খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৩ শ্রাবণ, ১৪৩২

চাঁদপুরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৮৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:০০ পূর্বাহ্ণ
চাঁদপুরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৮৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ

চাঁদপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যুগোপযোগী ও মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে ও পরিবেশ বান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জনপদ হিসেবে খ্যাত ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর। গত কয়েক বছরে বদলে গেছে এ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চেহারা। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে নবনির্মিত আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন নতুন মডেলের পরিবেশবান্ধব ও নান্দনিক সব বহুতল ভবন। সেইসাথে চলমান রয়েছে আরো কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও পুরাতন প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়নের কাজ।
চাঁদপুর শিক্ষা জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চাঁদপুর জেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ৮৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩ টি স্কুল ও কলেজের বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও আরো তিনটি কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।
চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. মামুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, জরাজীর্ণ ভবন, টিনের ছাউনি দিয়ে গড়া স্কুলঘরের পাঠদান বা মেঘ দেখলেই বৃষ্টির ভয়ে স্কুল ছুটি এমন দৃশ্য এখন খুব একটা চোখে পড়ে না। সরকারের বিভিন্ন দিকনির্দেশনায় ধাপে ধাপে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শত ভাগ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করছে চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর একাধিক বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন করেছে। নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন হওয়া ভবনসমূহের মধ্যে রয়েছে : ১০০ টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতাধীন ১৪ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে হাজীগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের একাডেমিক প্রশাসনিক ও ওয়ার্কসপ ভবন নির্মাণ, ১৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কচুয়া টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ভবন নির্মাণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ৬৪ টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের আওতাধীন চাঁদপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ৯ কোটি ১১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাঁচতলা একাডেমী কাম ওয়ার্কসপ ভবন।
নির্মাণ কাজ চলমান ভবনসমূহের মধ্যে রয়েছে : অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ১৫ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এবং মতলব উত্তর উপজেলায় লুধুয়া হাই স্কুল ও কলেজের ১০ তলা বিশিষ্ট মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ, ১৪ কোটি ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও সম্প্রসারণ কর্মসূচির অধীনে পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের ১০ তলা একাডেমী ভবন নির্মাণ এবং ১৯ কোটি ১১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাজস্ব কর্মসূচির অধীনে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের ১২ তলা ছাত্রীনিবাস নির্মাণ।
চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম শরীফ বলেন, ভবনগুলো নির্মাণে গুণগতমান ঠিক রেখে সিডিউল অনুযায়ী ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিয়ে বিল প্রদান করা হয়। প্রতিটি নতুন ভবন নির্মাণে শিক্ষাপ্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা কাজের তদারকি করেন। তিনি আরো বলেন, সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ ও আসবাবপত্র সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। দেশে আর কোনো জরাজীর্ণ ভবন থাকবে না এমন লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। সকল ছাত্র-ছাত্রীর পাঠদানের উপযোগী আধুনিক, বিজ্ঞানসম্মত ও পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ, সম্প্রসারণ ও সংস্কার কাজ করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। যুগোপযোগী ও মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর একই সাথে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, আইসিটি সুবিধাসহ ভবনগুলো নির্মাণ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম শরীফের নেতৃত্বে সীমিত জনবল দিয়েই প্রতিটি কাজের সর্বোচ্চ তদারকি ও মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সূত্র : একুশে সংবাদ।

আজ সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ
আজ সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় আজ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ফরিদপুরসহ সারা দেশের এনসিপির পূর্বঘোষিত পদযাত্রা অব্যাহত থাকবে। শুধুমাত্র মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে বৃহস্পতিবারের যে কর্মসূচি ছিল সেটি স্থগিত করে পরবর্তীতে তারিখ ঘোষণা করা হবে। বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সারা দেশে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এনসিপির এটি ছিল পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি। সেই লক্ষ্যে প্রশাসনকে জানিয়ে এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার কথা জেনেই গোপালগঞ্জ সফরে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করেছে। গোপালগঞ্জে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে আওয়ামী লীগের বাইরেও যে অন্য কোনো দল কর্মসূচি করতে পারে সেটি এনসিপি প্রমাণ করে দিয়েছে।
সমাবেশের আগে ও পরে দফায় দফায় হামলার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ হামলা পূর্ব পরিকল্পিত সেটি প্রমাণিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও সতর্ক থাকতে পারতো উল্লেখ করে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেভাবে সহায়তা দিয়েছে সেজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোপালগঞ্জের হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান নাহিদ ইসলাম। উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনা এসে পৌঁছান।

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ২

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ২

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা–সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। হাসপাতাল ও পরিবার সূত্র এ কথা জানিয়েছে। নিহত দুজন হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫) ও কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮)। আজ বুধবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, বিকেলে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁরা গুলিবিদ্ধ ছিলেন।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে নিহত দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। অপরজনের মৃত্যুর বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হাসপাতালের একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই ব্যক্তির লাশ স্বজনেরা নিয়ে গেছেন। হাসপাতালের কর্মকর্তা জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, আরও ৯ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের অস্ত্রোপচার চলছে।
মৃত্যুর তথ্য জানতে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি। তথ্য জানতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ কামরুজ্জামান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবিরকে কল দিলে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি। নিহত দীপ্ত সাহার চাচা বলেন, দীপ্ত দুপুরের খাবার খেয়ে তাঁর দোকানে যাচ্ছিলেন। শহরের চৌরঙ্গীতে তাঁর পেটে গুলি লাগে।
নিহত রমজান কাজীর বাবা কামরুল কাজী বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলছে। আমার ছেলে তো কোনো দোষ করেনি। আমি আমার সন্তানকে কোথায় পাব?’ এর আগে গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশ শেষে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, এনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে নেতা-কর্মীদের ঘিরে হামলা চালান। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্যদিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। হামলার ঘটনার পর এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন। এ সময় পুলিশ-সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। তাদের (এনসিপি) বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তাঁরা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন, পরিস্থিতি ঠিক নেই।

গোপালগঞ্জ কারফিউয়ে থমথমে, আটক ১৪

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
গোপালগঞ্জ কারফিউয়ে থমথমে, আটক ১৪

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় কারফিউ জারি করে প্রশাসন। কারফিউয়ের মধ্যে যৌথ বাহিনী বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করেছে। তাদের গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান।
এদিকে চলমান কারফিউয়ে জেলায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। গতকাল রাত থেকে সীমিত আকারে রিকশা চলাচল করলেও অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি, বন্ধ ছিল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হয়নি। রাতে শহরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এখনো পর্যন্ত রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারে মানুষের আনাগোনা নেই বললেও চলে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কারফিউয়ের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। নেই টহলও। তবে জেলা কারাগারের সামনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।