খুঁজুন
                               
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩০ ভাদ্র, ১৪৩২

সাহিত্য একাডেমী আমাদের শিল্পগৌরব সৃষ্টিশীল লেখনিতে আনন্দের পৃথিবী

সামীম আহমেদ খান
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ১:৩৯ অপরাহ্ণ
সাহিত্য একাডেমী আমাদের শিল্পগৌরব সৃষ্টিশীল লেখনিতে আনন্দের পৃথিবী

সাহিত্য মানেই আড়ালে থেকে যাওয়া সুন্দর, সাহিত্য মানেই ঊষাবেলার রঙ, সাহিত্য মানেই সন্ধ্যার সাজ, সাহিত্য মানেই কালোত্তীর্ণ কর্মের অনবদ্য ফসল। সাহিত্য মানেই শেক্সপীয়র, শেলী, কীট্স, পাবলো নেরুদা, বেঞ্জামিন মলিয়ের, রবীন্দ্র, নজরুল, জীবনানন্দ ও সুকান্ত অর্থাৎ সাহিত্য শিল্পী মননশীল শিল্পকর্মের স্রষ্টা। শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতির শতাব্দীপ্রাচীন পূর্ণতার ঐতিহ্য বহন করছে চাঁদপুর জেলা। এক অর্থে সংস্কৃতির এক চারণভূমি চাঁদপুর। মেধা ও প্রজ্ঞার সমন্বয় ঘটিয়ে চাঁদপুরের সংস্কৃতিকর্মীরা স্বাক্ষর রেখেছেন বিভিন্ন পর্যায়ে। ভৌগোলিক পরিচিতিকে করেছেন আপন মহিমায় ভাস্বর। এখানকার প্রত্যেকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন স্ব স্ব আভিজাত্য এবং শুভ্রতা নিয়ে সাংস্কৃতিক তথা সামাজিক বলয় সৃষ্টি করে চলছে অবিরত। প্রশান্ত সৃজনশীল বৃত্তিগুলো ব্যক্তিত্ব বিকাশে যেমন সহায়ক, তেমনি সহায়ক মানসিক উৎকর্ষ অর্জনের পথ সুগম করতে। এ উৎকর্ষতার পরিপূর্ণতায় কেটে উঠবে স্থবিরতা, পাশাপাশি আবদ্ধতা। প্রয়োজন তাই মুক্ত চিন্তা এবং সৃষ্টিশীল কর্ম, যা সময়ের দাবিতে উপজীব্য মাধ্যম। এই মহামিলনের অঙ্কুরিত স্বপ্নকে বুকে ধারণ করেই কবি খুরশেদুল ইসলাম তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব এস.এম. শামসুল আলম সাহেবের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে তুলেছিলেন চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী এবং তিনি নিজেই ছিলেন সাহিত্য একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক।
|আরো খবর

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঁচদিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা উদ্বোধন
সাহিত্য একাডেমী চাঁদপুর-এর ভোটার তালিকায় প্রকাশ
আরিফুল ইসলাম শান্তের ‘মৌন বৃক্ষের রাত্রিদিন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের বরাত দিয়েই বলতে হয়, অন্তত পনেরো বছর যাবৎ সাহিত্য একাডেমীর ওপর নিষ্ক্রিয়তার জগদ্দল পাথর চেপে বসেছিলো। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি লোকজনের শতকরা ৯০ ভাগই নানান উপাধি, পদবীতে ভারাক্রান্ত, বয়সের ভারে এদের গতিশীলতা হারিয়ে গেছে। অতএব গ্রহণযোগ্য যে কোনো পদ্ধতিতে সাহিত্য একাডেমীর কমিটিতে গতিশীল, কর্মোদ্যমী নতুন মুখ আনা দরকার। এজন্যে বিদ্যমান গঠনতন্ত্রের মধ্যে যদি পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় তাও করা দরকার।

উল্লেখিত অংশটুকু নিয়ে ‘সাহিত্য একাডেমী হোক আমাদের সমতা সম্পদ আর আনন্দের পৃথিবী’ এ শিরোনামে এ পত্রিকায়ই লিখেছিলাম ২০০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। তখন কলম ধরেছিলাম সাহিত্য একাডেমীর ব্যর্থতার দায়ভার প্রতিটি প্রতীক্ষিত সুন্দরকে যাতে ম্লান করে না দেয় তার জন্যে, কলম ধরেছিলাম সাহিত্য একাডেমীর অর্বাচীন ভূমিকায় সাহিত্যপিপাসুদের যাতে আলোহীন অন্ধকারে যেতে না হয় তার জন্যে। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের আরো একটি শিরোনাম মনকে নাড়া দিয়েছিলো। ২০০৯ সালে চাঁদপুরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক আ.ক.ম. শাহীদুর রহমান মহোদয় বললেন, সাহিত্য একাডেমী ভবন শিশু একাডেমীকে হস্তান্তর করা হবে। সাহিত্যপ্রেমীদের প্রাণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আবার কলম ধরলাম ২০০৯ সালের ২৫ জানুযারি।

ইতিহাস পর্যালোচনা করলে হস্তান্তর প্রক্রিয়ার কিছু নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গি চোখে পড়ে। যেমন : ১৭৬৫ সালের ১২ আগস্ট রবার্ট ক্লাইভ যখন দ্বিতীয় বারের মতো বাংলার গভর্নর হয়ে আসেন, তিনি এসেই সম্রাট দ্বিতীয় শাহআলম ও অযোধ্যার নবাবের সঙ্গে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পাদন করেন।

ইতিহাসে এর একটি ইতিবাচক দিক রয়েছে।

ফ্রান্স স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মূর্ত প্রতীক ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’ ১৮৮৬ সালের ২৮ অক্টোবর আমেরিকার নিকট হস্তান্তর করে, যা মার্কিনীরা লিবার্টি আইল্যান্ড, নিউইয়র্কে ১৯২৪ সালের ১৫ অক্টোবর তাদের জাতীয় স্থাপনা হিসেবে বিশ্বকে পরিচয় করে দেয়।

১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সরকারি নির্দেশে হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মাঝে রাখী বন্ধন হস্তান্তর করেন, যা উভয় সম্প্রদায়ের ঐক্যের প্রতীক ছিলো। তৎকালীন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সে সময়ের প্রেক্ষাপটে সাহিত্য একাডেমী হস্তান্তর প্রক্রিয়া আমাদের জন্যে গৌরবের ছিলো না বরং হতাশার, সুদীপ্ত ইচ্ছার প্রতিফলনতো নয়ই বরং নির্লিপ্ত চেয়ে থাকা মাত্র।

প্রেক্ষাপট সমৃদ্ধ লেখাটি তৎকালীন জেলা প্রশাসক হৃদয়ঙ্গম করায় সাহিত্য একাডেমী তার নিজস্বতা হারায়নি। সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বর্তমান জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন মহোদয়কে দূর থেকে যতটুকু আবিষ্কার করেছি, ওনার রয়েছে বর্ণাঢ্য ও মেধাবী জীবনের ইতিবৃত্ত। পাশাপাশি তিনি একজন সফল ও সৃষ্টিশীল জীবনবোধের অধিকারী। এমন অনুভবে সমৃদ্ধ বর্তমান জেলা প্রশাসক মহোদয় সাহিত্য একাডেমীর স্বকীয়তা বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইতোমধ্যে। গত ১৭ মার্চ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের স্বাক্ষরিত ১২০ সদস্যের একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যা বাস্তবিক অর্থে ইতিবাচক। এ কথা স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে, প্রতিভাধর ব্যক্তির আনন্দবোধের উৎসারণ ঘটে বিভিন্ন উৎস থেকে। সাহিত্যপ্রেমীদের তেমনি এক উৎসের নাম সাহিত্য একাডেমী।

সাহিত্যপ্রেমীদের প্রাণের দাবিকে মূল্যায়ন করে চাঁদপুরের প্রাক্তন জেলা প্রশাসক জনাব মো. আবদুর রব হাওলাদার গণি মডেল হাইস্কুলে সাহিত্যসেবীদের বিশাল সমাবেশে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেন। আমার প্রিয় শিক্ষক চাঁদপুর সরকারি কলেজের তৎকালীন ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কবি খুরশেদুল ইসলাম সাহিত্য একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক। সাহিত্য একাডেমীর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমি একজন সাহিত্যসেবী হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য। প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক কবি খুরশেদুল ইসলাম চিরবিদায় নিয়েছেন। তবে তাঁর আত্মা শান্তি পাবে যদি তাঁর সন্তানতুল্যদের লালিত্যে গড়া সাহিত্য একাডেমী আবার জেগে উঠে। আবার এখানে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, সুকান্তচর্চা শুরু হয়। সময়ের ধমনীতে প্রবহমান স্বচ্ছ প্রাণবিন্দুগুলো, আবার নতুন অবয়বে তার সৌন্দর্য ফিরে পাবে, আবার আমরা সরলা জননীকে নিয়ে লিখবো কবিতা। বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন মহোদয়কে বিনীতভাবে বলছি যে, সাহিত্য একাডেমীকে প্রাণসঞ্চার করার জন্যে অতীতের দগ্ধ-বিগলিত ও বিচ্ছিন্ন অসম্পূর্ণতা দূরে ঠেলে দিয়ে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সাহিত্যপ্রেমীদের প্রতিভার মূল্যায়ন করা হোক। সাহিত্য একাডেমীর সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডের ধমনীতে বিশুদ্ধ চেতনাবোধ প্রবাহিত হোক এটাই প্রত্যাশা। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রলয় শিখা কাব্যগ্রন্থের বিংশ শতাব্দী কবিতার পংক্তিমালা–“সংস্কারের জগদ্দল পাষান/তুলিয়া বিশ্বে আমরা করেছি প্রাণ/সর্ব আচার-বিচার-পঙ্ক হতে/তুলিয়া জগতে এনেছি মুক্ত স্রোতে/অচলায়তনে বাতায়ন খুলি-প্রাণ/এনেছি, গেয়েছি নব আলোকের গান”-এর বাণীমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সাহিত্য একাডেমী যথার্থভাবে উদ্ভাসিত হোক।
লেখক পরিচিতি : সামীম আহমেদ খান, সভাপতি, জাতীয় কবিতা পরিষদ, চাঁদপুর জেলা শাখা।

জুলাই সনদ নিয়ে আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:৫৮ অপরাহ্ণ
জুলাই সনদ নিয়ে আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দুপুর আড়াইটায় এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিএনপির প্রেস উইং জানিয়েছে, বৈঠকে দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আমন্ত্রণ পাওয়া একাধিক দল সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক করেছিল কমিশন। সেদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হলেও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা ছাড়া বাস্তবায়নের পথে এগোতে চায় না কমিশন।
ড. আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিশন ইতোমধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য চারটি প্রস্তাবনা দিয়েছে- গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ, অধ্যাদেশ অথবা নির্বাহী আদেশ। তবে কোন পদ্ধতি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হবে, তা নিয়েই আজকের বৈঠকে মূলত আলোচনা হবে। জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মৌলিক ঐকমত্য তৈরি হলেও বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে এখনো ভিন্নমত রয়েছে। কেউ সংবিধান সংশোধনের ওপর জোর দিচ্ছেন, আবার কেউ চাইছেন নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন। কমিশনের মতে, জুলাই সনদ কেবল রাজনৈতিক সংস্কারের রূপরেখাই নয়, এটি দীর্ঘমেয়াদি একটি রোডম্যাপ, যা দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসনের ভিত্তি শক্তিশালী করবে। তবে কার্যকর করতে হলে প্রয়োজন সর্বাত্মক রাজনৈতিক ঐকমত্য।

এই দেশের মানুষ ন্যায়, ইনসাফ ও কল্যাণমুখী রাজনীতি চায় : অ্যাড. শাহজাহান মিয়া

মুহাম্মদ বাদশা ভূঁইয়া,চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ
এই দেশের মানুষ ন্যায়, ইনসাফ ও কল্যাণমুখী রাজনীতি চায় : অ্যাড. শাহজাহান মিয়া

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কাজীর বাজার এলাকায় চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী এডভোকেট শাহজাহান মিয়া ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি কাজীর বাজারসহ বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গণসংযোগ করেন। এ সময় সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং দাড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে সমর্থন কামনা করেন।
সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন এডভোকেট শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেন, “এই দেশের মানুষ ন্যায়, ইনসাফ ও কল্যাণমুখী রাজনীতি চায়। দুঃশাসন ও বৈষম্যের শিকার জনগণ শান্তি, ন্যায়বিচার এবং সমান অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। তাই আগামী নির্বাচনে ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লাকে বিজয়ী করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, জনগণ যদি দাড়িপাল্লার পক্ষে ভোট দেয় তবে আমরা দেশে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে পারবো।” তিনি আরও বলেন, “আমরা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করি। ইসলাম ও জনগণের কল্যাণই আমাদের মূলনীতি। আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা থাকলে এ আসনে বিজয় সুনিশ্চিত হবে।”
গণসংযোগ ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা আমীর মাওলানা আফসার উদ্দিন মিয়াজী, ১ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রধানিয়া, ইউনিয়ন জামায়াত সভাপতি কাজী মোঃ আবু তাহের, সেক্রেটারী মোঃ আল আমিন আখন্দ, সহকারী সেক্রেটারী মোঃ আফজাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ সুরুজ, ৫ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারী আবুল কাশেম হাওলাদারসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ। এ সময় এলাকায় এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দেন।

মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে : ড. মুহাম্মদ শাহাজান মাদানী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:২১ পূর্বাহ্ণ
মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে : ড. মুহাম্মদ শাহাজান মাদানী

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে মাদ্রাসা শিক্ষক সম্মেলন– ২০২৫” অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১৩সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর চেয়ারম্যান ঘাটস্থ ইউরেশিয়া কনভেনশন হলে এই সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ শাহাজান মাদানী। তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা শুধু ধর্মীয় জ্ঞান নয়, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের আলোকবর্তিকা জ্বালিয়ে রাখছে। শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন, সমাজে সুশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি এবং তরুণ প্রজন্মকে অপসংস্কৃতি থেকে দূরে রাখতেও মাদ্রাসার শিক্ষকদের অবদান অনন্য। জাতীয় জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। তাই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদার ক্ষেত্রেও মাদ্রাসা শিক্ষকদের সমান অধিকার নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।
তিনি আরো বলেন, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক বেতন স্কেলে বৈষম্য দূর না হলে প্রকৃত শিক্ষাব্যবস্থা ভারসাম্যপূর্ণ হবে না। শিক্ষকেরা সন্তুষ্ট হলে শিক্ষা মানোন্নয়ন সহজ হবে। এ জন্য জাতীয় বাজেটে আলাদা বরাদ্দ এবং মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আহ্বান জানান, ডিজিটাল যুগের চাহিদা অনুযায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ ও সুবিধা দিতে হবে। যাতে তারা যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদান করে ছাত্রছাত্রীদের দেশ গড়ার যোগ্য নাগরিক হিসেবে তৈরি করতে পারেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী ও মাদ্রাসা-ই-মোহাম্মদিয়া আরবিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আ.ন.ম মাঈন উদ্দিন সিরাজী, চাঁদপুর জেলার শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্লাহ, মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ জেলা শাখার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মোঃ শাহজাহান মিয়া, অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেন।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ ছগীর হোছাইন এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা নূর মোহাম্মদ খান এর পরিচালনায় আরো বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ও আল আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক রুহুল আমিন, আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন জেলা সেক্রেটারী ফরিদগঞ্জ আদর্শ একাডেমীর অধ্যক্ষ মোঃ হারুনুর রশিদ, শাহাতলী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ বিল্লাল হোসেন, হাজীগঞ্জ সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা আবু বকর, ভুলদিঘী কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ তৈয়বুল রহমান, আল-আমিন মহিলা মাদ্রাসার সুপার মোঃ হাফিজুর রহমান, নিশ্চিন্তপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ ফখরুদ্দিন, চাপাতলী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুল ইসলাম মজুমদার, পশ্চিম সেকদী আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ মকবুল আহমেদ, মনিহার দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা নাজির আহমেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর শ্রমিক ফেডারেশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক শাহ আলম, চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমীর এড: শাহজাহান খান সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার জন্য ৩১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা মোঃ ছগীর হোসাইন এবং সেক্রেটারী নির্বাচিত হন মাওলানা নূর মোহাম্মদ খান। চাঁদপুর জেলার আটটি উপজেলার মাদ্রাসা শিক্ষক এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।