খুঁজুন
                               
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ, ১৪৩১

চাঁদপুর পৌর,সদর ও হাইমচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ
চাঁদপুর পৌর,সদর ও হাইমচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

চাঁদপুর পৌর ও চাঁদপুর সদর উপজেলা বিএনপির ৩১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘোষণা করা হয়েছে হাইমচর উপজেলা বিএনপির ৩১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি। চাঁদপুর  জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক  ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে আগের কমিটিগুলো বিলুপ্ত করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, চাঁদপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক  কমিটিতে মো. আক্তার হোসেন মাঝিকে আহ্বায়ক ও অ্যাড. হারুনুর রশীদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। চাঁদপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে মো. শাহজালাল মিশনকে আহ্বায়ক ও অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। হাইমচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে মো. আমিন উল্যাহ বেপারীকে আহ্বায়ক ও মো. মাজহারুল ইসলাম শফিককে সদস্য সচিব করা হয়েছে। উক্ত আহবায়ক কমিটি আগামী ২৮/০২/২০২৫ তারিখের মধ্যে এই একটি পৌরসভা ও দুটি উপজেলা বিএনপির অধীনস্থ প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন পূর্বক আগামী ১০-৩-২০২৫ খ্রি. তারিখের মধ্যে উপজেলা ও পৌর কমিটির সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

চাঁদপুর পৌর বিএনপি নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি : আহ্বায়ক মোঃ আক্তার হোসেন মাঝি, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আফজাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান উল্যাহ সেন্টু পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক আ. কাদের বেপারী, যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ উদ্দীন আহমেদ পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী শাহজালাল শেখ, সদস্য সচিব অ্যাড. হারুনুর রশীদ, সম্মানিত সদস্য হাজী মোশাররফ হোসাইন, নজরুল ইসলাম বেপারী, শহীদুল ইসলাম মক্কু, মোশারফ হোসেন লিটন, মজিবুর রহমান লিটন, কাজী মঈনুল হক জীবন, মো. সালাউদ্দিন সেলিম, হুমায়ুন কবির হুমা, দ্বীন মোহাম্মদ ঝিল্লু, ইমান আলী মিয়াজী, শেখ সালমান, মনিরুল ইসলাম, কবির হোসেন মিয়াজী, জোহরা আনোয়ার হীরা, নাহিদা রহমান সেতু, ফারজানা আক্তার লাকি, আনোয়ার হোসেন মানিক, অ্যাড. আক্তার হোসেন সরকার, মো. বোরহান খান, শিরিন ফারজানা আফরোজ ( রোজি), আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, আ. শহীদ ঢালী, মফিজ মোল্লা  ও ইষিতা বেগম।
চাঁদপুর সদর উপজেলা বিএনপি নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি : আহ্বায়ক মো. শাহজালাল মিশন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হযরত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. জাকির হোসেন ফয়সাল, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী খাঁন, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. তাফাজ্জল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন সাগর, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. জসিম মেহেদী, সদস্য সচিব অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, সদস্য : আলমগীর আলম জুয়েল, একেএম ফজলুল হক সেলিম, আ.মান্নান খান, মনিরুজ্জামান মানিক, আলাউদ্দিন তালুকদার, কাজী জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, আবু তাহের মিজি খোকা, মাসুদ পারভেজ বাবু পাটোয়ারী, মো. বারেক খন্দকার, জাকির হোসেন তালুকদার, মোশারফ সিকদার, গাজী মোহাম্মদ মাসুদ রায়হান, বরকতউল্লা খান, শরীফ আহমেদ খান, শাহ নেওয়াজ সরকার মিলন, অ্যাড. আলম খান মঞ্জু, অ্যাড. শিরীন সুলতানা মুক্তা, সাহানারা বেগম শানু, নাসরিন আক্তার, ওয়াহিদা আক্তার মুন্নি, চান মিয়া চৌকিদার, আমির হোসেন গাজী ও আনিসুর রহমান পিটার।

হাইমচর উপজেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি : আহ্বায়ক মো. আমিন উল্যাহ বেপারী, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল খালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী ইসাহাক খোকন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান শেখ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হারুনুর রশিদ গাজী, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বিল্লাল হোসেন আখন, যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল হক বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক সরদার মোঃ আবু তাহের, সদস্য সচিব মো. মাজহারুল ইসলাম (শফিক), সম্মানিত সদস্য : এ কে এম মহিববুল্লাহ, মো. আ. কুদ্দুস মেহনতী, মো. নাসিরুদ্দিন মোল্লা, জয়নাল আবেদীন মাস্টার, সালাহ উদ্দিন হাওলাদার, মো. কামাল হোসেন বাচ্চু, মো. ওবায়েদ উল্লাহ, মো. খোরশেদ আলম চৌকিদার, মো. মনির শিকদার, মো. নজরুল হক মাষ্টার, আবুল বাশার মাঝি, নজির আহম্মেদ দেওয়ান, মো. জানাল ফাজাল, মো. মাহবুব আলম জিতু, মো. রুহুল আমিন মিজি, মো. খলিলুর রহমান মাস্টার, মো. আক্তার হোসেন হাওলাদার, আবুল কালাম আজাদ, জহিরুল ইসলাম মাঝি, মো. দিদারুল ইসলাম জমাদার ও মো. বোরহান উদ্দিন জোটন।

চুরি যাওয়া অর্থ ফেরাতে বিশ্বনেতাদের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ
চুরি যাওয়া অর্থ ফেরাতে বিশ্বনেতাদের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

চুরি হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মিত্রদের সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ২য় দিনে দেওয়া বক্তব্যে নেতাদের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টা জার্মানির ফেডারেল চ্যান্সেলারির প্রধান ও ফেডারেল মিনিস্টার ফর স্পেশাল টাস্কস ওল্ফগ্যাং স্মিড, বেলজিয়ামের রাজা কিং ফিলিপ, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল ডিপার্টমেন্ট ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স ফেডারেল কাউন্সিলর ইগনাজিও ক্যাসিস, দুবাই কালচার অ্যান্ড আর্টস অথরিটির চেয়ারপারসন শেখ লতিফা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভার ফাঁকে অন্যদের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি, সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন। প্রতি বছরের জানুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের পার্বত্য শহর দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক ইউনূস এখানে এবার ভিন্ন ভূমিকায় এসেছেন উল্লেখ করে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, তিনি এখন সরকারপ্রধান। তিনি এখনো এখানকার সবচেয়ে জনপ্রিয় বক্তাদের একজন। তবে এবার তিনি খুব কমই তার মূল ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। ড. ইউনূস একটি নতুন বাস্তব জীবনের গল্প নিয়ে এসেছেন। কীভাবে বাংলাদেশের তরুণরা একটি ‘স্বৈরশাসক’-কে হটিয়েছিল, কীভাবে তাদের চিন্তাধারা একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করছে এবং কীভাবে দেশ পুনর্গঠিত হচ্ছে।

বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, শেখ হাসিনার ১৬ বছরের দুর্নীতিগ্রস্ত শাসনামলে বাংলাদেশে কীভাবে ‘প্রকাশ্য দিবালোকে ডাকাতি’ সংঘটিত হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে শীর্ষ বিশেষজ্ঞ, থিংক ট্যাংক, সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

আজাদ মজুমদার জানান, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক (সিনিয়র সচিব) লামিয়া মোরশেদ, জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

লুৎফে সিদ্দিকী চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে সরকারের প্রচেষ্টা সম্পর্কে জার্মান মন্ত্রী ভোল্ফগ্যাং স্মিডকে অবহিত করে বলেন, সরকার এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে একটি সম্পদ পুনরুদ্ধার কমিটি এবং একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে সরকার প্রাথমিকভাবে শীর্ষ ২০ অর্থ পাচারকারীকে টার্গেট করেছিল।

দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস জার্মান মন্ত্রীকে বলেন, আমরা যখন নতুন বাংলাদেশের কথা বলি, তখন পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশের কথাও বলি।

প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে জার্মানির সমর্থন কামনা করে দেশটির মন্ত্রীর সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা করেন। এ সময় জার্মান মন্ত্রী বলেন, আগামী এপ্রিলে জার্মানির একটি নতুন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নেপালের জলবিদ্যুতের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ভারত, নেপাল ও ভুটানকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশ একটি অর্থনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চায়। নেপাল বিদ্যুৎ বিক্রি করতে সত্যিই প্রস্তুত এবং বাংলাদেশ তাদের জন্য একটি ভালো বাজার। এটি প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা সুইস ফেডারেল কাউন্সিলর ইগনাজিও ক্যাসিসের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও জলবায়ু অর্থায়নসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তিনি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে বাংলাদেশের কার্বন ধরে রাখার প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে সুইজারল্যান্ডকে অনুরোধ জানান। ড. ইউনূস সুইজারল্যান্ডকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগান। কারণ দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই ২৭ বছরের কম বয়সী তরুণ।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার পরিকল্পনা এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিশ্বনেতাদের অবহিত করেন। এ সময় জার্মান মন্ত্রী ও সুইস কাউন্সিলরের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা করেন। বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ ও কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে অবহিত করা হয়, বেলজিয়ামের একজন যুবরাজের নেতৃত্বে একটি গ্রুপের চালু করা একটি ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি কীভাবে আফ্রিকার দেশটিতে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন সংরক্ষণের আকার প্রসারিত করতে সহায়তা করেছে। প্রিন্স ইমানুয়েল ডি মেরোডের প্রতিষ্ঠিত একটি গ্রুপ সংঘাতপ্রবণ কঙ্গোলিজ অঞ্চলে ক্ষুদ্রঋণ চালু করেছিল। তিনি বলেন, সংঘাতের পর কঙ্গোলিজ বন এখন ব্রিটেনের আকারের দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আর ক্ষুদ্রঋণ সেখানে ২১ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১১ শতাংশ প্রাক্তন যোদ্ধা। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি এ অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে বড় ভূমিকা পালন করেছে বলেও জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিনাওয়াত্রার সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট ও জাহাজ চলাচলসহ অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গা সংকট দ্রুত সমাধান করতে চাই, কারণ আরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে। বিশ্বের অন্যতম কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী সিনাওয়াত্রা বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবের পর দুই দেশের মধ্যে তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, থাই প্রধানমন্ত্রীর বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার বড় ভক্ত ছিলেন। দারিদ্র্য, সম্পদের কেন্দ্রীয়করণ, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে একটি আত্মবিধ্বংসী সভ্যতাকে বাঁচানোর ‘থ্রি জিরো’ ধারণা সম্পর্কে থাই প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা সিনাওয়াত্রাকে বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ৫৮টি দেশে প্রায় পাঁচ হাজার থ্রি জিরো ক্লাব রয়েছে। থাই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছরের এপ্রিলে ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি বিমসটেকের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন।

বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের ৭টি দেশ বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড নিয়ে বিমসটেক গঠিত। গত সোমবার বিমসটেক সদর দপ্তর তথ্য জানিয়েছে, এটি সাতটি বিস্তৃত খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা অনুসরণ করে। এগুলো হলো কৃষি ও খাদ্য সুরক্ষা, কানেক্টিভিটি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, নিরাপত্তা, এবং বাণিজ্য-বিনিয়োগ ও উন্নয়ন।এই সহযোগিতাটি ৮টি উপক্ষেত্রকেও অন্তর্ভুক্ত করে ব্লু ইকোনমি, মাউন্টেন ইকোনমি, জ্বালানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়ন। প্রধান উপদেষ্টা আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে এবং এর পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি থাইল্যান্ডের সমর্থন কামনা করেন। সূত্র : ইউএনবি

আবারো নতুন দাবানল গ্রাস করছে লস অ্যাঞ্জেলেসকে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ
আবারো নতুন দাবানল গ্রাস করছে লস অ্যাঞ্জেলেসকে

ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দাবানলের ক্ষত না সারতেই নতুন আরেকটি দাবানল হানা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। নতুন দাবানলটি দ্রুত গ্রাস করছে শহরটির উত্তরাঞ্চলকে। ফলে এ এলাকার প্রায় ৩১ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আগুনের ভয়াবহতায় ইতোমধ্যে জারি করা হয়েছে রেড-ফ্ল্যাগ সতর্কতা। সেইসঙ্গে অর্ধলক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার (২২ জানুয়ারি) থেকে শুরু এ দাবানল ইতোমধ্যে ৩৯ বর্গকিলোমিটার এলাকা গ্রাস করেছে। প্রবল বাতাস ও শুকনো ঝোপঝাড়ের কারণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে আগুন। লস অ্যাঞ্জেলস থেকে প্রায় ৫০ মাইল (৮০ কিলোমিটার) উত্তরে হিউজ ফায়ার নামে পরিচিত এই আগুন ইতোমধ্যেই অঞ্চলটির দমকল বাহিনীর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে। তারা ইতোমধ্যে মেট্রোপলিটন এলাকায় জ্বলতে থাকা দুটি বড় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন এই আগুন অতি সাম্প্রতিক ইটন ফায়ারের অর্ধেক আকার ধারণ করে। ইটন ফায়ার এই মাসের শুরুর দিকে লস অ্যাঞ্জেলস অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া সবচেয়ে ভয়াবহ দুটি দাবানলের একটি। রেড-ফ্ল্যাগ জারির পর লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির কাস্টেইক লেক এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, তারা চরম মৃত্যুঝুঁকির মধ্যে আছেন। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বেশিরভাগ এলাকা এখনো শক্তিশালী, শুষ্ক বাতাসের কারণে চরম অগ্নি-ঝুঁকির জন্য রেড-ফ্ল্যাগ সতর্কতার অধীনে রয়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা জানিয়েছেন, প্রায় ৩১ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আরও ২৩ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি, ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য এবং মার্কিন বন পরিষেবা তাদের দমকল কর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে পাঠিয়েছে। এদিকে অ্যাঞ্জেলেস ন্যাশনাল ফরেস্ট বিভাগ জানিয়েছে, তাদের ৭ লাখ একর (২,৮০০ বর্গকিলোমিটার) বন সম্পূর্ণভাবে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া বন ও অগ্নি সুরক্ষা বিভাগ (ক্যাল ফায়ার) জানিয়েছে, ১১০০ দমকল কর্মী দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় গত ৯ মাস ধরে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি, যা বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তবে শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত কিছু বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এই বৃষ্টি হলে দমকল কর্মীদের জন্য বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বস্তি বয়ে আনতে পারে।

কুয়াশায় মুড়িয়ে রয়েছে সারাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
কুয়াশায় মুড়িয়ে রয়েছে সারাদেশ

বুধবার (২২ জানুয়ারি) কুয়াশার দাপটে সারাদেশে সূর্য উঁকি দিতে বেলা গড়িয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি ২০২৫) সকাল থেকেই কুয়াশায় মুড়িয়ে রয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ। তাতে সকাল থেকেই গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ শীত একটু বেশি অনুভূত হচ্ছে। কুয়াশার এ চিত্র শুধু রাজধানীতেই নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও রয়েছে এর দাপট। সূর্যের দেখা মিলতে দেরি হওয়ায় অনেক এলাকায় তাপমাত্রার পারদও নিচের দিকে। তাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, চাঁদপুরসহ কয়েকটি জেলার মানুষ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে, তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া ৫ দিনের প্রথম দিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।