খুঁজুন
                               
বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১৩ কার্তিক, ১৪৩২

বেঁচে থাকার প্রমাণ দিতে বাধ্য হলেন কাজল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
বেঁচে থাকার প্রমাণ দিতে বাধ্য হলেন কাজল

বড় পর্দার তারকাদের নিয়ে ভুয়া খবর ছড়ানো নতুন কিছু নয়। কখনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক, কখনও বা স্বাস্থ্য, এমনকি মৃত্যু নিয়েও নেটমাধ্যমে ছড়ায় গুজব। এবার সেই ভুয়া মৃত্যুর গুজবের শিকার হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগরওয়াল। সোমবার ঘুম থেকে উঠেই আঁতকে ওঠেন কাজল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তার ‘মৃত্যুর খবর’। একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, ভয়ঙ্কর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অভিনেত্রী।
মুহূর্তেই সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে অনুরাগীদের মধ্যে। বিভ্রান্তি ও দিশাহারা হয়ে পড়েন কাজল ভক্তরা। তবে খুব বেশি দেরি না করে নিজেই বিষয়টি পরিষ্কার করেন অভিনেত্রী। একেবারে সরাসরি জানিয়ে দেন, তিনি সুস্থ আছেন।
এক্স এবং ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কাজল লেখেন— “আমাকে নিয়ে যে খবর রটছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন। দুর্ঘটনায় আমি মারা গেছে, এসব পড়ে সত্যি হাসি পাচ্ছে। ভগবানের কৃপায় আমি একেবারে ভালো আছি। সকলে দয়া করে এ ধরনের মিথ্যা খবর বিশ্বাস করবেন না, ছড়াবেনও না। বরং ইতিবাচকতা আর সত্যি বিষয় নিয়েই শক্তি খরচ করুন।”
তার মৃত্যুর খবর নিয়ে গণমাধ্যম যোগাযোগ করলে প্রথমে হেসে উড়িয়ে দেন কাজল। অভিনেত্রী জানান, তিনি ব্যস্ত আছেন, পরে কথা বলবেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার স্পষ্ট বার্তার পরই স্বস্তি ফিরে আসে ভক্তদের মনে।
সম্প্রতি কাজলকে দেখা গেছে সালমান খানের বিপরীতে ‘সিকান্দার’ ছবিতে। পাশাপাশি তিনি রয়েছেন কমল হাসানের ‘ইন্ডিয়ান ৩’ ছবিতেও।
শোনা যাচ্ছে, নীতেশ তিওয়ারির বহু প্রতীক্ষিত ‘রামায়ণ’ ছবিতে মন্দোদরীর চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। এ ছবিতে অভিনয় করছেন রণবীর কপূর, যশ, সাই পল্লবী, সানি দেওল এবং রবি দুবে। জানা গেছে, আগামী ২০২৬ সালের দীপাবলিতে মুক্তি পাবে ‘রামায়ণ’-এর প্রথম পর্ব।

জ্যামাইকাতে তাণ্ডব চালিয়ে কিউবার দিকে এগোচ্ছে মেলিসা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ
জ্যামাইকাতে তাণ্ডব চালিয়ে কিউবার দিকে এগোচ্ছে মেলিসা

ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকাতে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মেলিসা আঘাত হেনেছে। গতকাল মঙ্গলবার ৫ মাত্রার এ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এটি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। মেলিসা এখন ৪ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশ কিউবার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। খবর রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, জ্যামাইকার দক্ষিণ-পশ্চিমের নিউ হোপ শহরের কাছে ঘণ্টায় ১৮৫ মাইল (২৯৫ কিলোমিটার) গতিবেগে আঘাত হানে মেলিসা, যা সাফির সিম্পসন স্কেলে নির্ধারিত ৫ মাত্রার শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের ন্যূনতম গতিবেগের (ঘণ্টায় ১৫৭ মাইল বা ২৫২ কিলোমিটার) চেয়ে বেশি। সাফির সিম্পসন হলো একধরনের মানদণ্ড বা স্কেল, যা ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি ও সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। এটি ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতাকে ৫টি মাত্রা দিয়ে বুঝিয়ে থাকে। ৫ মাত্রা হলো সাফির সিম্পসন স্কেলের সর্বোচ্চ মাত্রা।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, জ্যামাইকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সেন্ট এলিজাবেথ অঞ্চল সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সেখানে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের পর সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হলনেস বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা যেসব তথ্য পেয়েছি, তাতে হাসপাতালগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমনকি সড়ক অবকাঠামোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এখনো পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনা করে আমরা কিছু প্রাণহানির আশঙ্কা করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) বলেছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জ্যামাইকার পাহাড়ি এলাকার মানুষের জন্য ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি এখন কিউবার দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল শহর সান্তিয়াগো দে কিউবা শহরে আঘাত হানতে পারে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার বিশেষজ্ঞ অ্যান-ক্লেয়ার ফোজান্টান প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এটি একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি।’ তিনি চার মিটার উচ্চতা পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আভাস দিয়েছেন। মেলিসা জ্যামাইকার দক্ষিণ-পশ্চিমে আঘাত হানে।
স্থানীয় সরকারের মন্ত্রী ডেসমন্ড ম্যাককেঞ্জি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সেন্ট এলিজাবেথ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এলাকার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে এবং এর একটি ভবন গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকটি পরিবার তাদের বাড়িতে আটকা পড়েছিল। তবে উদ্ধারকর্মীরা কিছু মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন। এর মধ্যে চারটি শিশুও আছে।
ম্যাককেঞ্জি আরও বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে প্রায় ১৫ হাজার জ্যামাইকান নাগরিক অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন। সরকার ২৮ হাজার মানুষকে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে অনেকেই বাড়ি ছাড়তে রাজি হননি।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য রেড ক্রস বলেছে, জ্যামাইকার প্রায় ১৫ লাখ মানুষের ওপর এ ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে।

উত্তাল সাগর, শক্তি সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ
উত্তাল সাগর, শক্তি সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শক্তি সঞ্চয় করছে। এটি ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৮ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সোমবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটি মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা অথবা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর (পুন.) ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য কঠোরভাবে বারণ করা হয়েছে।

হাঁটা বন্ধ করবেন না, কেনো হাঁটবেন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ
হাঁটা বন্ধ করবেন না, কেনো হাঁটবেন

হাঁটা বন্ধ করবেন না যেন, মস্তিষ্ক নয়, ডিমেনশিয়া শুরু হয় আপনার পা থেকে! বিশ্বজুড়ে বয়স্ক মানুষের অক্ষমতা ও নির্ভরশীলতার প্রধান কারণ হিসেবে ডিমেনশিয়া এখন এক ভয়াবহ বাস্তবতা। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন, এবং প্রতিবছর নতুন করে আরও প্রায় ১ কোটি মানুষ এতে ভোগেন। অধিকাংশ মানুষই মনে করেন, মস্তিষ্ক সচল রাখাই ডিমেনশিয়া প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি। কিন্তু ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস) প্রশিক্ষিত স্নায়ুশল্য বিশেষজ্ঞ ডা. অরুণ এল. নাইক জানালেন চমকপ্রদ তথ্য—ডিমেনশিয়ার সূত্রপাত নাকি মস্তিষ্কে নয়, পা থেকেই!
ডিমেনশিয়া কী?
ডিমেনশিয়া কোনো একক রোগ নয়; এটি স্মৃতি, চিন্তাশক্তি ও দৈনন্দিন কাজের সক্ষমতাকে ধীরে ধীরে ক্ষয় করে এমন একাধিক স্নায়ুরোগের সামষ্টিক নাম। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি আরও জটিল হয়ে ওঠে এবং জীবনের মান নষ্ট করে দেয়। তবে সময়মতো নির্ণয়, যত্নশীল পরিচর্যা, জীবনযাপনে পরিবর্তন ও চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর অবস্থা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ডিমেনশিয়া শুরু হয় পা থেকে
ডা. নাইক এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আপনি কি জানেন, ডিমেনশিয়া আসলে শুরু হয় আপনার পা থেকে? শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা পায়ের পেশিকে দুর্বল করে, যার ফলে স্যারকোপেনিয়া বা পেশি ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ে। এখানেই শুরু হয় বিপদ। গবেষণায় দেখা গেছে, দুর্বল পায়ের কারণে জ্ঞানগত ক্ষমতা দ্রুত হ্রাস পায় এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন, শরীরের সক্রিয় পেশি এমন রাসায়নিক উৎপাদন করে যা মস্তিষ্ককে সচল রাখে। এই রাসায়নিকগুলোর নাম ব্রেইন-ডিরাইভড নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (BDNF), যা মস্তিষ্কের স্মৃতিনির্ভর অংশ হিপোক্যাম্পাসে সংযোগ বৃদ্ধি করে। শক্তিশালী পা শুধু ভারসাম্য বজায় রাখে না, বয়স বাড়লেও পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমায়। “৬৫ বছরের পর পড়ে যাওয়াই সবচেয়ে বিপজ্জনক,” বলেন ডা. নাইক।
তিনি ২০২০ সালের Neurology সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণার উদাহরণ দেন, যেখানে দেখা গেছে, যাদের হাঁটার গতি কম, তাদের মস্তিষ্কের আকারও ছোট এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতা হ্রাসের ঝুঁকি বেশি। “হাঁটা শুধু শরীরচর্চা নয়, এটি পুরো মস্তিষ্কের এক অনুশীলন,” যোগ করেন তিনি।
কীভাবে হাঁটা মস্তিষ্ককে সুরক্ষিত রাখে
হাঁটা এমন এক সহজ ব্যায়াম যা শরীর ও মস্তিষ্ক দুটিকেই সক্রিয় রাখে। ডা. নাইক বলেন, “প্রতিটি পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত থাকে মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোব, সেরিবেলাম, স্পাইনাল কর্ড ও স্নায়ু প্রতিক্রিয়ার সমন্বয়।” হাঁটা রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, যা মস্তিষ্কে অক্সিজেন ও গ্লুকোজ সরবরাহ করে এবং টক্সিন দূর করে। তিনি আরও বলেন, “হাঁটার ধরনে বা ভারসাম্যে পরিবর্তন দেখা গেলে সেটি মস্তিষ্কের আগাম সতর্ক সংকেত। এটি প্রায়ই স্মৃতি সমস্যার বছরখানেক আগেই দেখা দেয়।” হাঁটা নিউরোপ্লাস্টিসিটির এক জীবন্ত উদাহরণও বটে। “হাঁটার সময় শরীরে BDNF সক্রিয় হয়, যা নিউরনগুলোর সংযোগ শক্তিশালী করে,” বলেন ডা. নাইক।
কীভাবে ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করবেন ডা. নাইক কয়েকটি সহজ অভ্যাসের পরামর্শ দিয়েছেন, যা নিয়মিত চর্চা করলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বজায় থাকে এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটুন। ভারসাম্য রক্ষার ব্যায়াম যেমন এক পায়ে দাঁড়ানো বা সরলরেখায় হাঁটার অভ্যাস করুন। হাঁটার সময় কথা বলা বা হালকা মানসিক কাজ করুন—এটি মস্তিষ্কের সমন্বয় ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত পায়ের পেশির ব্যায়াম করুন, এটি মস্তিষ্কের জন্য একপ্রকার ‘বিমা’।
দীর্ঘ সময় বসে থাকা পরিহার করুন; প্রতি ঘণ্টায় কিছুটা নড়াচড়া করুন। তিনি বলেন, “যখন আপনার পা ধীরে ধীরে কাজ হারায়, তখন মস্তিষ্কও তার পথ অনুসরণ করে। আপনার হাঁটার গতি বজায় রাখুন, তাহলেই সুরক্ষিত থাকবে মস্তিষ্ক।”
ডা. নাইক আরও পরামর্শ দেন, পেশির গঠন রক্ষায় প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা জরুরি। তার মতে, কখনোই দেরি হয়ে যায় না। “গবেষণায় দেখা গেছে, ষাট বছর বয়সেও হাঁটা ও ব্যায়াম শুরু করলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। মনে রাখবেন, শক্ত পা মানেই তীক্ষ্ণ মস্তিষ্ক। স্যারকোপেনিয়া মাথা পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই সচেতন হোন—চল্লিশের কোঠা থেকেই শুরু করুন।”
সর্বোপরি, সক্রিয় থাকা শুধু চলাফেরার বিষয় নয়; এটি মস্তিষ্ককে তরুণ রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। নিয়মিত হাঁটা, ব্যায়াম ও সুষম খাদ্য—এই তিন অভ্যাসই হতে পারে বার্ধক্যের ডিমেনশিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরোধ।