খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২

চাঁদপুরে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের তৈরি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:১৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের তৈরি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী

এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চাঁদপুরে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পাটজাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়কের চাঁদপুর মহিলা সংসদ মিনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই) আয়োজনে এবং চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় এইকর্মশালায় অংশ নেওয়া ৩০ জন নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী।‌ চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মনিরা আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দৈনিক যুগান্তরের সিটি এডিটর সাংবাদিক মিজান মালিক, জেলা মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাসিমা আক্তার, চাঁদপুর মহিলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও উইমেন চেম্বারের পরিচালক বেবী আকন্দ, বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষক কাজী আশরাফুল হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী বলেন, পাট শিল্প বাংলাদেশের সোনালী আঁশ বলে গোটা পৃথিবীতে খ্যাত ছিল। এই শিল্পকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরে বৃহৎ আকারে দুটি পাটকল স্থাপন করা হয়। ওই সময়ে চাঁদপুরের পাট শিল্পের সুনাম গোটা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। কালের পরিক্রমায় বাংলাদেশের পাটশিল্প অনেকটাই বিলুপ্তের পথে। চাঁদপুরের দুটি পাটকলও খুঁড়েয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। তবে গেল কয়েক বছর পাট শিল্প কিছুটা জৌলুস ফিরে পেয়েছে। সরকার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পলিথিন নিষিদ্ধ করেছে। এতে করে পাট শিল্পের বিপুল সম্ভাবনার দার উন্মোচিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং চাঁদপুর উইমেন চেম্বার এর আয়োজনে স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে বহুমুখী পাটজাত পণ্য তৈরী বিষয়ক পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে। এটি একটি সময়ুপোযোগী সিদ্ধান্ত। আমরা এই প্রশিক্ষণের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং অংশ নেয়া প্রশিক্ষণার্থীদের আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানাই। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের চাঁদপুরে নারী উদ্যোক্তারা অনেক বেশি উপকৃত হয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক মিজান মালিক বলেন, নারী উদোক্তাদের এগিয়ে নিতে এ ধরণের প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এখন প্রয়োজন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেওয়া নারী উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা। তাদের তৈরি পাটজাত পণ্য বিক্রয়, বিপণন এবং প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা। এ বিষয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নারী উদোক্তাদের এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে আমরা উইমেন চেম্বার পাশে আছি।

এ বিষয়ে চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি মনিরা আক্তার বলেন, চাঁদপুরে অসংখ্য মেধাবী নারী আছে যারা নিজের অঙনে থেকেও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাদের জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত প্রশিক্ষণ। আমরা উইমেন চেম্বারের পক্ষ থেকে সে সব নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে তাঁদের যোগ্যতাকে কাজে লাগাতে চাই। আমরা চাই নারীরা তাদের যোগ্যতা নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াক। আমরা আগামীতে এ ধরনের আরো প্রশিক্ষণ দিব এবং উদোক্তাদের বানানো পণ্য বাজারজাত করার জন্য চেম্বারের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা চাঁদপুরে শক্তিশালী পাঁচশত উদোক্তা তৈরি করতে চাই। যাদের পণ্য জাতিয় পর্যায় থেকে বিশ্ববাজারে যাবে। দেশ বিদেশ থেকে ক্রতা আসবে পণ্য অর্ডার করতে। তিনি আরো জানান, দেশে বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্য সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে‌। যার অংশ হিসেবে এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশব্যাপী নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। উদ্যোক্তাদেরও এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য তানিয়া ইসলাম এবং রাখি মনি সিনহার যৌথ পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেওয়া নারী উদ্যোক্তা সুমাইয়া নাজমীন, ফাহিমা মাহজাবীন, উম্মে কুলসুম, তুষমি, সাদিয়া, মালিহা ইসলাম, অর্পিতা মজুমদার।

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

বর্তমান সময়ের জীবনযাত্রা বিগত এক দশকের থেকে অনেকটাই আলাদা। এখন সবাই নিজের কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার প্রভাব দেখা যায় আমাদের স্বাস্থ্যেও বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। প্রসেসড খাবার, ডিজিটাল জীবনযাপন ও শারীরিক সক্রিয়তার ঘাটতি মিলিয়ে তরুণদের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে স্থূলতা। আর এই স্থূলতা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য বা ওজনের বিষয় নয়, বরং ডেকে আনছে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি।
হিন্দুস্তান টাইমস নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. পিয়ুষ রঞ্জন জানান, স্থূল কিশোররা ভবিষ্যতে মারাত্মক লিভার রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তার মতে, ভারতে কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার রোগের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ। এদের অনেকেই পরবর্তীতে সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে।
স্থূলতার ঝুঁকি: ডা. রঞ্জনের মতে, চিকিৎসাবিহীন স্থূলতা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে—কোলন, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় স্থূল মানুষের লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন হলেও, স্থূলতা ও লিভার জটিলতার সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
প্রতিরোধের উপায়: তরুণ প্রজন্মকে এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে ডা. রঞ্জন কয়েকটি প্রতিরোধমূলক পরামর্শ দিয়েছেন—
> সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলা।
> তেল–চর্বিযুক্ত ও উচ্চ-ক্যালরির খাবার এড়িয়ে চলা।
> অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া।
> নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাবে।
তরুণদের মধ্যে স্থূলতার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা শুধু আজকের নয়, ভবিষ্যতেরও ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। ডা. পিয়ুষ রঞ্জনের পরামর্শ স্পষ্ট সুস্থ জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এখনই সচেতন হলে কেবল ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা লিভারের রোগই নয়, অসংখ্য জটিলতা থেকে নিজেদের বাঁচানো সম্ভব।

ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ণ
ডিজিটাল প্রতারণায় কয়েক কোটি টাকা খোয়ালেন ভারতীয় নারী

অঞ্জলির (ছদ্মনাম) এই দুঃস্বপ্নের শুরুটা হয়েছিল একটা ফোন কলের মাধ্যমে। যার জন্য শেষপর্যন্ত তাকে পাঁচ কোটি পঁচাশি লাখ টাকা খোয়াতে হয়। ওই ফোন কলের সময় অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে একটা কুরিয়ার সংস্থার কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়ে দাবি করেছিলেন, মুম্বাই কাস্টমস বেইজিংয়ে পাঠানোর সময় অঞ্জলির একটা পার্সেল বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই পার্সেলে মাদক পাওয়া গেছে।
গুরুগ্রামের বাসিন্দা অঞ্জলি বাস্তবে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। এতে অভিযুক্তরা ভিডিও কল করে নিজেদের ভারতের আর্থিক তদারকি প্রতিষ্ঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির কর্মকর্তা বলে দাবি ফাঁদে ফেলে।
এর জন্য প্রতারকরা সাধারণত ভুক্তভুগীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার বা পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অঞ্জলিকে টানা পাঁচ দিন ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রাখা হয়েছিল। স্কাইপ কলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রেখে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল; যাতে তিনি টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য হন।
অঞ্জলির কথায়, এরপর আমার মাথা কাজ করা বন্ধ দেয়। অসাড় হয়ে গিয়েছিলাম। যতক্ষণে ওই ফোনকল বন্ধ হয়, ততদিনে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন অঞ্জলি, নিজের সমস্ত সম্পত্তিও খুইয়েছেন।