খুঁজুন
                               
বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ২৫ আষাঢ়, ১৪৩২

কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল করা তিনজন গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫, ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ
কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল করা তিনজন গ্রেপ্তার

রোববার (২৯ জুন) রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামের ফজর আলী একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকার লোকজনের হাতে আটক ও প্রহৃত হন। পরবর্তী সময়ে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যান ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

সংবাদ পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করে। ভিকটিমের লিখিত এজহারের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়।  এ ঘটনায় মুরাদনগর থানা পুলিশ ধর্ষককে গ্রেপ্তারপূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ঘটনার ভিডিও ধারণ করে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে তাদের মধ্যে তিনজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুমিল্লার মুরাদনগরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফজর আলী নামে (৩৮) এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী।

নিরাপত্তা খাত সংস্কারে র‍্যাব বিলুপ্তি বিবেচনা করতে হবে: ডব্লিউজিইআইডি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ১:৩১ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তা খাত সংস্কারে র‍্যাব বিলুপ্তি বিবেচনা করতে হবে: ডব্লিউজিইআইডি

নিরাপত্তা খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) বিলুপ্ত করার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত—এমন সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের আওতাধীন জোরপূর্বক গুমসংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সেস (ডব্লিউজিইআইডি)। একই সঙ্গে তারা বলেছে, যারা গুমের মতো গুরুতর অপরাধে জড়িত নন, র‍্যাবের সেই সদস্যদের নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠাতে হবে।
ডব্লিউজিইআইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইকে কেবলমাত্র সামরিক গোয়েন্দা কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সংস্থাটির দায়িত্ব, কর্তৃত্ব এবং বাজেট কাঠামো স্পষ্ট ও সীমিত করার প্রস্তাবও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
প্রসঙ্গত, গত জুনে বাংলাদেশ সফর করে ডব্লিউজিইআইডির কারিগরি প্রতিনিধি দল। সফরকালে তারা সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী প্রধান, পুলিশ, গুম কমিশন এবং গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সফর শেষে ২৫ জুন তারা প্রতিবেদনটি সরকারকে পাঠায়।
এর আগে র‍্যাবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে বাহিনীটি বিলুপ্তির সুপারিশ করেছিল গঠিত গুম কমিশন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের তথ্যানুসন্ধানী দল এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
ডব্লিউজিইআইডি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশে সংঘটিত অধিকাংশ গুমের ঘটনায় র‍্যাব প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। ডিজিএফআইও কিছু ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত ছিল বলে উল্লেখ করা হয়। তারা বলেছে, এসব বাহিনীর সদস্যদের একটি বড় অংশ এখনও নিজ নিজ পদে বহাল রয়েছেন, যা বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ণ করছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর মধ্যে জবাবদিহির অভাব এবং দায়মুক্তির সংস্কৃতি গুমের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রধান প্রতিবন্ধক। ডব্লিউজিইআইডি মনে করে, সংস্থাগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপন করতে হলে, প্রকৃত অর্থে নিরপেক্ষ তদন্তে সহযোগিতা এবং অপরাধীদের অপসারণ নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর র‍্যাবের অভ্যন্তরে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘র‍্যাব একটি সরকারি আদেশে গঠিত বাহিনী, কাজেই সরকার চাইলে সদস্যরা নিজ নিজ বাহিনীতে ফিরে যাবে।’ তবে বাহিনীর অনেক ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। তার মতে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের মাধ্যমে র‍্যাবকে কার্যকর রাখা সম্ভব।
জুলাই-পরবর্তী মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ‘আফটার দ্য মনসুন রেভল্যুশন: এ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ প্রতিবেদনটি ইউরোপ ও আমেরিকার কূটনীতিকদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়।
প্রতিবেদন প্রকাশের সময় কয়েকটি ইউরোপীয় রাষ্ট্রের কূটনীতিক র‍্যাব বিলুপ্তি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পশ্চিমা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘র‍্যাব গঠনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু একইসঙ্গে তারা জঙ্গিবাদ ও গুরুতর অপরাধ দমনেও কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। এখন বাহিনীটি বিলুপ্ত হলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা তৈরি হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘র‍্যাব গঠনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ভূমিকা ছিল। সে সময় বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় এ বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা ছিল। তবে র‍্যাব পরবর্তীতে ভাড়াটে বাহিনীর মতোও ব্যবহৃত হয়েছে, যা দুঃখজনক।’
একই আলোচনায় অংশ নেওয়া আরেক কূটনীতিক মনে করেন, বাহিনীটি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের কারণে জবাবদিহিহীন হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার চেষ্টা করলেও র‍্যাবকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে পুনর্গঠনের কাজ কঠিন হবে। বাহিনীটি অতীতে ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত নির্যাতনকেন্দ্র পরিচালনা করত, যার বেশ কিছু আলামত এখন ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।’
এই কূটনীতিকের মতে, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সরকার ফিরে এলে বাহিনীর পুরনো রূপে ফেরার সম্ভাবনা থেকেই যায়। কারণ অতীতে ক্ষমতাসীন যে দলই হোক, র‍্যাবকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। কাজেই র‍্যাব বিলুপ্ত না করে সংবিধান ও মানবাধিকার অনুযায়ী সংস্কার করাই হতে পারে সবচেয়ে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিজিএম জাহিদ হোসেন জাতীয়তাবাদী আদর্শের আস্থার প্রতীক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ১:০৩ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিজিএম জাহিদ হোসেন জাতীয়তাবাদী আদর্শের আস্থার প্রতীক

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন বি-৯৮৫ সিবিএ, আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে গড়ে উঠা একটি শ্রমিক সংগঠন। গত ১৭ বছর এ সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী সমর্থকরা হত্যা, নির্যাতন, নিপিড়ন, চাকুরীচ্যুত, সাসপেন্ডের শিকার হয়েছেন। অনেকে অপমান অপদস্থ হয়ে চাকুরী ছেড়ে চলে গেছেন। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কিছু সংখ্যক উর্ধ্বর্তন কর্মকর্তা ও কর্মচারী টিকে গেছে। জাহিদ হোসেন কঠিন দুঃসময়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে কাজ করেছেন।
গোপনে তিনি সংগঠনের কর্মী ও নিগৃহিত সমর্থকদের খোজ-খবর রাখতেন এবং সহযোগিতা করতেন। যে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক যে সকল ব্যবস্থা নেওয়া হতো তিনি গোপনে সেগুলো নিয়ে কাজ করতেন এবং পজিটিভ কর্মীদের রক্ষা করার চেষ্টা করতেন। ‘জুলাই’ আন্দোলনে জাহিদ হোসেন কর্মকর্তাদের এবং সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে মাঠে ছিলেন। ৫ আগস্টের পর জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বেই ব্যাংকের সকল জাতীয়তাবাদী মন্য কর্মকর্তারা ঐক্যবদ্ধ হোন এবং এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন বি-৯৮৫ সিবিএ এর সাথে যৌথ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সংস্কার কার্যক্রম : সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে গত ৫ আগস্টের পর যখন ব্যাংকের শীর্ষ প্রশাসনিক পদে শূন্যতা ছিলো। তখন তিনি ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে কর্মীবান্ধব এবং দক্ষতা-ভিত্তিক সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পদোন্নতি ও সুবিধাদি : তার নেতৃত্বে সুপারভাইজার ও অফিসার পর্যায়ে বিগত সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও, কর্মপরিবেশের উন্নতি, গৃহঋণ কর্তনহার সহনীয় পর্যায়ে আনা, এবং আহার ও ক্লোজিং ভাতা বৃদ্ধির মতো নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
অর্গানোগ্রাম সংশোধন : ব্যাংকের অর্গানোগ্রাম সংশোধনের মাধ্যমে নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, যা তার নেতৃত্বেই সম্পন্ন হয়েছে।
“জাতীয়তাবাদ ফোরাম”: তিনি “জাতীয়তাবাদ ফোরাম” নামে একটি প্ল্যাটফর্মের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন। এটি জাতীয়তাবাদী চিন্তা ও আদর্শে বিশ্বাসী একদল কর্মকর্তা-কর্মচারীর একটি সংগঠন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অংশগ্রহণ : প্রশাসনিক কাজের বাইরেও তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সক্রিয়। তিনি বাংলাদেশ ব্রিজ দলের একজন সদস্য এবং বিশ্ব ব্রিজ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
২৪ সালে এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নোয়াখালী সেনবাগ, লক্ষীপুর ও ফেনী, শেরপুরের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের ১৪ লক্ষ টাকার ত্রাণ বিতরন কার্যক্রম করেন। প্রতিটি জাতীয় দিবস ঐক্যবদ্ধভাবে পালন করেন। গত ৩০ মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর শাহাদাৎবার্ষিকি অনুষ্ঠান তিন দিনব্যাপী উৎযাপন করেন। তাই জাহিদ হোসেন জাতীয়তাবাদী আদর্শের আস্থার প্রতীক।

ভোলা থেকে ১০ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
ভোলা থেকে ১০ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোলা থেকে ১০টি রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এর মধ্যে ইলিশা-মজুচৌধুরীর হাট নৌরুটে টানা ৫ দিন ধরে লঞ্চ ও সিট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোলা নদী বন্দর কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেন বলেন, অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। নদী বন্দরে এক নম্বর সংকেত থাকলেও কিছু রুটে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ওইসব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, ভোলার অভ্যন্তরীণ ১০টি রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- দৌলতখান-আলেকজান্ডার-মির্জাকালু রুট, বেতুয়া-ঢাকা রুট, হাতিয়া-মনপুরা রুট, চরফ্যাশন-মনপুরা রুট, চরফ্যাশন রুট, হাতিয়া রুট, মনপুরা রুট, তজুমদ্দিন-ঢাকা রুটসহ অন্যান্য অভ্যন্তরীণ রুট। নোয়াখালীর মাইজদির যাত্রী রবিউল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কুয়াকাটা ঘুরতে গিয়েছিলাম। এখন লক্ষ্মীপুর হয়ে বাড়ি ফিরবো ভেবেছিলাম। কিন্তু ইলিশা ঘাটে এসে দেখি লঞ্চ বা সিট্রাক কিছুই নেই। ফেরিতে গেলে সময় অনেক বেশি লাগে। আর সকালে না আসলে ফেরিও পাওয়া যায় না। বিকল্প হিসেবে মাছ ধরার ট্রলার ব্যবহার করতে হচ্ছে যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে দ্রুত সিট্রাক ছাড়ার ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনো রুটেই লঞ্চ বা সিট্রাক চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে না।