খুঁজুন
                               
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২

কাঙাল হরিনাথ বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:৫১ অপরাহ্ণ
কাঙাল হরিনাথ বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র

কাঙাল হরিনাথ, প্রকৃত নাম হরিনাথ মজুমদার, বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র এবং পথিকৃৎ। উনিশ শতকের মধ্যভাগে যখন ব্রিটিশ উপনিবেশের চাপে বাঙালি জাতি সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছিল, তখন তিনি একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন। তিনি সাংবাদিকতা, সাহিত্য এবং সমাজ সংস্কারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। কেবল সংবাদ পরিবেশনই নয়, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সাধারণ মানুষের সমস্যা তুলে ধরার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনন্য।

কাঙাল হরিনাথের জন্ম ১৮৩৩ সালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার অন্তর্গত গ্রাম চাপড়াতে। দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান হওয়ায় তাঁর শৈশব ছিল অভাব-অনটনে ভরা। তিনি প্রথাগত শিক্ষায় খুব বেশি অগ্রসর হতে পারেননি। তবে নিজের প্রচেষ্টায় বাংলাসহ সংস্কৃত ও ফারসি ভাষা আয়ত্ত করেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর মধ্যে জ্ঞানার্জনের প্রবল তৃষ্ণা ছিল, যা তাঁকে স্বশিক্ষিত করে তোলে।

১৮৬৩ সালে, হরিনাথ “গ্রামবার্তা প্রকাশিকা” নামক একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন। এটি ছিল গ্রামের সাধারণ মানুষের সমস্যা, তাঁদের জীবনের কথা এবং সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরার একটি প্ল্যাটফর্ম। তাঁর এই পত্রিকা একসময় সাপ্তাহিক রূপ নেয় এবং তা পুরো বাংলায় জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ব্রিটিশ শাসনের দুর্নীতি, জমিদারদের অত্যাচার এবং সমাজের নানা অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি তাঁর কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন।

“গ্রামবার্তা প্রকাশিকা”র বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল এর সহজ-সরল ভাষা। হরিনাথ বিশ্বাস করতেন, সাংবাদিকতার মূল উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের কাছে সত্য তুলে ধরা। তাই তাঁর পত্রিকার ভাষা ছিল প্রাঞ্জল এবং সহজবোধ্য। তিনি গ্রামের কৃষক, শ্রমিক এবং দরিদ্র মানুষের জন্য লিখতেন, যা তখনকার অভিজাতদের সাংবাদিকতার ধরন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিল।

কাঙাল হরিনাথ কেবল সাংবাদিকই ছিলেন না; তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক। তিনি জমিদারদের শোষণ এবং মহাজনদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। তাঁর পত্রিকার মাধ্যমে তিনি কৃষকদের অধিকার রক্ষা এবং তাঁদের কষ্টের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, শিক্ষাই পারে সমাজকে পরিবর্তন করতে। তাই গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষার প্রসারে কাজ করেছেন।

হরিনাথ নারীদের শিক্ষা এবং অধিকারেও জোর দিয়েছিলেন। যদিও সে সময় নারী শিক্ষা নিয়ে সামাজিকভাবে প্রচুর বাধা ছিল, তবুও তিনি এ বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, নারীদের উন্নয়ন ছাড়া সমাজের প্রকৃত অগ্রগতি সম্ভব নয়।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি হরিনাথ সাহিত্যচর্চাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর লেখায় সমাজের বাস্তবতা, মানুষের দৈনন্দিন জীবন এবং তাদের সংগ্রামের চিত্র উঠে আসে। তিনি বিভিন্ন কবিতা, গান এবং প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তিনি নিজে একজন গীতিকার এবং সুরকার ছিলেন। তাঁর রচিত গানগুলো মানুষের হৃদয়ে দেশপ্রেম এবং সমাজ সংস্কারের জন্য উদ্বুদ্ধ করত।

তাঁর দারিদ্র্যপীড়িত জীবনের জন্য তিনি নিজেকে “কাঙাল” বলে অভিহিত করতেন। তবে তাঁর দারিদ্র্য কখনোই তাঁর মানসিক শক্তি এবং সৃজনশীলতার উপর প্রভাব ফেলেনি। তাঁর “কাঙাল” পরিচিতি তাঁকে সাধারণ মানুষের আরও কাছাকাছি নিয়ে যায়। তিনি তাঁদের দুঃখ-দুর্দশা নিজের জীবনের সঙ্গে একাত্ম করে ফেলেছিলেন।

হরিনাথ ব্রিটিশ শাসনের অবিচার এবং তাদের শোষণমূলক নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর পত্রিকায় তিনি এই শোষণ, বিশেষ করে নীলকর সাহেবদের অত্যাচার, তুলে ধরেছিলেন। নীলকরদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সময় তাঁর কলম হয়ে ওঠে এক শক্তিশালী অস্ত্র।

গ্রামবার্তা প্রকাশিকা প্রকাশিত হওয়ার পর এটি সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও, জমিদার এবং ব্রিটিশ শাসকদের ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হরিনাথকে নানাভাবে বাধা দেওয়া হয় এবং শেষ পর্যন্ত আর্থিক সংকটের কারণে পত্রিকাটি বন্ধ করতে হয়। তবে তাঁর সাংবাদিকতার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি ছিল।

১৮৯৬ সালে হরিনাথের মৃত্যু হয়। তাঁর কাজ এবং আদর্শ বাঙালির সাংবাদিকতার ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছে। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন যে সাংবাদিকতা কেবল তথ্য প্রকাশের মাধ্যম নয়; এটি সমাজের পরিবর্তনের একটি হাতিয়ার। তাঁর সাহসী এবং সৎ সাংবাদিকতার ধারা আজও অনুসরণীয়।

কাঙাল হরিনাথের জীবন থেকে আমরা শিখতে পারি, নিষ্ঠা এবং ইচ্ছাশক্তি দিয়ে সমাজে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা সম্ভব। তাঁর কাজ এবং সংগ্রাম আজও আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়। তিনি কেবল একজন সাংবাদিক বা লেখক নন; তিনি একজন যোদ্ধা, যিনি সাধারণ মানুষের অধিকারের জন্য জীবনভর লড়াই করেছেন।

কাঙাল হরিনাথ তাঁর সাংবাদিকতায় যে বৈপ্লবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এসেছিলেন, তা ছিল সেই সময়ের জন্য এক নতুন দিগন্ত। তখনকার সমাজে সাংবাদিকতা মূলত অভিজাত শ্রেণির কণ্ঠস্বর হিসেবেই পরিচিত ছিল। জমিদার, ব্রিটিশ প্রশাসন ও ধনিক শ্রেণির স্বার্থরক্ষা ছিল প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু হরিনাথ এই প্রথার বিপরীতে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকতাকে সাধারণ মানুষের সমস্যার কণ্ঠস্বর করে তোলেন। তিনি মনে করতেন, সাংবাদিকতার মাধ্যমে কৃষক, শ্রমিক ও সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষের সমস্যাগুলোকে তুলে ধরা প্রয়োজন।

“গ্রামবার্তা প্রকাশিকা”র প্রতিটি সংখ্যায় তখনকার সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ও সমসাময়িক বিষয়গুলো উঠে আসত। এর মধ্যে জমিদারদের অত্যাচার, ব্রিটিশ শাসকদের শোষণ, মহাজনদের চক্রান্ত এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার দুঃখ-কষ্ট ছিল মূল প্রতিপাদ্য। হরিনাথ তাঁর কলামে গ্রামের কৃষকদের শোষণ এবং নীল চাষের ভয়াবহতা তুলে ধরেন, যা ব্রিটিশ শাসক ও স্থানীয় জমিদারদের কাছে অপছন্দনীয় হয়ে ওঠে।

তাঁর সাংবাদিকতার মাধ্যমে তিনি সমাজের দুর্নীতি, কুসংস্কার, বর্ণবৈষম্য এবং নারী অধিকার নিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, কেবল সংবাদ পরিবেশন নয়, বরং এর মাধ্যমে সমাজে সচেতনতা তৈরি করা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করাই সাংবাদিকতার আসল লক্ষ্য।

নীল বিদ্রোহ বাংলার ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন। নীলচাষীদের ওপর নীলকর সাহেবদের অত্যাচার এবং তাদের শোষণের কাহিনী কাঙাল হরিনাথ তুলে ধরেন তাঁর পত্রিকায়। নীলচাষীদের দুরবস্থা এবং তাদের প্রতি ব্রিটিশ ও জমিদারদের নিষ্ঠুর আচরণ নিয়ে তাঁর প্রতিবেদনগুলো মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।

নীল বিদ্রোহের সময় হরিনাথ তাঁর কলমকে একটি শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। তিনি “গ্রামবার্তা প্রকাশিকা”র মাধ্যমে নীল চাষের শোষণ ও অত্যাচারের বিষয়টি জনসম্মুখে আনেন। সাধারণত, নীলকর সাহেবদের ক্ষমতা ও প্রভাবের কারণে এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। কিন্তু হরিনাথ সাধারণ কৃষকদের পক্ষে দাঁড়িয়ে তাদের সমস্যা তুলে ধরতে দ্বিধা করেননি। তিনি বিভিন্ন প্রতিবেদনে চাষিদের দুঃখ-দুর্দশার কাহিনী বর্ণনা করেন এবং ব্রিটিশ শাসনের শোষণমূলক নীতিগুলোর প্রতি জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। প্রতিবেদনগুলো ব্রিটিশ শাসকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তাঁর লেখার মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে প্রতিরোধের চেতনা জাগ্রত হয় এবং তাদের একত্রিত করে আন্দোলনে অনুপ্রাণিত করে। তাঁর এই ভূমিকা তাঁকে শুধু সাংবাদিকই নয়, একজন সমাজসংস্কারক এবং সংগ্রামী হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করে।

কাঙাল হরিনাথের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ছিল তাঁর ভাষার সহজতা। তিনি গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের কথা সহজ, সরল এবং প্রাঞ্জল ভাষায় প্রকাশ করতেন। “গ্রামবার্তা প্রকাশিকা”র প্রতিটি লেখায় গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন জীবন এবং তাঁদের সংকটগুলো উঠে আসত। তিনি মনে করতেন, সাংবাদিকতার ভাষা এমন হওয়া উচিত যা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে। এর ফলে তাঁর পত্রিকা গ্রামবাংলার কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

হরিনাথ সাংবাদিকতার পাশাপাশি গীতিকার, সুরকার এবং কবি হিসেবেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বহু গান রচনা করেছিলেন, যা পরবর্তীতে গ্রামবাংলার মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায়। তাঁর গানগুলোয় সাধারণ মানুষের জীবনসংগ্রাম, প্রেম এবং সমাজের অসঙ্গতিগুলো প্রতিফলিত হয়। বিশেষ করে, তাঁর রচিত “পল্লীগীতি” এবং “বাউল গান” সাধারণ মানুষের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।

তাঁর রচনাগুলো কেবল সাহিত্যিক গুরুত্বের জন্যই নয়, বরং সামাজিক পরিবর্তন এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যও তা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বিশ্বাস করতেন, সঙ্গীত এবং সাহিত্য সমাজ পরিবর্তনের শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে।

দারিদ্র্যের মধ্যে থেকেও হরিনাথের মানবিকতা ছিল গভীর। তিনি সবসময় অসহায় এবং দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। তিনি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করতে কখনো পিছপা হননি। “কাঙাল” উপাধিটি নিজেই ধারণ করে তিনি দেখিয়েছেন, দারিদ্র্য মানুষকে মহৎ হওয়ার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। বরং তিনি প্রমাণ করেছেন যে, আত্মনিবেদন এবং সৎ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দারিদ্র্যকে জয় করা সম্ভব।

হরিনাথ মজুমদারের কাজ ও আদর্শ বাংলা সাংবাদিকতার ইতিহাসে একটি স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। তিনি সাংবাদিকতাকে কেবল তথ্যানুসন্ধান এবং পরিবেশনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি। বরং সাংবাদিকতাকে সমাজের সমস্যার সমাধান ও জনমতের পরিবর্তনের হাতিয়ারে রূপান্তরিত করেছিলেন।

তাঁর সাহসিকতা এবং নীতিবোধ নতুন প্রজন্মের সাংবাদিক ও লেখকদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা। তাঁর দেখানো পথ ধরে পরবর্তীতে আরও অনেক সাংবাদিক এবং সমাজ সংস্কারক এগিয়ে এসেছেন।

১৮৯৬ সালে কাঙাল হরিনাথের জীবনাবসান ঘটে। কিন্তু তাঁর কাজ এবং আদর্শ তাঁকে চিরকাল স্মরণীয় করে রেখেছে। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন যে, কঠিন পরিস্থিতিতেও নৈতিকতা এবং সাহস বজায় রেখে সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব।

কাঙাল হরিনাথ ছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন সমাজের অবহেলিত মানুষের জন্য। সাংবাদিকতা, সাহিত্য, সংগীত এবং সমাজসেবার মাধ্যমে তিনি বাঙালির সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক অগ্রগতিতে বিশাল অবদান রেখেছেন। তিনি ছিলেন এমন একজন পথিকৃৎ, যিনি নিজের সীমিত সম্পদ এবং অসুবিধা সত্ত্বেও সমাজের জন্য অবিচলভাবে কাজ করে গেছেন। তাঁর জীবন ও কাজ আমাদের দেখায় যে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো কখনো বৃথা যায় না।

লেখক পরিচিতি  : উজ্জ্বল হোসাইন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় মাস্টার্স (ব্যাচ ২০২১), পিআইবি।

ঈদে নতুন জামা : স্বপ্ন আর ভালোবাসা জড়ানো

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ণ
ঈদে নতুন জামা : স্বপ্ন আর ভালোবাসা জড়ানো

ঈদ মানেই আনন্দ, উৎসব, মিলন এবং নতুন করে বাঁচার প্রেরণা। এই দিনে সবাই চায় নিজেকে সাজিয়ে নিতে, নতুন কাপড় পরে প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে। কিন্তু এমন অনেকের মধ্যেও থাকে এমন কেউ, যার জন্য একটি নতুন জামা শুধু পোশাক নয়, বরং স্বপ্ন, গর্ব, আত্মমর্যাদা এবং একটি আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। এই প্রবন্ধে আমরা এমন এক নতুন জামার কথা বলব, যে জামার শুধু দামী কাপড় বা ডিজাইনের গর্ব নেই, বরং রয়েছে আত্মার গভীরে জমে থাকা এক মানুষের স্বপ্নের গল্প।

শহরের এক কোণায় বাস করে ছোট্ট ছেলেটি রিয়াদ। বয়স প্রায় দশ। তার বাবা একজন দিনমজুর, মা গৃহিণী। সংসারে অভাব-অনটনের মধ্যে কোনোভাবে দিন কাটে তাদের। বছরের প্রতিটি দিন কাটে সংগ্রামের মাঝে, কিন্তু ঈদ আসে স্বপ্নের আলো নিয়ে। ঈদে নতুন জামা পাবে, এই আশায় রিয়াদ এক মাস রোজা রাখে, নিজের মনকে শক্ত করে।

তবে এই জামা আসবে কি না, তা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, বাবার মুখে ভাঁজ আর চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। মা বারবার বলেন, “এবার হয়তো পুরনো জামাতেই ঈদ করতে হবে।” কিন্তু রিয়াদ বিশ্বাস করে—আল্লাহ যদি রোজা কবুল করেন, তাহলে একটা নতুন জামা হয়তো আসবেই।

এই জামার অপেক্ষা শুধু রিয়াদের নয়, এটি যেন তার মন-প্রাণের আকুতি। এই জামা তার জন্য স্বপ্নপূরণ, আত্মমর্যাদা, শ্রেষ্ঠত্বের অনুভব।

আমরা অনেক সময় বুঝি না, একটি নতুন জামা একজন শিশুর জন্য কতটা অর্থবহ হতে পারে। ধনী পরিবারের শিশুর কাছে এটি হয়তো একটি চমকপ্রদ পোশাক, কিন্তু রিয়াদের কাছে এটি স্বপ্ন পূরণের মতো। সে ভাবে, ঈদের দিন সবার মতো তাকেও যদি নতুন জামায় দেখা যায়, তাহলে সে আর অবহেলিত হবে না, তার বন্ধুরা তাকে হাসবে না। তারও মুখে হাসি ফুটবে, তারও ছবি উঠবে মোবাইল ক্যামেরায়।

এই জামা তার আত্মবিশ্বাস, যেটা সে স্কুলে পড়ার সময় খুঁজে বেড়ায়, যখন ক্লাসের অন্য ছেলেরা নতুন জামা পরে আসে আর সে পড়ে থাকে একঘেয়ে মলিন কাপড়।

এখানে জামার একটি কল্পিত স্বর ও ভাষা কল্পনা করা যাক—যেখানে জামাটি যেন নিজের মনে নিজের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছে: “আমি কোনো বিলাসী দোকানের শেলফে ঝুলে থাকা দামি জামা নই। আমি সেই জামা, যাকে এক দরিদ্র বাবার কষ্টের টাকায় কিনে আনা হবে তার ছেলের মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাতে।
আমি হয়তো রঙিন নই, হয়তো আমার ডিজাইনে জাঁকজমক নেই, কিন্তু আমি গর্বিত। কারণ আমি হব একটি শিশুর ঈদের স্বপ্ন পূরণের বাহক। আমি হব আত্মমর্যাদার প্রতীক, আমি হব ঈদের প্রাপ্তির প্রতিচ্ছবি।”

এই ভাবনার মধ্যেই ফুটে ওঠে জামার স্বপ্ন—সে চায়, তাকে কেউ ভালোবাসুক, পরিধান করুক, আর আনন্দ পাক।

রিয়াদের মা হয়তো নিজের জন্য কোনো কাপড় কিনবেন না, বাবা হয়তো একজোড়া চপ্পল না কিনে সেই টাকায় ছেলের জামা কিনে দেবেন। কারণ, সন্তানের হাসির চেয়ে বড় কিছু তাদের কাছে নেই। একটি নতুন জামার পেছনে লুকিয়ে থাকে একটি পরিবারের নীরব ত্যাগ, ভালোবাসা আর গোপন কান্না।

ঈদের নতুন জামা এই পরিবারগুলোর কাছে শুধু পোশাক নয়—এটা এক সম্মান, ভালোবাসা এবং আত্মতৃপ্তির চিহ্ন। অনেক সময় বাবা-মায়েরা নিজেদের প্রয়োজন বিসর্জন দিয়ে সন্তানের মুখে হাসি দেখতে চান। নতুন জামা যেন সেই আত্মত্যাগের স্বাক্ষর হয়ে উঠে।

ঈদের দিন আমরা যখন দেখি কেউ চকচকে কাপড় পরে বেরিয়েছে, আর কেউ পুরনো জামা পরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে, তখন সামাজিক বৈষম্যের চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নতুন জামার গুরুত্ব সেখানে দ্বিগুণ। এটি একধরনের সামাজিক মর্যাদা।

রিয়াদ হয়তো তার বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়ে ভাবে—আমারও যদি এমন একটা জামা থাকত! শুধু ঈদের দিনটা নয়, পুরো জীবনজুড়ে সেই হাহাকার থেকে যায়। এই এক টুকরো জামাই তার স্বপ্নকে উঁচুতে নিয়ে যেতে পারে, আর না থাকলে আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়ে।

দরিদ্র শিশুদের জন্য ঈদে জামার প্রাপ্তি মানে কী? সমান মর্যাদা – অন্যদের মতো তাকেও দেখা হয় একজন ‘পূর্ণ’ শিশুর মতো।  আত্মবিশ্বাস – নতুন জামা পরে সে খুশি মনে বন্ধুদের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। পরিবারের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি – সে উপলব্ধি করে, তার মা-বাবা তাকে কত ভালোবাসে।

৪. ভবিষ্যতের স্বপ্ন – একজন শিশু জানে, সে যদি চেষ্টার মধ্যে থাকে, তার স্বপ্ন একদিন পূরণ হবেই।

ঈদের সকালে রিয়াদের ঘুম ভাঙে ভোরবেলা। মা হাসিমুখে এসে বলে—
“এই দেখ, তোমার নতুন জামা।”
রিয়াদ প্রথমে বিশ্বাস করতে পারে না। হাত বাড়িয়ে জামাটা নেয়, চোখে জল চলে আসে। “আমার?”
মা মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়, “হ্যাঁ বাবা, তোমার।”
রিয়াদ তার ছোট জামাটিকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে, যেন এটিই তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

সেই জামা তখন আর শুধু সুতা ও রঙের মিশ্রণ নয়, সেটি তখন একটি ‘স্বপ্ন’। একটি সন্তুষ্টির প্রতীক, একটি ছোট শিশুর গর্বের নিশান।

আমরা যারা সমাজের ভাগ্যবান অংশ, তাদের উচিত এই বৈষম্য দূর করতে সচেষ্ট হওয়া। প্রতিবছর ঈদের আগে আমরা অনেকেই প্রচুর জামা কিনি, কিন্তু ভাবি না পাশের দরিদ্র শিশুটার কথা। যদি আমরা একটি নতুন জামা কাউকে দিতে পারি, তাহলে তার ঈদটা হয়ে উঠতে পারে জীবনের সেরা দিন।সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার—সবাই যদি চায়, তাহলে প্রত্যেক শিশুর ঈদে একটি নতুন জামা নিশ্চিত করা সম্ভব। এটি দান নয়, এটি মানুষের স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা।

“ঈদে একটি নতুন জামা যার স্বপ্ন” এই বাক্যটি শুধুমাত্র কোনো এক জামা বা একটি শিশুর গল্প নয়, এটি হাজারো রিয়াদের গল্প। এটি আমাদের সমাজে লুকিয়ে থাকা অসংখ্য মানুষের জীবনবোধের চিত্র। একটি নতুন জামা কেবল দেহ ঢাকার উপকরণ নয়, এটি মানুষের সম্মান, আত্মবিশ্বাস এবং ভালোবাসার প্রতীক। আমরা যদি এই একটুকরো জামার ভেতর মানুষের আবেগ, স্বপ্ন ও আত্মত্যাগ দেখতে পারি, তাহলে সমাজে সত্যিকার পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। আসুন, এই ঈদে আমরা কেবল নিজেদের জন্য না, অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যও একটি নতুন জামার স্বপ্ন বুনি।

লেখক পরিচিতি : উজ্জ্বল হোসাইন, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক, চাঁদপুর।

চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল আজম সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল আজম সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস

চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভা (১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৫) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি (২০২৫-২০২৮) ঘোষণা করা হয়েছে। সমবায় সমিতি আইন ২০০১ (সর্বশেষ সংশোধন ২০১৩) ও সমবায় সমিতি বিধিমালা ২০০৪ (সর্বশেষ সংশোধন ২০২০) অনুযায়ী নির্বাচন কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন (পরিদর্শক, জেলা সমবায় কার্যালয়, চাঁদপুর) কোন পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছয় সদস্য বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটি ঘোষণা করেন। নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি- মোঃ ইকবাল আজম (প্রতিনিধি, দি চাঁদপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ), সহ-সভাপতি- মোঃ আফজাল হোসেন খান (প্রতিনিধি, মিলেনিয়াম বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ), সম্পাদক- দুলাল চন্দ্র দাস (প্রতিনিধি, বাগড়া শিক্ষিত বেকার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ), সদস্য- মোঃ আক্কাস ফরাজী (প্রতিনিধি, রূপসী পল্লী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ), সদস্য- খন্দকার ফখরুল আলম (প্রতিনিধি, আশার আলো মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ), সদস্য- মোঃ খোরশেদ আলম (প্রতিনিধি, খাজুরিয়া বাজার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ)।
জেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ও নির্বাচন কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সমবায়ী ও বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন শেখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন জেলা সমবায় ইউনিয়ন, জেলার সমবায় সমিতি ও সমবায়ীদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব থাকলেও চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নে দীর্ঘদিন নির্বাচিত কমিটি ছিল না, যার কারণে এটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন থেকে চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নকে কার্যকর করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করি। সমবায় বিভাগ এতে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন করে, যার ফলশ্রুতিতে আজকে আমরা একটি নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করতে পেরেছি। এজন্য তিনি সমবায় বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান পাশাপাশি নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান। সভায় তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা সকলের সামনে উপস্থাপন করেন। সকলের সহযোগিতায় তা বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সভাপতি মুরাদ হোসেন খান, জুন হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর প্রতিনিধি এ ওয়াই এম জাকারিয়া, ওয়ারলেস বাজার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিনিধি মোঃ জিয়াউদ্দিন, ইসলামীয়া সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিনিধি নাজমুল হুদা প্রমূখ।
উল্লেখ্য প্রতি ৩ বছর পর পর নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের বিধান থাকলেও ২০১২ সালের পর, দীর্ঘ ১৩ বছর পর এই ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হলো।

আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ
আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামী ২ জুন নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সম্প্রতি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল ও বাজেট ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, সংসদ না থাকায় এবার সংসদে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে না। অর্থ উপদেষ্টা টেলিভিশনে নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে ২ জুন বাজেট ঘোষণার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণত আগের অর্থবছরগুলোতে বৃহস্পতিবার বাজেট দেওয়া হতো, এবার সোমবার ঘোষণা করা হবে। বাজেট ঘোষণার পর আগের রীতি অনুযায়ী অর্থ উপদেষ্টা বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

সূত্রটি জানিয়েছে, সাধারণত প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের তুলনায় বড় রাখা হয়। তবে এবার বাজেট ঘাটতি কমিয়ে বাজেট ছোট কারার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বাজেটের আকার কমানো হলেও সমাজে বৈষম্য কমানোর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে সামাজিকীকরণ সুরক্ষা কর্মসূচিতে উপকারভোগী ও কিছু ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ থাকছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। একই সঙ্গে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ ধরতে পারে। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার। চলতি অর্থবছরেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। যদিও গত মার্চ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।