খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

শিশুদের কিভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তির অপরাধপ্রবণতা থেকে দূরে রাখবো?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ
শিশুদের কিভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তির অপরাধপ্রবণতা থেকে দূরে রাখবো?

প্রযুক্তি কেড়ে নিয়েছে বর্তমান প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের স্বর্ণালি শৈশব। আধুনিকায়নের যুগে তৈরি হচ্ছে ডিজিটাল প্রজন্ম। ছেলেমেয়েদের শৈশবের দুরন্তপনা এখন প্রযুক্তির দেয়ালে বন্দি। যে বয়সে ছেলেমেয়েদের বাধাহীন জীবনযাপন, খেলার মাঠে ছুটে চলা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠার কথা, সে বয়সেই ছেলেমেয়েরা ঘরবন্দি থেকে স্মার্টফোনসহ প্রযুক্তিগত বিভিন্ন ডিভাইসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে ক্রমেই পরিবর্তনে রূপ নিয়েছে ছেলেমেয়েদের বর্তমান শৈশব।
এদিকে শহরাঞ্চলে বিনোদন কেন্দ্র ও পর্যাপ্ত খেলার মাঠ না থাকায় অপরাধপ্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে, শিশু-কিশোরদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে এক ধরনের হতাশা। প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও অপব্যবহার তরুণ প্রজন্মকে ক্রমশ বিপথগামিতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। শিশুবান্ধব পরিবেশ, পর্যাপ্ত খেলার মাঠ সংরক্ষণ ও পরিচর্যায় দায়িত্বশীল সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে প্রযুক্তির করালগ্রাসে অচিরেই বর্তমান প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। বর্তমান প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের বিনোদনের একমাত্র সঙ্গী হচ্ছে প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্র। বেশির ভাগ ছেলেমেয়েই এখন গেমিং আসক্ত হয়ে পড়েছে। মাত্রাতিরিক্ত গেমিংয়ে আসক্তির ফলে শিশু-কিশোরদের মধ্যে বাড়ছে নিঃসঙ্গতা ও একাকিত্বের অনুভূতি। শিশুদের মানসিক বিকাশ হচ্ছে বাধাগ্রস্ত। এ ছাড়া প্রযুক্তির মায়াজালে থাকতে থাকতে শিশু-কিশোরদের শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধছে। খেলাধুলা না করাতে শিশুরা বাড়ছে স্থূলকায় শরীর নিয়ে। এ ছাড়া চোখে সমস্যা, নিদ্রাহীন, মাথাব্যথা ইত্যাদি বিভিন্ন রোগ এখন শিশু-কিশোরদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। ইন্টারনেটের সহজলভ্য ও পারিবারিক দৃঢ়তার অভাবে বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা প্রযুক্তির অপব্যবহারে মেতেছে। বর্তমানে অনেক বাবা-মা তাদের শিশু সন্তানকে শান্ত রাখতে স্মার্টফোনে বিভিন্ন ভিডিও বের করে দেখতে দেন। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়, এভাবে সমাজে বেশির ভাগ পরিবারের শিশুদের মধ্যে প্রযুক্তি উপভোগ করার অভ্যাস গড়ে উঠছে। এ ছাড়া বাবা-মায়ের অগোচরেই বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা প্রযুক্তির অপব্যবহারে পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে।
শুধু তা-ই নয়, প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সাইবার অপরাধ ও ফেসবুকে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে অনেক শিশু-কিশোর। এ ছাড়া প্রায়ই বর্তমানে উঠতি বয়সী শিশু-কিশোরদের আত্মহত্যার খবর শোনা যাচ্ছে। প্রযুক্তির নেতিবাচক ব্যবহারের ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে সমাজে। বর্তমানে সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটছে যৌন নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও খুনের মতো ঘটনা। শিশু-কিশোরদের বেড়ে ওঠার পেছনে পরিবারের সহযোগিতামূলক আচরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমানে বেশির ভাগ পরিবারে সন্তানের সঙ্গে সহযোগিতামূলক আচরণের অভাব দেখা যায়, যা সন্তানের জন্যে সুফল বয়ে আনে না। পিতা-মাতার অতিরিক্ত শাসন এবং বয়ঃসন্ধিকালে সঠিক পরিচর্যার অভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে একপর্যায়ে মাদকাসক্ত, খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। তাই পরিবারের উচিত সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা এবং শৈশব থেকেই একজন শিশুর ভেতর মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার বীজ বুনে দেওয়া। সন্তানের শৈশবকে সুন্দর করতে অভিভাবকের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাই তরুণ প্রজন্মকে বিপথগামিতার হাত থেকে রক্ষা করতে শিশু-কিশোরদের জন্যে পর্যাপ্ত বিনোদনের ব্যবস্থা, প্রযুক্তির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার রোধ ও শিশুদের মানসিক গঠনে পরিবারের সদস্যদের সচেতন হতে হবে। শিশুর সুন্দর জীবন ও ভবিষ্যতের জন্যে শিশুর শৈশবকে করে তুলতে হবে আরো আনন্দময়।

কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ
কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল কচুয়া সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপি ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে বদরপুর এলাকায় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন ও তার স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সভাপতি নাজমুন নাহার বেবী পৌঁছালে আওয়ামী লীগের ৪০-৫০ জন যুবক তাদের গাড়ি ও অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল ভাঙচুর করে এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে এবং আসামিরা অস্ত্র, পিস্তল, রিভলবার ও শর্টগান দিয়ে আক্রমণ করে ২৭ জনকে জখম করে। এ ঘটনায় উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের গোবিদপুর গ্রামের জিনাত আলীর ছেলে মতিউর রহমান বাদী হয়ে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও সাবেক এমপি ড. সলিম মাহমুদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব আলম ও সাবেক মো. নাজমুল আলম স্বপনসহ ৮৯ জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত ৫শ জনকে বিবাদী করা হয়। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার খ্যাত শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় মামলা দায়ের করেন বলে এজহারে উল্লেখ করেন বাদী।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে একাধিক মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে আমরা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত অফিসারদের চিঠি দিয়েছিলাম। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালে শাহজালাল বিমানবন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের থানা থেকে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মাকে ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, ছেলের যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ৯:২২ পূর্বাহ্ণ
মাকে ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, ছেলের যাবজ্জীবন

চাঁদপুরে মাদকের টাকা না দেওয়ায় মাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে শরীফ বেপারী (৩২) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৪ মে) বিকেলে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহার। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি কুহিনুর বেগম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হত্যার শিকার ওই নারী (মা) চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে কলোনী এলাকায় আরব আলী বেপারী স্ত্রী জায়েদা বেগম (৪৫)। আসামি শরীফ বেপারী (৩২) তাদের বড় ছেলে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, শরীফ বেপারী প্রতিনিয়ত মাদক সেবনের কারণে তার মা জায়েদা বেগমের সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত। তাকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করানোর পরিবারের পক্ষে চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই সন্ধ্যায় শরীফ বেপারী তার মায়ের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বসত ঘরের দরজা বন্ধ করে তার মাকে ইট ও দা দিয়ে বেদম মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তার মাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জায়েদা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ শরীফ বেপারীকে আটক করেন। এ ঘটনায় আরব আলী বেপারী বাদী হয়ে ওই বছরের ১২ জুলাই চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, শরীফ তার মাকে হত্যার পূর্বে মাদক সেবনের দায়ে আদালতে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও ছিল। ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাসেদুজ্জামান আদালতে শরীফকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ মামলার রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি কুহিনুর বেগম জানান, এই মামলায় ১৬ জন সাক্ষি সাক্ষ্য প্রদান করেন। সাক্ষিদের সাক্ষ্যপ্রদান শেষেই আদালত আসামির বিরুদ্ধে এ রায় দেন।

ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ
ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। চলতি মাসের শুরুতে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর মিরাজ ২০০০ ফাইটার জেটটি ভূপাতিত করে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পাকিস্তান অবশ্য আগেই ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছিল। আর এবার আরেকটি ফাইটার জেট ভূপাতিত করা কথা জানানোর পর ভূপাতিত ভারতীয় যুদ্ধবিমানের সংখ্যা দাঁড়াল ৬টিতে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে)রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নিশ্চিত করেছেন যে— পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ) কাশ্মিরের পামপুর এলাকায় গত ৬-৭ মে রাতে ভারতের আরেকটি যুদ্ধবিমান — মিরাজ ২০০০ — ভূপাতিত করেছে। এ নিয়ে মোট ছয়টি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার দাবি করল পাকিস্তান।

বৃহস্পতিবার কামরায় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি অপারেশনাল ঘাঁটি পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “এই ঘটনা আমাদের বিমান বাহিনীর অসাধারণ দক্ষতা এবং মাতৃভূমি রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর অটল প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।”

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বিবৃতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ এদিন পাইলট, প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদসহ সামনের সারির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের পেশাদারিত্ব ও নিখুঁত দক্ষতার গভীর প্রশংসা করেন।

পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সংযম দেখিয়েছে, কৌশলগত দূরদর্শিতা দেখিয়েছে এবং কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তাদের নিখুঁত ও দ্রুত জবাব শত্রুর সামরিক অবকাঠামোয় বড় ধাক্কা দিয়েছে এবং প্রমাণ করেছে যে— দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাকিস্তান কখনো পিছপা হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “সামরিক বাহিনীর প্রতিটি শাখা যেভাবে সচেতনতা ও সাহসিকতা দেখিয়েছে, তাতে পুরো জাতি গর্বিত। সেনাপ্রধানের যোগ্য নেতৃত্বে তারা আবারও প্রমাণ করেছে যে— পাকিস্তানের নিরাপত্তা দুর্ভেদ্য।”

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “পাকিস্তান সরকার ও জাতি—উভয়েই জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষায় আমাদের বাহিনী প্রস্তুত এবং কোনও আগ্রাসন ঘটলে তার উপযুক্ত, সময়োপযোগী এবং কঠোর জবাব দেওয়া হবে।”