খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২

মানবিক কাজের সাংবাদিকতা ও আমাদের সমাজ

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:৫২ অপরাহ্ণ
মানবিক কাজের সাংবাদিকতা ও আমাদের সমাজ

মানবিক কাজ এবং সাংবাদিকতা মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। সাংবাদিকতা একটি শক্তিশালী মাধ্যম যা মানুষের কষ্ট, দুর্ভোগ এবং অধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরে। এটি মানবিক কাজের প্রভাব বৃদ্ধি করে এবং বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টি করে। মানবিক সাংবাদিকতা শুধু খবর পরিবেশনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি মানবতার সেবায় একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে দাঁড়ায়। সাংবাদিকতা সমাজের এমন শ্রেণির মানুষের সমস্যাগুলো তুলে ধরে, যাদের কথা সাধারণত শোনা যায় না। এটি ক্ষতিগ্রস্ত, দারিদ্র্যপীড়িত, বা নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মানবিক বিপর্যয়, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বা সঙ্কটের সময় সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করে। এই তথ্য ভবিষ্যতে নীতি প্রণয়ন, সাহায্য কার্যক্রম এবং মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাংবাদিকতা জনগণকে সচেতন করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, দারিদ্র্য, ক্ষুধা, বা শরণার্থী সংকট নিয়ে রিপোর্টিং বিশ্বজুড়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং মানুষকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করে।সাংবাদিকতার মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং ডকুমেন্টারি সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে নীতিনির্ধারণে সহায়তা করে।

বিভিন্ন এনজিও, সাহায্য সংস্থা, এবং মানবিক কার্যক্রমে সাংবাদিকতা প্রয়োজনীয় প্রচার নিশ্চিত করে। এটি তহবিল সংগ্রহ এবং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সহায়ক। সংঘাতপূর্ণ এলাকা, যুদ্ধক্ষেত্র, বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সাংবাদিকদের জীবনের ঝুঁকি থাকে। মানবিক প্রতিবেদনে ভুল তথ্য উপস্থাপন বা পক্ষপাতিত্ব বিশ্বাসযোগ্যতাকে হ্রাস করতে পারে। সাংবাদিকতার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ও সম্পদের অভাব অনেক সময় মানবিক কভারেজকে বাধাগ্রস্ত করে। কিছু ক্ষেত্রে সরকার বা প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে বাধা দেয়, যা তাদের কার্যক্রমকে সীমিত করে। রোহিঙ্গা সংকট ও সাংবাদিকতার ভূমিকা-২০১৭ সালে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিচালিত নির্যাতন ও গণহত্যা বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নেয়। আন্তর্জাতিক মিডিয়া যেমন বিবিসি, সিএনএন, এবং আল-জাজিরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশা তুলে ধরেছিল। স্থানীয় সাংবাদিকরাও কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরের পরিস্থিতি এবং চাহিদা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেন। এই প্রতিবেদনগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়েছিল এবং ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়ক হয়েছিল।সাংবাদিকতা প্রমাণ হিসেবে কাজ করেছে, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা পরিচালনার ভিত্তি তৈরি করেছে।

সংঘাতপূর্ণ এলাকায় রিপোর্ট সংগ্রহের সময় সাংবাদিকরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। যেমন-সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ এবং সাংবাদিকতার ভূমিকা : ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই সংঘাতে লক্ষাধিক মানুষ নিহত এবং মিলিয়ন মানুষ শরণার্থী হয়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং বেসামরিক জনগণের দুর্দশা তুলে ধরেছে। বিবিসি, আল-জাজিরা, এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতো আন্তর্জাতিক মিডিয়া সিরিয়ার শরণার্থী সংকট নিয়ে প্রতিবেদন করেছে। ইউএন এবং এনজিও সংস্থাগুলোর জন্য এই প্রতিবেদনগুলো সাহায্যের আবেদন এবং ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়ক হয়েছে। যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য নথিভুক্ত করতে সাংবাদিকতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যুদ্ধক্ষেত্রের বিপজ্জনক পরিবেশে সাংবাদিকদের কাজ করতে হয়েছে। অনেক সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন বা আহত হয়েছেন। সেন্সরশিপ এবং তথ্য নিয়ন্ত্রণ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

ডিজিটাল প্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ার উত্থান সাংবাদিকতাকে আরও সহজ ও কার্যকর করে তুলেছে। ড্রোন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, এবং ডেটা জার্নালিজম মানবিক কাজকে উন্নত করছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের চেয়ে ভালোভাবে স্থানীয় পরিস্থিতি তুলে ধরতে সক্ষম। তাদের গুরুত্ব ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখতে নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম। মানবিক সাংবাদিকতা আরও কার্যকর করতে এনজিও, সরকার, এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে হবে। মানবিক সাংবাদিকতা মানুষের দুর্দশার কথা তুলে ধরে এবং মানবাধিকার রক্ষা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে। এটি শুধু সমস্যার চিত্রায়ন নয়, বরং সমস্যার সমাধানে সমাজ ও সরকারের মনোযোগ আকর্ষণ করে। সাংবাদিকতা মানুষের দুঃখ-দুর্দশা এবং অবহেলার কথা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেয়। একই সঙ্গে এটি সচেতনতা বৃদ্ধি, তহবিল সংগ্রহ এবং মানবিক সাহায্য কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হয়।

মানবিক সাংবাদিকতার প্রসার এবং তার গভীরতা অনেক। সাংবাদিকরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করেন এবং এটি জাতিসংঘ বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে উপস্থাপন করেন। উদাহরণস্বরূপ, সিরিয়া, ইয়েমেন, এবং আফগানিস্তানে সংঘাতের সময় মানবিক সাংবাদিকতা বিশ্বব্যাপী সচেতনতা তৈরি করেছে।উদাহরণ: ২০১০ সালের হাইতির ভূমিকম্পের সময় সাংবাদিকতা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের চাহিদা এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দ্রুত তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে মানুষকে প্রস্তুত করতে এবং পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসন কার্যক্রমে সাহায্য করে। বিশ্বজুড়ে শরণার্থী সংকট—যেমন রোহিঙ্গা শরণার্থী, সিরিয়ার উদ্বাস্তু এবং আফগান শরণার্থীদের দুর্দশা—সাংবাদিকতা মানুষকে সচেতন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাকে শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করেছে। সাংবাদিকতা দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমস্যা তুলে ধরে। দারিদ্র্যের কারণে শিশুদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া, বেকারত্ব, এবং স্বাস্থ্যসেবার অভাব নিয়ে রিপোর্ট জনগণের সচেতনতা বাড়ায়। যুদ্ধ বা সংঘাত শুধু রাজনৈতিক বা সামরিক সমস্যা নয়, এটি একটি মানবিক বিপর্যয়। উদাহরণ: ইরাক এবং আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময় সাংবাদিকতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ তুলে ধরা হয়েছিল।

সাংবাদিকতার নীতিগত দিক : মানবিক সাংবাদিকতায় নিরপেক্ষতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন মানবিক কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের গোপনীয়তা রক্ষা করা মানবিক সাংবাদিকতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সঠিক তথ্য সংগ্রহ এবং পরিবেশন করা সাংবাদিকতার মূল দায়িত্ব। অতিরঞ্জিত তথ্য বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করতে পারে। মানবিক সাংবাদিকতার মূল লক্ষ্য হলো সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। এজন্য সাংবাদিকদের একটি নৈতিক কাঠামোর মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়। যেমন-ইয়েমেনের মানবিক সংকট-২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনের সংঘাতের ফলে লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খাদ্য সংকট, অপুষ্টি এবং চিকিৎসার অভাবে ইয়েমেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকটগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর (বিবিসি, সিএনএন) প্রতিবেদন ইয়েমেনের ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরেছিল। ইয়েমেনের শিশুদের অপুষ্টি এবং মৃত্যুহারের ভয়াবহতা বিশ্বের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল।
৩. এই প্রতিবেদনগুলো সাহায্য সংস্থাগুলোর কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করেছে। এতে তুলে ধরা হয়-যুদ্ধক্ষেত্রে রিপোর্টিংয়ের ঝুঁকি। তথ্য সংগ্রহে স্থানীয় সরকার ও গোষ্ঠীর বাধা।

এছাড়াও বাংলাদেশে নদীভাঙন ও স্থানচ্যুতি-বাংলাদেশে নদীভাঙন প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুহীন করে তুলছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং জীবিকার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কষ্টের চিত্র তুলে ধরেছেন। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। সরকারের পুনর্বাসন কার্যক্রমকে গতিশীল করতে মিডিয়া রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এতে চ্যালেঞ্জ ছিলো দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের অভাব। বিষয়টিকে স্থায়ীভাবে আলোচনায় রাখা কঠিন।

মানবিক সাংবাদিকতার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা : যুদ্ধ বা সংঘাতপূর্ণ এলাকায় কাজ করার সময় সাহস এবং কৌশল প্রয়োজন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় সহানুভূতি এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে আচরণ করতে হয়। ড্রোন এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দূরবর্তী অঞ্চলে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। গভীর গবেষণার মাধ্যমে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা মানবিক সাংবাদিকতার একটি অপরিহার্য অংশ।

মানবিক সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ করণীয় : ডেটা জার্নালিজম, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ভিআর প্রযুক্তি সাংবাদিকতাকে আরও কার্যকর করে তুলবে। মানবিক সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ সাংবাদিকদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। স্থানীয় সাংবাদিকরা স্থানীয় পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারেন। তাদের গুরুত্ব আরও বাড়াতে হবে। সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন।

মানবিক কাজে সাংবাদিকতা শুধুমাত্র তথ্য পরিবেশনের একটি মাধ্যম নয়, এটি একটি নৈতিক দায়িত্ব। যুদ্ধ, সংঘাত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এবং সামাজিক বৈষম্যের মতো সমস্যাগুলোতে সাংবাদিকতা সচেতনতা তৈরি করে এবং সমাধানের পথ দেখায়। তবে এই কাজ ঝুঁকিপূর্ণ এবং জটিল। সঠিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তির ব্যবহার, এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে মানবিক সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল করা সম্ভব। বিশ্বকে আরও মানবিক এবং সহানুভূতিশীল করে তুলতে সাংবাদিকতার ভূমিকা অমূল্য। এটি কেবল সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে না, বরং বিশ্ববাসীর মধ্যে সংহতির বোধও জাগ্রত করে। মানবিক কাজে সাংবাদিকতা কেবল একটি পেশা নয়, এটি একটি মানবিক দায়িত্ব। এটি অবহেলিত মানুষের কণ্ঠস্বর তুলে ধরে এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। রোহিঙ্গা সংকট, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ, বা অন্যান্য মানবিক বিপর্যয়—সব ক্ষেত্রেই সাংবাদিকতা মানবিক সেবার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। তবে সাংবাদিকতায় নিরাপত্তা, নিরপেক্ষতা এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। মানবিক কাজের প্রতি দায়বদ্ধ সাংবাদিকতা বিশ্বকে আরও সহানুভূতিশীল এবং ন্যায়পরায়ণ সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।

লেখক পরিচিতি : বিএসসি, এলএলবি, এমসিএস, গনমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় মাস্টার্স ২০২১ (পিআইবি)।

ঈদে নতুন জামা : স্বপ্ন আর ভালোবাসা জড়ানো

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ণ
ঈদে নতুন জামা : স্বপ্ন আর ভালোবাসা জড়ানো

ঈদ মানেই আনন্দ, উৎসব, মিলন এবং নতুন করে বাঁচার প্রেরণা। এই দিনে সবাই চায় নিজেকে সাজিয়ে নিতে, নতুন কাপড় পরে প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে। কিন্তু এমন অনেকের মধ্যেও থাকে এমন কেউ, যার জন্য একটি নতুন জামা শুধু পোশাক নয়, বরং স্বপ্ন, গর্ব, আত্মমর্যাদা এবং একটি আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। এই প্রবন্ধে আমরা এমন এক নতুন জামার কথা বলব, যে জামার শুধু দামী কাপড় বা ডিজাইনের গর্ব নেই, বরং রয়েছে আত্মার গভীরে জমে থাকা এক মানুষের স্বপ্নের গল্প।

শহরের এক কোণায় বাস করে ছোট্ট ছেলেটি রিয়াদ। বয়স প্রায় দশ। তার বাবা একজন দিনমজুর, মা গৃহিণী। সংসারে অভাব-অনটনের মধ্যে কোনোভাবে দিন কাটে তাদের। বছরের প্রতিটি দিন কাটে সংগ্রামের মাঝে, কিন্তু ঈদ আসে স্বপ্নের আলো নিয়ে। ঈদে নতুন জামা পাবে, এই আশায় রিয়াদ এক মাস রোজা রাখে, নিজের মনকে শক্ত করে।

তবে এই জামা আসবে কি না, তা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, বাবার মুখে ভাঁজ আর চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। মা বারবার বলেন, “এবার হয়তো পুরনো জামাতেই ঈদ করতে হবে।” কিন্তু রিয়াদ বিশ্বাস করে—আল্লাহ যদি রোজা কবুল করেন, তাহলে একটা নতুন জামা হয়তো আসবেই।

এই জামার অপেক্ষা শুধু রিয়াদের নয়, এটি যেন তার মন-প্রাণের আকুতি। এই জামা তার জন্য স্বপ্নপূরণ, আত্মমর্যাদা, শ্রেষ্ঠত্বের অনুভব।

আমরা অনেক সময় বুঝি না, একটি নতুন জামা একজন শিশুর জন্য কতটা অর্থবহ হতে পারে। ধনী পরিবারের শিশুর কাছে এটি হয়তো একটি চমকপ্রদ পোশাক, কিন্তু রিয়াদের কাছে এটি স্বপ্ন পূরণের মতো। সে ভাবে, ঈদের দিন সবার মতো তাকেও যদি নতুন জামায় দেখা যায়, তাহলে সে আর অবহেলিত হবে না, তার বন্ধুরা তাকে হাসবে না। তারও মুখে হাসি ফুটবে, তারও ছবি উঠবে মোবাইল ক্যামেরায়।

এই জামা তার আত্মবিশ্বাস, যেটা সে স্কুলে পড়ার সময় খুঁজে বেড়ায়, যখন ক্লাসের অন্য ছেলেরা নতুন জামা পরে আসে আর সে পড়ে থাকে একঘেয়ে মলিন কাপড়।

এখানে জামার একটি কল্পিত স্বর ও ভাষা কল্পনা করা যাক—যেখানে জামাটি যেন নিজের মনে নিজের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছে: “আমি কোনো বিলাসী দোকানের শেলফে ঝুলে থাকা দামি জামা নই। আমি সেই জামা, যাকে এক দরিদ্র বাবার কষ্টের টাকায় কিনে আনা হবে তার ছেলের মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাতে।
আমি হয়তো রঙিন নই, হয়তো আমার ডিজাইনে জাঁকজমক নেই, কিন্তু আমি গর্বিত। কারণ আমি হব একটি শিশুর ঈদের স্বপ্ন পূরণের বাহক। আমি হব আত্মমর্যাদার প্রতীক, আমি হব ঈদের প্রাপ্তির প্রতিচ্ছবি।”

এই ভাবনার মধ্যেই ফুটে ওঠে জামার স্বপ্ন—সে চায়, তাকে কেউ ভালোবাসুক, পরিধান করুক, আর আনন্দ পাক।

রিয়াদের মা হয়তো নিজের জন্য কোনো কাপড় কিনবেন না, বাবা হয়তো একজোড়া চপ্পল না কিনে সেই টাকায় ছেলের জামা কিনে দেবেন। কারণ, সন্তানের হাসির চেয়ে বড় কিছু তাদের কাছে নেই। একটি নতুন জামার পেছনে লুকিয়ে থাকে একটি পরিবারের নীরব ত্যাগ, ভালোবাসা আর গোপন কান্না।

ঈদের নতুন জামা এই পরিবারগুলোর কাছে শুধু পোশাক নয়—এটা এক সম্মান, ভালোবাসা এবং আত্মতৃপ্তির চিহ্ন। অনেক সময় বাবা-মায়েরা নিজেদের প্রয়োজন বিসর্জন দিয়ে সন্তানের মুখে হাসি দেখতে চান। নতুন জামা যেন সেই আত্মত্যাগের স্বাক্ষর হয়ে উঠে।

ঈদের দিন আমরা যখন দেখি কেউ চকচকে কাপড় পরে বেরিয়েছে, আর কেউ পুরনো জামা পরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে, তখন সামাজিক বৈষম্যের চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নতুন জামার গুরুত্ব সেখানে দ্বিগুণ। এটি একধরনের সামাজিক মর্যাদা।

রিয়াদ হয়তো তার বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়ে ভাবে—আমারও যদি এমন একটা জামা থাকত! শুধু ঈদের দিনটা নয়, পুরো জীবনজুড়ে সেই হাহাকার থেকে যায়। এই এক টুকরো জামাই তার স্বপ্নকে উঁচুতে নিয়ে যেতে পারে, আর না থাকলে আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়ে।

দরিদ্র শিশুদের জন্য ঈদে জামার প্রাপ্তি মানে কী? সমান মর্যাদা – অন্যদের মতো তাকেও দেখা হয় একজন ‘পূর্ণ’ শিশুর মতো।  আত্মবিশ্বাস – নতুন জামা পরে সে খুশি মনে বন্ধুদের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। পরিবারের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি – সে উপলব্ধি করে, তার মা-বাবা তাকে কত ভালোবাসে।

৪. ভবিষ্যতের স্বপ্ন – একজন শিশু জানে, সে যদি চেষ্টার মধ্যে থাকে, তার স্বপ্ন একদিন পূরণ হবেই।

ঈদের সকালে রিয়াদের ঘুম ভাঙে ভোরবেলা। মা হাসিমুখে এসে বলে—
“এই দেখ, তোমার নতুন জামা।”
রিয়াদ প্রথমে বিশ্বাস করতে পারে না। হাত বাড়িয়ে জামাটা নেয়, চোখে জল চলে আসে। “আমার?”
মা মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়, “হ্যাঁ বাবা, তোমার।”
রিয়াদ তার ছোট জামাটিকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে, যেন এটিই তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

সেই জামা তখন আর শুধু সুতা ও রঙের মিশ্রণ নয়, সেটি তখন একটি ‘স্বপ্ন’। একটি সন্তুষ্টির প্রতীক, একটি ছোট শিশুর গর্বের নিশান।

আমরা যারা সমাজের ভাগ্যবান অংশ, তাদের উচিত এই বৈষম্য দূর করতে সচেষ্ট হওয়া। প্রতিবছর ঈদের আগে আমরা অনেকেই প্রচুর জামা কিনি, কিন্তু ভাবি না পাশের দরিদ্র শিশুটার কথা। যদি আমরা একটি নতুন জামা কাউকে দিতে পারি, তাহলে তার ঈদটা হয়ে উঠতে পারে জীবনের সেরা দিন।সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার—সবাই যদি চায়, তাহলে প্রত্যেক শিশুর ঈদে একটি নতুন জামা নিশ্চিত করা সম্ভব। এটি দান নয়, এটি মানুষের স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা।

“ঈদে একটি নতুন জামা যার স্বপ্ন” এই বাক্যটি শুধুমাত্র কোনো এক জামা বা একটি শিশুর গল্প নয়, এটি হাজারো রিয়াদের গল্প। এটি আমাদের সমাজে লুকিয়ে থাকা অসংখ্য মানুষের জীবনবোধের চিত্র। একটি নতুন জামা কেবল দেহ ঢাকার উপকরণ নয়, এটি মানুষের সম্মান, আত্মবিশ্বাস এবং ভালোবাসার প্রতীক। আমরা যদি এই একটুকরো জামার ভেতর মানুষের আবেগ, স্বপ্ন ও আত্মত্যাগ দেখতে পারি, তাহলে সমাজে সত্যিকার পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। আসুন, এই ঈদে আমরা কেবল নিজেদের জন্য না, অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যও একটি নতুন জামার স্বপ্ন বুনি।

লেখক পরিচিতি : উজ্জ্বল হোসাইন, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক, চাঁদপুর।

চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল আজম সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল আজম সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস

চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভা (১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৫) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি (২০২৫-২০২৮) ঘোষণা করা হয়েছে। সমবায় সমিতি আইন ২০০১ (সর্বশেষ সংশোধন ২০১৩) ও সমবায় সমিতি বিধিমালা ২০০৪ (সর্বশেষ সংশোধন ২০২০) অনুযায়ী নির্বাচন কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন (পরিদর্শক, জেলা সমবায় কার্যালয়, চাঁদপুর) কোন পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছয় সদস্য বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটি ঘোষণা করেন। নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি- মোঃ ইকবাল আজম (প্রতিনিধি, দি চাঁদপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ), সহ-সভাপতি- মোঃ আফজাল হোসেন খান (প্রতিনিধি, মিলেনিয়াম বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ), সম্পাদক- দুলাল চন্দ্র দাস (প্রতিনিধি, বাগড়া শিক্ষিত বেকার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ), সদস্য- মোঃ আক্কাস ফরাজী (প্রতিনিধি, রূপসী পল্লী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ), সদস্য- খন্দকার ফখরুল আলম (প্রতিনিধি, আশার আলো মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ), সদস্য- মোঃ খোরশেদ আলম (প্রতিনিধি, খাজুরিয়া বাজার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ)।
জেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ও নির্বাচন কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সমবায়ী ও বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন শেখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন জেলা সমবায় ইউনিয়ন, জেলার সমবায় সমিতি ও সমবায়ীদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব থাকলেও চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নে দীর্ঘদিন নির্বাচিত কমিটি ছিল না, যার কারণে এটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন থেকে চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নকে কার্যকর করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করি। সমবায় বিভাগ এতে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন করে, যার ফলশ্রুতিতে আজকে আমরা একটি নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করতে পেরেছি। এজন্য তিনি সমবায় বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান পাশাপাশি নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান। সভায় তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা সকলের সামনে উপস্থাপন করেন। সকলের সহযোগিতায় তা বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সভাপতি মুরাদ হোসেন খান, জুন হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর প্রতিনিধি এ ওয়াই এম জাকারিয়া, ওয়ারলেস বাজার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিনিধি মোঃ জিয়াউদ্দিন, ইসলামীয়া সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিনিধি নাজমুল হুদা প্রমূখ।
উল্লেখ্য প্রতি ৩ বছর পর পর নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের বিধান থাকলেও ২০১২ সালের পর, দীর্ঘ ১৩ বছর পর এই ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হলো।

আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ
আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামী ২ জুন নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সম্প্রতি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল ও বাজেট ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, সংসদ না থাকায় এবার সংসদে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে না। অর্থ উপদেষ্টা টেলিভিশনে নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে ২ জুন বাজেট ঘোষণার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণত আগের অর্থবছরগুলোতে বৃহস্পতিবার বাজেট দেওয়া হতো, এবার সোমবার ঘোষণা করা হবে। বাজেট ঘোষণার পর আগের রীতি অনুযায়ী অর্থ উপদেষ্টা বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

সূত্রটি জানিয়েছে, সাধারণত প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের তুলনায় বড় রাখা হয়। তবে এবার বাজেট ঘাটতি কমিয়ে বাজেট ছোট কারার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বাজেটের আকার কমানো হলেও সমাজে বৈষম্য কমানোর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে সামাজিকীকরণ সুরক্ষা কর্মসূচিতে উপকারভোগী ও কিছু ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ থাকছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। একই সঙ্গে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ ধরতে পারে। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার। চলতি অর্থবছরেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। যদিও গত মার্চ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।