মাও. রইছ উদ্দিন হত্যার বিচারের দাবিতে চাঁদপুরে ছাত্রসেনার বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল


ঢাকা গাজীপুর কাপাসিয়া এলাকার মসজিদের ইমাম ও খতিব এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগরের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা রইছ উদ্দিন হত্যার বিচারের দাবিতে চাঁদপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল ২০২৫) বিকেলে শহরের বায়তুল আমিন মসজিদ চত্বরে (শপথ চত্বর) এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী যুবসেনা ও ইসলামী ছাত্রসেনার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত চাঁদপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এএইচএম আহসান উল্লাহ, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন হজরতুল আল্লামা বজলুল হক নকশবন্দী মোজাদ্দেদী আল-আজহারী, জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মাওলানা খাজা মোহাম্মদ জোবায়ের, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আল-আমিন আজহারী, মাওলানা মাহফুজ উল্লাহ ইউসুফী, ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের সাবেক সভাপতি অ্যাড. শেখ ফরিদ মজুমদার, বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা চাঁদপুর জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মাওলানা বাদরুদ্দোজা, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চাঁদপুর জেলার সভাপতি মোহাম্মদ কামরুল হাসান বাবু প্রমুখ। পরিচালনা করেন ছাত্রসেনার জেলা সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন জাহিদ।
বক্তারা বলেন, দেশটা যেনো একটা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। মগের মুল্লুকে বাস করছি আমরা। যে যখন যাকে ইচ্ছা তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। মাওলানা রইছ উদ্দিন একজন মসজিদের ইমাম এবং খতিব। তিনি ২৬ এপ্রিল ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পক্ষে সংহতি সমাবেশে অংশগ্রহণ শেষে নিজ মসজিদ এলাকায় আসলে কিছু দুর্বৃত্ত তাঁকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বেধড়ক পিটায়। তাঁকে রক্ষাক্ত জখম করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আর পুলিশ রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে আসে। থানা পুলিশের হেফাজতে থাকাবস্থায় বিনা চিকিৎসায় মাওলানা রইছ উদ্দিন মারা যান। তাই সংশ্লিষ্ট পুবাইল থানার ওসি কোনোভাবেই এই হত্যার দায় এড়াতে পারে না। মাওলানা রইছ উদ্দিন যদি দোষীও হয়ে থাকে তাহলেও পুলিশের দায়িত্ব ছিলো তাকে আগে চিকিৎসা করানো। কিন্তু পুলিশ সেটা করেনি। সে জন্যে আমরা মনে করি এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে পুবাইল থানার ওসিসহ পুলিশের হাত রয়েছে। তাই আমাদের সুস্পষ্ট দাবি হচ্ছে, অনতিবিলম্বে গাজীপুরের পুবাইল থানার ওসিকে বরখাস্ত করে তাকে গ্রেফতার করা হোক। একই সাথে যেসব দুর্বৃত্ত মাওলানা রইছ উদ্দিনকে পিটিয়ে মেরেছে তাদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হোক। বক্তারা একজন আলেমে দ্বীনকে মব সৃষ্টির মাধ্যমে হত্যা করা হলেও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি না আসায় হতাশা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমন আচরণে সরকারকে ধিক্কার জানানো হয় বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে।
সমাবেশ শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহর ঘুরে অঙ্গীকারের সামনে গিয়ে মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
আপনার মতামত লিখুন