খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২

মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের বিরোধী : ফিরে আসবে ভয়ের সংস্কৃতি

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:৫২ অপরাহ্ণ
মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের বিরোধী : ফিরে আসবে ভয়ের সংস্কৃতি

মানব সভ্যতার অগ্রগতি ও বিকাশের প্রধান চালিকা শক্তি হলো মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। গণতান্ত্রিক ও উদারনৈতিক সমাজব্যবস্থা এই দুই মূলনীতির ওপর ভিত্তি করেই গড়ে ওঠে। ইতিহাস সাক্ষী, যখনই মুক্তচিন্তার উপর দমননীতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তখনই সমাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আধুনিক যুগেও বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সমাজে মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দমনমূলক সংস্কৃতি পুনরায় ফিরে আসছে। ভয় ও নিপীড়নের এই সংস্কৃতি ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের ওপর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নতুন কোনো ধারণা নয়। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, বিভিন্ন সময় এই অধিকার রক্ষার জন্য ব্যক্তি ও সমাজকে বিরাট মূল্য দিতে হয়েছে। প্রাচীন গ্রিসে সক্রেটিস মুক্তচিন্তার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তার অনুসন্ধিৎসু মনোভাব ও প্রচলিত বিশ্বাসকে প্রশ্ন করার ক্ষমতা শাসকদের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে। ফলে, তাকে হেমলক বিষপান করিয়ে হত্যা করা হয়। রেনেসাঁ যুগে বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলেই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতার মুখে পড়েন, কারণ তিনি সূর্যের চারদিকে পৃথিবী ঘোরে এই বৈজ্ঞানিক সত্য প্রচার করেছিলেন। তাকে বাধ্য করা হয়েছিল নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করতে, যা মুক্তচিন্তার বিরুদ্ধে দমননীতির একটি অন্যতম দৃষ্টান্ত।
মুক্তচিন্তা হলো এমন একটি মানসিক প্রবণতা, যেখানে ব্যক্তি নিজস্ব যুক্তি, অভিজ্ঞতা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিশ্বাস ও মতামত গড়ে তোলে, বাইরের চাপ বা প্রচলিত মতামতের উপর নির্ভর না করে। অন্যদিকে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হলো সমাজের যে কোনো বিষয় নিয়ে দ্বিধাহীনভাবে মতামত প্রকাশ করার অধিকার, যা ব্যক্তি ও গণমাধ্যম উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। এই দুই নীতির গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যক্তি যখন মুক্তভাবে চিন্তা করতে পারে, তখনই নতুন নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের পথ উন্মোচিত হয়। আর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকলে গণতন্ত্র সুসংহত হয়, কারণ জনগণ সরকারের কার্যক্রম নিয়ে কথা বলতে পারে এবং সমাজের বিভিন্ন সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারে।
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে ও সমাজে মুক্তচিন্তার বিরোধী শক্তিগুলো আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই প্রবণতার পেছনে কাজ করছে— স্বাধীন মতপ্রকাশ ও মুক্তচিন্তা সবসময়ই স্বৈরাচারী শাসকদের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কারণ গণতান্ত্রিক পরিসরে প্রশ্ন তোলা হলে তাদের কর্তৃত্ব দুর্বল হয়। ফলে, তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করে— যেমন, বিরোধী মত দমন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সংকুচিত করা এবং ডিজিটাল নজরদারির মাধ্যমে নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণ করা। মুক্তচিন্তা অনেক সময়ই ধর্মীয় গোঁড়ামি ও রাজনৈতিক উগ্রবাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। বিভিন্ন দেশে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন দল বা প্রভাবশালী ধর্মীয় গোষ্ঠী মুক্তচিন্তার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করে, মুক্তচিন্তকদের অনৈতিক বা অবিশ্বাসী বলে আক্রমণ করে। ফলস্বরূপ, সমাজে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যেখানে মানুষ মুক্তভাবে চিন্তা ও মতপ্রকাশ করতে সাহস পায় না। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে সামাজিক মাধ্যম মুক্ত মতপ্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। কিন্তু একইসঙ্গে এটি ভুল তথ্য প্রচার ও মতপ্রকাশ নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। অনেক সরকার ও রাজনৈতিক দল সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল বাহিনী নিয়োগ করে মুক্তচিন্তকদের হেনস্তা করে, তাদের মতপ্রকাশের সুযোগ সংকুচিত করে দেয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অন্যতম মাধ্যম হলো গণমাধ্যম। কিন্তু অনেক দেশে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন, হত্যার হুমকি এবং গ্রেফতারের মতো ঘটনাগুলো ঘটছে। এর ফলে, সাংবাদিকরা সাহসী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে ভয় পায় এবং স্বাভাবিকভাবেই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন থেকে যায়। ভয়ের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার অন্যতম পদ্ধতি হলো জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা। যখন নাগরিকরা দেখে যে, সরকারের সমালোচনা করলে কারাবরণ বা আক্রমণের শিকার হতে হয়, তখন তারা নিজেদের মতপ্রকাশ করা থেকে বিরত থাকে। এভাবে, ক্ষমতাসীনরা এক ধরনের স্ব-নিয়ন্ত্রিত নিপীড়নব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়।
ভয়ের সংস্কৃতি ও সমাজের উপর প্রভাব : মুক্তচিন্তার দমন এবং ভয়ের সংস্কৃতির বিস্তার সমাজের উপর বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব ফেলে—যে সমাজে মুক্তচিন্তা নেই, সেখানে বিজ্ঞান, সাহিত্য, দর্শন ও প্রযুক্তির বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করার পরিবেশ না থাকলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সৃজনশীল হয়ে উঠতে পারে না, ফলে সামগ্রিক অগ্রগতি শ্লথ হয়ে যায়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র কার্যকর থাকে না। যখন জনগণের কণ্ঠরোধ করা হয়, তখন শাসকদের জবাবদিহিতা কমে যায় এবং একনায়কত্বের পথ সুগম হয়। ভয়ের সংস্কৃতি সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে জনগণ তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করতে পারে না, ফলে ক্ষোভ জমতে জমতে একসময় সহিংসতায় রূপ নেয়। মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের দমন মানবাধিকারের অন্যতম গুরুতর লঙ্ঘন। এটি ব্যক্তি স্বাধীনতা কেড়ে নেয়, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ কমিয়ে দেয় এবং সামগ্রিকভাবে সমাজকে দমনমূলক ব্যবস্থার দিকে ঠেলে দেয়।
মুক্তচিন্তা রক্ষার উপায় : মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে—গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুসংহত থাকলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা সহজ হয়। শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে সাংবাদিকদের সুরক্ষা দিতে হবে এবং সংবাদপত্র ও অনলাইন মাধ্যমের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ কমাতে হবে। একটি সমাজে মুক্তচিন্তা বিকাশের জন্য শিক্ষাব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষাব্যবস্থায় যুক্তিবাদ, আলোচনা ও বিতর্কের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য নাগরিকদের সচেতন হতে হবে এবং প্রয়োজন হলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মানবাধিকার সংগঠন ও বুদ্ধিজীবীদের এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের সময় মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানেও মতপ্রকাশের অধিকার সংরক্ষিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশে এই অধিকার সংকুচিত করা হচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য গুরুতর হুমকি। বিভিন্ন দেশের প্রেক্ষাপট ১. চীন : চীনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। ইন্টারনেট সেন্সরশিপ (গ্রেট ফায়ারওয়াল) এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করার জন্য সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেয়। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৮৯ সালের তিয়েনআনমেন স্কয়ার গণহত্যার কথা উল্লেখ করা নিষিদ্ধ, এবং যারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলে, তাদের জেলে পাঠানো হয়। ২. রাশিয়া : রাশিয়ায় ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাধীন সাংবাদিক ও বিরোধী নেতারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বা কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। রাষ্ট্রীয় প্রচারণার মাধ্যমে ভিন্নমতকে দমন করা হয়। ৩. মধ্যপ্রাচ্য : মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কারণে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয় এবং গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ৪. বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপমহাদেশ : বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের বিরুদ্ধে আক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে ব্লগার, লেখক ও সাংবাদিকদের উপর হামলা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন দমনমূলক আইন প্রয়োগের মাধ্যমে মতপ্রকাশের সুযোগ সীমিত করা হচ্ছে।
ভয়ের সংস্কৃতির চক্র, ভয়ের সংস্কৃতি ধাপে ধাপে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপ : সরকার বা ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ভিন্নমতের বিরুদ্ধে প্রচার চালায়। দ্বিতীয় ধাপ : স্বাধীন সাংবাদিক, লেখক, মানবাধিকার কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। তৃতীয় ধাপ : সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে তারা সাহস করে কিছু বলতে না পারে। চতুর্থ ধাপ : রাষ্ট্রীয় নীতিতে স্বৈরাচারী মনোভাব দৃশ্যমান হয় এবং মতপ্রকাশের সব পথ রুদ্ধ হয়ে যায়।
মুক্তচিন্তার দমন রোধে করণীয় : আইনের শাসন কার্যকর হলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব। বিচারব্যবস্থা স্বাধীন হলে নাগরিকরা নির্ভয়ে নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে জনগণ সত্যিকারের তথ্য পায় এবং সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। শিক্ষায় মুক্তবুদ্ধি ও প্রশ্ন করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যাতে মানুষ চিন্তা করতে শেখে এবং সহজেই প্রভাবিত না হয়। মানবাধিকার সংগঠন, এনজিও, নাগরিক আন্দোলন এসব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আঘাত মানব সভ্যতার অগ্রগতির পথে বিরাট বাধা। ইতিহাসের অভিজ্ঞতা বলে, যখনই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হ্রাস পেয়েছে, তখনই সমাজ স্থবির হয়েছে, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি পিছিয়ে গেছে। ভয়ের সংস্কৃতি ধ্বংসাত্মক এবং তা দমন করতে হলে গণতন্ত্র, আইন, শিক্ষা ও নাগরিক সচেতনতার বিকাশ ঘটাতে হবে। মুক্তচিন্তা রক্ষার লড়াই কখনো থামানো যাবে না, কারণ এর উপরই ভবিষ্যৎ নির্ভর করে।
মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা একটি সমাজের অন্যতম মৌলিক অধিকার। যখনই এই অধিকার সংকুচিত হয়, তখনই সমাজ পিছিয়ে পড়ে এবং দমনমূলক ব্যবস্থা চালু হয়। বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন দেশে মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ভয়ের সংস্কৃতি সৃষ্টি করছে। তবে, ইতিহাস সাক্ষী যে, জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে দমনমূলক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব। এজন্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা, শিক্ষার প্রসার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই আমরা ভয়কে জয় করে মুক্তচিন্তার সমাজ গড়ে তুলতে পারবো।
লেখক পরিচিতি : উজ্জ্বল হোসাইন, লেখক ও সাংবাদিক, চাঁদপুর।

ঈদে নতুন জামা : স্বপ্ন আর ভালোবাসা জড়ানো

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ণ
ঈদে নতুন জামা : স্বপ্ন আর ভালোবাসা জড়ানো

ঈদ মানেই আনন্দ, উৎসব, মিলন এবং নতুন করে বাঁচার প্রেরণা। এই দিনে সবাই চায় নিজেকে সাজিয়ে নিতে, নতুন কাপড় পরে প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে। কিন্তু এমন অনেকের মধ্যেও থাকে এমন কেউ, যার জন্য একটি নতুন জামা শুধু পোশাক নয়, বরং স্বপ্ন, গর্ব, আত্মমর্যাদা এবং একটি আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। এই প্রবন্ধে আমরা এমন এক নতুন জামার কথা বলব, যে জামার শুধু দামী কাপড় বা ডিজাইনের গর্ব নেই, বরং রয়েছে আত্মার গভীরে জমে থাকা এক মানুষের স্বপ্নের গল্প।

শহরের এক কোণায় বাস করে ছোট্ট ছেলেটি রিয়াদ। বয়স প্রায় দশ। তার বাবা একজন দিনমজুর, মা গৃহিণী। সংসারে অভাব-অনটনের মধ্যে কোনোভাবে দিন কাটে তাদের। বছরের প্রতিটি দিন কাটে সংগ্রামের মাঝে, কিন্তু ঈদ আসে স্বপ্নের আলো নিয়ে। ঈদে নতুন জামা পাবে, এই আশায় রিয়াদ এক মাস রোজা রাখে, নিজের মনকে শক্ত করে।

তবে এই জামা আসবে কি না, তা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, বাবার মুখে ভাঁজ আর চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। মা বারবার বলেন, “এবার হয়তো পুরনো জামাতেই ঈদ করতে হবে।” কিন্তু রিয়াদ বিশ্বাস করে—আল্লাহ যদি রোজা কবুল করেন, তাহলে একটা নতুন জামা হয়তো আসবেই।

এই জামার অপেক্ষা শুধু রিয়াদের নয়, এটি যেন তার মন-প্রাণের আকুতি। এই জামা তার জন্য স্বপ্নপূরণ, আত্মমর্যাদা, শ্রেষ্ঠত্বের অনুভব।

আমরা অনেক সময় বুঝি না, একটি নতুন জামা একজন শিশুর জন্য কতটা অর্থবহ হতে পারে। ধনী পরিবারের শিশুর কাছে এটি হয়তো একটি চমকপ্রদ পোশাক, কিন্তু রিয়াদের কাছে এটি স্বপ্ন পূরণের মতো। সে ভাবে, ঈদের দিন সবার মতো তাকেও যদি নতুন জামায় দেখা যায়, তাহলে সে আর অবহেলিত হবে না, তার বন্ধুরা তাকে হাসবে না। তারও মুখে হাসি ফুটবে, তারও ছবি উঠবে মোবাইল ক্যামেরায়।

এই জামা তার আত্মবিশ্বাস, যেটা সে স্কুলে পড়ার সময় খুঁজে বেড়ায়, যখন ক্লাসের অন্য ছেলেরা নতুন জামা পরে আসে আর সে পড়ে থাকে একঘেয়ে মলিন কাপড়।

এখানে জামার একটি কল্পিত স্বর ও ভাষা কল্পনা করা যাক—যেখানে জামাটি যেন নিজের মনে নিজের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছে: “আমি কোনো বিলাসী দোকানের শেলফে ঝুলে থাকা দামি জামা নই। আমি সেই জামা, যাকে এক দরিদ্র বাবার কষ্টের টাকায় কিনে আনা হবে তার ছেলের মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাতে।
আমি হয়তো রঙিন নই, হয়তো আমার ডিজাইনে জাঁকজমক নেই, কিন্তু আমি গর্বিত। কারণ আমি হব একটি শিশুর ঈদের স্বপ্ন পূরণের বাহক। আমি হব আত্মমর্যাদার প্রতীক, আমি হব ঈদের প্রাপ্তির প্রতিচ্ছবি।”

এই ভাবনার মধ্যেই ফুটে ওঠে জামার স্বপ্ন—সে চায়, তাকে কেউ ভালোবাসুক, পরিধান করুক, আর আনন্দ পাক।

রিয়াদের মা হয়তো নিজের জন্য কোনো কাপড় কিনবেন না, বাবা হয়তো একজোড়া চপ্পল না কিনে সেই টাকায় ছেলের জামা কিনে দেবেন। কারণ, সন্তানের হাসির চেয়ে বড় কিছু তাদের কাছে নেই। একটি নতুন জামার পেছনে লুকিয়ে থাকে একটি পরিবারের নীরব ত্যাগ, ভালোবাসা আর গোপন কান্না।

ঈদের নতুন জামা এই পরিবারগুলোর কাছে শুধু পোশাক নয়—এটা এক সম্মান, ভালোবাসা এবং আত্মতৃপ্তির চিহ্ন। অনেক সময় বাবা-মায়েরা নিজেদের প্রয়োজন বিসর্জন দিয়ে সন্তানের মুখে হাসি দেখতে চান। নতুন জামা যেন সেই আত্মত্যাগের স্বাক্ষর হয়ে উঠে।

ঈদের দিন আমরা যখন দেখি কেউ চকচকে কাপড় পরে বেরিয়েছে, আর কেউ পুরনো জামা পরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে, তখন সামাজিক বৈষম্যের চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নতুন জামার গুরুত্ব সেখানে দ্বিগুণ। এটি একধরনের সামাজিক মর্যাদা।

রিয়াদ হয়তো তার বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়ে ভাবে—আমারও যদি এমন একটা জামা থাকত! শুধু ঈদের দিনটা নয়, পুরো জীবনজুড়ে সেই হাহাকার থেকে যায়। এই এক টুকরো জামাই তার স্বপ্নকে উঁচুতে নিয়ে যেতে পারে, আর না থাকলে আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়ে।

দরিদ্র শিশুদের জন্য ঈদে জামার প্রাপ্তি মানে কী? সমান মর্যাদা – অন্যদের মতো তাকেও দেখা হয় একজন ‘পূর্ণ’ শিশুর মতো।  আত্মবিশ্বাস – নতুন জামা পরে সে খুশি মনে বন্ধুদের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। পরিবারের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি – সে উপলব্ধি করে, তার মা-বাবা তাকে কত ভালোবাসে।

৪. ভবিষ্যতের স্বপ্ন – একজন শিশু জানে, সে যদি চেষ্টার মধ্যে থাকে, তার স্বপ্ন একদিন পূরণ হবেই।

ঈদের সকালে রিয়াদের ঘুম ভাঙে ভোরবেলা। মা হাসিমুখে এসে বলে—
“এই দেখ, তোমার নতুন জামা।”
রিয়াদ প্রথমে বিশ্বাস করতে পারে না। হাত বাড়িয়ে জামাটা নেয়, চোখে জল চলে আসে। “আমার?”
মা মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়, “হ্যাঁ বাবা, তোমার।”
রিয়াদ তার ছোট জামাটিকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে, যেন এটিই তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

সেই জামা তখন আর শুধু সুতা ও রঙের মিশ্রণ নয়, সেটি তখন একটি ‘স্বপ্ন’। একটি সন্তুষ্টির প্রতীক, একটি ছোট শিশুর গর্বের নিশান।

আমরা যারা সমাজের ভাগ্যবান অংশ, তাদের উচিত এই বৈষম্য দূর করতে সচেষ্ট হওয়া। প্রতিবছর ঈদের আগে আমরা অনেকেই প্রচুর জামা কিনি, কিন্তু ভাবি না পাশের দরিদ্র শিশুটার কথা। যদি আমরা একটি নতুন জামা কাউকে দিতে পারি, তাহলে তার ঈদটা হয়ে উঠতে পারে জীবনের সেরা দিন।সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার—সবাই যদি চায়, তাহলে প্রত্যেক শিশুর ঈদে একটি নতুন জামা নিশ্চিত করা সম্ভব। এটি দান নয়, এটি মানুষের স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা।

“ঈদে একটি নতুন জামা যার স্বপ্ন” এই বাক্যটি শুধুমাত্র কোনো এক জামা বা একটি শিশুর গল্প নয়, এটি হাজারো রিয়াদের গল্প। এটি আমাদের সমাজে লুকিয়ে থাকা অসংখ্য মানুষের জীবনবোধের চিত্র। একটি নতুন জামা কেবল দেহ ঢাকার উপকরণ নয়, এটি মানুষের সম্মান, আত্মবিশ্বাস এবং ভালোবাসার প্রতীক। আমরা যদি এই একটুকরো জামার ভেতর মানুষের আবেগ, স্বপ্ন ও আত্মত্যাগ দেখতে পারি, তাহলে সমাজে সত্যিকার পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। আসুন, এই ঈদে আমরা কেবল নিজেদের জন্য না, অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যও একটি নতুন জামার স্বপ্ন বুনি।

লেখক পরিচিতি : উজ্জ্বল হোসাইন, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক, চাঁদপুর।

চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল আজম সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল আজম সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস

চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভা (১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৫) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি (২০২৫-২০২৮) ঘোষণা করা হয়েছে। সমবায় সমিতি আইন ২০০১ (সর্বশেষ সংশোধন ২০১৩) ও সমবায় সমিতি বিধিমালা ২০০৪ (সর্বশেষ সংশোধন ২০২০) অনুযায়ী নির্বাচন কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন (পরিদর্শক, জেলা সমবায় কার্যালয়, চাঁদপুর) কোন পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছয় সদস্য বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটি ঘোষণা করেন। নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি- মোঃ ইকবাল আজম (প্রতিনিধি, দি চাঁদপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ), সহ-সভাপতি- মোঃ আফজাল হোসেন খান (প্রতিনিধি, মিলেনিয়াম বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ), সম্পাদক- দুলাল চন্দ্র দাস (প্রতিনিধি, বাগড়া শিক্ষিত বেকার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ), সদস্য- মোঃ আক্কাস ফরাজী (প্রতিনিধি, রূপসী পল্লী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ), সদস্য- খন্দকার ফখরুল আলম (প্রতিনিধি, আশার আলো মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ), সদস্য- মোঃ খোরশেদ আলম (প্রতিনিধি, খাজুরিয়া বাজার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ)।
জেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ও নির্বাচন কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সমবায়ী ও বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন শেখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন জেলা সমবায় ইউনিয়ন, জেলার সমবায় সমিতি ও সমবায়ীদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব থাকলেও চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নে দীর্ঘদিন নির্বাচিত কমিটি ছিল না, যার কারণে এটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন থেকে চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নকে কার্যকর করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করি। সমবায় বিভাগ এতে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন করে, যার ফলশ্রুতিতে আজকে আমরা একটি নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করতে পেরেছি। এজন্য তিনি সমবায় বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান পাশাপাশি নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান। সভায় তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা সকলের সামনে উপস্থাপন করেন। সকলের সহযোগিতায় তা বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সভাপতি মুরাদ হোসেন খান, জুন হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর প্রতিনিধি এ ওয়াই এম জাকারিয়া, ওয়ারলেস বাজার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিনিধি মোঃ জিয়াউদ্দিন, ইসলামীয়া সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিনিধি নাজমুল হুদা প্রমূখ।
উল্লেখ্য প্রতি ৩ বছর পর পর নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের বিধান থাকলেও ২০১২ সালের পর, দীর্ঘ ১৩ বছর পর এই ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হলো।

আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ
আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামী ২ জুন নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সম্প্রতি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল ও বাজেট ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, সংসদ না থাকায় এবার সংসদে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে না। অর্থ উপদেষ্টা টেলিভিশনে নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে ২ জুন বাজেট ঘোষণার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণত আগের অর্থবছরগুলোতে বৃহস্পতিবার বাজেট দেওয়া হতো, এবার সোমবার ঘোষণা করা হবে। বাজেট ঘোষণার পর আগের রীতি অনুযায়ী অর্থ উপদেষ্টা বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

সূত্রটি জানিয়েছে, সাধারণত প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের তুলনায় বড় রাখা হয়। তবে এবার বাজেট ঘাটতি কমিয়ে বাজেট ছোট কারার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বাজেটের আকার কমানো হলেও সমাজে বৈষম্য কমানোর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে সামাজিকীকরণ সুরক্ষা কর্মসূচিতে উপকারভোগী ও কিছু ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ থাকছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। একই সঙ্গে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ ধরতে পারে। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার। চলতি অর্থবছরেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। যদিও গত মার্চ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।