খুঁজুন
                               
বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ৬ কার্তিক, ১৪৩২

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়

প্রকল্পের সঙ্গে জলে গেছে ২৭ কোটি, ফের বরাদ্দ ৫০ কোটি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ
প্রকল্পের সঙ্গে জলে গেছে ২৭ কোটি, ফের বরাদ্দ ৫০ কোটি

রাজধানীর গুলশানের উত্তর বারিধারার আট বিঘা জমিতে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের নামে চলছে বিপুল অর্থের অপচয়। প্রথমে প্রবাসীদের জন্য কিডনি হাসপাতাল ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নির্মাণের পরিকল্পনা চলে। পরে হাউজিং প্রকল্প নির্মাণের উদ্যোগে কেটেছে দুই দশকের বেশি সময়। সেখান থেকে সরে মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আবারও ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডরমিটরি এবং একটি কমার্শিয়াল ভবন নির্মাণের মহাপরিকল্পনা নেয়। আড়াই দশকে এসব কর্মকাণ্ডে সাড়ে ২৭ কোটি টাকা খরচ হলেও কোনো প্রকল্পই আলোর মুখ দেখেনি।
প্রকল্পের জন্য গুলশানের প্রায় ৬০০ কোটি টাকার জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই তড়িঘড়ি করে পিপিআরের আইন ভেঙে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাত্র ২০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। গত জুলাই থেকে আগামী ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত এর মেয়াদ। এই হাসপাতাল পরিচালনায় বোর্ডের আইন ভঙ্গ করেই বোর্ড সভা এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না নিয়েই গঠন করা হচ্ছে কোম্পানি। এতেই কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, অপরিকল্পিতভাবে প্রবাসীদের বিনিয়োগে হাসপাতাল নির্মাণে তাদের কোনো উপকারে আসবে না। এ ছাড়া সেবাধর্মী সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোম্পানি গঠনে জটিলতা তৈরি হবে।
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে গুলশান-ভাটারার (উত্তর বারিধারা) প্রকল্পের মাধ্যমে প্রবাসীদের কল্যাণে কিডনি হাসপাতাল এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য ১৫১ দশমিক ৫৪ কাঠা জমি ক্রয় করা হয়। পরবর্তী সময়ে বোর্ড সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এখানে প্রবাসীদের জন্য ৫০০ ফ্ল্যাট নির্মাণ করতে চাইলে আরও ১৫ দশমিক ৭৪ কাঠা জমি ক্রয় করা হয়। বর্তমানে এই জমির মূল্য ৬০০ কোটি টাকারও বেশি।
হাউজিং প্রকল্পে ছয়টি ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে কল্যাণ বোর্ড ২০০৪ সালে দুই হাউজিং কোম্পানিকে কার্যাদেশ প্রদান করে। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠান দুটি বেজমেন্টসহ একটি ভবনের লেভেল-২ পর্যন্ত,  অন্য একটি ভবনের লেভেল-৪ পর্যন্ত ফ্রেম স্ট্রাকচারের নির্মাণকাজ এবং পুরো জমিতে পাঁচটি ভবনের পাইলিং করার পর নির্মাণ মূল্য বৃদ্ধির জন্য আবেদন করে। এই জটিলতায় ২৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় করে কাজ অসমাপ্ত করে ২০২০ সালে প্রকল্প বন্ধ করে সরকার।
এর মধ্যে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল প্রবাসীদের পরিবারের এক অনুষ্ঠানে বারিধারার জায়গাটিতে নতুন করে হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দেন। নতুন এই প্রকল্পে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ৫১ শতাংশ শেয়ার থাকবে এবং ৪৯ শতাংশ শেয়ার হবে প্রবাসীদের। এর পরিপ্রেক্ষিতে কল্যাণ বোর্ড উপদেষ্টার ঘোষণা বাস্তবায়নে তড়িঘড়ি করে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই আট বিঘা জমিতে নিজস্ব অর্থায়নে ৪৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) নির্মাণ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
গত ২৬ আগস্ট ৩৩৪তম বোর্ড সভায় মন্ত্রণালয়ের এসব কোনো মতামত গ্রহণ না করেই প্রকল্পটি অনুমোদন এবং ৩১ আগস্ট প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আর্থিক অনুমোদনও দেন। তবে প্রকল্প প্রণয়নে কোনো ধরনের সমীক্ষা এবং নতুন করে মাস্টারপ্ল্যানও করা হয়নি। কারিগরি ও বিশেষজ্ঞ কমিটি ছাড়াই প্রকল্পের ডিপিপি প্রস্তুত করেছেন কল্যাণ বোর্ডের অর্থ, বাজেট ও কল্যাণ পরিচালক ড. এটিএম মাহবুব-উল করিম, ভূসম্পত্তি ব্যবস্থাপনার সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান, প্রশাসন ও সেবা সহকারী পরিচালক নাজমুল হক এবং বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী আবু শাহাদাত মো. শরীফ।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রবাসীকল্যাণ হাসপাতাল পরিচালনার জন্য এর মধ্যেই বোর্ড এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই প্রবাসীকল্যাণ সার্ভিস পিএলসি নামে একটি কোম্পানির ছাড়পত্র গ্রহণ করেছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, যা বোর্ড আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এ বিষয়ে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান সমকালকে বলেন, বারিধারার জায়গাটি অবস্থানগত কারণে অনেক মূল্যবান। সেখানে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী ৩০০ শয্যার হাসপাতাল না করে মাত্র ২০ শয্যার হাসপাতাল করাটা কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত না।
প্রবাসীকল্যাণ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের অর্থ ও বাজেট এবং কল্যাণ পরিচালক ড. এটিএম মাহবুব-উল করিম বলেন, উপদেষ্টা প্রবাসীদের জন্য একটি হাসপাতাল দ্রুত নির্মাণের নির্দেশনা ছিল। সেখানে বোর্ডের সঙ্গে প্রবাসীরাও শেয়ারের মাধ্যমে বিনিয়োগ করবেন। এই নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্যই প্রথম পর্যায়ে মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের সবাই মিলে প্রকল্পটি সাজানো হয়েছে। আগের মাস্টারপ্ল্যানের ৩০০ শয্যা হাসপাতাল নির্মাণের ফিজিবিলিটি স্টাডি এবং মাস্টারপ্ল্যান কিছুটা অনুসরণ করা হবে, তবে সম্পূর্ণটা না।
ডিপিপি প্রস্তুতে ভূসম্পত্তি ব্যবস্থাপনার সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান, প্রশাসন ও সেবা সহকারী পরিচালক নাজমুল হক এবং বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী আবু শাহাদাত মো. শরীফ জানান, এ ধরনের প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়নে আমাদের অভিজ্ঞতা নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় আমরা ডিপিপির কাঠামো দেখে এ প্রকল্পের ডিপিপি প্রস্তুত করেছি। ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক ব্যারিস্টার গোলাম সারোয়ার ভূঁইয়া বলেন, আপাতত ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প শুরু হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে প্রকল্পটি দুই হাজার কোটিতে দাঁড়াবে।
এ বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, এ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। ২০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে কিনা, জানি না। এটি বোর্ডের চেয়ারম্যান ভালো বলতে পারবেন।
প্রকল্প সম্পর্কে জানতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে একাধিকবার কল ও মেসেজ দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। এমনকি বুধবার দপ্তরে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:০৮ অপরাহ্ণ
জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আরমানিটোলায় টিউশনিতে গিয়ে খুন হন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসেন। পুলিশ জানায়, রোববার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ‘রওশন ভিলা’ নামের বাড়ির সিঁড়ি থেকে জুবায়েদের রক্তমাখা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় সিসিটিভি ফুটেজে দুজন তরুণকে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে, তবে তাদের মুখ স্পষ্ট নয়। গত এক বছর ধরে ওই বাড়িতেই বর্ষাকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান পড়াতেন জুবায়েদ। ঘটনার পর বর্ষাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়।
বংশাল থানা সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত ছাত্রী ও সন্দেহভাজন মাহির রহমানসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। নিহত জুবায়েদ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি। ওই ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল আটক মাহির রহমানের। সম্প্রতি সম্পর্কের অবসান ঘটান ওই ছাত্রী, যা নিয়েই শুরু হয় টানাপোড়েন।
রোববার বিকেলে ওই ছাত্রীর বাসায় টিউশনে যাওয়ার পথে জুবায়েদের সঙ্গে দেখা হয় মাহিরের। এসময় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কিছুক্ষণ পরেই জুবায়েদ ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার দুপুরে জুবায়েদের প্রথম জানাজা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।

হুন্ডি মাফিয়া চক্রের ৯৬ অ্যাকাউন্টে ৬০০ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:০৫ অপরাহ্ণ
হুন্ডি মাফিয়া চক্রের ৯৬ অ্যাকাউন্টে ৬০০ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন

একটি হুন্ডি মাফিয়া চক্রের দুই শতাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ নানা অপরাধের তথ্য পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই তথ্য জানিয়ে সিআইডি সূত্র বলছে, তারা হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের পাশাপাশি স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে সিআইডি বলছে, এই চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাঁরা দেশ থেকে স্বর্ণ চোরাচালানসহ অবৈধভাবে দেশ থেকে অর্থপাচারে জড়িত। তাঁদের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬০৮ কোটি টাকার সন্দেহজনক অর্থ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৯৬ বলে সিআইডি জানিয়েছে।
সিআইডি বলছে, হুন্ডি চক্রের হোতা মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাসের অ্যাকাউন্টে গত এক বছরে ৫৮২ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর সহযোগী গোলাম সারওয়ার আজাদ ও তরিকুল ইসলাম রিপন ফকিরের অ্যাকাউন্টে মিলেছে আরো ১০০ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য। তাঁদের গ্রেপ্তারে এরই মধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে।
চক্রের সদস্যরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মার্কিন মুলুকেও সক্রিয়। এর মধ্যে তাঁরা ফাঁদে ফেলে এক মার্কিন নাগরিকের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা এখন হন্যে হয়ে খুঁজছে এই চক্রের সদস্যদের। এই চক্রের সদস্যরা স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এঁরা হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন করে থাকেন।
সিআইডি সূত্র বলছে, সম্প্রতি এই অপরাধীরা ডেবোলা জন্সটোন রামলো ডেবি নামের একজন মার্কিন নাগরিককে কৌশলে তাঁদের ফাঁদে ফেলেন। তাঁর কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকার বেশি (দুই কোটি ৭০ লাখ ১৬ হাজার ৩৫১.৭২ টাকা) আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগ পেয়েছে সিআইডি। মার্কিন শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা এমন অভিযোগ পেয়ে তদন্তে সিআইডির সহযোগিতা চেয়েছে।
সিআইডির অনুসন্ধান অনুযায়ী, দেশে বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে যে পরিমাণ অর্থ পাচার করা হচ্ছে, সম্প্রতি এর চেয়ে বেশি পাচার করা হচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে। এভাবে প্রতিবছর ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়।

সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, হুন্ডি মানে অনেকের কাছে শুধু রেমিট্যান্স বৈধ চ্যানেলে না পাঠিয়ে অবৈধ কোনো চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে হুন্ডির ব্যাপকতা অনেক বেশি।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সিআইডি সূত্র বলছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের মাধ্যমে একজন মার্কিন নাগরিক প্রতারিত হন। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা অভিযোগ পেয়ে এই নিয়ে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সহযোগিতা চেয়ে যোগাযোগ করে।
সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে আসে, এই হুন্ডি চক্র নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে মার্কিন নাগরিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে থাকা অভিভাবকদের সঙ্গে তারা একই ধরনের প্রতারণা করে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়।
এই সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা নামসর্বস্ব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দীর্ঘদিন ধরে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন করে আসছে। অনুসন্ধানে উঠে আসা এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আইনক্স ফ্যাশন, ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ, জামান এন্টারপ্রাইজ ও নোহা এন্টারপ্রাইজ। এর মধ্যে আইনক্স ফ্যাশনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে অর্থ লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।
মার্কিন নাগরিকের প্রতারিত হওয়ার অভিযোগটির অনুসন্ধানকালে আরো উঠে আসে, চক্রের সদস্যরা স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত। তাঁরা ঢাকার তাঁতীবাজারসহ বিভিন্ন দোকান থেকে ভাঙ্গারি স্বর্ণ সংগ্রহ করে তা গলিয়ে পাকা সোনার বার আকারে রূপান্তরিত করে দীর্ঘদিন ধরে পাচার করে আসছেন। এসব পাচার করা সোনার বার মূলত সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হয় বলে অনুসন্ধানে উঠে আসে।
সুইজারল্যান্ডের সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বাংলাদেশিদের সুইস ব্যাংকে রাখা টাকার পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালে কিছুটা কমে পাঁচ হাজার ৩৪৭ কোটি হয়। কিন্তু ২০২১ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় আট হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।

খাদ্য অধিকার আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার গণজমায়েত, লিফলেট বিতরণ, আলোচনাসভা ও স্মারকলিপি প্রদান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ২:২২ অপরাহ্ণ
খাদ্য অধিকার আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার গণজমায়েত, লিফলেট বিতরণ, আলোচনাসভা ও স্মারকলিপি প্রদান

‘সবার জন্য খাদ্য চাই, খাদ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন, সামাজিক সুরক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবিতে জনসচেতনতায় লিফলেট বিতরণ, গণজমায়েত, আলোচনা সভা ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর ২০২৫) খাদ্য অধিকার আন্দোলন, চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে কর্মসূচি পালন করা হয়।
নবরূপ মানবিক উন্নয়ন সংস্থার প্রধান নির্বাহী পিএম বিল্লাল হোসাইনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিকার আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ খোকন, ব্রাক রিজিওনাল ম্যানেজার মো. সেলিম মোল্লা, আরসিডিএস নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ সাদেক সফিউল্লাহ, স্কলার ওয়েলফেয়ারের পরিচালক বিএম হাসান সাংবাদিক ও লেখক রোটা. উজ্জ্বল হোসাইন, নারী নেত্রী নুরজাহান আক্তার, শাহরাস্তি পরিবার উন্নয়নের আব্দুল মান্নান বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা সভা শেষে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন নিকট নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনের বিভিন্ন দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।