খুঁজুন
                               
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২

আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ ও চ্যালেঞ্জ

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:২৩ অপরাহ্ণ
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ ও চ্যালেঞ্জ

বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তির অভূতপূর্ব বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তি মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে। শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, এমনকি দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ কাজগুলোতেও প্রযুক্তির উপস্থিতি স্পষ্ট। তবে প্রযুক্তির এই অগ্রগতির সঙ্গে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে। এই প্রবন্ধে সমসাময়িক প্রযুক্তির বিকাশ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলো বিশ্লেষণ করা হবে। সমসাময়িক প্রযুক্তির অগ্রগতির ধারা এতটাই দ্রুত যে এটি মানবজীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে। এই পরিবর্তন ইতিবাচক হলেও, এর সঙ্গে নানাবিধ সামাজিক, অর্থনৈতিক, এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। তবে ভবিষ্যতে উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দায়িত্বশীল ব্যবহার এবং নীতিগত কাঠামো তৈরির প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যাচ্ছে।

প্রযুক্তির বিকাশ
১. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত (AI) : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সবচেয়ে প্রভাবশালী উদ্ভাবনগুলোর মধ্যে একটি। মেশিন লার্নিং ও ডীপ লার্নিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি বিশাল সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। উদাহরণস্বরূপ, চ্যাটবট, অটোনোমাস গাড়ি, রোগ নির্ণয় সিস্টেম, এবং ভাষা অনুবাদ সফটওয়্যার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাফল্যকে স্পষ্ট করে তোলে।
২. ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) : IoT এমন একটি প্রযুক্তি যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ডিভাইসগুলোকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত করে। ঘরের নিরাপত্তা ক্যামেরা, স্মার্ট হোম ডিভাইস, এবং শিল্পখাতে প্রোডাকশন মনিটরিং সিস্টেম IoT-র উদাহরণ। এটি মানুষের জীবনকে আরও সহজ ও কার্যকর করেছে।
৩. ৫জি প্রযুক্তি : গত এক দশকে ৫জি প্রযুক্তি যোগাযোগ খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। উচ্চ গতির ইন্টারনেট এবং কম ল্যাটেন্সি সংযোগের মাধ্যমে ভিডিও স্ট্রিমিং, গেমিং, এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মতো প্রযুক্তিগুলো আরও উন্নত হয়েছে।
৪. ব্লকচেইন প্রযুক্তি : ব্লকচেইন প্রযুক্তি শুধু ক্রিপ্টোকারেন্সি নয়, বরং ডেটা নিরাপত্তা, সরবরাহ চেইন ম্যানেজমেন্ট, এবং চুক্তি ব্যবস্থাপনায়ও ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি নিরাপদ এবং স্বচ্ছ ডেটা পরিচালনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
৫. জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি : জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজির উন্নতি চিকিৎসা খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। রোগ নিরাময়ের জন্য উন্নত ওষুধ আবিষ্কার এবং জিন এডিটিংয়ের মাধ্যমে জটিল রোগের সমাধান করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা
১. উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা : প্রযুক্তির উন্নতির ফলে সারা বিশ্ব আজ একটি “গ্লোবাল ভিলেজ”-এ পরিণত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ই-মেইল, এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে দূরত্বের বাধা দূর হয়েছে।
২. দক্ষ উৎপাদন ব্যবস্থা : রোবোটিক্স এবং অটোমেশনের মাধ্যমে উৎপাদন খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উৎপাদনের খরচ কমেছে এবং পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
৩. স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, টেলিমেডিসিন, এবং আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম চিকিৎসা ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসা প্রদান সম্ভব হচ্ছে।
৪. শিক্ষার প্রসার : ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম, ভার্চুয়াল ক্লাসরুম এবং বিভিন্ন অনলাইন কোর্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার বিস্তার ঘটিয়েছে।
প্রযুক্তি নিয়ে চ্যালেঞ্জ
১. সাইবার নিরাপত্তা : প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে ব্যক্তিগত তথ্য ও ডেটা হ্যাকিং, ফিশিং, এবং সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে। এই ঝুঁকি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২. গোপনীয়তার সমস্যা : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত তথ্যের ব্যবহার ও শেয়ারিং গোপনীয়তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। তথ্য চুরির ঘটনাও ক্রমবর্ধমান।
৩. প্রযুক্তির অপব্যবহার : ডিপফেক ভিডিও, ভুয়া খবর, এবং ম্যালওয়্যার তৈরি প্রযুক্তির অপব্যবহারের অন্যতম দৃষ্টান্ত। এটি সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলছে।
৪. পরিবেশগত প্রভাব : প্রযুক্তি উৎপাদনের ফলে ইলেকট্রনিক বর্জ্য এবং কার্বন নিঃসরণ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। ই-ওয়েস্টের সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব পরিবেশগত সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে।
৫. বেকারত্বের ঝুঁকি : অটোমেশন এবং রোবোটিক্সের ব্যবহারের ফলে অনেক ক্ষেত্রে মানুষের শ্রমের প্রয়োজনীয়তা কমেছে। এতে বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
৬. ডিজিটাল বৈষম্য : প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশ এখনও আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি ও সম্ভাবনা : প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, এবং রিনিউএবল এনার্জির উন্নয়ন বিশ্বকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যেতে পারে। তবে এর সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে।
১. নীতিমালা তৈরি : প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কঠোর নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন।
২. প্রযুক্তির ন্যায়সঙ্গত বন্টন : প্রযুক্তিগত সুবিধা বিশ্বের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩. পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি :প্রযুক্তি ব্যবহারে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি এবং টেকসই উৎপাদন পদ্ধতির উন্নয়ন জরুরি।
৪. দক্ষ মানবসম্পদ গঠন : বেকারত্বের ঝুঁকি এড়াতে প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নতি : বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতি দ্রুততর হয়েছে। ইন্টারনেট ও মোবাইল প্রযুক্তি মানবসমাজকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ৫জি প্রযুক্তি উচ্চ গতির ইন্টারনেট এবং নির্ভুল সংযোগ প্রদান করছে, যা স্মার্ট শহর নির্মাণে সহায়ক। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং মেটাভার্সের মতো প্ল্যাটফর্ম মানুষকে নতুন উপায়ে একত্রিত করছে।ই-লার্নিং এবং ভার্চুয়াল ক্লাসরুম শিক্ষার ধরন বদলে দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ-অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে যে কেউ বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞান অর্জন করতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য কাস্টমাইজড লার্নিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে।স্বাস্থ্যখাতে প্রযুক্তির উদ্ভাবন রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে চিকিৎসা প্রদান পর্যন্ত সবক্ষেত্রে উন্নতি করেছে। টেলিমেডিসিন-দূরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। জিন এডিটিং প্রযুক্তি (CRISPR)-জিনগত সমস্যাগুলো সমাধান করতে সহায়ক। রোবোটিক্স এবং স্বয়ংক্রিয়তা-অটোমেশন এখন শিল্প ও কৃষিখাতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বয়ংক্রিয় মেশিন উৎপাদন ও পরিচালনা আরও দ্রুত ও নির্ভুল করেছে। উদাহরণ: কৃষিতে ড্রোন: ফসলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং কীটনাশক ছিটানোর জন্য ব্যবহৃত। স্বয়ংচালিত যানবাহন: উবার এবং টেসলা স্বয়ংচালিত গাড়ির উদাহরণ। পরিবেশ সুরক্ষা প্রযুক্তি : পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি: সৌরবিদ্যুৎ, বায়ু শক্তি এবং জিওথার্মাল শক্তি ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব শক্তির বিকাশ।
কার্বন ক্যাপচার প্রযুক্তি: বায়ুমণ্ডলে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার উদ্যোগ।

প্রযুক্তির অপব্যবহার ও এর চ্যালেঞ্জ : প্রযুক্তির মাধ্যমে ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এটি সামাজিক অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া কখনো কখনো মতভেদ ও বিভক্তি বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া আসক্তি এবং মানসিক সমস্যার জন্যও এটি দায়ী। স্বয়ংক্রিয়তা অনেক কাজকে অপ্রয়োজনীয় করে তুলেছে, যার ফলে শ্রমশক্তির চাহিদা কমছে। বিশেষত উৎপাদন এবং পরিষেবা খাতে এই চ্যালেঞ্জ প্রবল। প্রযুক্তির উন্নয়ন বিশ্বজুড়ে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়েনি। ধনী ও উন্নত দেশগুলো প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করছে, কিন্তু দরিদ্র দেশগুলো এখনও অনেক পিছিয়ে। ডিজিটাল যুগে হ্যাকিং, পরিচয় চুরি, এবং অর্থনৈতিক প্রতারণার ঝুঁকি বেড়েছে।

টেকসই ভবিষ্যতের জন্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা : প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে পূর্ণমাত্রায় কাজে লাগাতে গেলে কিছু পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।প্রযুক্তির উদ্ভাবন এমনভাবে করতে হবে যাতে এটি মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হয়। পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং ইলেকট্রনিক বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল যুগের চাহিদা অনুযায়ী কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং পুনঃস্কিলিং করা প্রয়োজন। সাইবার নিরাপত্তা এবং তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট আইনি কাঠামো প্রয়োজন। প্রযুক্তির সমতাভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতার ভিত্তি আরও মজবুত করতে হবে।
সমসাময়িক প্রযুক্তি মানবসভ্যতার সামনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তবে এর সঙ্গে নানাবিধ চ্যালেঞ্জও জড়িত। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার, দায়িত্বশীল উদ্ভাবন, এবং ন্যায্য বন্টনের মাধ্যমে আমরা একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারি। ভবিষ্যতের জন্য প্রযুক্তির ইতিবাচক দিকগুলোকে কাজে লাগিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দায়িত্ব মানবজাতির। সমসাময়িক প্রযুক্তির বিকাশ মানবজীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। যদিও এর সঙ্গে অনেক চ্যালেঞ্জ জড়িত, সঠিক পরিকল্পনা এবং দায়িত্বশীল ব্যবহারের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব। প্রযুক্তির অগ্রগতিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়ে একটি উন্নত, টেকসই এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সবার।

লেখক : উজ্জ্বল হোসাইন, বিএসসি, এলএলবি, এমসিএস, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় মাস্টার্স; আইটি কর্মকর্তা, চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল, চাঁদপুর।

ঈদে নতুন জামা : স্বপ্ন আর ভালোবাসা জড়ানো

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ণ
ঈদে নতুন জামা : স্বপ্ন আর ভালোবাসা জড়ানো

ঈদ মানেই আনন্দ, উৎসব, মিলন এবং নতুন করে বাঁচার প্রেরণা। এই দিনে সবাই চায় নিজেকে সাজিয়ে নিতে, নতুন কাপড় পরে প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে। কিন্তু এমন অনেকের মধ্যেও থাকে এমন কেউ, যার জন্য একটি নতুন জামা শুধু পোশাক নয়, বরং স্বপ্ন, গর্ব, আত্মমর্যাদা এবং একটি আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। এই প্রবন্ধে আমরা এমন এক নতুন জামার কথা বলব, যে জামার শুধু দামী কাপড় বা ডিজাইনের গর্ব নেই, বরং রয়েছে আত্মার গভীরে জমে থাকা এক মানুষের স্বপ্নের গল্প।

শহরের এক কোণায় বাস করে ছোট্ট ছেলেটি রিয়াদ। বয়স প্রায় দশ। তার বাবা একজন দিনমজুর, মা গৃহিণী। সংসারে অভাব-অনটনের মধ্যে কোনোভাবে দিন কাটে তাদের। বছরের প্রতিটি দিন কাটে সংগ্রামের মাঝে, কিন্তু ঈদ আসে স্বপ্নের আলো নিয়ে। ঈদে নতুন জামা পাবে, এই আশায় রিয়াদ এক মাস রোজা রাখে, নিজের মনকে শক্ত করে।

তবে এই জামা আসবে কি না, তা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, বাবার মুখে ভাঁজ আর চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। মা বারবার বলেন, “এবার হয়তো পুরনো জামাতেই ঈদ করতে হবে।” কিন্তু রিয়াদ বিশ্বাস করে—আল্লাহ যদি রোজা কবুল করেন, তাহলে একটা নতুন জামা হয়তো আসবেই।

এই জামার অপেক্ষা শুধু রিয়াদের নয়, এটি যেন তার মন-প্রাণের আকুতি। এই জামা তার জন্য স্বপ্নপূরণ, আত্মমর্যাদা, শ্রেষ্ঠত্বের অনুভব।

আমরা অনেক সময় বুঝি না, একটি নতুন জামা একজন শিশুর জন্য কতটা অর্থবহ হতে পারে। ধনী পরিবারের শিশুর কাছে এটি হয়তো একটি চমকপ্রদ পোশাক, কিন্তু রিয়াদের কাছে এটি স্বপ্ন পূরণের মতো। সে ভাবে, ঈদের দিন সবার মতো তাকেও যদি নতুন জামায় দেখা যায়, তাহলে সে আর অবহেলিত হবে না, তার বন্ধুরা তাকে হাসবে না। তারও মুখে হাসি ফুটবে, তারও ছবি উঠবে মোবাইল ক্যামেরায়।

এই জামা তার আত্মবিশ্বাস, যেটা সে স্কুলে পড়ার সময় খুঁজে বেড়ায়, যখন ক্লাসের অন্য ছেলেরা নতুন জামা পরে আসে আর সে পড়ে থাকে একঘেয়ে মলিন কাপড়।

এখানে জামার একটি কল্পিত স্বর ও ভাষা কল্পনা করা যাক—যেখানে জামাটি যেন নিজের মনে নিজের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছে: “আমি কোনো বিলাসী দোকানের শেলফে ঝুলে থাকা দামি জামা নই। আমি সেই জামা, যাকে এক দরিদ্র বাবার কষ্টের টাকায় কিনে আনা হবে তার ছেলের মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাতে।
আমি হয়তো রঙিন নই, হয়তো আমার ডিজাইনে জাঁকজমক নেই, কিন্তু আমি গর্বিত। কারণ আমি হব একটি শিশুর ঈদের স্বপ্ন পূরণের বাহক। আমি হব আত্মমর্যাদার প্রতীক, আমি হব ঈদের প্রাপ্তির প্রতিচ্ছবি।”

এই ভাবনার মধ্যেই ফুটে ওঠে জামার স্বপ্ন—সে চায়, তাকে কেউ ভালোবাসুক, পরিধান করুক, আর আনন্দ পাক।

রিয়াদের মা হয়তো নিজের জন্য কোনো কাপড় কিনবেন না, বাবা হয়তো একজোড়া চপ্পল না কিনে সেই টাকায় ছেলের জামা কিনে দেবেন। কারণ, সন্তানের হাসির চেয়ে বড় কিছু তাদের কাছে নেই। একটি নতুন জামার পেছনে লুকিয়ে থাকে একটি পরিবারের নীরব ত্যাগ, ভালোবাসা আর গোপন কান্না।

ঈদের নতুন জামা এই পরিবারগুলোর কাছে শুধু পোশাক নয়—এটা এক সম্মান, ভালোবাসা এবং আত্মতৃপ্তির চিহ্ন। অনেক সময় বাবা-মায়েরা নিজেদের প্রয়োজন বিসর্জন দিয়ে সন্তানের মুখে হাসি দেখতে চান। নতুন জামা যেন সেই আত্মত্যাগের স্বাক্ষর হয়ে উঠে।

ঈদের দিন আমরা যখন দেখি কেউ চকচকে কাপড় পরে বেরিয়েছে, আর কেউ পুরনো জামা পরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে, তখন সামাজিক বৈষম্যের চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নতুন জামার গুরুত্ব সেখানে দ্বিগুণ। এটি একধরনের সামাজিক মর্যাদা।

রিয়াদ হয়তো তার বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়ে ভাবে—আমারও যদি এমন একটা জামা থাকত! শুধু ঈদের দিনটা নয়, পুরো জীবনজুড়ে সেই হাহাকার থেকে যায়। এই এক টুকরো জামাই তার স্বপ্নকে উঁচুতে নিয়ে যেতে পারে, আর না থাকলে আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়ে।

দরিদ্র শিশুদের জন্য ঈদে জামার প্রাপ্তি মানে কী? সমান মর্যাদা – অন্যদের মতো তাকেও দেখা হয় একজন ‘পূর্ণ’ শিশুর মতো।  আত্মবিশ্বাস – নতুন জামা পরে সে খুশি মনে বন্ধুদের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। পরিবারের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি – সে উপলব্ধি করে, তার মা-বাবা তাকে কত ভালোবাসে।

৪. ভবিষ্যতের স্বপ্ন – একজন শিশু জানে, সে যদি চেষ্টার মধ্যে থাকে, তার স্বপ্ন একদিন পূরণ হবেই।

ঈদের সকালে রিয়াদের ঘুম ভাঙে ভোরবেলা। মা হাসিমুখে এসে বলে—
“এই দেখ, তোমার নতুন জামা।”
রিয়াদ প্রথমে বিশ্বাস করতে পারে না। হাত বাড়িয়ে জামাটা নেয়, চোখে জল চলে আসে। “আমার?”
মা মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়, “হ্যাঁ বাবা, তোমার।”
রিয়াদ তার ছোট জামাটিকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে, যেন এটিই তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

সেই জামা তখন আর শুধু সুতা ও রঙের মিশ্রণ নয়, সেটি তখন একটি ‘স্বপ্ন’। একটি সন্তুষ্টির প্রতীক, একটি ছোট শিশুর গর্বের নিশান।

আমরা যারা সমাজের ভাগ্যবান অংশ, তাদের উচিত এই বৈষম্য দূর করতে সচেষ্ট হওয়া। প্রতিবছর ঈদের আগে আমরা অনেকেই প্রচুর জামা কিনি, কিন্তু ভাবি না পাশের দরিদ্র শিশুটার কথা। যদি আমরা একটি নতুন জামা কাউকে দিতে পারি, তাহলে তার ঈদটা হয়ে উঠতে পারে জীবনের সেরা দিন।সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার—সবাই যদি চায়, তাহলে প্রত্যেক শিশুর ঈদে একটি নতুন জামা নিশ্চিত করা সম্ভব। এটি দান নয়, এটি মানুষের স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা।

“ঈদে একটি নতুন জামা যার স্বপ্ন” এই বাক্যটি শুধুমাত্র কোনো এক জামা বা একটি শিশুর গল্প নয়, এটি হাজারো রিয়াদের গল্প। এটি আমাদের সমাজে লুকিয়ে থাকা অসংখ্য মানুষের জীবনবোধের চিত্র। একটি নতুন জামা কেবল দেহ ঢাকার উপকরণ নয়, এটি মানুষের সম্মান, আত্মবিশ্বাস এবং ভালোবাসার প্রতীক। আমরা যদি এই একটুকরো জামার ভেতর মানুষের আবেগ, স্বপ্ন ও আত্মত্যাগ দেখতে পারি, তাহলে সমাজে সত্যিকার পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। আসুন, এই ঈদে আমরা কেবল নিজেদের জন্য না, অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যও একটি নতুন জামার স্বপ্ন বুনি।

লেখক পরিচিতি : উজ্জ্বল হোসাইন, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক, চাঁদপুর।

চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল আজম সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল আজম সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস

চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভা (১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৫) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি (২০২৫-২০২৮) ঘোষণা করা হয়েছে। সমবায় সমিতি আইন ২০০১ (সর্বশেষ সংশোধন ২০১৩) ও সমবায় সমিতি বিধিমালা ২০০৪ (সর্বশেষ সংশোধন ২০২০) অনুযায়ী নির্বাচন কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন (পরিদর্শক, জেলা সমবায় কার্যালয়, চাঁদপুর) কোন পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছয় সদস্য বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটি ঘোষণা করেন। নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি- মোঃ ইকবাল আজম (প্রতিনিধি, দি চাঁদপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ), সহ-সভাপতি- মোঃ আফজাল হোসেন খান (প্রতিনিধি, মিলেনিয়াম বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ), সম্পাদক- দুলাল চন্দ্র দাস (প্রতিনিধি, বাগড়া শিক্ষিত বেকার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ), সদস্য- মোঃ আক্কাস ফরাজী (প্রতিনিধি, রূপসী পল্লী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ), সদস্য- খন্দকার ফখরুল আলম (প্রতিনিধি, আশার আলো মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ), সদস্য- মোঃ খোরশেদ আলম (প্রতিনিধি, খাজুরিয়া বাজার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ)।
জেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ও নির্বাচন কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সমবায়ী ও বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন শেখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন জেলা সমবায় ইউনিয়ন, জেলার সমবায় সমিতি ও সমবায়ীদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব থাকলেও চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নে দীর্ঘদিন নির্বাচিত কমিটি ছিল না, যার কারণে এটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন থেকে চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নকে কার্যকর করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করি। সমবায় বিভাগ এতে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন করে, যার ফলশ্রুতিতে আজকে আমরা একটি নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করতে পেরেছি। এজন্য তিনি সমবায় বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান পাশাপাশি নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান। সভায় তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা সকলের সামনে উপস্থাপন করেন। সকলের সহযোগিতায় তা বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সভাপতি মুরাদ হোসেন খান, জুন হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর প্রতিনিধি এ ওয়াই এম জাকারিয়া, ওয়ারলেস বাজার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিনিধি মোঃ জিয়াউদ্দিন, ইসলামীয়া সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিনিধি নাজমুল হুদা প্রমূখ।
উল্লেখ্য প্রতি ৩ বছর পর পর নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের বিধান থাকলেও ২০১২ সালের পর, দীর্ঘ ১৩ বছর পর এই ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হলো।

আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ
আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামী ২ জুন নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সম্প্রতি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল ও বাজেট ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, সংসদ না থাকায় এবার সংসদে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে না। অর্থ উপদেষ্টা টেলিভিশনে নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে ২ জুন বাজেট ঘোষণার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণত আগের অর্থবছরগুলোতে বৃহস্পতিবার বাজেট দেওয়া হতো, এবার সোমবার ঘোষণা করা হবে। বাজেট ঘোষণার পর আগের রীতি অনুযায়ী অর্থ উপদেষ্টা বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

সূত্রটি জানিয়েছে, সাধারণত প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের তুলনায় বড় রাখা হয়। তবে এবার বাজেট ঘাটতি কমিয়ে বাজেট ছোট কারার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বাজেটের আকার কমানো হলেও সমাজে বৈষম্য কমানোর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে সামাজিকীকরণ সুরক্ষা কর্মসূচিতে উপকারভোগী ও কিছু ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ থাকছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। একই সঙ্গে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ ধরতে পারে। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার। চলতি অর্থবছরেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। যদিও গত মার্চ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।