খুঁজুন
                               
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ২৬ কার্তিক, ১৪৩২

৬ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, নৌবন্দরে হুঁশিয়ারি সংকেত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ
৬ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, নৌবন্দরে হুঁশিয়ারি সংকেত

দেশের ৬টি অঞ্চলের উপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব এলাকার নৌবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলে অবস্থানরত লঘুচাপটি আরো ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের উপকূলে রয়েছে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকতে দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরর্বতী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

সভাপতি মোরশেদা খানম বেবী, সম্পাদক এইচএম জাকির

সাহিত্য সংগঠন ‘শিল্পনন্দন’-এর কমিটি ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ণ
সাহিত্য সংগঠন ‘শিল্পনন্দন’-এর কমিটি ঘোষণা

চাঁদপুরে সাহিত্য সংগঠন ‘শিল্পনন্দন’-এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ৪ জুলাই ২০২২ খ্রি. তারিখে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনটি চাঁদপুরের লেখকদের বইয়ের প্রমোশন ও পাঠকের হাতে পৌঁছাতে নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে সৃষ্টিশীলতায় উদ্বুদ্ধ করার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। সংগঠনের স্লোগান হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে—“শিল্পে সৌন্দর্য, সৃষ্টিতে আনন্দ”। ঘোষিত কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন—
সভাপতি মোরশেদা খানম বেবী, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান রানা ও দেওয়ান মাসুদ রহমান, সাধারণ সম্পাদক এইচএম জাকির, সহ-সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস ও জিহাদ সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান শাকির ইমরু, অর্থ সম্পাদক আবু বকর বিন ফারুকী, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক কাজী আজিজুল হক নাহিন, প্রকাশনা সম্পাদক আজম পাটওয়ারী, আয়োজন সম্পাদক সালাউদ্দিন হাজরা, সাহিত্য সম্পাদক সজীব খান, সংস্কৃতি সম্পাদক ইসতিয়াক সৈকত, পাঠচক্র সম্পাদক খাইরুল আলম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. মাসুদ হোসেন, আবৃত্তি সম্পাদক সামিরা মেহনাজ নুসরাত, কার্যনির্বাহী সদস্য উজ্জ্বল হোসাইন, নূরুল ইসলাম ফরহাদ, নূরে আলম, মুহাম্মদ হানিফ, এমআরএম শোভন, মারিয়া আক্তার অনুপমা, তাসফিয়া ইসলাম, মুসলিম হোসেন ও মো. আবুল হাসেম সাহরীয়ার স্বপন।

আজীবন সদস্য মির্জা জাকির, গিয়াস উদ্দিন মিলন, সোহেল রুশদী, জসীম মেহেদী, শরীফ হোসাইন ও মো. সাইফুল ইসলাম সুমন। উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন—মইনুদ্দিন লিটন, ইলিয়াস ফারুকী, ড. নিলুফা আখতার ও কাজী নজরুল ইসলাম।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এইচএম জাকির জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিল্পনন্দন চাঁদপুরের লেখকদের বইয়ের পাঠক সৃষ্টিতে কাজ করেছে, আগামীতেও অন্যান্যো কার্যক্রমের পাশাপাশি এটি অব্যাহত থাকবে। শিল্পনন্দন সাহিত্য অঙ্গনে পাঠক ও লেখক সৃষ্টিসহ সৃজনশীলতার বিকাশে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন নব গঠিত কমিটির সভাপতি মোরশেদা খানম বেবী। সভাপতি আরও জানান—শিল্পনন্দন চাঁদপুরের সাহিত্য অঙ্গনে নতুন উদ্দীপনা ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। নবগঠিত কমিটি দায়িত্ব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সাহিত্যচর্চার পরিসর আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা নিয়েছি। তরুণ লেখক–পাঠকদের সৃষ্টি-উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। খুব দ্রুতই একটি বর্ণিল অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করে তুলতে চাই। চাঁদপুরের শিল্প–সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।”

গতকাল বিকেল ৩.৩০টায় চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির নাসীরউদ্দিন মিলনায়তনে চিত্রশিল্পী মইনুদ্দিন লিটন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সংগঠনের প্রতিষ্টাতা এইচএম জাকিরের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি ও গল্পকার দেওয়ান মাসুদ রহমান। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ কেএম সালাউদ্দিন, চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ম. মূরে আলম পাটওয়ারী, নজরুল গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুন গনি, সাহিত্য একাডেমির পরিচালক (গবেষণা) মুহাম্মদ ফরিদ হাসান, নবগঠিত কমিটির সভাপতি মোরশেদা খানম বেবী। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য একাডেমির পরিচালক (সাহিত্য ও প্রকাশনা) মাইনুল ইসলাম মানিক, সাহিত্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক সাদ আল আমিন প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্য শেষে বরেণ্য কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ-এর ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর ১০জন বিজয়ীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেণ অতিথিবৃন্দ।

NEIR বাস্তবায়নের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট শিল্পে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫, ২:১০ অপরাহ্ণ
NEIR বাস্তবায়নের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট শিল্পে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায়

আমদানির পাশাপাশি বাংলাদেশে ২০১৭ সালে মোবাইল ফোন উৎপাদন শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে দেশী-বিদেশী মিলে প্রায় ১৭টি মোবাইল ফোন কারখানা দেশে উৎপাদন করছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছে, যেখানে প্রায় ১ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোন এখন কেবল স্থানীয় বাজারেই নয়, ভবিষ্যতে বিদেশেও রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি করছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য নতুন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। মোবাইল ফোন উৎপাদন ঘিরে দেশে আধুনিক প্যাকেজিং, প্রিন্টিং, ব্যাটারি, চার্জার, হেডফোন, ডাটা কেবলসহ আরো অনেক ধরনের কম্পোনেন্ট এর শিল্প গড়ে উঠেছে যেখানে কমপক্ষে ১৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং আরো প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ এখানে কাজ করছে।
এছাড়াও, এই শিল্পের সঙ্গে সারাদেশে প্রায় ২০ হাজার অনুমোদিত মোবাইল ফোন বিক্রেতা যুক্ত আছেন, যেখানে প্রায় ৮০ হাজার কর্মী সরাসরি কর্মরত। উৎপাদন ও বিতরণ পর্যায়ে মোট প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ সরাসরি এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। গড়ে প্রতি পরিবারের ৫ জন সদস্য হিসেবে ধরা হলে, কমপক্ষে ৮ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অনুমোদিত মোবাইল কারখানাগুলোর উপর নির্ভরশীল।
তবে দীর্ঘদিন ধরে বৈধ শিল্পের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অবৈধ বা “গ্রে” হ্যান্ডসেটের প্রবেশ ও ব্যবহার। দেশের মোট মোবাইল বাজারের প্রায় ৬০ শতাংশ এখন এই অবৈধ মার্কেটের দখলে। এর ফলে বৈধভাবে ব্যবসা করা কোম্পানিগুলোর হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুকির মধ্যে পড়েছে এবং সরকার বছরে প্রায় ২০০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। বাজারে অসুস্থ প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বাজার চোরাকারবারীদের হাতে চলে যাচ্ছে। এছাড়া, অবৈধ ফোন দিয়ে আর্থিক প্রতারণাসহ অনেক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, যার প্রকৃত অপরাধীকে খুজে বের করা যায় না।
অবশেষে সরকার এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ২০২৫ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (NEIR) চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। এর মাধ্যমে অবৈধভাবে আমদানিকৃত বা নিবন্ধনবিহীন ফোন দেশে ব্যবহার করা যাবে না। এই উদ্যোগের ফলে সরকারের হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় নিশ্চিত হবে এবং বাজারে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং ভোক্তার অধিকার সুনিশ্চিত হবে। আমরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
NEIR ভোগান্তি না সুরক্ষা : কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গোষ্ঠী NEIR–এর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ও ভয় ছড়ানোর চেষ্টা করছে—যাদেরকে সাধারণভাবে “লাগেজ পার্টি” বলা হয়। এদের মাধ্যমে দেশে চোরাই, নকল, কপি ও রিফার্বিশড হ্যান্ডসেটের ব্যবসা গড়ে উঠেছে। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, আর প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কারণ এসব পণ্য ট্যাক্স ও ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে দেশে প্রবেশ করে, ফলে দাম কম মনে হলেও গ্রাহকরা আসলে পাচ্ছেন কম মানের এবং অনিরাপদ পণ্য। এরা প্রচার করছে NEIR ব্যবহারে মানুষের ভোগান্তি হবে। প্রকৃতপক্ষে NEIR ব্যবহার যথাসম্ভব সহজ করার জন্য বিটিআরসি দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রাহক যাতে হয়রানি না হয় তার জন্য যা যা করার দরকার আমাদের দিক থেকে আমরাও তা করবো। তাই এই ভয় অমুলক।
ভ্যাট/ট্যাক্স কাঠামো ও উৎপাদননীতি : দেশীয় উৎপাদনে ভ্যাট/ট্যাক্সের কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে, যা কোনো বৈষম্য নয় – এটি বিশ্বব্যাপী উন্নয়নশীল দেশগুলোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনসেনটিভ পলিসি। দেশে উৎপাদন শিল্প গড়ে তোলা একটি বড় বিনিয়োগ, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে এবং আমদানি নির্ভরতা কমায়। তবে, আমদানিকৃত বৈধ হ্যান্ডসেটের ওপর ট্যাক্স আর দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ট্যাক্স পার্থক্য আরও কমিয়ে আনার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করতে  পারে, যাতে উভয় খাতই ভারসাম্যপূর্ণভাবে টিকে থাকতে পারে।
দেশীয় উৎপাদিত পণ্যের দাম ও মান :দেশে উৎপাদিত ফোনের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম ও সাশ্রয়ী।
গত দুই বছরে ডলার ও মোবাইল উপকরণের দাম প্রায় ৬০% বৃদ্ধি পেলেও, স্থানীয় উৎপাদকরা খরচ নিয়ন্ত্রণে রেখে দাম বাড়াননি। বরং আমরা ব্যাংক ঋণ রিশিডিউল করে, মার্কেটিং বাজেট সমন্বয় করে ও অন্যান্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় উৎকর্ষতা এনে দাম কমানোর নিরলস প্রচেষ্টা করে যাচ্ছি।
অন্যদিকে, আমদানিকৃত গ্রে ফোনের দাম কম এর কারণ হলো ট্যাক্স ফাঁকি ও নিম্নমানের কপি বা রিফার্বিশড পণ্য। এসব পণ্যে ওয়ারেন্টি সেবা নেই, সফটওয়্যার সাপোর্ট দুর্বল, এবং অনেক সময় চুরি যাওয়া ফোনও বিক্রি করা হয় – যা সরাসরি ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন।
নৈতিকতা ও গ্রাহক সুরক্ষা : NEIR চালু হলে গ্রাহকরা সহজেই জানতে পারবেন তাঁদের ফোনটি বৈধভাবে আমদানি বা উৎপাদিত কিনা। বৈধ হ্যান্ডসেট ক্রেতারা পাবেন— অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি ও আফটার সেলস সার্ভিস, সফটওয়্যার আপডেট, নিরাপদ নেটওয়ার্ক ব্যবহারের নিশ্চয়তা। অবৈধ ফোনে প্রায়ই ম্যালওয়্যার, অননুমোদিত সফটওয়্যার ও ডাটা চুরির ঝুঁকি থাকে। অন্যদিকে, NEIR–এর মাধ্যমে হারানো ফোন ট্র্যাক ও বন্ধ করার সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা, যা গ্রাহক নিরাপত্তায় বড় অগ্রগতি।
বৈধভাবে ব্যবসা করা শুধু আইনি বাধ্যবাধকতা নয়—এটি নৈতিক দায়িত্বও বটে। একজন উদ্যোক্তা যখন শুল্ক ও কর পরিশোধ করে ব্যবসা করেন, তখন তিনি দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন। অন্যদিকে, ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া মানে রাষ্ট্র, সমাজ ও ভোক্তার সাথে প্রতারণা করা।
বিটিআরসির ভেন্ডর লাইসেন্স নিয়ে যে কেউ বৈধভাবে মোবাইল আমদানীর ব্যবসা করতে পারে – এই পথ সবসময়ই খোলা রয়েছে। এখানে বৈষম্য করা বা একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ নেই। কারো ব্যবসা বন্ধ করা বা ক্ষতি করা আমাদের কারো কাম্য না। কিন্তু অবৈধ প্রক্রিয়ায় অবৈধ ফোন, চোরাই ফোন, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আসা ফোনের ব্যবসা বন্ধ হোক সেটা আমরা সবাই চাই।
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব : অবৈধভাবে দেশে আসা স্মার্টফোনের কারণে প্রতিবছর সরকার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারায়।এটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো খাতে উন্নয়নে সরাসরি প্রভাব ফেলে। এছাড়া অবৈধ ব্যবসা বৈধ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে অন্যায় প্রতিযোগিতা তৈরি করে এবং সাইবার অপরাধ ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা প্রতিরোধের আহ্বান : বিগত সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগে নিবন্ধনবিহীন ফোন বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলেও তা সফল হয়নি। তবে এবার বিটিআরসি–র উদ্যোগ বাস্তবায়নের পথে এবং এটি দেশের মোবাইল শিল্পের জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। কিন্তু এরই মধ্যে কিছু অসাধু গোষ্ঠী জনমনে ভীতির সঞ্চার ও গুজব ছড়িয়ে এই উদ্যোগকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। MIOB মনে করে—এখন সময় এসেছে গ্রে মার্কেট নয়, ন্যায্য বাজার ব্যবস্থার পক্ষে দাঁড়ানোর।

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থী গুলিবিদ্ধ: দ্রুত তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:২১ অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থী গুলিবিদ্ধ: দ্রুত তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী জনসংযোগে সহিংস হামলার ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ঘটনার হামলাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এরশাদ উল্লাহ এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিলেন না। একটি বিচ্ছিন্ন গুলিতে তিনি আহত হয়েছেন। সরকার তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে। সেইসঙ্গে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থী ও নাগরিকের নিরাপত্তা এবং অধিকার সুরক্ষায় অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের শনাক্ত ও আটক করতে এবং আইনের আওতায় আনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের কোনো স্থান নেই। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে সিএমপি ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে।
সব রাজনৈতিক দল ও তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকতে এবং সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, মর্যাদাপূর্ণ ও ন্যায়সংগত পরিবেশে সম্পন্ন করতে সহায়তা করতে হবে। সরকার নিজ দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ থেকে সারা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।