খুঁজুন
                               
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ২ শ্রাবণ, ১৪৩২

১১মাস পরে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:১৯ অপরাহ্ণ
১১মাস পরে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান

পুঁজিবাজারে আজ সোমবার (৭ জুলাই) বড় ধরনের উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘ ১১ মাস পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স’র বড় উত্থান দেখা গেছে। এতে করে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন। আজ ডিএসইএক্স সূচক ৮২ পয়েন্টের বেশি বেড়েছে। এই উত্থানকে বাজারসংশ্লিষ্টরা একটি বড় চমক হিসেবে দেখছেন।

২০২৪ সালে ৭ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ডিএসই সূচকে দুটি উল্লেখযোগ্য উত্থান দেখা গিয়েছিল। পরদিন ৮ আগস্ট ডিএসইএক্স সূচক ৩০৬ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হয়, যা ২০১৩ সালে সূচকটি চালু হওয়ার পর একদিনে সর্বোচ্চ উত্থান। তিনদিন পর ১১ আগস্ট সূচক আরও ৯১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। তারপর থেকে ডিএসই সূচকে এমন বড় উত্থান আর দেখা যায়নি। দীর্ঘ ১১ মাস পর আজ আবার বড় উত্থান দেখা গেল, যা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে। পাশাপাশি লেনদেনেও ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেছে। এদিন ডিএসইতে ৫৭৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগে গত ৫ মে ডিএসইতে  ৫৮৪ কোটি ২ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। এটি বাজারে তারল্য বৃদ্ধির সুস্পষ্ট ইঙ্গিত। বিনিয়োগকারীরা এখন সক্রিয়ভাবে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছেন।

আজকের এই বড় উত্থানের পেছনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে ব্যাংক খাত। দীর্ঘদিন পরে ব্যাংক খাত গা ঝাড়া দিয়েছে উঠেছে। বিক্রেতা সংকটে পড়ে অনেক ব্যাংকের শেয়ার ‘হল্টেড’ হয়ে গেছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, রূপালী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের মতো দুর্বল ব্যাংকগুলোও রয়েছে। এই বিক্রেতা সংকট নির্দেশ করে, বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক খাতের শেয়ার ধরে রাখতে আগ্রহী। কারণ তারা এই খাতের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী।

দীর্ঘদিনের মন্দা কাটিয়ে বাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে- আজকের লেনদেন এমন ইঙ্গিত ই দিচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং ব্যাংক খাতের শক্তিশালী পারফরম্যান্স আগামীদিনে বাজারের জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮২.০৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৭৬.১৬ পয়েন্টে, যা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ডিএসইর সূচক ছিল ৪ হাজার ৯৯৫.৪৬ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ১৫.৭৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮১.১৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৩৬.৮৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৭৩ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩৭৮টি বা ৯৬ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে, ৭৩টির কমেছে এবং ৪৫টির দর অপরিবর্তিত ছিল। আজ ব্যাংক খাতের একক প্রাধান্য ছিল। এ খাতের কোন কোম্পানি দরপতনে ছিল না। এ খাতে লেনদেন হয় ১৫০ কোটি টাকা। সূচকের বড় উত্থানে মূল ভূমিকায় ছিল ব্রাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, ইসলামি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক। প্রায় ৩৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে ব্রাক ব্যাংক লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করে।

ডিএসইতে আজ ৫৭৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫০৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৬৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) আজ ৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন ২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। লেনদেন হওয়া ২২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৪টির, কমেছে ৪৭টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৭টির দর। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮৪.১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮১২.২০ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচক বেড়েছে ১১৩ পয়েন্ট।

আজ সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ
আজ সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় আজ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ফরিদপুরসহ সারা দেশের এনসিপির পূর্বঘোষিত পদযাত্রা অব্যাহত থাকবে। শুধুমাত্র মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে বৃহস্পতিবারের যে কর্মসূচি ছিল সেটি স্থগিত করে পরবর্তীতে তারিখ ঘোষণা করা হবে। বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সারা দেশে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এনসিপির এটি ছিল পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি। সেই লক্ষ্যে প্রশাসনকে জানিয়ে এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার কথা জেনেই গোপালগঞ্জ সফরে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করেছে। গোপালগঞ্জে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে আওয়ামী লীগের বাইরেও যে অন্য কোনো দল কর্মসূচি করতে পারে সেটি এনসিপি প্রমাণ করে দিয়েছে।
সমাবেশের আগে ও পরে দফায় দফায় হামলার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ হামলা পূর্ব পরিকল্পিত সেটি প্রমাণিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও সতর্ক থাকতে পারতো উল্লেখ করে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেভাবে সহায়তা দিয়েছে সেজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোপালগঞ্জের হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান নাহিদ ইসলাম। উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনা এসে পৌঁছান।

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ২

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ২

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা–সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। হাসপাতাল ও পরিবার সূত্র এ কথা জানিয়েছে। নিহত দুজন হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫) ও কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮)। আজ বুধবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, বিকেলে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁরা গুলিবিদ্ধ ছিলেন।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে নিহত দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। অপরজনের মৃত্যুর বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হাসপাতালের একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই ব্যক্তির লাশ স্বজনেরা নিয়ে গেছেন। হাসপাতালের কর্মকর্তা জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, আরও ৯ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের অস্ত্রোপচার চলছে।
মৃত্যুর তথ্য জানতে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি। তথ্য জানতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ কামরুজ্জামান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবিরকে কল দিলে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি। নিহত দীপ্ত সাহার চাচা বলেন, দীপ্ত দুপুরের খাবার খেয়ে তাঁর দোকানে যাচ্ছিলেন। শহরের চৌরঙ্গীতে তাঁর পেটে গুলি লাগে।
নিহত রমজান কাজীর বাবা কামরুল কাজী বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলছে। আমার ছেলে তো কোনো দোষ করেনি। আমি আমার সন্তানকে কোথায় পাব?’ এর আগে গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশ শেষে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, এনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে নেতা-কর্মীদের ঘিরে হামলা চালান। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্যদিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। হামলার ঘটনার পর এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন। এ সময় পুলিশ-সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। তাদের (এনসিপি) বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তাঁরা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন, পরিস্থিতি ঠিক নেই।

গোপালগঞ্জ কারফিউয়ে থমথমে, আটক ১৪

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
গোপালগঞ্জ কারফিউয়ে থমথমে, আটক ১৪

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় কারফিউ জারি করে প্রশাসন। কারফিউয়ের মধ্যে যৌথ বাহিনী বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করেছে। তাদের গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান।
এদিকে চলমান কারফিউয়ে জেলায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। গতকাল রাত থেকে সীমিত আকারে রিকশা চলাচল করলেও অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি, বন্ধ ছিল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হয়নি। রাতে শহরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এখনো পর্যন্ত রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারে মানুষের আনাগোনা নেই বললেও চলে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কারফিউয়ের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। নেই টহলও। তবে জেলা কারাগারের সামনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।