খুঁজুন
                               
শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ, ১৪৩২

৩৭ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান

ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ তাসনিমের মরদেহ মিলল বিলে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ
ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ তাসনিমের মরদেহ মিলল বিলে

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে টেকবাড়ি বিলে তার মরদেহটির সন্ধান পায় ফায়ার সার্ভিস। এর আগে, রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকা ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে থাকা স্ল্যাববিহীন ম্যানহোলে পরে নিখোঁজ হন ফারিয়া তাসনিম জ্যোতি। এর পর থেকেই চলছিলো উদ্ধার অভিযান। টানা ৩৭ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে বাঁশপট্টি এলাকার টেকবাড়ি বিলে তার মরদেহটির সন্ধান পায় ফায়ার সার্ভিস।
দুর্ঘটনায় নিহত ফারিয়া তাসনিম জ্যোতির আট বছর বয়সী যমজ সন্তানের মা। কাজ করতেন একটি বেসরকারি কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগে। কাজের সুবাদে এসেছিলেন হোসেন মার্কেট এলাকায়। হালকা বৃষ্টি হলেই সড়কটি পরিণত হয় মৃত্যুকূপে। এমন বাস্তবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান, টঙ্গীর হোসেন মার্কেট ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনের ম্যানহোলটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকনাবিহীন অবস্থায় ছিল। এ বিষয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তারা অভিযোগ করেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন ও সড়ক বিভাগের অবহেলার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পর রাতেই ২০ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল ম্যানহোলে অভিযান শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের টঙ্গী স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহীন আলম জানান, ম্যানহোলটির গভীরতা প্রায় ১০ ফুট এবং টানা বৃষ্টির কারণে সেটি পানিতে পূর্ণ হয়ে গেছে, ফলে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। দ্বিতীয় দিন সিটি করপোরেশনের সহায়তায় আশপাশের ড্রেনের ঢাকনাও খুলে অনুসন্ধান চালানো হয়। তৃতীয় দিনে তাসনিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তার একজোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (২৮ জুলাই) সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মুহাম্মদ সোহেল হাসান। তিনি বলেন, ‘এ সড়কটি সিটি করপোরেশনের আওতায় নয়, এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে। তবে মানবিক বিবেচনায় সিটি করপোরেশন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল দিয়ে উদ্ধার কাজে সহায়তা করেছে।’ এদিকে, এ ঘটনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিবকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সেবা প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

‘আম্মু কি আর আসবে না’, জ্যোতির দাফনে জমজ সন্তানের কান্না
গাজীপুরের টঙ্গীতে খোলা নালায় পড়ে প্রাণ হারানো ফারিয়া তাসনিম জ্যোতির (৩২) মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। দাফনের সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়- জ্যোতির জমজ সন্তানরা মায়ের কবরের পাশে কান্নায় ভেঙে পড়ে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পুরাতন গোরস্থান জামে মসজিদে জানাজা শেষে পুরাতন কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। নিহত জ্যোতি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার মৃত বাবলু মেম্বারের মেয়ে। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। এরআগে গত রোববার রাত সোয়া ৯টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় খোলা ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ হন জ্যোতি।
জানা যায়, জ্যোতি যে ড্রেনে পড়েছিল, ওই ড্রেনের পানি গিয়ে পড়ে শালিকচূড়া বিলে। ঘটনার পর টানা উদ্ধার অভিযানের মাধ্যমে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে শালিকচূড়া (টেকপাড়া) বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। জ্যোতি ঢাকার মিরপুরে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন এবং ‘মনি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল হেলথ’ নামের একটি ওষুধ কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি টঙ্গীর ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহের কাজে গিয়েছিলেন।
জ্যোতির বড় ভাই মো. আক্তারুজ্জামান শোভন জানান, ‘রোববার রাতে বোনের ফোন বন্ধ পেয়ে আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ব্যবহৃত জুতা পাই, তখনই নিশ্চিত হই তিনি নিখোঁজ হয়েছেন।’ আক্তারুজ্জামান শোভন আরও জানান, ‘মঙ্গলবার আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে মরদেহ চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে আসা হয়। রাত ১০টায় জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠিত হয়।’ বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে জানাজায় অংশ নেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। জমজ সন্তান আরিয়ান ও আইয়ানের কান্নায় আবেগে ভেঙে পড়েন অনেকেই। ‘আম্মু কি আর আসবে না?’- শিশুদের এই প্রশ্নে উপস্থিত অনেকের চোখের পানি ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
নিহতের বড় ভাইয়ের ছেলে আশিকুজ্জামান নিশাত বলেন, ‘এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা আমাদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। নিষ্পাপ দুই শিশুকে কীভাবে সান্ত্বনা দেব? ঢাকনাবিহীন ড্রেন তাদের জীবন থেকে মাকে কেড়ে নিল।’ জানাজা ও দাফনে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পিটু, পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা দোকান মালিক সমিতির সদস্যসচিব সুমন পারভেজ খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা ও স্থানীয় জনগণ অংশ নেন।

জুলাই নিয়ে নতুন বিতর্ক তুললেন নাহিদ ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ৯:১২ পূর্বাহ্ণ
জুলাই নিয়ে নতুন বিতর্ক তুললেন নাহিদ ইসলাম

৫ আগস্টের পর জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা ছাত্রদের পক্ষ থেকে বিএনপিকে দেওয়া হয়নি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য সত্য নয় বলেও দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা এক স্ট্যাটাসে এ দাবি করেন তিনি।
পোস্টে তিনি মির্জা ফখরুলের সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে লিখেন, ‘বিএনপি মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল সম্প্রতি একটা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জাতীয় সরকারের কোনো প্রস্তাবনা ছাত্রদের পক্ষ থেকে তাদের দেওয়া হয় নাই। তারা অন্য মাধ্যমে এ প্রস্তাবনা পেয়েছিল। এই বক্তব্যটি সত্য নয়। ৫ই আগস্ট রাতের প্রেস ব্রিফিংয়ে আমরা বলেছিলাম, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার করতে চাই। সেই প্রেস ব্রিফিংয়ের পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সাথে আমাদের ভার্চুয়াল মিটিং হয়। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জাতীয় সরকার ও নতুন সংবিধানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তারেক রহমান এ প্রস্তাবে সম্মত হননি এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সাজেশন দেন। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথা বলি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে।’

তিনি আরও লিখেন, ‘৭ আগস্ট ভোরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বাসায় আমরা উনার সাথে অন্তর্বর্তী সরকার ও উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে আলোচনা করি। উপদেষ্টা পরিষদ শপথ নেবার আগে জনাব তারেক রহমানের সাথে আরেকটি মিটিংয়ে প্রস্তাবিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা হয়।’

একই পোস্টে তিনি দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় পরিচয় না দিলেও ৫ আগস্টের পর ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম নিজেকে সমন্বয়ক বলে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি লিখেন, ‘সাদিক কায়েম বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিল না। কিন্তু ৫ আগস্ট থেকে এই পরিচয় সে ব্যবহার করেছে। অভ্যুত্থানে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে সাদিক কায়েমকে প্রেস ব্রিফিংয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সাদিক কায়েমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ঢালাও প্রচারণা করেছে, এই অভ্যুত্থান ঢাবি শিবিরই নেতৃত্ব দিসে, আমরা সামনে শুধু পোস্টার ছিলাম। অভ্যুত্থানে শিবিরের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করে নাই। কিন্তু এই অভ্যুত্থান শিবিরের একক নয়, শিবিরের ইনস্ট্রাকশন বা ডিরেকশনেও হয় নাই। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেই সিদ্ধান্ত নিতাম। আর কারা ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা করতে চাইছে, গোষ্ঠী স্বার্থ রক্ষা করতে চাইছে সে বিষয়ে অন্যদিন বলবো।’

তিনি আরও লিখেন, ‘২ আগস্ট ২০২৪ রাতে জুলকারনাইন সায়েররা একটা আর্মি ক্যু করে সামরিক বাহিনীর এক অংশের হাতে ক্ষমতা দিতে চেয়েছিল। এ উদ্দেশ্যে কথিত সেফ হাউসে থাকা ছাত্র সমন্বয়কদের চাপ প্রয়োগ করা হয়, থ্রেট করা হয়; যাতে সে রাতে ফেসবুকে তারা সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা করে আর আমাদের সঙ্গে যাতে আর কোনো যোগাযোগ না রাখে। রিফাতদের বিভিন্ন লেখায় এ বিষয়ে বলা হয়েছে। আমাদের বক্তব্য ছিল, এক দফার ঘোষণা মাঠ থেকে, জনগণের মধ্য থেকে দিতে হবে। আর যারা এভাবে চাপ প্রয়োগ করছে, তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। আমাদের ভেতর প্রথম থেকে এটা স্পষ্ট ছিল যে ক্ষমতা কোনোভাবে সেনাবাহিনী বা সেনাবাহিনী সমর্থিত কোনো গ্রুপের কাছে দেওয়া যাবে না। এতে আরেকটা এক-এগারো হবে এবং আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হবে, আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটাকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান হিসেবে সফল করতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সামনে এগোতে হবে। ৫ আগস্ট থেকে আমরা এ অবস্থান ব্যক্ত করে গিয়েছি।’

সাদিক কায়েমের প্রতিক্রিয়া
নাহিদ ইসলামের ফেসবুক পোস্টের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাদিক কায়েম। গতকাল গণমাধ্যমকে সাদিক কায়েম বলেন, ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা হচ্ছে। জুলাই বিপ্লব ছিল আপামর জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিস্ফোরণ। এখানে সব মতের মানুষ নিজেদের ব্যক্তিগত মতভেদ ভুলে একটি সাধারণ লক্ষ্য– ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য একত্রিত হয়েছিল। যখন খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যায়, সে সময় সরকার গঠন এবং পরবর্তী সময়ে আমি কখনও ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে কোথাও গিয়ে কিছু দখল বা আত্মসাৎ করেছি– এমন একটি সিঙ্গেল ডকুমেন্টও কেউ দেখাতে পারবে না। সূত্র,: সমকাল

চাঁদপুরে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার, আটক ৩

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার, আটক ৩

চাঁদপুরে পুলিশের অভিযানে চোরাই ৬টি মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং চুরির সাথে জড়িত চোর চক্রের ৩ সদস্য আটক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফুর রহমান। আটক চোর চক্রের সদস্যরা হলেন-জেলার ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ড কাচিয়াড়া পশ্চিম পাঠান বাড়ির হারু অর রশিদের ছেলে রাফসান ইসলাম নিলয় (২০), একই উপজেলার রূপসা ইউনিয়নের বারো পাইকা গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে মো. ইয়ামিন (২১) ও সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নিজগাছতলা বাদামতলী খান বাড়ীর আব্দুল মান্নান খানের ছেলে আব্দুস সালাম (২৬)।

পুলিশ জানায়, ৩০ জুলাই বিকেলে সদর মডেল থানা পুলিশ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজন মোটরসাইকেল চোরকে চুরি করে আনা মোটরসাইকেলসহ আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চুরিতে জড়িত রাফসান ও ইয়ামিনের সন্ধান পাওয়া যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব মোটরসাইকেল চুরির সাথে জড়িত নিজগাছতলা এলাকার সালাম মটরস এর আব্দুস সালাম এর সন্ধান মিলে। তিনি চোরাইকৃত মোটরসাইকেল তার গ্যারেজে সংরক্ষণ করতেন।আটক চোর চক্রের সদস্যরা পুলিশকে জানান, তারা লক্ষীপুর, কুমিল্লাসহ আশপাশের এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা চোর চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে এসব মোটরসাইকেল ক্রয় করতেন। এর মধ্যে অধিকাংশ মোটরসাইকেলের নিবন্ধন নেই। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফুর রহমান বলেন, বুধবার বিকেলে মডেল থানা পুলিশ প্রথমে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের সদস্য নিলয় ও ইয়ামিনকে আটক করে। তাদের দেয়া তথ্যে চোরাই মোটরসাইকেলগুলো নিজগাছতলা সালামের গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়। সালাম চোরাই মোটরসাইকেলের ব্যবসা করে। তাকেও আটক করা হয়েছে। আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

নায়িকা হতে গেলে ক্লিভেজ দরকার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৮:৪০ অপরাহ্ণ
নায়িকা হতে গেলে ক্লিভেজ দরকার

বর্তমানে টলিউডে ‘দেখতে সুন্দর’ হওয়ার চাপ এতটাই বেড়েছে যে, রূপ-সৌন্দর্য ধরে রাখতে বহু অভিনেত্রী বেছে নিচ্ছেন প্লাস্টিক সার্জারি, লিপ ফিলার, নোস জব, এমনকি শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি। কারণ, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একাংশের দাবি, এসব না করালে ‘নায়িকা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায় না। এবার এই বিষয়েই মুখ খুললেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে শোলাঙ্কি জানিয়েছেন, তিনি কখনও নিজের মুখে কোনও ইনজেকশন নেননি, কোনও রকম কসমেটিক সার্জারির পথেও হাঁটেননি। আর এই ‘স্বাভাবিকত্ব’-এর জন্যই তাকে বহুবার কটু কথা শুনতে হয়েছে।
শোলাঙ্কির কথায়, ‘অনেকেই বলেন আমার মুখ টিভির তুলনায় সিনেমায় দেখতে খারাপ লাগে। আসলে মুখে তো কখনও কিছু করাইনি, ইনজেকশন নিইনি। তাই হয়তো!’
এখানেই থামেননি অভিনেত্রী। জানালেন, তিনি যেহেতু চিরকালই রোগা, তা নিয়েও নানা কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাকে। এতটাই যে এক সময় আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে যায়। পারিবারিক অনুষ্ঠানেও যাওয়া বন্ধ করে দেন। ‘অনুষ্ঠানে গেলেই অনেকে জিজ্ঞেস করতেন আমি এত রোগা হয়ে গেছি কেন। যেন এটা কোনও নতুন ব্যাপার! আমি তো ছোটবেলা থেকেই এমন,’ বললেন শোলাঙ্কি।
তবে সবচেয়ে অপমানজনক অভিজ্ঞতার কথাও এদিন অকপটে শেয়ার করেন তিনি। একবার এক পরিচালক তাঁকে সরাসরি পরামর্শ দেন ব্রেস্ট সার্জারির।

শোলাঙ্কির ভাষায়, ‘তিনি বলেছিলেন, ‘নায়িকা হতে গেলে একটু ক্লিভেজ থাকা দরকার’। এই কথাটা শুনে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যদিও আমি যথেষ্ট ম্যাচিওর ছিলাম, তাই কথাটা এড়িয়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলাম। কিন্তু ভাবুন তো, এই কথাটা যদি কোনও নতুন বা কম বয়সি মেয়ে শুনত! কতটা ভেঙে পড়ত সে।’
শোলাঙ্কি আরও বলেন, ‘আজও সেই ঘটনা মাথায় গেঁথে আছে। প্রভাব তো ফেলেছিলই, না হলে এতদিন পরেও এটা নিয়ে বলতাম না। বাইরে থেকে শুনলেই একরকম লাগে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে কী যন্ত্রণা হয়, সেটা শুধু মেয়েরাই বোঝে।’
অভিনেত্রীর এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, গ্ল্যামার দুনিয়ার আড়ালে কতটা নিষ্ঠুর এক মানসিক চাপ কাজ করে প্রতিটি তারকার পরে। সাহস করে সেই রূঢ় বাস্তবের মুখোশ খুলে দিলেন শোলাঙ্কি রায়।