খুঁজুন
                               
বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ১৪ কার্তিক, ১৪৩২

কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ
কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল কচুয়া সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপি ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে বদরপুর এলাকায় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন ও তার স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সভাপতি নাজমুন নাহার বেবী পৌঁছালে আওয়ামী লীগের ৪০-৫০ জন যুবক তাদের গাড়ি ও অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল ভাঙচুর করে এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে এবং আসামিরা অস্ত্র, পিস্তল, রিভলবার ও শর্টগান দিয়ে আক্রমণ করে ২৭ জনকে জখম করে। এ ঘটনায় উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের গোবিদপুর গ্রামের জিনাত আলীর ছেলে মতিউর রহমান বাদী হয়ে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও সাবেক এমপি ড. সলিম মাহমুদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব আলম ও সাবেক মো. নাজমুল আলম স্বপনসহ ৮৯ জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত ৫শ জনকে বিবাদী করা হয়। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার খ্যাত শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় মামলা দায়ের করেন বলে এজহারে উল্লেখ করেন বাদী।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে একাধিক মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে আমরা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত অফিসারদের চিঠি দিয়েছিলাম। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালে শাহজালাল বিমানবন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের থানা থেকে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

৩১ সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বিকেলে ইসির বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৫১ অপরাহ্ণ
৩১ সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বিকেলে ইসির বৈঠক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। এবার সংসদ নির্বাচনের ঠিক দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে আগেই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে হিসেবে আসছে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে সংসদ ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলেই জানিয়েছে ইসি। তফসিল ঘোষণার আগে এবার সব মন্ত্রণালয়, বিভাগের সচিব ও বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে নাসির উদ্দিন কমিশন। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সরকারের ৩১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাথে বৈঠকে ২২টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসি।
যে ৩১ মন্ত্রণালয় ও সংস্থা থাকবে বৈঠকে
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, সমন্বয় ও সংস্কার দপ্তর সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব।
আরও থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সচিব (রুটিন দায়িত্ব), সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মহাপরিচালক, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বেতারের চেয়ারম্যান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ঢাকার প্রধান প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সচিব, কারা মহাপরিদর্শক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে ৮ শিক্ষার্থী দগ্ধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৭ অপরাহ্ণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে ৮ শিক্ষার্থী দগ্ধ

ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে বড় হুজুর বাড়ি দারুল নাজাত মহিলা মাদ্রাসায় ।এতে আট শিক্ষার্থী দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনজনকে জরুরি বিভাগে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। দগ্ধরা হলেন- সাদিয়া আক্তার (১২), রুবাইয়া (৯), আয়মান (৬), নুসরাত (১০), আলিয়া (৩০), তুইবা (৬), রওজা (১৩) ও আফরিন (১৩)।
দগ্ধ আফরিনের মামা মো. আনোয়ার জানান, আমরা জানতে পারি বুধবার বিকেলের দিকে হঠাৎ মাদ্রাসার পাশে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই মাদ্রাসার চতুর্থ তলায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছিল। আগুনের ফুলকি মাদ্রাসার ভেতর ঢুকে গেলে দগ্ধ হয় শিক্ষার্থীরা। পরে রাতেই তাদের দগ্ধ অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে জাতীয় বার্নে নিয়ে আসা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ হয়ে দগ্ধ ৮ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী এসেছে। তাদের মধ্যে, সাদিয়ার ১৩ শতাংশ, রুবাইয়ার ৫ শতাংশ, আয়মানের ২ শতাংশ, নুসরাতের ৩ শতাংশ, তুইবার ৩ শতাংশ, রওজার ৩ শতাংশ, আলিয়ার ১৪ শতাংশ ও আফরিন ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনকে জরুরি বিভাগে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ
ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের সঙ্গে এটা একটা প্রতারণা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এটা প্রতারণা। এটা ঐক্য হতে পারে না। তাহলে এই কমিশন কেন করা হয়েছিল?
বুধবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক এহসান মাহমুদের ‘বিচার সংস্কার নির্বাচন : অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে গতকাল মঙ্গলবার সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যে বিষয়গুলোতে তারা একমত ছিলেন না, সেখানে তারা নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিলেন। সেই নোট অব ডিসেন্ট সুপারিশে লিপিবদ্ধ করার একটা প্রতিশ্রুতি ছিল কমিশনের। কিন্তু অবাক হয়ে তারা লক্ষ্য করলেন, সুপারিশে সেই বিষয়গুলো নেই। নোট অব ডিসেন্টগুলো পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে। ইগনোর করা হয়েছে। এটা তো ঐক্য হতে পারে না। তাহলে ঐকমত্য কমিশনটি করা হয়েছিল কেন?
মির্জা ফখরুল বলেন, এত বড় একটা অভ্যুত্থান, এত ত্যাগের বিনিময়ে, এত প্রাণের বিনিময়ে সেটাকে ঠিকভাবে জাতির কল্যাণে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, যতই দিন যাচ্ছে, ততই বিভক্ত বাড়ছে। বিভক্ত হয়ে পড়াটা, এটা কারা করছেন, কেন করছেন, এটাও উপলব্ধি করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আপনি কিন্তু এইবার জনগণের সামনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ওয়াদাবদ্ধ। আপনি এখানে সত্যিকার অর্থেই যেটুকু সংস্কার দরকার, সেই সংস্কারগুলো করে আপনি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন দেবেন। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে পার্লামেন্ট আসবে, সেই পার্লামেন্ট এই দেশের সংকটগুলো সমাধান করবে।
প্রকাশনা উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, চর্চা ডটকমের সম্পাদক সোহরাব হাসান, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, লেখক ও সাংবাদিক শাহ্‌নাজ মুন্নী প্রমুখ।