খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২

সাংবাদিকতায় মিস ইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশনের প্রভাব

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:৪৭ অপরাহ্ণ
সাংবাদিকতায় মিস ইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশনের প্রভাব

বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর যুগে সাংবাদিকতার ভূমিকা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তথ্য প্রবাহের সহজলভ্যতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মিস ইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশনের সমস্যা। সত্য-মিথ্যার মিশ্রণে তৈরি ভুল তথ্যের মাধ্যমে সমাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়। এই প্রবন্ধে মিস ইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশনের সংজ্ঞা, প্রভাব, কারণ এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

মিস ইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশনের সংজ্ঞা

মিস ইনফরমেশন (Misinformation) : মিস ইনফরমেশন হলো ভুল বা অসত্য তথ্য যা অজান্তে ছড়ানো হয়। এর উদ্দেশ্য সাধারণত ক্ষতিকারক নয়। যেমন: কেউ কোনো ভুল খবর বা তথ্য শেয়ার করলে, কিন্তু তিনি জানেন না যে সেটি ভুল।

ডিসইনফরমেশন (Disinformation) : ডিসইনফরমেশন হলো ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল বা মিথ্যা তথ্য ছড়ানো। এটি সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে করা হয়, যেমন বিভ্রান্তি তৈরি করা, জনমত প্রভাবিত করা বা রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য।

সাংবাদিকতায় মিস ইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশনের ভূমিকা

১. তথ্য যাচাইয়ের অভাব : অনেক সময় সাংবাদিকরা তথ্য যাচাই না করেই সংবাদ প্রকাশ করেন। তথ্য যাচাইয়ের অভাবের ফলে মিস ইনফরমেশন ছড়িয়ে পড়ে।

২. ইচ্ছাকৃত মিথ্যাচার : ডিসইনফরমেশন অনেক সময় রাজনৈতিক বা আর্থিক লাভের জন্য করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, নির্বাচনের আগে ভুয়া তথ্য প্রচার করে ভোটারদের বিভ্রান্ত করা।

৩. সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব : সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে দ্রুত গতিতে তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে মিথ্যা তথ্য সত্যের চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা যায়।

৪. ট্রলিং ও বট অ্যাকাউন্ট : বিভিন্ন ট্রল গ্রুপ ও বট অ্যাকাউন্ট ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয়।

মিস ইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশনের প্রভাব

১. সামাজিক অস্থিরতা : ভুল তথ্য সমাজে বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা তৈরি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ভুয়া খবর ছড়িয়ে সংঘর্ষ বাধানো।

২. রাজনৈতিক প্রভাব : ডিসইনফরমেশন রাজনৈতিক মতামত প্রভাবিত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

৩. সাংবাদিকতার প্রতি বিশ্বাস কমানো : বারবার ভুল তথ্য প্রকাশিত হলে গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের বিশ্বাস কমে যায়।

৪. গুজবের প্রসার : মিস ইনফরমেশন থেকে গুজব সৃষ্টি হয়, যা ব্যবসা, স্বাস্থ্য, এবং ব্যক্তিগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

মিস ইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশনের কারণ

১. তথ্য যাচাইয়ের অভাব : অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে সংবাদ প্রকাশের জন্য তথ্য যাচাই করা হয় না।

২. সাংবাদিকতার উপর চাপ : সাংবাদিকদের উপর খবর দ্রুত প্রকাশের চাপ থাকে, যা ভুল তথ্য ছড়ানোর সুযোগ করে দেয়।

৩. সোশ্যাল মিডিয়ার সহজলভ্যতা : সোশ্যাল মিডিয়ার সহজলভ্যতা তথ্য ছড়ানোর গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে ভুয়া খবর দ্রুত ভাইরাল হয়।

৪. অপর্যাপ্ত নীতিমালা : অনেক দেশে ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে কার্যকর আইন বা নীতিমালা নেই।

৫. অজ্ঞতা ও অসচেতনতা : অনেক ব্যবহারকারী ভুল তথ্যের সত্যতা যাচাই না করেই তা শেয়ার করেন।

মিস ইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন প্রতিরোধে করণীয়

১. তথ্য যাচাইয়ের কৌশল শেখানো : সাংবাদিকদের তথ্য যাচাইয়ের টুলস ও কৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত।

২. সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ : সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে ফ্যাক্ট-চেকিং অপশন উন্নত করতে হবে।

৩. সচেতনতা বৃদ্ধি : সাধারণ মানুষের মধ্যে তথ্য যাচাইয়ের গুরুত্ব নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

৪. কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন : ভুয়া খবর ছড়ানোর জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

৫. ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন : ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা দরকার।

উপসংহার : মিস ইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন সাংবাদিকতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ সমস্যার সমাধান করতে হলে গণমাধ্যম, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, এবং সাধারণ মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তথ্য যাচাইয়ের গুরুত্ব বোঝা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালা বজায় রেখে সঠিক তথ্য প্রকাশের প্রতি গুরুত্ব দেওয়াই এ সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধান।

লেখক : উজ্জ্বল হোসাইন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় মাস্টার্স ২০২১, প্রেস ইনস্টিটিউট, ঢাকা।

সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে : উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ণ
সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে : উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত

নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘোষিত সময় অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে। এত প্রাণের বিনিময়ে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তার মধ্য দিয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক সরকার হবে জবাবদিহিমূলক। এটি আর অতীতের সরকারের মতো হবে না।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বরিশালে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শনে এসে দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ডাকসু নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয় নয়। অনেকেই বলেছিল, এই নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে। কিন্তু আমরা দেখেছি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অক্ষুণ্ন  রেখেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যেসব অভিযোগ রয়েছে সেগুলো দেখার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা যতদিন থাকছি, ততদিন সম্ভবপর নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। তবে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী।
এ সময় উপদেষ্টা বরিশালের নদীবন্দর, জেলখাল, পোর্ট রোড ও স্টিমার ঘাট পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, নদী ভাঙন প্রতিরোধে ইতোমধ্যেই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বরিশালে বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) খেলা অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে নৌরুটে প্যাডেলচালিত জাহাজ চলাচল শুরু হবে।
পরিদর্শনকালে বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার, জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। হংকংয়ের ১৪৩ রানের জবাবে ১৭ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন নিজাকাত খান। টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল তানজিম হাসান সাকিব ২১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ ম্যাচে জয় তুলে নিতে ওভারপ্রতি ৭.২০ রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরু থেকে হংকংকে চাপে রেখেছিল টাইগার বোলাররা। দলের খাতায় ৩০ রান যোগ করতে ২ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে ৪ রান করে টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে কট বিহাইন্ড হন আনশুমান রাথ। আম্পায়ার যদিও শুরুতে সাড়া দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে ১২ বলে ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে বোল্ড করেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে হংকং। জিশান আলী ও নিজাকাত খানের ৪১ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন তানজিম সাকিব। তার বাউন্সার জায়গা নিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন ওপেনার জিশান। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে থামে তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজা হতাশায় ভোগান টাইগার বোলারদের।
অনেক চেষ্টা করেও উইকেটের দেখা মিলছিল না। শেষমেশ ১৮তম ওভারে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে হংকংয়ের চতুর্থ জুটি। ১৯ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ২৮ রান করে রান আউট হন মুর্তজা। ততক্ষণে তারা দলের সংগ্রহ শতরান পার করে দেন। অন্যদিকে ৪০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের শিকার হন নিজাকাত। পরের বলেই ক্রিজে নেমে টাইগার রিস্ট স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন কিঞ্চিৎ শাহ।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকংয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ।

স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ
স্থূলতা তরুণদের কতটা ক্ষতি করছে?

বর্তমান সময়ের জীবনযাত্রা বিগত এক দশকের থেকে অনেকটাই আলাদা। এখন সবাই নিজের কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার প্রভাব দেখা যায় আমাদের স্বাস্থ্যেও বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। প্রসেসড খাবার, ডিজিটাল জীবনযাপন ও শারীরিক সক্রিয়তার ঘাটতি মিলিয়ে তরুণদের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে স্থূলতা। আর এই স্থূলতা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য বা ওজনের বিষয় নয়, বরং ডেকে আনছে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি।
হিন্দুস্তান টাইমস নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. পিয়ুষ রঞ্জন জানান, স্থূল কিশোররা ভবিষ্যতে মারাত্মক লিভার রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তার মতে, ভারতে কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার রোগের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ। এদের অনেকেই পরবর্তীতে সিরোসিস কিংবা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে।
স্থূলতার ঝুঁকি: ডা. রঞ্জনের মতে, চিকিৎসাবিহীন স্থূলতা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে—কোলন, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় স্থূল মানুষের লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন হলেও, স্থূলতা ও লিভার জটিলতার সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
প্রতিরোধের উপায়: তরুণ প্রজন্মকে এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে ডা. রঞ্জন কয়েকটি প্রতিরোধমূলক পরামর্শ দিয়েছেন—
> সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলা।
> তেল–চর্বিযুক্ত ও উচ্চ-ক্যালরির খাবার এড়িয়ে চলা।
> অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া।
> নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাবে।
তরুণদের মধ্যে স্থূলতার হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, যা শুধু আজকের নয়, ভবিষ্যতেরও ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। ডা. পিয়ুষ রঞ্জনের পরামর্শ স্পষ্ট সুস্থ জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এখনই সচেতন হলে কেবল ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা লিভারের রোগই নয়, অসংখ্য জটিলতা থেকে নিজেদের বাঁচানো সম্ভব।