খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৩ শ্রাবণ, ১৪৩২

কসবা প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটি বিলুপ্ত করে আহবায়ক কমিটি গঠন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৮:৪৩ অপরাহ্ণ
কসবা প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটি বিলুপ্ত করে আহবায়ক কমিটি গঠন

ঐতিহ্যবাহী কসবা প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে তিন সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রকৌশলী মোঃ আবদুল বাকের সরকারকে এবং সদস্য হিসেবে রয়েছে  মোঃ আবদুল হান্নান (সাবেক সভাপতি), অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদ।

উল্লেখ্য, ক্লাবের জরুরি সভা অনিবার্য কারণবশতঃ কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের পরিবর্তে গত (৩ মে, ২০২৫) বিকেলে পাক্ষিক সকালের সূর্য পত্রিকা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রেসক্লাবের কিছু সদস্যের সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ড, সদস্যদের মধ্যে দলাদলি, নিজেদের বিভিন্ন স্থানে সভাপতি, সাধারণ স¤পাদক পরিচয় দিয়ে সংগঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন মর্মে আলোচনা হয়। সংগঠনের সভাপতি এ সমস্ত বিষয়ে ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির জন্য গত ২৮ এপ্রিল সাধারণ সদস্য ও কার্যকরি সদস্যদের যৌথসভা আহ্বান করেন। এতে ওই সকল সদস্যগণ উপস্থিত না হয়ে অন্যান্য সদস্যদেরকেও সভায় উপস্থিত না হওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালান। এতে সংগঠনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্বঘোষিত সভাপতি ও সাধারণ স¤পাদক সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে নানা রকম অবান্তর ও অসত্য বিষয় উপস্থাপন করে প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছেন।
ফলে প্রেসক্লাব সভাপতি সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি কসবা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ১৮, ধারা-২৯ উপধারার ক/(রা) এর ক্ষমতা বলে কার্যকরি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট অন্তবর্তীকালীন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। বর্ণিত ধারা অনুযায়ী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ সোলেমান খান, আহ্বায়ক, জয়নগর লিয়াকত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও কসবা প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি জনাব মোঃ আবদুল হান্নান এবং কসবা তফজ্জল আলী কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে সদস্য করা হয়। আহ্বায়ক অন্তবর্তীকালীন কমিটির মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে পরবর্তী কার্যকরি পরিষদ গঠন করবেন। আহ্বায়কের অনুপস্থিতিতে কসবা প্রেসক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করবেন, সাবেক সভাপতি জনাব আবদুল হান্নান। অন্যান্য সদস্যগণ সাধারণ সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
কিন্তু অকস্মাৎ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্মারক নং কপ্রেক/৫(২৪)২০২৫ এর  মর্মানুযায়ী ঐতিহ্যবাহী কসবা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির এক সভা ৬ মে ২০২৫ খ্রি: সকাল ১০টায় মোঃ সোলেমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কসবা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির সকল সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় আহবায়ক শারীরিক ও পারিবারিক সমস্যার কারণে প্রেসক্লাবের আহবায়কের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন এবং প্রকৌশলী মোঃ আবদুল বাকের সরকারকে কো-অপ্ট করে আহবায়ক নির্বাচন করা হয়। আহবায়ক কমিটির সকল সদস্যগণ সম্মতি প্রদান করেন।

আজ সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ
আজ সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় আজ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ফরিদপুরসহ সারা দেশের এনসিপির পূর্বঘোষিত পদযাত্রা অব্যাহত থাকবে। শুধুমাত্র মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে বৃহস্পতিবারের যে কর্মসূচি ছিল সেটি স্থগিত করে পরবর্তীতে তারিখ ঘোষণা করা হবে। বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সারা দেশে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এনসিপির এটি ছিল পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি। সেই লক্ষ্যে প্রশাসনকে জানিয়ে এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার কথা জেনেই গোপালগঞ্জ সফরে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করেছে। গোপালগঞ্জে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে আওয়ামী লীগের বাইরেও যে অন্য কোনো দল কর্মসূচি করতে পারে সেটি এনসিপি প্রমাণ করে দিয়েছে।
সমাবেশের আগে ও পরে দফায় দফায় হামলার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ হামলা পূর্ব পরিকল্পিত সেটি প্রমাণিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও সতর্ক থাকতে পারতো উল্লেখ করে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেভাবে সহায়তা দিয়েছে সেজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোপালগঞ্জের হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান নাহিদ ইসলাম। উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনা এসে পৌঁছান।

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ২

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ২

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা–সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। হাসপাতাল ও পরিবার সূত্র এ কথা জানিয়েছে। নিহত দুজন হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫) ও কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮)। আজ বুধবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, বিকেলে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁরা গুলিবিদ্ধ ছিলেন।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে নিহত দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। অপরজনের মৃত্যুর বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হাসপাতালের একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই ব্যক্তির লাশ স্বজনেরা নিয়ে গেছেন। হাসপাতালের কর্মকর্তা জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, আরও ৯ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের অস্ত্রোপচার চলছে।
মৃত্যুর তথ্য জানতে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি। তথ্য জানতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ কামরুজ্জামান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবিরকে কল দিলে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি। নিহত দীপ্ত সাহার চাচা বলেন, দীপ্ত দুপুরের খাবার খেয়ে তাঁর দোকানে যাচ্ছিলেন। শহরের চৌরঙ্গীতে তাঁর পেটে গুলি লাগে।
নিহত রমজান কাজীর বাবা কামরুল কাজী বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলছে। আমার ছেলে তো কোনো দোষ করেনি। আমি আমার সন্তানকে কোথায় পাব?’ এর আগে গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশ শেষে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, এনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে নেতা-কর্মীদের ঘিরে হামলা চালান। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্যদিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। হামলার ঘটনার পর এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন। এ সময় পুলিশ-সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। তাদের (এনসিপি) বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তাঁরা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন, পরিস্থিতি ঠিক নেই।

গোপালগঞ্জ কারফিউয়ে থমথমে, আটক ১৪

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
গোপালগঞ্জ কারফিউয়ে থমথমে, আটক ১৪

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় কারফিউ জারি করে প্রশাসন। কারফিউয়ের মধ্যে যৌথ বাহিনী বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করেছে। তাদের গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান।
এদিকে চলমান কারফিউয়ে জেলায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। গতকাল রাত থেকে সীমিত আকারে রিকশা চলাচল করলেও অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি, বন্ধ ছিল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হয়নি। রাতে শহরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এখনো পর্যন্ত রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারে মানুষের আনাগোনা নেই বললেও চলে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কারফিউয়ের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। নেই টহলও। তবে জেলা কারাগারের সামনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।