খুঁজুন
                               
বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮ মাঘ, ১৪৩১

নির্বাচন নিয়ে সরকারকে সহনীয় চাপে রাখবে বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ণ
নির্বাচন নিয়ে সরকারকে সহনীয় চাপে রাখবে বিএনপি

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কোনো প্রকার দ্বন্দ্বে না জড়িয়ে দ্রুততম সময়ে নির্বাচনে জন্য সহনীয় চাপ প্রয়োগ করাই হচ্ছে নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৫ সাল বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। পাশাপাশি দল ও অঙ্গ-সংগঠনকে সুসংগঠিত করা এবং রাষ্ট্র সংস্কারে ঘোষিত ৩১ দফা ব্র্যান্ডিংয়ে মনোযোগ দেবে দলটি।

বিএনপির নেতারা বলছেন, ২০২৫ সাল বিএনপির বেশি কিছু করা নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম ও তাদের নীতি কি হয় সেটা পর্যবেক্ষণ রাখা। এক্ষেত্রে সরকার যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করে, সেটার সঙ্গে যুক্ত হবে বিএনপির। আর সরকার যদি নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না করে, তাহলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে সহনীয় চাপ প্রয়োগ করা হবে। তবে, সেক্ষেত্রে সরকার সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্বে জড়াবে না দলটি। অর্থাৎ বক্তব্য, বিবৃতি এবং মাঠ পর্যায়ে সভা-সমাবেশ করে বারবার ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনে দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের চাওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে চায়। তারা ভোট দিয়ে তাদের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায়, যে সরকার তাদের (জনগণের) কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, তাদের কাছে জবাবদিহি করবে।

এরআগে নির্বাচনের দাবিতে সরকারের ওপর চাপ তৈরিতে বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেছিলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদার গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে চাই। অনেক সংঘর্ষ হয়েছে, দেশের মানুষ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সাংঘর্ষিক রাজনীতি বাংলাদেশে আর যেন ফিরে না আসে, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেটা সফল হবে, একমাত্র দ্রুত একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে।

দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণের প্রত্যাশা হচ্ছে, সরকার নির্বাচন কেন্দ্রীয় প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেবে। জনগণের রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির একই প্রত্যাশা।

তিনি বলেন, আমাদের সব সময় ৩০০ আসনে ভোটের প্রস্তুতি থাকে। বিগত নির্বাচনগুলোতে আমরা আমাদের জোট সঙ্গীদের কিছু আসনে সমঝোতা হয়েছিল, সেইসব আসনে আমরা প্রার্থী দেয়নি। এবার এখন পর্যন্ত আমরা ৩০০ আসনের ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্বাচনের সময় যারা আমাদের সঙ্গে থাকবে তাদের বিষয়ে তখন সিদ্ধান্ত হবে।

রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপি ৩১ দফা দিয়েছে বলে উল্লেখ করে স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, সেটা তো আমাদের কর্মপরিকল্পনার থাকবেই। এছাড়া বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলমান আছে। দলের যেসব জায়গার কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সেইগুলো গঠন করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের যেসব অঙ্গসংগঠনের কমিটির শেষ হয়ে গেছে সেইগুলো করা হচ্ছে। সেটা নতুন বছরেও চলমান থাকবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‍‘২০২৫ সালে মধ্যে যদি সরকার নির্বাচনের তারিখ অর্থাৎ রোডম্যাপ ঘোষণা করে, তাহলে নির্বাচন প্রক্রিয়া যুক্ত হয়ে যাবে বিএনপি। পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। আর সরকার যদি নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়, সেই ক্ষেত্র আমরা নির্বাচনের জন্য বক্তব্য, বিবৃতি, সারাদেশে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের ওপর সহনীয় চাপ তৈরি করবো। এছাড়া সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এবং বৈঠক হলে সেখানে বারবার নির্বাচনের তাগাদা দেওয়া হবে।’

তবে সরকারের সঙ্গে বিএনপি কোনো প্রকার দ্বন্দ্বে জড়াবে না বলে জানান বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, আমরাই বলে আসছি আমাদের আন্দোলনের ফসল বর্তমান সরকার। ফলে, আমরা যদি এখনি নির্বাচনের দাবিতে মাঠে নামি সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। তাছাড়া একটা মহল এখনি বিএনপির বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ প্রতিষ্ঠাতা করতে চাচ্ছে, আমরা সংস্কার চাই না, নির্বাচন চাই।

বিএনপির আরেকটি সূত্র বলেছেন, একটা বিষয় এখন পরিষ্কার নয় যে সরকার আগে জাতীয় নির্বাচন নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেবে। দেশের একটা পক্ষ চাচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন। যদিও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন তাদের ভাবনায় নেই। তাই নির্বাচন কেন্দ্রিক সরকারের নীতির অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বিএনপিকে। সেটার ওপর নির্ভর কবরে বিএনপির আগামী দিনের পরিকল্পনা কী হবে।

২০২৫ সালে বিএনপির প্রত্যাশা হচ্ছে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা বলে উল্লেখ করে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জনগণের দল হিসেবে বিএনপির করণীয় হচ্ছে মানুষের তার ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। জনগণ যাতে তাদের ভোট দিয়ে তাদের সরকার নির্বাচিত করতে পারে।’

বিএনপি-জামায়াত দ্বন্দ্ব, উভয় চাপে রাখার কৌশল কী?

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই নানা ইস্যুতে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে দীর্ঘদিনের দুই মিত্র দল বিএনপি ও জামায়াত। বক্তব্য-বিবৃতিতে একে-অপরের আক্রমণে লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হয়েছে। মাঝখানে কিছুদিন বিএনপি ও জামায়াতের কথার বাহাস বন্ধ থাকলে, এখন আবার শরু হয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা কি ছিল, সেটাও স্মরণ করিয়ে দিয়ে তারা কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী জামায়াত কীভাবে দেশপ্রেমিক হলো সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির নেতারা।

বিএনপির নেতারা বলছেন, ৫ আগস্টের পরে জামায়াত প্রথমে বিএনপিকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছিল। তাদের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি শুধু সেই সব কথার জবাব দিয়ে আসছে।

বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, এখানে পরিকল্পনা করে কিছু হচ্ছে না। কথার প্রসঙ্গে কথা আসছে। জামায়াতের পক্ষ থেকে যেসব বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে শুধু জবাব দেওয়া হচ্ছে। এখানে কথার প্রসঙ্গে কথা আসছে।

তিনি আরও বলেন, এখন আগামী নির্বাচনের বিষয়টি পরিষ্কার নয়, যখন নির্বাচনের বিষয়টি পরিষ্কার হবে, তখন বোঝা যাবে কারা আগামী দিনে বিএনপির নির্বাচনী জোটসঙ্গী হবে। জামায়াত ও সমমনা দলগুলো দীর্ঘদিন আমাদের সঙ্গে আছে, একসঙ্গে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। সুতরাং এখনি বিষয়টি বলা সম্ভব নয়, আগামী নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থাকবে কিনা।

তবে, বিএনপির এক নেতা বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের দ্বন্দ্বের বিষয়টি এখনি সিরিয়াসলি দেখার মতো সময় হয়নি। আপাতত আমার কাছে মনে হচ্ছে, উভয় পক্ষই একে-অপরকে চাপে রেখে কে কতটা সুবিধা আদায় করে নিতে পারে সেই চেষ্টা করছে। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।

চাঁদপুরে পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে মাঠ, নষ্ট হচ্ছে বীজ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:৪১ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে মাঠ, নষ্ট হচ্ছে বীজ

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার খালগুলো শুকিয়ে হাজারো কৃষকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানির অভাবে অধিকাংশ মাঠ শুকিয়ে ফেটে গেছে, বীজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কৃষকরা দ্রুত পানির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে খালে পানি না থাকার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এতে করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাদের এই দুর্দশা অব্যাহত থাকবে। এই খাল খনন সঠিকভাবে হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তারা।

কমলাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান খান বলেন, খালে পানি না থাকাতে আমরা ফসল চাষ করতে পারিনি। জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের আমন ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এখন বোরো ধান রোপণ করবো, কিন্তু পানি পাচ্ছি না। এখন আমরা খুবই কষ্টে আছি, সামনের দিনগুলোতে যে আমরা কি খাবো বা কীভাবে জীবন বাঁচাবো দিশেহারা হয়ে গিয়েছি। যদি আমাদেরকে দ্রুত পানি দেয় তাহলে আমরা বোরো ধান রোপণ করতে পারবো। আমাদের জীবন বাঁচাতে পারবো।

চাঁদপুর পওর শাখা-৩, হাইমচর উপসহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসান গাজী বলেন, হাইমচর উপজেলায় আমরা দুটি খাল খনন করছি। খালগুলো হচ্ছে বিফিফাইভ খালটি হচ্ছে কমলাপুর থেকে মহজমপুর ব্রিজ পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৮৫ কিলোমিটার। অন্যটি ডব্লিউওয়াইসি খাল, এটি টেককান্দি থেকে জনতা বাজার পর্যন্ত ২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। খাল দুটি হাইমচর উপজেলার প্রধান খাল। কাজ করতে গেলে কিছু প্রতিবন্ধকতা আসে, আমরা সেই প্রতিবন্ধকতা রেখে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি দু-চার দিনের মধ্যে খালের খনন কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো. শাকিল খন্দকার বলেন, বোরো মৌসুমে আমার কৃষক ভাইদের বোরো আবাদ করতে তাদের পানির প্রয়োজন হয়। আমাদের হাইমচরে যে দুটি খাল রয়েছে সেই খালগুলোতে দ্রুত পানি দেওয়ার জন্য আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়েছি। সঠিক সময়ে যদি কৃষকরা পানি না পায় বোরো আবাদ বিঘ্নিত হবে। দ্রুত সময়ে যেন কৃষকরা পানি পায় সেজন্য আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্বিতীয়বার চিঠি প্রদান করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, আমরা বেশ কয়েকদিন যাবত অভিযোগ পেয়ে আসছি বিফিফাইভ খালটি খননে অনিয়ম হচ্ছে। তাই আজকে আমি সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বলে দিয়েছি, যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে খাল খনন শেষ করেন এবং সঠিকভাবে খাল খনন করেন। আমি আশা করি, এই খাল খননের মাধ্যমে কৃষকদের দুঃখ-দুর্দশা দূর হবে এবং উপজেলার বিভিন্ন স্থানের জলাবদ্ধতা অনেকাংশেই কমে যাবে।

সারাদেশে বাড়বে দিনের তাপমাত্রা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৩৩ অপরাহ্ণ
সারাদেশে বাড়বে দিনের তাপমাত্রা

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থটি। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে, তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে, তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া বন্ধ থাকতে পারে। তবে শেষ বাত থোকে সকাল পর্যন্ত মারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া পাঁচদিনের প্রথম দিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

হ্যাকিংয়ে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
হ্যাকিংয়ে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অনুমোদিত খসড়া থেকে বিতর্কিত সাইবার বুলিংয়ের বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে কিছু বিষয়ও যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বেআইনি প্রবেশ বা হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের বিধান রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ‘সাইবার স্পেসকে সবার জন্য নিরাপদ করতে’ গত ২৪ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। এদিন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এ সরকার সাইবার স্পেসকে সবার জন্য নিরাপদ করতে চায়। আপনারা জানেন যে সাইবার স্পেসে অনেক ধরনের ক্রাইম হয়। আমাদের মা-বোনরাসহ অনেকেই নানা ধরনের বুলিংয়ের শিকার হন। শিশুদের অনেক ধরনের বুলিংয়ের শিকার হতে হয়। সাইবার স্পেসকে নিরাপদ করা সরকারের দায়িত্ব।

খসড়ার ধারা ২৫-এ সাইবার বুলিংয়ের নামে একটি বিধান ছিল। এ বিধান নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এতে বাক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়। ধারা ২৫-এ উল্লেখ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বার্তা আদান-প্রদান প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট বা সাইবার স্পেসে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান বা হয়রানি করা, মিথ্যা বা ক্ষতিকর তথ্য, অপমানজনক বার্তা, গালিগালাজ, গুজব বা মানহানিকর কনটেন্ট ছড়ানোর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির সুনাম বা মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অবশেষে সমালোচনার মুখে খসড়া থেকে এটি বাদ দেওয়া হয়েছে। খসড়ায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) কনটেন্ট ব্লকের অনুরোধ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব কনটেন্ট ব্লক হবে, সরকার তা জনস্বার্থে প্রকাশ করবে বলেও খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্মীয় বিদ্বেষের সঙ্গে জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার প্রসঙ্গও যুক্ত হয়েছে।