খুঁজুন
                               
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৫ কার্তিক, ১৪৩২

একজন নারী কিভাবে প্রিয়জন থেকে দূরে সরে যায়

সোমা আক্তার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:১৯ অপরাহ্ণ
একজন নারী কিভাবে প্রিয়জন থেকে দূরে সরে যায়

একজন মেয়ে দূরে সরে যায় ধাপে ধাপে, কিন্তু আপনি সেটা বুঝতে পারেন না, অনুভব করতে পারেন না—যতক্ষণ না সে সত্যিই হারিয়ে যায়।

প্রথম ধাপ: কাছে আসার প্রচেষ্টা

শুরুর দিকে সে আপনাকে তার মনের সব কথা বলতে শুরু করবে। তার অনুভূতিগুলো শেয়ার করবে, ছোট ছোট কথায় আপনাকে বুঝতে চাইবে। কখনো হয়তো তার ভালো লাগা, কষ্ট বা দুঃখের কথা আপনাকে জানাবে। সে চাইবে, আপনি তার কথাগুলো গুরুত্ব দিয়ে শুনুন, বুঝুন, তাকে সময় দিন।

কিন্তু আপনি হয়তো খুব একটা পাত্তা দেবেন না। ভাববেন, এ তো স্বাভাবিক, মেয়েরা এমনই হয়। আপনি হয়তো ব্যস্ত থাকবেন, অথবা ভাববেন সে সব সময়ই তো আপনাকে বলবে, আজ না শুনলে কি হয়েছে! কিন্তু আপনি বুঝতে পারবেন না, এটাই প্রথম ধাপ—যেখানে সে আপনাকে তার জীবনের অংশ বানানোর চেষ্টা করছে।

দ্বিতীয় ধাপ: অভিমান আর আবেগের বিস্ফোরণ

যখন সে দেখবে আপনি তার কথা, অনুভূতি, ইমোশন বুঝতে চাইছেন না বা তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না, তখন সে অভিমান করতে শুরু করবে। অল্প কিছুতেই ইমোশনাল হয়ে পড়বে, আপনার কথায় কষ্ট পাবে। সে চাইবে, আপনি তাকে সময় দিন, তাকে বোঝার চেষ্টা করুন।

এই সময়ে সে হয়তো ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অভিযোগ করবে, আপনার কাছে বেশি সময় চাইবে, হয়তো কিছু না বলেই চুপচাপ বসে থাকবে আপনার মনোযোগের জন্য। আপনি ভাববেন, সে অহেতুক রাগারাগি করছে, আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে। আপনি হয়তো তাকে আশ্বাস না দিয়েই নিজের মতো থাকবেন।

কিন্তু আপনি বুঝতে পারবেন না, এটি দ্বিতীয় ধাপ—যেখানে সে তার আশা-ভরসার শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তৃতীয় ধাপ: ধৈর্যের শেষ সীমা

যখন তার অভিমানেও আপনার মন গলে না, তখন সে আর আগের মতো থাকবে না। এখন সে অল্পতেই বিরক্ত হয়ে যাবে, আপনাদের মধ্যে কথায় কথায় তর্ক হবে, ঝগড়া বাড়তে থাকবে। আপনাকে আর কিছু বোঝাতে চাইবে না, কারণ সে জানে, বোঝানোর কোনো মানেই হয় না।

এখন সে আপনার কথায় আর আগের মতো প্রতিক্রিয়া দেখাবে না। হয়তো কোনোদিন আপনি কিছু বলবেন, আর সে চুপচাপ শুনবে—না রাগবে, না হাসবে। তার আগ্রহ কমতে থাকবে, সে আর আপনাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবে না।

এটাই সবচেয়ে ভয়ানক সময়। কারণ এই চুপচাপ থাকা মানে, সে আপনাকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছে।

শেষ ধাপ: নিঃশব্দ বিদায়

আপনি ভাববেন, হয়তো সব ঠিক হয়ে গেছে। যেহেতু সে আর অভিযোগ করছে না, রাগ করছে না, তাই সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে গেছে। কিন্তু না, সে আসলে আস্তে আস্তে দূরে সরে যাচ্ছে।

তারপর একদিন, একদম সাধারণ একটা ব্যাপারে তর্ক হবে। আপনি ভাববেন, এ তো খুব ছোট একটা বিষয়, এ নিয়ে এত বড় প্রতিক্রিয়া কেমন করে! কিন্তু আপনি বুঝতে পারবেন না, এটা শেষ ফোঁটা ছিল তার ধৈর্যের কাপে।

সে আর এক মুহূর্তও থাকতে চাইবে না। সে চলে যাবে।

আপনি হতবাক হয়ে খুঁজবেন উত্তর—কেন গেল? কোথায় ভুল হলো? কী করতে পারতেন?

কিন্তু সেই উত্তর আর কোনোদিনও আপনার কাছে আসবে না। কারণ সে অনেক আগেই চলে গিয়েছিল, আপনি শুধু টের পাননি!

লেখক পরিচিতি : সোমা আক্তার, নারী উদ্যোক্তা, চাঁদপুর।

৩১ সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বিকেলে ইসির বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৫১ অপরাহ্ণ
৩১ সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বিকেলে ইসির বৈঠক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। এবার সংসদ নির্বাচনের ঠিক দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে আগেই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে হিসেবে আসছে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে সংসদ ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলেই জানিয়েছে ইসি। তফসিল ঘোষণার আগে এবার সব মন্ত্রণালয়, বিভাগের সচিব ও বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে নাসির উদ্দিন কমিশন। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সরকারের ৩১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাথে বৈঠকে ২২টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসি।
যে ৩১ মন্ত্রণালয় ও সংস্থা থাকবে বৈঠকে
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, সমন্বয় ও সংস্কার দপ্তর সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব।
আরও থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সচিব (রুটিন দায়িত্ব), সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মহাপরিচালক, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বেতারের চেয়ারম্যান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ঢাকার প্রধান প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সচিব, কারা মহাপরিদর্শক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে ৮ শিক্ষার্থী দগ্ধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৭ অপরাহ্ণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে ৮ শিক্ষার্থী দগ্ধ

ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে বড় হুজুর বাড়ি দারুল নাজাত মহিলা মাদ্রাসায় ।এতে আট শিক্ষার্থী দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনজনকে জরুরি বিভাগে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। দগ্ধরা হলেন- সাদিয়া আক্তার (১২), রুবাইয়া (৯), আয়মান (৬), নুসরাত (১০), আলিয়া (৩০), তুইবা (৬), রওজা (১৩) ও আফরিন (১৩)।
দগ্ধ আফরিনের মামা মো. আনোয়ার জানান, আমরা জানতে পারি বুধবার বিকেলের দিকে হঠাৎ মাদ্রাসার পাশে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই মাদ্রাসার চতুর্থ তলায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছিল। আগুনের ফুলকি মাদ্রাসার ভেতর ঢুকে গেলে দগ্ধ হয় শিক্ষার্থীরা। পরে রাতেই তাদের দগ্ধ অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে জাতীয় বার্নে নিয়ে আসা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ হয়ে দগ্ধ ৮ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী এসেছে। তাদের মধ্যে, সাদিয়ার ১৩ শতাংশ, রুবাইয়ার ৫ শতাংশ, আয়মানের ২ শতাংশ, নুসরাতের ৩ শতাংশ, তুইবার ৩ শতাংশ, রওজার ৩ শতাংশ, আলিয়ার ১৪ শতাংশ ও আফরিন ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনকে জরুরি বিভাগে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ
ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের সঙ্গে এটা একটা প্রতারণা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এটা প্রতারণা। এটা ঐক্য হতে পারে না। তাহলে এই কমিশন কেন করা হয়েছিল?
বুধবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক এহসান মাহমুদের ‘বিচার সংস্কার নির্বাচন : অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে গতকাল মঙ্গলবার সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যে বিষয়গুলোতে তারা একমত ছিলেন না, সেখানে তারা নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিলেন। সেই নোট অব ডিসেন্ট সুপারিশে লিপিবদ্ধ করার একটা প্রতিশ্রুতি ছিল কমিশনের। কিন্তু অবাক হয়ে তারা লক্ষ্য করলেন, সুপারিশে সেই বিষয়গুলো নেই। নোট অব ডিসেন্টগুলো পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে। ইগনোর করা হয়েছে। এটা তো ঐক্য হতে পারে না। তাহলে ঐকমত্য কমিশনটি করা হয়েছিল কেন?
মির্জা ফখরুল বলেন, এত বড় একটা অভ্যুত্থান, এত ত্যাগের বিনিময়ে, এত প্রাণের বিনিময়ে সেটাকে ঠিকভাবে জাতির কল্যাণে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, যতই দিন যাচ্ছে, ততই বিভক্ত বাড়ছে। বিভক্ত হয়ে পড়াটা, এটা কারা করছেন, কেন করছেন, এটাও উপলব্ধি করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আপনি কিন্তু এইবার জনগণের সামনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ওয়াদাবদ্ধ। আপনি এখানে সত্যিকার অর্থেই যেটুকু সংস্কার দরকার, সেই সংস্কারগুলো করে আপনি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন দেবেন। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে পার্লামেন্ট আসবে, সেই পার্লামেন্ট এই দেশের সংকটগুলো সমাধান করবে।
প্রকাশনা উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, চর্চা ডটকমের সম্পাদক সোহরাব হাসান, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, লেখক ও সাংবাদিক শাহ্‌নাজ মুন্নী প্রমুখ।