খুঁজুন
                               
শনিবার, ১০ মে, ২০২৫, ২৭ বৈশাখ, ১৪৩২

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ। দিবসটি উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত প্রতিপাদ্যের আলোকে বাংলাদেশও এ বছর দিবসটি উদযাপন করবে। এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত’।

দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সব স্তরের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুরক্ষিত ও আলোচিত জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বে দাঁড় করাতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমানোর লক্ষ্যে অধিকতর কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। এজন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব পর্যায় থেকে সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।’ ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। একই বছরের জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল এ সংগঠন আইন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। এদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস বলে নির্ধারিত হয়। প্রতিবছর সংস্থাটি এমন একটি স্বাস্থ্য ইস্যু বেছে নেয়, যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় এ দিবসটি।

ভারত-পাকিস্তানকে সংঘাত বন্ধের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রসহ জি-৭ দেশগুলোর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১০ মে, ২০২৫, ২:০৬ অপরাহ্ণ
ভারত-পাকিস্তানকে সংঘাত বন্ধের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রসহ জি-৭ দেশগুলোর

সংঘাত ক্রমেই বেড়ে চলেছে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। চলমান এ সংঘাত বন্ধ ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য দেশদুটিকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-৭। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসলামাবাদে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ‘গঠনমূলক আলোচনার’ জন্য সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান-ভারত উভয়পক্ষকে উত্তেজনা কমানোর উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন রুবিও। একই সঙ্গে ভবিষ্যতের সংঘাত এড়াতে গঠনমূলক আলোচনা শুরুর জন্য মার্কিন সহায়তা দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জি-৭ জোট। জোটের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বিবৃতিতে ‘অবিলম্বে উত্তেজনা কমানো’ ও ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

সংঘাত চলা ভারত-পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে তারা বলেছেন, ‘আরও সামরিক উত্তেজনা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি। দুই দেশেরই শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে সরাসরি সংলাপে বসা উচিত।’

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালিয়ে ২৬ জন পর্যটককে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। নিহত এই পর্যটকদের সবাই পুরুষ এবং অধিকাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।

এ ঘটনায় সিন্ধু নদের পানি বণ্টনচুক্তি ও পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কয়েকটি কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয় ভারত। জবাবে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ, ভিসা বাতিলসহ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও।

দুই দেশের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মিরসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এক সংক্ষিপ্ত সেনা অভিযান পরিচালনা করে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এর পাল্টা জবাব দিতে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করেছে পাকিস্তান। এ অভিযানের আওতায় ইতোমধ্যে গতকাল শুক্রবার রাতে ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

প্লাস্টিক ব্যবহারে ভয়ংকর স্বাস্থ্যঝুঁকি, বছরে মৃত্যু সাড়ে ৩ লাখ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১০ মে, ২০২৫, ১:২৫ অপরাহ্ণ
প্লাস্টিক ব্যবহারে ভয়ংকর স্বাস্থ্যঝুঁকি, বছরে মৃত্যু সাড়ে ৩ লাখ

বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্যে আছে ‘থ্যালেটস’ নামক রাসায়নিক পদার্থ। থ্যালেটস এর কারণে মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেশি। থ্যালেটসের সংস্পর্শে আসার কারণে ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী ৩ লাখ ৫৬ হাজারেরও বেশি মানুষ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে বলে অনুমান করছে একটি গবেষণা। গবেষণাটি পরিচালনা করেছে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ল্যাংগোন হেলথের গবেষকরা। তারা প্লাস্টিকের নানা পণ্যে ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলোর স্বাস্থ্যগত প্রভাব বিশ্লেষণ করেছেন। গবেষনায় তারা দেখেছেন, ডিইএইচপি শরীরে দীর্ঘদিন থেকে গিয়ে হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি তৈরি করে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে ৫৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী প্রায় ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৮ জন মানুষ ডিইএইচপি সংশ্লিষ্ট কারণে হৃদরোগে মারা গেছেন। এই সংখ্যা ওই বয়সসীমায় হৃদরোগজনিত মোট মৃত্যুর প্রায় ১৩ শতাংশ।

ডিইএইচপি হলো একটি প্লাস্টিসাইজার, যা প্লাস্টিককে নমনীয় ও দীর্ঘস্থায়ী করতে ব্যবহার করা হয়। এটি খাদ্য প্যাকেট, চিকিৎসা সরঞ্জাম, প্রসাধনী, শ্যাম্পু, লোশনসহ নানা পণ্যে ব্যবহৃত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এই রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করে রক্তনালিতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা হৃদরোগ, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্লাস্টিকের রাসায়নিক শুধু হৃদরোগ নয়, বরং মুটিয়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, বন্ধ্যাত্ব এবং ক্যান্সারের মতো দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য ঝুঁকিও তৈরি করে। যেসব দেশে রাসায়নিক ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ দুর্বল, সেসব জায়গায় স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও তীব্রভাবে দেখা দেয়। গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়, ডিইএইচপি-জনিত কারণে ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫১০ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। এটি বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা। তবে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে প্রায় ৩.৭৪ ট্রিলিয়ন ডলার।

গবেষণার প্রধান লেখক ড. লিওনার্দো ট্রাসান্ডে বলেন, ‘এই গবেষণা শুধু একটি রাসায়নিক ও নির্দিষ্ট বয়সসীমার মানুষের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত গবেষণার প্রয়োজন, যাতে অন্যান্য প্লাস্টিকজাত রাসায়নিকের প্রভাব জানা যায়।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, এখনই সময় ডিইএইচপি এবং অনুরূপ ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার সীমিত করা এবং নিরাপদ বিকল্প খোঁজার। এ জন্য শুধু গবেষণাই নয়, সরকার ও নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। এই গবেষণা একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়, প্রতিদিনকার ব্যবহার্য প্লাস্টিকজাত পণ্যের মধ্যে লুকিয়ে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলো শুধু স্বাস্থ্য নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতিকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করছে। এখনই সচেতন না হলে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সহিংসতা রোধে ‘মেডিকেল পুলিশ’ গঠনের সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১০ মে, ২০২৫, ১:২৩ অপরাহ্ণ
হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সহিংসতা রোধে ‘মেডিকেল পুলিশ’ গঠনের সুপারিশ

হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সহিংসতা রোধে ‘মেডিকেল পুলিশ’ নামে প্রশিক্ষিত বিশেষ ইউনিট গঠনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন। সোমবার (৫ মে) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়া প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদন বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা গ্রহীতার অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য একটি আধুনিক ডিজিটাল অভিযোগ নিষ্পত্তি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলা হবে। বিএমডিসি, বিএনএমসি, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল অ্যালাইড হেলথ প্রফেশনাল কাউন্সিল আইনগত ক্ষমতা ও কাঠামো কার্যকর করতে হবে। পেশাগত অবহেলার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলের অনুমতি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না; তদন্ত ও সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

“হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সহিংসতা রোধে ‘মেডিকেল পুলিশ’ নামে প্রশিক্ষিত একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করতে হবে, যা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।” চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য মেডিকেল প্রফেশনাল ইন্স্যুরেন্স চালু করতে হবে। এমবিবিএস বা বিডিএস ব্যতীত কেউ ‘চিকিৎসক’ পরিচয়ে রোগী দেখলে, বিএমডিসি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।