খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্র কিংবা কন্সপেরেসি থিওরি কল্পনা নয় বাস্তব

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৩০ অপরাহ্ণ
জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্র কিংবা কন্সপেরেসি থিওরি কল্পনা নয় বাস্তব

জায়োনিজম একটি রাজনৈতিক আন্দোলন যা মূলত উনিশ শতকের শেষভাগে গড়ে ওঠে এবং ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিণতি লাভ করে। কিন্তু জায়োনিজমের সঙ্গে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব (Conspiracy Theory) যুক্ত করে অনেক আলোচনা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী মনে করে যে জায়োনিস্টরা বিশ্ব রাজনীতিতে গোপনে প্রভাব বিস্তার করছে, অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে এবং বিভিন্ন দেশ ও সমাজে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করছে। এই প্রবন্ধে জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্র তত্ত্বের উৎপত্তি, প্রকৃতি, প্রভাব ও বাস্তবতা বিশ্লেষণ করা হবে। জায়োনিজম শব্দটি এসেছে “জায়োন” (Zion) থেকে, যা ইহুদিদের জন্য বিশেষ ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক গুরুত্ববাহী। এটি মূলত ইহুদিদের জন্য একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার রাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবে উনিশ শতকে উদ্ভূত হয়। এটি ইহুদি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, যার উদ্দেশ্য ছিল ইহুদিদের জন্য একটি স্বতন্ত্র মাতৃভূমি প্রতিষ্ঠা করা। ১৮৯৭ সালে থিওডোর হার্জল প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে “জায়োনিস্ট কংগ্রেস” গঠন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

তবে এই আন্দোলন শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল। অনেক মুসলিম দেশ, বিশেষ করে ফিলিস্তিনিরা, এটি দখলদারি ও ঔপনিবেশিক প্রকল্প হিসেবে দেখে আসছে। জায়োনিস্টদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলোর শেকড় বহু পুরনো। ইউরোপীয় সমাজে মধ্যযুগ থেকেই ইহুদিদের বিরুদ্ধে নানা গুজব রটানো হতো। তারা ব্যাংকিং ও বাণিজ্যে সফল হওয়ায় অনেকেই মনে করত যে ইহুদিরা গোপনে বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। এটি একটি ভুয়া নথি, যা ১৯০৩ সালে রাশিয়ায় প্রকাশিত হয়। এতে দাবি করা হয় যে ইহুদিরা গোপনে বিশ্ব শাসনের পরিকল্পনা করছে। যদিও এটি পরবর্তীতে ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়, তবে অনেকেই এটিকে সত্য মনে করে। কিছু ষড়যন্ত্রবাদীরা বলে যে জায়োনিস্টরা বিশ্ব মিডিয়া, বিনোদন শিল্প ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন, হলিউড ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ওপর ইহুদিদের আধিপত্য রয়েছে বলে দাবি করা হয়। একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে জায়োনিস্টরা বিশ্ব সরকার গঠন করতে চায় এবং গোপনে বিভিন্ন সরকার ও সংস্থার মাধ্যমে কাজ করছে। অনেকে মনে করে যে জায়োনিস্টরা ফিলিস্তিনের জমি দখল করার পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে। এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলো বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদিদের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরির ক্ষেত্রে এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বড় ভূমিকা রয়েছে।

রাজনৈতিক বিভাজন – জায়োনিস্ট আন্দোলন নিয়ে বিতর্ক বিশ্ব রাজনীতিতে বড় ধরনের বিভাজন সৃষ্টি করেছে। যেমন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাত। সামাজিক উত্তেজনা – সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য মাধ্যমের মাধ্যমে এই তত্ত্বগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে মুসলিম ও ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচলিত থাকলেও এগুলোর সত্যতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। মিডিয়া ও ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণ – সত্য যে কিছু ইহুদি পরিবার অর্থনীতিতে প্রভাবশালী, তবে এটা বলতে গেলে বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র চলছে তা যুক্তিযুক্ত নয়।
বিশ্ব সরকার গঠন – এ ধরনের দাবির পক্ষে সুস্পষ্ট প্রমাণ নেই। ফিলিস্তিন প্রশ্ন – ইসরায়েলের কার্যক্রমের সমালোচনা করা যায়, তবে তা জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত প্রমাণ নয়।  জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্র তত্ত্ব (Zionist Conspiracy Theory) বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি ও ইতিহাসের এক বিতর্কিত বিষয়। জায়োনিজম একটি রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে শুরু হলেও, এটি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, জায়োনিস্টরা বিশ্ব শাসনের গোপন পরিকল্পনা করছে এবং বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদিকে, অনেকে এসব দাবিকে ভিত্তিহীন ও অতিরঞ্জিত বলে মনে করেন। এই প্রবন্ধে জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্র তত্ত্বের উৎপত্তি, প্রচলিত ধরণ, বাস্তবতা এবং এর সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিশ্লেষণ করা হবে।

জায়োনিজম মূলত ইহুদি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, যার মূল লক্ষ্য ছিল ইহুদিদের জন্য একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ইহুদিদের জন্য একটি নিরাপদ মাতৃভূমি প্রতিষ্ঠা করা। বাইবেলের বিবরণ অনুসারে, ইসরায়েল হলো ইহুদিদের প্রতিশ্রুত ভূমি। উনিশ শতকের ইউরোপে ইহুদিদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও নিপীড়ন বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেক ইহুদি নিজেদের আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।

১৮৯৭ সালে থিওডোর হার্জল প্রথম “জায়োনিস্ট কংগ্রেস” গঠন করেন এবং ইহুদিদের জন্য একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করেন। ১৯১৭ সালের বেলফোর ঘোষণা (Balfour Declaration) এবং ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা জায়োনিজমের প্রধান ফলাফল। ২. জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্র তত্ত্ব: কী এবং কেন? জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মূলত ধারণা করে যে জায়োনিস্টরা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা বিস্তার করছে। প্রটোকলস অব দ্য এল্ডার্স অব জায়োন (Protocols of the Elders of Zion)। এটি ১৯০৩ সালে প্রকাশিত একটি ভুয়া দলিল, যেখানে বলা হয়েছিল ইহুদিরা বিশ্ব শাসনের ষড়যন্ত্র করছে।
যদিও এটি পরবর্তীতে ভুয়া প্রমাণিত হয়, তবু অনেক ষড়যন্ত্রবাদীরা এটি সত্য বলে বিশ্বাস করে। ষড়যন্ত্রবাদীদের মতে, জায়োনিস্টরা গণমাধ্যম, হলিউড, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও ফেডারেল রিজার্ভ নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন, কিছু বিখ্যাত মিডিয়া কোম্পানির মালিক ইহুদি হওয়ার কারণে অনেকেই মনে করেন তারা বিশ্বব্যাপী প্রচারমাধ্যমের ওপর আধিপত্য বিস্তার করেছে। একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে জায়োনিস্টরা একটি গোপন বিশ্ব সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছে। দাবি করা হয়, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা (যেমন: UN, WHO, IMF) জায়োনিস্টদের দ্বারা পরিচালিত। অনেকে মনে করেন যে জায়োনিস্টরা মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে এবং তাদের দুর্বল করার চেষ্টা করছে। ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ার অস্থিরতা এবং ফিলিস্তিনের দখলকে জায়োনিস্ট পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখা হয়।

মধ্যযুগ থেকেই ইউরোপীয় সমাজে ইহুদিদের বিরুদ্ধে নানা গুজব রটানো হতো। তাদের ব্যাংকিং ও ব্যবসায়িক সফলতা অনেকের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করেছিল। ইসরায়েলের সামরিক নীতি ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি নিপীড়ন জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে। সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন ব্লগসাইটে এই ধরনের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়, যা অনেক মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। যদিও জায়োনিস্টদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচলিত রয়েছে, তবে এদের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কিছু ইহুদি পরিবার অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হলেও, এটি প্রমাণিত নয় যে তারা সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। বিশ্বব্যাংক, IMF ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে কাজ করে, যা ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে দুর্বল করে। ইসরায়েলের নীতির সমালোচনা করা যেতে পারে, তবে এটি জায়োনিস্টদের বৈশ্বিক ষড়যন্ত্রের প্রমাণ নয়। অনেক ইহুদি নিজেই ইসরায়েলের নীতির সমালোচনা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও প্রতিষ্ঠান নিজেদের স্বার্থে কাজ করে, যা একটি বৃহৎ জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনাকে দুর্বল করে। এখন পর্যন্ত এ ধরনের ষড়যন্ত্রের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এই ধরনের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনেক সময় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই তত্ত্বের কারণে অনেক সাধারণ মানুষ ইহুদিদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করতে শুরু করে। ইউরোপ ও আমেরিকায় ইহুদি সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্ন সময় হামলা হয়েছে। জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংঘর্ষ সৃষ্টি করে।এটি ইসরায়েল ও মুসলিম বিশ্বের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাস্তব সমস্যার পরিবর্তে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ওপর মনোযোগ দিলে প্রকৃত সমাধান খোঁজা কঠিন হয়ে পড়ে। মানুষ বিজ্ঞান, ইতিহাস ও বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে বিভ্রান্তিকর তথ্যের ওপর নির্ভর করতে শুরু করে।

জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ইতিহাস, রাজনীতি ও ধর্মীয় অনুভূতির মিশ্রণে গড়ে ওঠা একটি জটিল বিষয়। যদিও জায়োনিজম একটি বাস্তব রাজনৈতিক আন্দোলন, তবে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অতিরঞ্জিত এবং ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ব রাজনীতির প্রকৃত বিশ্লেষণের জন্য বাস্তব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ওপর নয়। এই বিষয়ে গবেষণা, তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ ও সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে মতামত গঠন করা উচিত। জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্র তত্ত্ব একদিকে ইতিহাস ও রাজনীতির বাস্তবতার মিশ্রণ, অন্যদিকে অনেকাংশেই অতিরঞ্জিত। যদিও ইসরায়েলের নীতির সমালোচনা করা স্বাভাবিক, তবে এটিকে এককভাবে একটি বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা কতটা যৌক্তিক, তা বিবেচনার দাবি রাখে। গবেষণা ও তথ্যনির্ভর বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা উচিত।

লেখক পরিচিতি : উজ্জ্বল হোসাইন, লেখক ও সাংবাদিক, চাঁদপুর।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে

চাঁদপুরে “হুইলস অব পিস”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে “হুইলস অব পিস”-এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

মিশন গ্রিন বাংলাদেশ-এর সহায়তায়, এসডিজি ভিত্তিক পিস প্রজেক্টের পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ । বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর জেলা স্কাউটস ভবনের সামনের প্রাঙ্গণে আয়োজিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। আয়োজনটি করেছে “প্রজেক্ট হুইলস অব পিস”, যা একটি এসডিজি (SDG) ভিত্তিক স্কাউট পিস প্রজেক্ট।

এই উদ্যোগে সহায়তা করে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, এবং সহযোগিতা করে মেঘনাপাড় ওপেন স্কাউট গ্রুপ। সারাদেশে ৬৪ জেলায় ৫ জুন একসাথে বৃক্ষরোপণের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ৪০ জন তরুণ স্বেচ্ছাসেবক সক্রিয়ভাবে অংশ নেন, যারা শুধু গাছ লাগিয়ে দায়িত্ব শেষ করেননি, বরং পরিবেশ সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে মাঠে-ময়দানে কাজ করেছেন।

পরিবেশ দূষণ ও প্লাস্টিকের অপব্যবহার প্রতিরোধে আয়োজনস্থল এবং আশেপাশের এলাকায় সচেতনতামূলক পোস্টার লাগানো হয়। এছাড়াও স্থানীয় বাজার ও জনবহুল স্থানে লিফলেট বিতরণ করে সাধারণ মানুষের মাঝে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়—”সবুজ পৃথিবী, নিরাপদ ভবিষ্যৎ”।

বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে ফলজ গাছ যেমন আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, জামসহ স্থানীয় প্রজাতির চারা রোপণ করা হয়। এসব গাছ একদিকে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করবে, অন্যদিকে স্থানীয় মানুষের উপকারে আসবে।

উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট হুইলস অব পিস এর প্রতিষ্ঠাতা ওমর তামীম সাফি। তিনি বলেন:
**”পরিবেশ রক্ষা আমাদের দায়িত্ব নয়, বরং এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। একটি গাছ মানে শুধু ছায়া বা ফল নয়—এটি জীবনের ধারক। আজকের এই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমরা শপথ করছি, সবুজের জন্য কাজ করব—শুধু শহরে নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সচেতনতার আলো ছড়িয়ে দেব।

এই কর্মসূচি সফল করতে যারা পাশে ছিলেন, বিশেষ করে মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, মেঘনাপাড় মুক্ত স্কাউট গ্রুপ এর সদস্যবৃন্দ। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে, এ ধরনের পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ড আরও সংগঠিতভাবে, বৃহৎ পরিসরে এবং টেকসইভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে।”**

প্রজেক্ট হুইলস অব পিস, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)-এর বিভিন্ন দিক যেমন পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, যুবসম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই ইনিসিয়েটিভ এর মাধ্যমে স্কাউট এবং নন স্কাউট দের সাথে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে । ১৭ টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮ টি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে চলেছে প্রজেক্ট হুইলস অব পিস । প্রকৃতি, পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক, ছেলে ও মেয়েদের বয়:সন্ধিকালের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন, এলাকা ভিত্তিক ভাবে পরিবেশ দূষণরোধে সচেতনতা সৃষ্টি এছাড়া প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে, প্লাস্টিকের পুন:ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী পরিচালনা করে যাচ্ছে । কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট হুইলস অব পিসের সদস্য রুমাইয়া বিনতে রহিম, সাব্বির আহমেদ, নূর মোহাম্মদ, তাসফিয়া সুলতানা সহ আরোও অনেক সদস্যবৃন্দ।

এই কর্মসূচি তাদের চলমান সবুজ উদ্যোগেরই একটি অংশ। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও তারা একই রকম কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চান।

বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
বাজেট প্রতিক্রিয়া : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে এডিপি বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক: সিপিডি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ কমানো উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আজ সোমবার সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাজেটের যে কাঠামো উপস্থাপন করা হয়েছে, সেখানে বাজেটের আকার সামান্য ছোট করা হয়েছে। পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সেখানেও কিছুটা কাটছাঁট করা হয়েছে। বাজেটের আকার নিয়ে অনেকদিন ধরে আলোচনা হয়েছে, সেটার অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমাদের যে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, অর্থাৎ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ স্থবিরতা, কর্মসংস্থানে সমস্যা এবং রাজস্ব আহরণের সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বাজেট প্রস্তাব করেছে বলে আমাদের মনে হয়েছে।’

ড. ফাহমিদা বলেন, ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির দিকে তাকালে দেখা যাবে, চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ২ শতাংশ কমানো হয়েছে এবং ১৫টি খাতের মধ্যে ১৪টি খাতেই কমানো হয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য এবং চিন্তার বিষয় হচ্ছে, তিনটি খাত—শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে টাকার অংকে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সেটা আমাদের কাছে উদ্বেগজনক মনে হয়, কারণ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা সব সময় বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলে আসছি এবং কৃষি খাতে, বিশেষত খাদ্য নিরাপত্তার দিকে এখানে বরাদ্দ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘ভৌত অবকাঠামো, বিশেষ করে পরিবহন ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি বরাবরের মতো উপরের দিকে আছে যুক্তিযুক্তভাবে।’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, কর কাঠামোর মধ্যে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ দশমিক ৫ লাখ, অর্থাৎ সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, এটা একটা ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু প্রায় ৩ বছরের মতো সময় ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে, ১০-১১ শতাংশে উঠে গেছে। সেদিক থেকে যে খুব একটা উল্লম্ফন হয়েছে সেটা না। তবে এটাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যারা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত, তাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, সেটাও আমরা ভালো পদক্ষেপ মনে করি।’

‘করের বিভিন্ন স্ল্যাবগুলোতে পরিবর্তন করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যারা নিম্ন মধ্যআয়ের যারা পড়েছেন, কর দেওয়ার ক্ষেত্রে হারটা তাদের মধ্যেই বেশি পড়বে। আবার যারা আয়ের উচ্চ পর্যায়ে রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে অনেক কম পড়বে। এখানে বৈষম্যের চিত্র দেখা যাচ্ছে। অঞ্চলভিত্তিক ন্যূনতম কর ধরা হয়েছে ৫ হাজার টাকা, এখানে আমরা মনে করছি বৈষম্য রয়েছে। কারণ রাজধানী ঢাকা কিংবা অন্য আরেকটি জেলার সবাইকে এক করে দেখানো; সরকারি সেবা সব জায়গায় সবাই কিন্তু সমানভাবে নেয় না। এখানে পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে বলে আমরা মনে করি,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘শুল্ক যৌক্তিকরণ হয়েছে এবং আমদানি শিল্প যৌক্তিকিকরণ করতে গিয়ে হয়তো কিছু কিছু শিল্প চাপে পড়তে পারে। বিশেষ করে যখন মূল্যস্ফীতি বেশি, কস্ট অব ডুইং বিজনেস বেশি। এটাকে শুল্কের যৌক্তিকিকরণ করতেই হবে, কারণ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে যাবে। আস্তে আস্তে ট্যারিফ কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। যে প্রতিঘাত আসবে, সেটা মোকাবিলা করার জন্য কস্ট অব ডুইং বিজনেসের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ী মূল্যে কিংবা সহজ শর্তে ঋণ কিংবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে কস্ট অব ডুইং বিজনেস কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’

প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ই-কমার্সের সুযোগ-সুবিধা এবং ই-কমার্সকে ফরমাল সেক্টরে আনা; এখানে করের আওতায় আনা এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের অধীনে যে ৫ হাজার ৪০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন হয়েছে। আমরা মনে করি, আগেও পিপিপি মডেলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো কিন্তু খুব একটা এগোয় নাই।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিডি।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কালো টাকা সাদার করার সুযোগটা রয়ে গেছে। যদিও এখানে রেট বাড়ানো হয়েছে কিন্তু আমরা আগেও বলেছি, কালো টাকার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান হচ্ছে, এই সুযোগ দিয়ে যারা নৈতিকভাবে প্রতি বছর স্বচ্ছ আয় করে, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার সঙ্গে কর দিয়ে থাকেন, তাদের প্রতি নৈতিক আঘাত। কারণ তাদের আদর্শিকভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। দুটি জিনিস সমান্তরালভাবে চলতে পারে না!’

ফাহমিদা আরও বলেন, ‘আগে করের হারটাও কম রাখা হতো, এখন করের হার বেশি রাখা হয়েছে। তারপরও এটা থেকে খুব একটা আদায় হয় না। যদি এখান থেকে সত্যি আদায় করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে কিন্তু সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া দুএকবার সুযোগ দিয়ে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’ উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় কর রেয়াত কিংবা বিভিন্ন জায়গা থেকে কমানো এবং পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে ১৪০টির মতো কার্যক্রম একসঙ্গে চলতো, সেগুলো কমিয়ে ৯৫টি করা হয়েছে এবং সেখানে অর্থ বরাদ্দ কম করা হয়েছে। খুব কম না কিন্তু বাজেটের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার মতো।’ ‘আমরা বারবার বলেছি, এখানে কতগুলো উপাদান যুক্ত করা হয়, যেগুলো সামাজিক নিরাপত্তা বা সামাজিক সুরক্ষার অধীনে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ এটা একেবারেই অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। সরকারি কর্মচারীদের পেনশন, সেখানে আছে ৩৫ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। কৃষি ভর্তুকি আছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই দুটি মিলিয়ে ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি হয়, সেটা বাদ দিয়ে রয়ে যায় ৬৪ হাজার কোটি টাকার মতো। সেটা অনেকখানি কমে আসে। এগুলো বাদ দিয়ে যে নেট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, সেটাকে দেখাতে হবে। সেটা দেখে তুলনা করা যেতে পারে যে আসলেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কী করা হলো,’ যোগ করেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বলতে চাই, কিছু কিছু পদক্ষেপ ভালো নেওয়া হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে। কিন্তু সামগ্রিক কাঠামোগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যে একই কাঠামোর মধ্যে এখানে একটু বেশি, ওখানে একটু কম—এ রকম করে নেওয়া হয়েছে। বাজেটের যে দর্শন, এখানে বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যের সঙ্গে যে বাস্তব পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে, সব ক্ষেত্রে সেটা সাযুজ্যপূর্ণ হয়নি।’

ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২:৩৬ অপরাহ্ণ
ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (৩ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি আমরা জানিয়েছি। রোজার আগে অথবা যদি কোনো কারণে সম্ভব না হয়, তাহলে যেন এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া হয়। কারণ আবহাওয়ার কারণে মে মাসের পর নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকেও যদি সমতল মাঠ তৈরি হয়, ফেয়ার ইলেকশন যদি সম্ভব হয়, তাহলেও আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু ফেয়ার ইলেকশনের মাঠ তৈরি না হলে এপ্রিলে নির্বাচন হলেও তো কোনো লাভ নেই।’

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রবাসীদের অবশ্যই ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে, এ বিষয়ে আমরা ছাড় দিতে রাজি নই।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। আমরা ইসির কাছে দাবি জানিয়েছি, প্রবাসীরা যেন ভোট দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য। এটা কোনো কঠিন বিষয় নয়। কিন্তু ইসির পক্ষ থেকে আমরা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।’

এর আগে গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরও বলেন, বৈঠকে তারা বলেছেন, জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। আর নির্বাচন হতে পারে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে।

তাহের বলেন, ‘আমরা বলেছি জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। বেশিরভাগ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। সামান্য কিছু বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার শেষ হবে। এরপর একটি জুলাই সনদ হবে। সেখানে আমরা সব দল স্বাক্ষর করব।’