার কোটি টাকার মতো। সেটা অনেকখানি কমে আসে। এগুলো বাদ দিয়ে যে নেট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, সেটাকে দেখাতে হবে। সেটা দেখে তুলনা করা যেতে পারে যে আসলেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কী করা হলো,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বলতে চাই, কিছু কিছু পদক্ষেপ ভালো নেওয়া হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে। কিন্তু সামগ্রিক কাঠামোগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যে একই কাঠামোর মধ্যে এখানে একটু বেশি, ওখানে একটু কম—এ রকম করে নেওয়া হয়েছে। বাজেটের যে দর্শন, এখানে বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যের সঙ্গে যে বাস্তব পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে, সব ক্ষেত্রে সেটা সাযুজ্যপূর্ণ হয়নি।’

ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৬ অপরাহ্ণ
ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (৩ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি আমরা জানিয়েছি। রোজার আগে অথবা যদি কোনো কারণে সম্ভব না হয়, তাহলে যেন এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া হয়। কারণ আবহাওয়ার কারণে মে মাসের পর নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকেও যদি সমতল মাঠ তৈরি হয়, ফেয়ার ইলেকশন যদি সম্ভব হয়, তাহলেও আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু ফেয়ার ইলেকশনের মাঠ তৈরি না হলে এপ্রিলে নির্বাচন হলেও তো কোনো লাভ নেই।’

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রবাসীদের অবশ্যই ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে, এ বিষয়ে আমরা ছাড় দিতে রাজি নই।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। আমরা ইসির কাছে দাবি জানিয়েছি, প্রবাসীরা যেন ভোট দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য। এটা কোনো কঠিন বিষয় নয়। কিন্তু ইসির পক্ষ থেকে আমরা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।’

এর আগে গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরও বলেন, বৈঠকে তারা বলেছেন, জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। আর নির্বাচন হতে পারে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে।

তাহের বলেন, ‘আমরা বলেছি জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। বেশিরভাগ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। সামান্য কিছু বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার শেষ হবে। এরপর একটি জুলাই সনদ হবে। সেখানে আমরা সব দল স্বাক্ষর করব।’