খুঁজুন
                               
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ২ শ্রাবণ, ১৪৩২

কাঁচা আম নাকি পাকা আম, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি ভালো?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১:৪৪ অপরাহ্ণ
কাঁচা আম নাকি পাকা আম, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি ভালো?

আসছে আমের মৌসুম। অনন্য স্বাদ ছাড়াও আম অসাধারণ পুষ্টিতে ভরপুর যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য, শক্তির মাত্রা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিস্ময়কর কাজ করে। আম বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে। কেউ কেউ পাকা, রসালো এবং মিষ্টি আম পছন্দ করেন, আবার কেউ কেউ কাঁচা আমের স্বাদ টক এবং সুস্বাদু বলে মনে করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁচা এবং পাকা উভয় আমেরই নিজস্ব সুবিধা রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোনটি বেশি উপকারী-

কাঁচা আমের উপকারিতা

কাঁচা আমে ভিটামিন সি বেশি থাকে এবং পাকা আমের তুলনায় এটি বেশি অ্যাসিডিক। এটি তাদের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কাঁচা আমে প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার থাকে যা হজমের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, নিয়মিত মলত্যাগের গতি বৃদ্ধি করে এবং অন্ত্রের সুস্থ মাইক্রোবায়োমকে সহায়তা করে।

কাঁচা আমে ভিটামিন সি-এর ঘনত্বও বেশি থাকে, যা একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। যা এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্ট্য, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব এবং কোলাজেন সংশ্লেষণে ভূমিকা রাখার জন্য পরিচিত। কাঁচা আম কাঁচা প্রকৃতির কারণে বেশি অ্যাসিডিক। এই অ্যাসিডিটি হজমের সুবিধা দেয়, পাচক এনজাইম উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে এবং খাদ্য ভাঙনে সহায়তা করে। কাঁচা আম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের একটি সমৃদ্ধ উৎস যা ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

পাকা আমের উপকারিতা

পাকা আমে বিটা-ক্যারোটিনের মতো কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে, যা এই ফলকে কমলা-হলুদ রঙ দেয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। এছাড়াও বিটা-ক্যারোটিনসহ এর ক্যারোটিনয়েডের পরিমাণ বেশ বৃদ্ধি পায়। এই ক্যারোটিনয়েড শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

পাকা আমে ভিটামিন এ বেশি থাকে, যা সুস্থ দৃষ্টিশক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে পাকা আমে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, যা এই ফলকে মিষ্টি এবং আরও সুস্বাদু করে তোলে। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে এবং মিষ্টির আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে।

কাঁচা বনাম পাকা আম: কোনটি ভালো?

এটি ব্যক্তিগত খাদ্যতালিকাগত পছন্দ, স্বাস্থ্য লক্ষ্য এবং পুষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর নির্ভর করে। তবে কিছু বিষয়ে বিবেচনা করতে পারেন- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য: কাঁচা আম বেশি ভিটামিন সি উপাদানের কারণে পছন্দনীয় হতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণের জন্য: পাকা আম বিটা-ক্যারোটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে আরও উপকারী হতে পারে।

হজমের স্বাস্থ্যের জন্য: কাঁচা এবং পাকা উভয় আমই ফাইবার সরবরাহ করে, তবে কাঁচা আম এই ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি দিতে পারে। স্বাদের জন্য: পাকা আম অনেকের কাছে মিষ্টি এবং বেশি উপভোগ্য। পরিশেষে, কাঁচা এবং পাকা উভয় আমেরই নিজস্ব পুষ্টিগুণ রয়েছে। খাদ্যতালিকায় কাঁচা এবং পাকা আমসহ বিভিন্ন ধরনের ফল যোগ করলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা নিশ্চিত করা যায়।

আজ সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ
আজ সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় আজ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ফরিদপুরসহ সারা দেশের এনসিপির পূর্বঘোষিত পদযাত্রা অব্যাহত থাকবে। শুধুমাত্র মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে বৃহস্পতিবারের যে কর্মসূচি ছিল সেটি স্থগিত করে পরবর্তীতে তারিখ ঘোষণা করা হবে। বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সারা দেশে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এনসিপির এটি ছিল পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি। সেই লক্ষ্যে প্রশাসনকে জানিয়ে এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার কথা জেনেই গোপালগঞ্জ সফরে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করেছে। গোপালগঞ্জে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে আওয়ামী লীগের বাইরেও যে অন্য কোনো দল কর্মসূচি করতে পারে সেটি এনসিপি প্রমাণ করে দিয়েছে।
সমাবেশের আগে ও পরে দফায় দফায় হামলার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ হামলা পূর্ব পরিকল্পিত সেটি প্রমাণিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও সতর্ক থাকতে পারতো উল্লেখ করে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেভাবে সহায়তা দিয়েছে সেজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোপালগঞ্জের হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান নাহিদ ইসলাম। উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনা এসে পৌঁছান।

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ২

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ২

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা–সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। হাসপাতাল ও পরিবার সূত্র এ কথা জানিয়েছে। নিহত দুজন হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫) ও কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮)। আজ বুধবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, বিকেলে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁরা গুলিবিদ্ধ ছিলেন।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে নিহত দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। অপরজনের মৃত্যুর বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হাসপাতালের একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই ব্যক্তির লাশ স্বজনেরা নিয়ে গেছেন। হাসপাতালের কর্মকর্তা জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, আরও ৯ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের অস্ত্রোপচার চলছে।
মৃত্যুর তথ্য জানতে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি। তথ্য জানতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ কামরুজ্জামান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবিরকে কল দিলে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি। নিহত দীপ্ত সাহার চাচা বলেন, দীপ্ত দুপুরের খাবার খেয়ে তাঁর দোকানে যাচ্ছিলেন। শহরের চৌরঙ্গীতে তাঁর পেটে গুলি লাগে।
নিহত রমজান কাজীর বাবা কামরুল কাজী বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলছে। আমার ছেলে তো কোনো দোষ করেনি। আমি আমার সন্তানকে কোথায় পাব?’ এর আগে গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশ শেষে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, এনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে নেতা-কর্মীদের ঘিরে হামলা চালান। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্যদিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। হামলার ঘটনার পর এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন। এ সময় পুলিশ-সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। তাদের (এনসিপি) বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তাঁরা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন, পরিস্থিতি ঠিক নেই।

গোপালগঞ্জ কারফিউয়ে থমথমে, আটক ১৪

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
গোপালগঞ্জ কারফিউয়ে থমথমে, আটক ১৪

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় কারফিউ জারি করে প্রশাসন। কারফিউয়ের মধ্যে যৌথ বাহিনী বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করেছে। তাদের গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান।
এদিকে চলমান কারফিউয়ে জেলায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। গতকাল রাত থেকে সীমিত আকারে রিকশা চলাচল করলেও অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি, বন্ধ ছিল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হয়নি। রাতে শহরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এখনো পর্যন্ত রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারে মানুষের আনাগোনা নেই বললেও চলে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কারফিউয়ের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। নেই টহলও। তবে জেলা কারাগারের সামনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।