খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২

গরমে কিশমিশ ভেজানো পানি পান করা কেন জরুরি?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ
গরমে কিশমিশ ভেজানো পানি পান করা কেন জরুরি?

গরমের সময়ে তাপ তীব্র হওয়ার সাথে সাথে, হাইড্রেটেড থাকা এবং সর্বোত্তম স্বাস্থ্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেজন্য যদিও সাধারণ পানি অপরিহার্য, তবে একটি সহজ কিন্তু শক্তিশালী পানীয় আছে যা আপনি হয়তো খেয়াল করেননি, সেটি হলো কিশমিশ ভেজানো পানি। পানিতে কিশমিশ ভিজিয়ে তৈরি করা হয় এই পানীয়। তবে এটি কেবল সুস্বাদুই নয়, এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. প্রাকৃতিক শক্তি বৃদ্ধিকারী : কিশমিশ ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজের একটি প্রাকৃতিক উৎস, যা প্রাকৃতিকভাবে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে। কিশমিশের পানিতে চুমুক দিলে গ্রীষ্মের ক্লান্তি দূর হবে এবং সারাদিন আপনাকে সতেজ বোধ করতে সাহায্য করবে। সহজলভ্য চিনি সহজেই হজম হয়, যা ওয়ার্কআউটের আগে বা পরে একটি কার্যকরী পানীয় হতে পারে।

২. মৃদু ডিটক্সিফিকেশন : লিভার এবং কিডনি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ ফিল্টার করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে। কিশমিশের পানি তাদের সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভেজানো কিশমিশের যৌগগুলো লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে সহায়তা করে কিশমিশের পানি হালকা ভাব এবং সামগ্রিক সুস্থতায় অবদান রাখতে পারে।

৩. হজম সহায়ক : গ্রীষ্মকালে খাদ্যাভ্যাস এবং রুটিনে পরিবর্তন কখনো কখনো হজমের অস্বস্তির কারণ হতে পারে। কিশমিশ খাদ্যতালিকাগত ফাইবারের একটি ভালো উৎস, যা সুস্থ অন্ত্রের গতিবিধি বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ফাইবার নরম হয়, হজম করা সহজ হয় এবং সম্ভাব্যভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। প্রতিদিন এক গ্লাস কিশমিশের পানি একটি মসৃণ এবং আরামদায়ক হজম ব্যবস্থা বজায় রাখতে কাজ করে।

৪. খনিজ পদার্থে ভরপুর : গ্রীষ্মের তাপে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হলে গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্ট্রোলাইটের ক্ষতি হতে পারে। কিশমিশের পানিতে প্রাকৃতিকভাবে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ থাকে। তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং পেশীর খিঁচুনি প্রতিরোধে পটাসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়াম স্নায়ু এবং পেশীর কার্যকারিতায় সহায়তা করে। আয়রন ক্লান্তি মোকাবিলায় সাহায্য করে এবং শক্তির মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। কিশমিশের পানি দিয়ে এই খনিজগুলো পূরণ করলে আপনি শক্তিতে ভরপুর থাকতে এবং ডিহাইড্রেশন-সম্পর্কিত সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারবেন।

৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডার : গরমের সময়ে সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মির সংস্পর্শে আসা বেড়ে যায়, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণ হতে পারে। কিশমিশ ফেনোলিক যৌগ সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, ফ্রি মুক্ত র‍্যাডিকেলের প্রভাব দূর করতে এবং কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। কিশমিশের পানি পান করলে তা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষায় অবদান রাখতে পারে, যা দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে এবং সুস্থ বার্ধক্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

বর্তমান সময়ের জীবনযাত্রা বিগত এক দশকের থেকে অনেকটাই আলাদা। এখন সবাই নিজের কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার প্রভাব দেখা যায় আমাদের স্বাস্থ্যেও বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। প্রসেসড খাবার, ডিজিটাল জীবনযাপন ও শারীরিক সক্রিয়তার ঘাটতি মিলিয়ে তরুণদের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে স্থূলতা। আর এই স্থূলতা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য বা ওজনের বিষয় নয়, বরং ডেকে আনছে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি।
হিন্দুস্তান টাইমস নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. পিয়ুষ রঞ্জন জানান, স্থূল কিশোররা ভবিষ্যতে মারাত্মক লিভার রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তার মতে, ভারতে কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার রোগের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ। এদের অনেকেই পরবর্তীতে সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে।
স্থূলতার ঝুঁকি: ডা. রঞ্জনের মতে, চিকিৎসাবিহীন স্থূলতা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে—কোলন, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় স্থূল মানুষের লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন হলেও, স্থূলতা ও লিভার জটিলতার সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
প্রতিরোধের উপায়: তরুণ প্রজন্মকে এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে ডা. রঞ্জন কয়েকটি প্রতিরোধমূলক পরামর্শ দিয়েছেন—
> সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলা।
> তেল–চর্বিযুক্ত ও উচ্চ-ক্যালরির খাবার এড়িয়ে চলা।
> অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া।
> নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাবে।
তরুণদের মধ্যে স্থূলতার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা শুধু আজকের নয়, ভবিষ্যতেরও ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। ডা. পিয়ুষ রঞ্জনের পরামর্শ স্পষ্ট সুস্থ জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এখনই সচেতন হলে কেবল ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা লিভারের রোগই নয়, অসংখ্য জটিলতা থেকে নিজেদের বাঁচানো সম্ভব।

ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ণ
ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অঞ্জলির (ছদ্মনাম) এই দুঃস্বপ্নের শুরুটা হয়েছিল একটা ফোন কলের মাধ্যমে। যার জন্য শেষপর্যন্ত তাকে পাঁচ কোটি পঁচাশি লাখ টাকা খোয়াতে হয়। ওই ফোন কলের সময় অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে একটা কুরিয়ার সংস্থার কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়ে দাবি করেছিলেন, মুম্বাই কাস্টমস বেইজিংয়ে পাঠানোর সময় অঞ্জলির একটা পার্সেল বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই পার্সেলে মাদক পাওয়া গেছে।
গুরুগ্রামের বাসিন্দা অঞ্জলি বাস্তবে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। এতে অভিযুক্তরা ভিডিও কল করে নিজেদের ভারতের আর্থিক তদারকি প্রতিষ্ঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির কর্মকর্তা বলে দাবি ফাঁদে ফেলে।
এর জন্য প্রতারকরা সাধারণত ভুক্তভুগীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার বা পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অঞ্জলিকে টানা পাঁচ দিন ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রাখা হয়েছিল। স্কাইপ কলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রেখে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল; যাতে তিনি টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য হন।
অঞ্জলির কথায়, এরপর আমার মাথা কাজ করা বন্ধ দেয়। অসাড় হয়ে গিয়েছিলাম। যতক্ষণে ওই ফোনকল বন্ধ হয়, ততদিনে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন অঞ্জলি, নিজের সমস্ত সম্পত্তিও খুইয়েছেন।