খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

নারী দিবস : সকল নারীর জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী চাই

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৫:০৩ পূর্বাহ্ণ
নারী দিবস : সকল নারীর জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী চাই

নারী মানবজাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও রাজনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে যুগের পর যুগ ধরে নারীকে নানাভাবে বৈষম্য, নির্যাতন ও বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। আজকের আধুনিক বিশ্বেও নারীরা সমান সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত। নারী দিবস কেবলমাত্র উৎসবের দিন নয়, এটি একটি সংগ্রামের দিন, একটি অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। তাই নারী দিবসে আমাদের দাবি—নারীদের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী, যেখানে তারা স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবে, তাদের অধিকার নিশ্চিত হবে, এবং তারা সমাজের প্রতিটি স্তরে সমানভাবে অংশ নিতে পারবে। নারী অধিকার বলতে বোঝানো হয় সেই মৌলিক ও মানবিক অধিকারসমূহ, যা প্রত্যেক নারীর জন্য অপরিহার্য। নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সম্পত্তির অধিকারসহ সকল ক্ষেত্রে তাদের সমান সুযোগ থাকা উচিত। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নারী উন্নয়নের অনেক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। কিন্তু এখনও নারীরা বহুবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। অনেক দেশেই নারীরা এখনও বেতন বৈষম্যের শিকার, কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার হয়, গৃহস্থালি ও পারিবারিক দায়িত্ব নারীদের ওপর বেশি চাপিয়ে দেওয়া হয়, এবং অনেক ক্ষেত্রে মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত হতে হয়। নারীদের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী বলতে বোঝায় এমন এক সমাজ যেখানে নারীরা স্বাধীনভাবে, নিরাপদে এবং মর্যাদার সাথে জীবনযাপন করতে পারে। নারী দিবসের মূল লক্ষ্য হলো নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে সামনে এগিয়ে নেওয়া। যদিও বিশ্বজুড়ে নারীর অবস্থার উন্নতি হয়েছে, তবুও এখনও বহু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে

নারীর জন্য বাসযোগ্য পৃথিবীর গুরুত্ব : নারীর জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী তৈরি করা শুধু নারীর জন্যই নয়, বরং সমাজের সামগ্রিক উন্নতির জন্য অপরিহার্য। যদি নারীরা সুরক্ষিত পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে, তাদের সম্পূর্ণ অধিকার পায়, তাহলে তারা নিজেদের প্রতিভা ও শ্রম দিয়ে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। বাসযোগ্য পৃথিবী বলতে বোঝায় এমন একটি সমাজ, যেখানে—নারীরা রাস্তায়, কর্মস্থলে, বাসায় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবে। প্রতিটি মেয়ে শিশুকে সমান শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে, যেন তারা নিজের জীবন নিজের মতো করে গড়তে পারে। নারী-পুরুষের সমান কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে, এবং কাজের ক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য দূর করতে হবে। নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানি, গার্হস্থ্য সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সমাজে নারীর প্রতি যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তা দূর করতে হবে। পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছোটবেলা থেকেই নারীর প্রতি সম্মান ও সমতার শিক্ষা দিতে হবে।

নারীর প্রতি বৈষম্যের কারণ ও প্রতিকার : নারীদের প্রতি বৈষম্যের মূল কারণ হলো প্রাচীন কুসংস্কার, পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা, ধর্মীয় ভুল ব্যাখ্যা, ও দারিদ্র্য। নারীদের সমান অধিকারের পথে এগিয়ে যেতে হলে এসব সমস্যা সমাধান করতে হবে। নারীর ক্ষমতায়নের প্রথম শর্ত হলো শিক্ষা। শিক্ষিত নারী নিজেকে আত্মনির্ভরশীল করতে পারে, সচেতন হতে পারে, এবং সমাজে নেতৃত্ব দিতে পারে। নারীদের আত্মনির্ভরশীল হতে হলে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা বাড়াতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার জন্য সহজ ঋণের ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। নারী নির্যাতনের ঘটনায় দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যেন অন্যরা এমন অপরাধ করতে সাহস না পায়। পরিবারে ছেলে-মেয়ের মধ্যে কোনো বৈষম্য না রেখে সমান সুযোগ দিতে হবে। সমাজে নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য পুরুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

নারীর জন্য নিরাপদ পৃথিবী গড়তে করণীয় : নারীদের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী তৈরি করতে হলে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে একযোগে কাজ করতে হবে। নারীর প্রতি সম্মান ও সমতা নিশ্চিত করতে হবে। নারীদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে সরকার ও প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে হবে। নারী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের প্রসার ঘটাতে হবে। নারীদের মতামত ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

নারীর প্রতি বৈষম্যের ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা : ইতিহাসের পাতায় দেখা যায়, বিভিন্ন সমাজে নারীদের অধিকার ও স্বাধীনতা বিভিন্নভাবে খর্ব করা হয়েছে। মধ্যযুগে নারী শিক্ষা, সম্পত্তির অধিকার, এমনকি সামাজিকভাবে নিজের মত প্রকাশের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হলেও, বৈষম্য ও নির্যাতন আজও রয়ে গেছে।বিশ্বব্যাপী নারীরা পুরুষদের তুলনায় ২০-৩০% কম বেতন পায় একই ধরনের কাজের জন্য। প্রতি তিনজনে একজন নারী জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে যৌন বা শারীরিক সহিংসতার শিকার হয়। অনেক দেশে নারী এখনো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, যেমন— শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সম্পত্তির অধিকার।

নারীর ক্ষমতায়ন ও সমাজের উন্নয়ন : নারীর ক্ষমতায়ন শুধু নারী নয়, পুরো সমাজের উন্নতির সঙ্গে সম্পর্কিত। একটি দেশ তখনই উন্নত হতে পারে যখন তার জনসংখ্যার অর্ধেক অংশ— অর্থাৎ নারীরা— সমান সুযোগ ও মর্যাদা পায়। নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে—নারীরা যদি পুরুষদের সমানভাবে আয়-উপার্জনের সুযোগ পায়, তাহলে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। একজন শিক্ষিত ও স্বনির্ভর নারী তার পরিবারের জন্য ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা বজায় থাকলে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয় এবং সামগ্রিকভাবে মানবাধিকার রক্ষা পায়।

নারীর জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গঠনের চ্যালেঞ্জসমূহ : একটি বাসযোগ্য পৃথিবী তৈরি করতে হলে কয়েকটি বড় বাধা দূর করতে হবে— পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। অনেক সমাজেই নারীদের ভূমিকা এখনো গৃহস্থালির কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করা হয়। কর্মসংস্থান, রাজনীতি ও উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের অংশগ্রহণ অনেক ক্ষেত্রেই বাধাগ্রস্ত হয়। নারীদের সামাজিক ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। অনেক দেশেই এখনো নারী শিক্ষার হার পুরুষদের তুলনায় কম। শিক্ষা না থাকলে নারীরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারে না এবং সহজেই বঞ্চনার শিকার হয়। মেয়েশিশুদের জন্য বাধ্যতামূলক শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং নারীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা। নারীদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকির মধ্যে অন্যতম হলো যৌন হয়রানি, গার্হস্থ্য সহিংসতা ও পাচার। অনেক সময় সামাজিক সংস্কার ও আইনের দুর্বলতার কারণে অপরাধীরা শাস্তি পায়। কঠোর আইন প্রণয়ন, দ্রুত বিচার ব্যবস্থা চালু করা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা। নারীদের কর্মসংস্থানে এখনো অনেক বাধা রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানেই নারী নেতৃত্বকে বাধাগ্রস্ত করা হয়, এবং অনেক সময় মাতৃত্বকালীন ছুটির কারণে নারীদের ক্যারিয়ারে বাধা আসে। নারীদের জন্য সমান মজুরি, মাতৃত্বকালীন সুবিধা বৃদ্ধি ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা।

বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আমাদের করণীয় : নারীদের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী তৈরি করতে হলে সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা ও পরিবর্তন আনতে হবে। ছেলেমেয়ের মধ্যে পার্থক্য না করে সমান অধিকার নিশ্চিত করা।মেয়েদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা। স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা। যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ। নারী কর্মীদের জন্য নিরাপদ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা।লিঙ্গভিত্তিক বেতন বৈষম্য দূর করা। নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা। নারীবান্ধব আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

নারী দিবস : প্রতিজ্ঞার দিন। নারী দিবস শুধুমাত্র উদযাপনের জন্য নয়, এটি প্রতিজ্ঞার দিন— একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ার শপথ নেওয়ার দিন। আমাদের সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত—নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন। নারীর অধিকার রক্ষার জন্য সচেতনতা সৃষ্টি। নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। নারীর ক্ষমতায়ন ও আত্মনির্ভরশীলতা নিশ্চিত করা।

নারীদের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে হলে কেবল নারীরাই নয়, সমাজের প্রতিটি মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। নারী-পুরুষের সমতা ও সহযোগিতা ছাড়া একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ এবং উন্নত বিশ্ব গঠন সম্ভব নয়। নারী দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক—একটি সমতার সমাজ গড়ার, যেখানে প্রতিটি নারী নিরাপদ, সম্মানিত ও স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারবে। তাহলেই আমরা একটি সত্যিকারের বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে পারব, যেখানে নারী ও পুরুষ উভয়ে সমান সুযোগ ও অধিকার নিয়ে এগিয়ে যাবে এক নতুন ভোরের পথে। নারী দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক—একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ার, যেখানে প্রতিটি নারী স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারবে, তার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, এবং সে সমান সুযোগ ও মর্যাদা পাবে। শুধু একদিন নয়, প্রতিদিনই নারীর অধিকারের কথা ভাবতে হবে, কাজ করতে হবে। নারীর উন্নয়ন মানেই সমাজের উন্নয়ন, এবং নারীর জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে পারলেই আমাদের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল ও সুন্দর হবে।

লেখক পরিচিতি : উজ্জ্বল হোসাইন, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক, চাঁদপুর।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে

চাঁদপুরে “হুইলস অব পিস”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে “হুইলস অব পিস”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

মিশন গ্রিন বাংলাদেশ-এর সহায়তায়, এসডিজি ভিত্তিক পিস প্রজেক্টের পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ । বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর জেলা স্কাউটস ভবনের সামনের প্রাঙ্গণে আয়োজিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। আয়োজনটি করেছে “প্রজেক্ট হুইলস অব পিস”, যা একটি এসডিজি (SDG) ভিত্তিক স্কাউট পিস প্রজেক্ট।

এই উদ্যোগে সহায়তা করে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, এবং সহযোগিতা করে মেঘনাপাড় ওপেন স্কাউট গ্রুপ। সারাদেশে ৬৪ জেলায় ৫ জুন একসাথে বৃক্ষরোপণের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ৪০ জন তরুণ স্বেচ্ছাসেবক সক্রিয়ভাবে অংশ নেন, যারা শুধু গাছ লাগিয়ে দায়িত্ব শেষ করেননি, বরং পরিবেশ সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে মাঠে-ময়দানে কাজ করেছেন।

পরিবেশ দূষণ ও প্লাস্টিকের অপব্যবহার প্রতিরোধে আয়োজনস্থল এবং আশেপাশের এলাকায় সচেতনতামূলক পোস্টার লাগানো হয়। এছাড়াও স্থানীয় বাজার ও জনবহুল স্থানে লিফলেট বিতরণ করে সাধারণ মানুষের মাঝে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়—”সবুজ পৃথিবী, নিরাপদ ভবিষ্যৎ”।

বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে ফলজ গাছ যেমন আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, জামসহ স্থানীয় প্রজাতির চারা রোপণ করা হয়। এসব গাছ একদিকে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করবে, অন্যদিকে স্থানীয় মানুষের উপকারে আসবে।

উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট হুইলস অব পিস এর প্রতিষ্ঠাতা ওমর তামীম সাফি। তিনি বলেন:
**”পরিবেশ রক্ষা আমাদের দায়িত্ব নয়, বরং এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। একটি গাছ মানে শুধু ছায়া বা ফল নয়—এটি জীবনের ধারক। আজকের এই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমরা শপথ করছি, সবুজের জন্য কাজ করব—শুধু শহরে নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সচেতনতার আলো ছড়িয়ে দেব।

এই কর্মসূচি সফল করতে যারা পাশে ছিলেন, বিশেষ করে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, মেঘনাপাড় মুক্ত স্কাউট গ্রুপ এর সদস্যবৃন্দ। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে, এ ধরনের পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ড আরও সংগঠিতভাবে, বৃহৎ পরিসরে এবং টেকসইভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে।”**

প্রজেক্ট হুইলস অব পিস, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)-এর বিভিন্ন দিক যেমন পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, যুবসম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই ইনিসিয়েটিভ এর মাধ্যমে স্কাউট এবং নন স্কাউট দের সাথে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে । ১৭ টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮ টি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে চলেছে প্রজেক্ট হুইলস অব পিস । প্রকৃতি, পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক, ছেলে ও মেয়েদের বয়:সন্ধিকালের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন, এলাকা ভিত্তিক ভাবে পরিবেশ দূষণরোধে সচেতনতা সৃষ্টি এছাড়া প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে, প্লাস্টিকের পুন:ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী পরিচালনা করে যাচ্ছে । কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট হুইলস অব পিসের সদস্য রুমাইয়া বিনতে রহিম, সাব্বির আহমেদ, নূর মোহাম্মদ, তাসফিয়া সুলতানা সহ আরোও অনেক সদস্যবৃন্দ।

এই কর্মসূচি তাদের চলমান সবুজ উদ্যোগেরই একটি অংশ। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও তারা একই রকম কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চান।

বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আজ সোমবার সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাজেটের যে কাঠামো উপস্থাপন করা হয়েছে, সেখানে বাজেটের আকার সামান্য ছোট করা হয়েছে। পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সেখানেও কিছুটা কাটছাঁট করা হয়েছে। বাজেটের আকার নিয়ে অনেকদিন ধরে আলোচনা হয়েছে, সেটার অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমাদের যে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, অর্থাৎ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ স্থবিরতা, কর্মসংস্থানে সমস্যা এবং রাজস্ব আহরণের সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বাজেট প্রস্তাব করেছে বলে আমাদের মনে হয়েছে।’

ড. ফাহমিদা বলেন, ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির দিকে তাকালে দেখা যাবে, চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ২ শতাংশ কমানো হয়েছে এবং ১৫টি খাতের মধ্যে ১৪টি খাতেই কমানো হয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য এবং চিন্তার বিষয় হচ্ছে, তিনটি খাত—শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে টাকার অংকে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সেটা আমাদের কাছে উদ্বেগজনক মনে হয়, কারণ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা সব সময় বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলে আসছি এবং কৃষি খাতে, বিশেষত খাদ্য নিরাপত্তার দিকে এখানে বরাদ্দ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘ভৌত অবকাঠামো, বিশেষ করে পরিবহন ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি বরাবরের মতো উপরের দিকে আছে যুক্তিযুক্তভাবে।’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, কর কাঠামোর মধ্যে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ দশমিক ৫ লাখ, অর্থাৎ সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, এটা একটা ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু প্রায় ৩ বছরের মতো সময় ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে, ১০-১১ শতাংশে উঠে গেছে। সেদিক থেকে যে খুব একটা উল্লম্ফন হয়েছে সেটা না। তবে এটাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যারা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত, তাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, সেটাও আমরা ভালো পদক্ষেপ মনে করি।’

‘করের বিভিন্ন স্ল্যাবগুলোতে পরিবর্তন করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যারা নিম্ন মধ্যআয়ের যারা পড়েছেন, কর দেওয়ার ক্ষেত্রে হারটা তাদের মধ্যেই বেশি পড়বে। আবার যারা আয়ের উচ্চ পর্যায়ে রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে অনেক কম পড়বে। এখানে বৈষম্যের চিত্র দেখা যাচ্ছে। অঞ্চলভিত্তিক ন্যূনতম কর ধরা হয়েছে ৫ হাজার টাকা, এখানে আমরা মনে করছি বৈষম্য রয়েছে। কারণ রাজধানী ঢাকা কিংবা অন্য আরেকটি জেলার সবাইকে এক করে দেখানো; সরকারি সেবা সব জায়গায় সবাই কিন্তু সমানভাবে নেয় না। এখানে পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে বলে আমরা মনে করি,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘শুল্ক যৌক্তিকরণ হয়েছে এবং আমদানি শিল্প যৌক্তিকিকরণ করতে গিয়ে হয়তো কিছু কিছু শিল্প চাপে পড়তে পারে। বিশেষ করে যখন মূল্যস্ফীতি বেশি, কস্ট অব ডুইং বিজনেস বেশি। এটাকে শুল্কের যৌক্তিকিকরণ করতেই হবে, কারণ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে যাবে। আস্তে আস্তে ট্যারিফ কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। যে প্রতিঘাত আসবে, সেটা মোকাবিলা করার জন্য কস্ট অব ডুইং বিজনেসের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ী মূল্যে কিংবা সহজ শর্তে ঋণ কিংবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে কস্ট অব ডুইং বিজনেস কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’

প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ই-কমার্সের সুযোগ-সুবিধা এবং ই-কমার্সকে ফরমাল সেক্টরে আনা; এখানে করের আওতায় আনা এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের অধীনে যে ৫ হাজার ৪০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন হয়েছে। আমরা মনে করি, আগেও পিপিপি মডেলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো কিন্তু খুব একটা এগোয় নাই।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিডি।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কালো টাকা সাদার করার সুযোগটা রয়ে গেছে। যদিও এখানে রেট বাড়ানো হয়েছে কিন্তু আমরা আগেও বলেছি, কালো টাকার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান হচ্ছে, এই সুযোগ দিয়ে যারা নৈতিকভাবে প্রতি বছর স্বচ্ছ আয় করে, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার সঙ্গে কর দিয়ে থাকেন, তাদের প্রতি নৈতিক আঘাত। কারণ তাদের আদর্শিকভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। দুটি জিনিস সমান্তরালভাবে চলতে পারে না!’

ফাহমিদা আরও বলেন, ‘আগে করের হারটাও কম রাখা হতো, এখন করের হার বেশি রাখা হয়েছে। তারপরও এটা থেকে খুব একটা আদায় হয় না। যদি এখান থেকে সত্যি আদায় করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে কিন্তু সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া দুএকবার সুযোগ দিয়ে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’ উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় কর রেয়াত কিংবা বিভিন্ন জায়গা থেকে কমানো এবং পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে ১৪০টির মতো কার্যক্রম একসঙ্গে চলতো, সেগুলো কমিয়ে ৯৫টি করা হয়েছে এবং সেখানে অর্থ বরাদ্দ কম করা হয়েছে। খুব কম না কিন্তু বাজেটের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার মতো।’ ‘আমরা বারবার বলেছি, এখানে কতগুলো উপাদান যুক্ত করা হয়, যেগুলো সামাজিক নিরাপত্তা বা সামাজিক সুরক্ষার অধীনে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ এটা একেবারেই অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। সরকারি কর্মচারীদের পেনশন, সেখানে আছে ৩৫ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। কৃষি ভর্তুকি আছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই দুটি মিলিয়ে ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি হয়, সেটা বাদ দিয়ে রয়ে যায় ৬৪ হাজার কোটি টাকার মতো। সেটা অনেকখানি কমে আসে। এগুলো বাদ দিয়ে যে নেট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, সেটাকে দেখাতে হবে। সেটা দেখে তুলনা করা যেতে পারে যে আসলেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কী করা হলো,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বলতে চাই, কিছু কিছু পদক্ষেপ ভালো নেওয়া হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে। কিন্তু সামগ্রিক কাঠামোগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যে একই কাঠামোর মধ্যে এখানে একটু বেশি, ওখানে একটু কম—এ রকম করে নেওয়া হয়েছে। বাজেটের যে দর্শন, এখানে বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যের সঙ্গে যে বাস্তব পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে, সব ক্ষেত্রে সেটা সাযুজ্যপূর্ণ হয়নি।’

ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৬ অপরাহ্ণ
ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (৩ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি আমরা জানিয়েছি। রোজার আগে অথবা যদি কোনো কারণে সম্ভব না হয়, তাহলে যেন এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া হয়। কারণ আবহাওয়ার কারণে মে মাসের পর নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকেও যদি সমতল মাঠ তৈরি হয়, ফেয়ার ইলেকশন যদি সম্ভব হয়, তাহলেও আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু ফেয়ার ইলেকশনের মাঠ তৈরি না হলে এপ্রিলে নির্বাচন হলেও তো কোনো লাভ নেই।’

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রবাসীদের অবশ্যই ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে, এ বিষয়ে আমরা ছাড় দিতে রাজি নই।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। আমরা ইসির কাছে দাবি জানিয়েছি, প্রবাসীরা যেন ভোট দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য। এটা কোনো কঠিন বিষয় নয়। কিন্তু ইসির পক্ষ থেকে আমরা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।’

এর আগে গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরও বলেন, বৈঠকে তারা বলেছেন, জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। আর নির্বাচন হতে পারে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে।

তাহের বলেন, ‘আমরা বলেছি জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। বেশিরভাগ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। সামান্য কিছু বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার শেষ হবে। এরপর একটি জুলাই সনদ হবে। সেখানে আমরা সব দল স্বাক্ষর করব।’