খুঁজুন
                               
মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

শীতলক্ষার দূষণে মেঘনায় ভেসে উঠছে মরা মাছ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ
শীতলক্ষার দূষণে মেঘনায় ভেসে উঠছে মরা মাছ

মতলব উত্তরে মেঘনা নদীতে আবারও ভেসে উঠছে মরা মাছ। শুক্রবার (১৬ মে ২০২৫) ভোর থেকে  মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে দশানি পর্যন্ত মেঘনা পাড়ের বিভিন্ন স্থানে এমন চিত্র দেখা গেছে। ২০২৩ সালের মার্চ ও ২০২৪ সালের আগস্ট মাসেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। এলাকাবাসী বলছেন, বিষাক্ত বর্জ্য ও কেমিক্যালের কারণে পানি দূষিত হওয়ায় মরে ভেসে উঠছে দেশীয় মাছ। বিশেষ করে জাটকা, চেউয়া, বাইলা, টেংরা, পুঁটি, চাপিলাসহ অসংখ্য ছোট-বড় দেশীয় মাছ। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার ভোরে মাছ ধরতে নদীতে নামেন স্থানীয় জেলেরা। তখনই তারা দেখতে পান পানিতে ভেসে রয়েছে অসংখ্য মরা মাছ।  কী কারণে বার বার নদীতে মাছ মারা যাচ্ছে এবং পানিদূষণ হচ্ছে তার সমাধান চান এলাকাবাসী। ধারণা করা হচ্ছে শীতলক্ষা নদীর দূষণের কারণে দক্ষিনাঞ্চলে নদীর পানির মাছ মরে যাচ্ছে।

এদিকে পচা মাছের দুর্গন্ধে নদীপাড়ের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। দূষিত হওয়ার কারণে এখন নদীর পানি ব্যবহারও করতে পারছে না স্থানীয়রা। এভাবে ছোট আকারের জাটকা মারা পড়লে সামনে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলেরা। ষাটনলের  জেলে ফুলচান বর্মন  বলেন, এখন এই পানিতে মাছ তো নেই, বরং বিষ ছড়িয়ে আছে। কয়েক বছর ধরেই এমন হচ্ছে। কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয় না। জাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে মাছশূন্য হয়ে যাবে নদী। স্থানীয় জেলে ইমাম হোসেন বলেন, নদীতে বাচ্চারা খেলতে যায়, গোসল করে।  আমরা নদীর পানি সব সময় ব্যবহার করি, কিন্তু এখন পারছি না।

এখলাসপুরের মাছ ব্যবসায়ী জুয়েল রানা বলেন, আজকে যা দেখলাম, তাতে আগামী কয়েক মাস নদী থেকে মাছ পাওয়া কঠিন হবে। বাজারে মাছের দাম বেড়ে যাবে, মানুষ কষ্ট পাবে। ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আক্কাস আলী মোল্লা বলেন, মাছ মরার ঘটনা শুধু পরিবেশের ক্ষতি নয়, মানুষের জীবিকার ওপরও আঘাত। বারবার অভিযোগ করলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। নদী বাঁচলে আমরা বাঁচবো– এটাই এখন সবার মূল দাবি ও উপলব্ধি হওয়া উচিত। মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, এটি একটি জলজ পরিবেশগত দুর্যোগ। শীতলক্ষ্যা থেকে আসা দূষিত পানির প্রবাহ একাধিকবার এই এলাকায় বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। এটি প্রথম নয়, একাধিকবার ঘটেছে এমন ঘটনা । ২০২৩ সালের মার্চ ও ২০২৪ সালের আগস্ট মাসেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। তখনও মেঘনার পানি দূষিত হয়ে মাছের গণমৃত্যু হয়। তবে এবার পরিমাণ আরো বেশি দেখা যাচ্ছে।

চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, মেঘনা নদীতে মাছ মরে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে গত ৩০ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তর ও মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সেখানকার রিপোর্ট অনুযায়ী নদীর পানিতে অ্যামোনিয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় পিএইচ ও অক্সিজেনের হার কমে গিয়েছিল। এছাড়া নদীর তলদেশ দিয়ে কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য ও কেমিক্যালযুক্ত পানি বয়ে যাচ্ছে।

জুলাই সনদ করব, এটাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:৩১ পূর্বাহ্ণ
জুলাই সনদ করব, এটাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‌জুলাই সনদ করব এটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার আজকে প্রথম পর্ব শেষ হলো, দ্বিতীয় পর্ব শুরু হলো। সোমবার (২ জুন) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিতে বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। বিকেল সাড়ে ৪টার পর থেকে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা।  ড. ইউনূস বলেন, আমি সারা দিনে যত মিটিং করি, যত মিটিং করে এসেছি, সবচাইতে আনন্দ পাই যখন এরকম বসার সুযোগ পাই। এখানে সবাই মিলে বাংলাদেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ রচনা করা হচ্ছে। এটা আমাকে শিহরণ জাগায় যে, এরকম কাজে আমি যুক্ত হতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সংস্কার করার জন্য আমার ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমরা বুঝতে পারছিলাম না কোথা থেকে শুরু করব। প্রথমে নানা আলাপের মাধ্যমে ঠিক হলো যে, আমরা কয়েকটি কমিশন করে দেব। তারা ভেতরে গিয়ে প্রকৃত জিনিসটা তৈরি করবে। আমরা কমিশন গঠন করলাম। দ্রুত গতিতে কাজ করার জন্য তাদেরকে ৯০ দিন আমরা সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। আমরা খুব আনন্দিত তারা করতে পেরেছে। কয়েকটা কমিশন বেশি সময় নিয়েছে, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। ‘কমিশন থেকে রিপোর্ট এল। তারপর কথা হলো আমরা ঐকমত্য গঠন করতে চাচ্ছি, এটা কীভাবে হবে? সেখান থেকে একটা আইডিয়া আসল যে আলাদা একটা ঐকমত্য কমিশন দরকার। সেটা ফলপ্রসূ হয়েছে। আলী রীয়াজ সাহেব যখনই আমার সঙ্গে বৈঠক করেন তখনই খুব আনন্দিত হই।’

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার দ্বিতীয় পর্বে কী হবে তা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌অনেকগুলো বিষয় কাছাকাছি এসে গেছে। আরেকটু হলে আমাদের তালিকায় আরেকটি সুপারিশ যুক্ত হবে, সেটা হচ্ছে ঐকমত্যের সুপারিশ। সেই সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি। আমাদের জুলাই সনদের যতগুলো বিষয় আছে তাতে যদি আরও কিছু যুক্ত করতে পারি, দেখতে সুন্দর লাগবে। জাতীয় একটা সনদ হলো, অনেকগুলো বিষয়ে আমরা এক হতে পেরেছি, জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত হতে পারি। আমরা দেশের উন্নতির জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছি।

জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ
জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।   সোমবার (০২ জুন ২০২৫) বাদ আছর চাঁদপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।  জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিমুল্লাহ সেলিম এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।  তিনি বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। জিয়াউর রহমানের সততা, দেশপ্রেম, নৈতিকতা ও ভালোবাসাকে বুকে ধারণ করে আজ আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে। তার মতো সতত হয়ে বাংলাদেশ গড়ে তোলার আদর্শ ও নীতি নৈতিকা দারণ করবো।

চাঁদপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শফিউদ্দিন বাবলুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বাবায়ক মো. মাসুদ মাঝি, সদস্য সচিব সামছুল আরেফীন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামছুল আলম সূর্য, নয়ন খান, সাহাদাত হোসেন রুবেল, হাবিব খান, জাহিদ হোসেন, মো. রফিক, সদস্য নূর মোহাম্মদ, মাসুদ মিজি, মো. মাসুদ, বাদল, তারেক খানসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।

খুলছে ডিজিটাল পরিচয়ের নতুন দরজা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ
খুলছে ডিজিটাল পরিচয়ের নতুন দরজা

প্রযুক্তি জগতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে ওপেনএআই। জনপ্রিয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে শিগগিরই ব্যবহারকারীরা অন্যান্য অ্যাপে সাইন ইন বা লগইন করতে পারবেন—এমনই এক বড়সড় ইঙ্গিত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সম্প্রতি ওপেনএআই তাদের একটি ওয়েবপেজে জানিয়েছে, তারা “Sign in with ChatGPT” নামের একটি ফিচার চালু করার পরিকল্পনা করছে। এটি হবে এমন একটি লগইন সুবিধা, যা ব্যবহারকারীদের তাদের ওপেনএআই অ্যাকাউন্ট দিয়েই তৃতীয় পক্ষের অ্যাপে প্রবেশ করতে দেবে। অর্থাৎ, ভবিষ্যতে আপনি কোনো শপিং অ্যাপ, সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ব্যক্তিগত সফটওয়্যারে আলাদা অ্যাকাউন্ট খুলতে না চাইলেও চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে সাইন ইন করতে পারবেন।

টেকক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় কনজ্যুমার অ্যাপ। মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা প্রায় ৬০ কোটি, যা প্রযুক্তি দুনিয়ায় এক বিশাল মাইলফলক। এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ওপেনএআই এবার ব্যবহারকারীর পরিচয় ব্যবস্থাপনায় প্রবেশ করছে।

এই পদক্ষেপটির মাধ্যমে ওপেনএআই গুগল, অ্যাপল ও মাইক্রোসফট-এর মতো প্রযুক্তি জায়ান্টদের সাথে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামছে—যারা ইতিমধ্যেই “Sign in with Google/Apple/Microsoft” নামে লগইন সেবা দিয়ে থাকে।

এই ফিচার এখনো সর্বসাধারণের জন্য চালু না হলেও, ওপেনএআই ইতোমধ্যেই ডেভেলপারদের জন্য এর একটি প্রাথমিক প্রিভিউ চালু করেছে। Codex CLI নামের একটি ওপেন সোর্স কোডিং টুলে “Sign in with ChatGPT” ফিচারটি যুক্ত করা হয়েছে। এটি ডেভেলপারদেরকে তাদের ফ্রি, প্লাস ও প্রো চ্যাটজিপিটি অ্যাকাউন্টগুলোর সঙ্গে API অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত করার সুবিধা দিচ্ছে।

এই উদ্যোগে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য কিছু প্রণোদনাও রাখা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে – প্লাস ব্যবহারকারীরা পাচ্ছেন ৫ ডলার API ক্রেডিট ও প্রো ব্যবহারকারীরা পাচ্ছেন ৫০ ডলার API ক্রেডিট। এটি ডেভেলপারদের উৎসাহিত করতে এবং সিস্টেমটির গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।

ওপেনএআই একা এগোচ্ছে না। তাদের লক্ষ্য হলো বিভিন্ন তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ও সেবা—যেমন ই-কমার্স, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, শিক্ষামূলক অ্যাপ, বা ব্যক্তিগত প্রোডাকটিভিটি টুল – সবকিছুর সঙ্গে চ্যাটজিপিটি-ভিত্তিক সাইন ইন সেবা একত্রিত করা।

এ প্রসঙ্গে ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান ২০২৩ সালেই বলেছিলেন, “আমরা ভবিষ্যতে ‘Sign in with OpenAI’ ফিচার চালুর পরিকল্পনা করছি।”

যদিও এই ফিচার এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং ওপেনএআই অফিসিয়ালি কোনো সময়সীমা ঘোষণা করেনি, তবে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যেই এটি বৃহত্তর পরিসরে চালু হতে পারে।

তবে ওপেনএআই এখনো নিশ্চিত করেনি ঠিক কতগুলো অ্যাপ বা কোম্পানি এই ফিচার ব্যবহারে অংশ নিচ্ছে। টেকক্রাঞ্চের পক্ষ থেকে মন্তব্য চাইলেও ওপেনএআই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি।