খুঁজুন
                               
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ, ১৪৩২

বেদনা সিক্ত অশ্রু ভেজা জিলাপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ
বেদনা সিক্ত অশ্রু ভেজা জিলাপি

ভাই মাফ চাই, ছাইড়া দেন ভাই, ভাই দুইটা পায়ে ধরি ভাই, আর মাইরেন না, ভাই আমি রোজা রাখছি, আর আমুনা ভাই।
রোজার কথা শুনে থেমে গেল দু’জন।
বাড়ি কই তোর?
কলাবাগান বস্তিতে।
তুই মসজিদ হতে চুরি করস?
তোর কলিজা কত বড়?
পাশের লোকটা বলল ভাই থামলেন কেন? দেন আর কয়ডা, রোজার মাসে চুরি কইরা বেড়ায়,,সালারে
লাত্থি দেন,,তুই চুরি করস আবার কিসের রোজা রাখস রে?মিছা কথার জায়গা পাস
না? এই বলেই কান বরাবর সজোরে আরেক টা থাপ্পড় বসিয়ে দিল।ছেলেটা গালে হাত দিয়ে দেয়াল ঘেসে বসে রইল,, কান্না আর হই হুল্লোড়ের শব্দে ইমাম সাহেব দোতলা থেকে নেমে এলেন, দেখলেন মসজিদের আঙিনায় লোক
জড়ো হয়ে আছে।মসজিদে আজ ইফতারির ব্যাপক আয়োজন চলছিল। ইমাম সাহেব এগিয়ে গিয়ে বললেন,,কি
হইছে এখানে?
হুজুর চোর ধরছি!ছেঁচড়া চোর!
ইমাম সাহেব এগিয়ে গিয়ে দেখলেন ১২-১৩ বছরের এক ছেলে দেয়াল ঘেসে বসে আছে,ছেলেটির পুরো গাল চোখের পানিতে ভেসে গেছে, গায়ের রঙ কালো হলেও আঘাতের দাগ গুলো স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।ইমাম সামনে আসাতে ছেলেটি আরও ভয় পেয়ে গেল। এবার আর তার রেহাই নাই, হাত পা কাঁপছে।
কি চুরি করছে? দেখি?পাশে লোকটি পলিথিনের পোটলা এগিয়ে দিয়ে দিয়ে বলল দেখেন হুজুর,,দেখেন !
ইফতারের আয়োজন হচ্ছে, এই ফাঁকে শালায় পলিথিনে ভইরা লইছে। এক্কেরে
হাতে নাতে ধরছি!হুজুর পলিথিন হাতে নিয়ে দেখলেন আধা কেজির মত জিলাপি, ৬ টা আপেল, আর কিছু খেজুর ভিতরে ছিল।
হুজুর বললেন,,তাই বইলা এভাবে গণ পিটুনি দিছো কেন? এইটা কেমন বিচার?
বাচ্চারে কেউ এভাবে মারে নাকি? এবার লোক জনের উত্তেজনা একটু থেমে গেল।
হুজুর ছেলেটিকে জিজ্ঞাস করেন,তর বাপ কি করে? ছেলেটা কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেল। বলল,,,, সাইকেল ঠিক করত, বাপের অসুখ তাই অহন কাম করে না।
হুজুর আমারে ছাইড়া দেন।
আমি আগে কোন দিন চুরি করি নাই।কয়েকটা বাসায় হাত পাইতা একটা দানাও সাহায্য পাই নাই।পরে দেহি মসজিদে খাবার।বাড়িতে নিবার জন্যে তুইলা নিছি।ভুল হইয়া গেছে আমারে মাফ কইরা দেন। পাশ থেকে লোক গুলো বলছে, এগুলা সব মিথ্যা কথা, ধরা খাইয়া এখন ভদ্র সাজে। হুজুর
বললেন, ইফতার শেষ হোক,সত্য মিথ্যা দেখে ওর বাপের কাছে জানিয়ে সতর্ক করে দেয়া হবে। ছেলেটাকে কেউ পানি দেও, ও অনেক হাঁপাচ্ছে।একজন পানির বোতল এগিয়ে দেয়।
ছেলেটি উত্তর দেয়,, আমি রোজা!
ইমাম সাহেব এবার লোকগুলোর দিকে একটু বিরক্ত মুখে তাকালেন।ছেলেটিকে অজু করিয়ে তার পাশে বসিয়ে ইফতার
করালেন। ইফতার আর নামাজ শেষে সেই দুই জন লোক ও ছেলেটিকে নিয়ে ইমাম সাহেব বস্তির দিকে এগুলেন। এক চালা টিনের ঘর, বাইরে দুয়ারে ছেলেটির বাবা বসে আছে।সব কিছু শুনে বাবাটি তার ছেলের গালে থাপ্পড় মারার জন্যে হাত উঠায়। হুজুর বাধা দিয়ে বলেন, যথেষ্ট মার হইছে, ওরে আর মাইরেন না।বাবা কাঁদতে কাঁদতে বলে,, বিশ্বাস করেন হুজুর, আমার ছেলেরে আমি এই শিক্ষা দেই নাই। বেশ কয়দিন ধইরা আমার অসুখ। কাম কাজ নাই,পোলা পানগো ঠিক মত খাওন যোগাইতে পারি না।কিন্তু পোলায় চুরি করব,, কোনদিন ভাবি নাই। ও অমন পোলা না।
এরই মধ্যে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে ছেলে টির বোন। মেয়েটার বয়স ছয় বছরের
মত। বোনটি তার ভাইয়ের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়,কোমল স্বরে বলে, ভাই,
জিলাপি আনো নাই? তুমি না আইজকা জিলাপি আনবা কইছো? ভাইয়ের মুখে কোন কথা নেই, চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। এর মধ্যেই আরেকটি চার বছরের ছোট্ট বোন ঘর থেকে ছুটে এসে বলে, ‘ভাই,
ওরে না, ওরে না আমারে আগে দিবা, আমারে।’
এই বলেই হাতটি বাড়িয়ে দেয়,,,,ভাইয়ের মুখের দিকে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে,,ভাই
তুমি একলা একলাই খাইয়া আইছো? আমার জন্যে আনো নাইই? ভাইটি এবার ছোট বোনের কথা শুনে কেঁদে ফেলে।বোন দুইটা মন খারাপ করে ঘরে ঢুকে যায়।ছোট বোনটা মায়ের কোলে উঠে কান্না জুড়ে দেয়। মা আচলে মুখ ঢেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন।বলেন,, মাইয়া দুইটা কয় দিন ধইরা জিলাপি খাইতে চাইতেছে,,,,, ওগো বাপের অসুখ ।টেকা পয়সাও নাই, তাই পোলারে বাইরে পাঠাই ছিলাম বাড়ি বাড়ি গিয়া কিছু সাহায্য চাইয়া আনতে। ছোট মানুষ বুঝে নাই,তাই ভুল করে ফেলছে।খাবার সামনে পাইয়া নিয়া নিছে, অরে আফনেরা মাফ কইরা দিয়েন। এদিকে বাচ্চা মেয়েটা চোখ ভিজিয়ে মায়ের কাছে কেঁদে কেঁদে নালিশ করেই
যাচ্ছে- মা, ভাই আইজকাও জিলাপি আনে নাই, ভাই আমাগো খালি মিছা কথা কয়! ভাইটি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ বোনটি খেয়াল করে ভাইয়ের শার্টের পকেট ভেজা!
<> ভাই তোমার পকেটে কি?
এই বলেই হাত ঢুকিয়ে দেয়,বের করে দেখে দুইটা জিলাপি! ভাই তুমি আনছো?
দুই বোনের মুখে হাসি ফুটে উঠে!
ভাইয়ের মুখ এবার ভয়ে চুপসে যায়। লোক দুটির দিকে ভয়ার্ত ভাবে তাকিয়ে
বলে, স্যার, এইটা আমি চুরি করি নাই। হজুরের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে,
বিশ্বাস করেন হজুর,এইটা আমার ভাগের জিলাপি, ইফতারির সময় আমার ভাগেরটা উঠাইয়া রাখছিলাম বোইন দুইটার জন্যে, সত্যি আমি চুরি করি নাই হজুর।
সবাই স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হজুর ছেলে টারে টেনে বুকে জড়িয়ে নেন। মাথাটা বুকে চেপে ধরে রেখে চোখের পানি ফেলতে থাকেন। লোক দুইজন
এবার সশব্দে কেঁদে ওঠেন।কাঁদতে কাঁদতে ছেলেটির বাবার কাছে এগিয়ে যায়।তার হাত দুটি ধরে বলে, ভুল হয়ে গেছে আমাদের, আপনার ছেলের গায়ে হাত তুলছি আমরা, মাফ করে দিয়েন আমাদের। লোকটি পকেট থেকে মানি ব্যাগটা বের করে বাবার হাতে দিয়ে বললেন, এখানে যা আছে তা দিয়ে
বাচ্চাদের কিছু খাওয়াবেন।তারা লজ্জায় আর বেশিক্ষণ থাকতে পারলো না, বিদায় নেয় দ্রুত। আমরা শুধু অপরাধীকে দেখি কিন্তু অপরাধের পেছনের অংশটুকু দেখি না,দেখতে চাইও না।
কিছু কথা আমরা পছন্দের জামা
কিনতে গেলে এক দুইশ টাকা বেশি গেলেও কিছু যায় আসে না,কিন্তু ফকিরকে পাঁচ টাকার বেশি দিতে গেলে আত্মায় গিয়ে লাগে।আমরা কি পারি না
ইফতারির কিছু খাবার ওদের দিতে? আমরা কি পারি না সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু টাকা ওদের দান করতে?
আমরা কি এতটাই ফকির?
আসলে ফকির আমরা না, ফকির ওরাও না,
ফকির হচ্ছে আমাদের মন-মানসিকতা!
ফকির হচ্ছে আমাদের বিবেক ।
#বাসন্তীময়

চাঁদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচিতি ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ৯:৩১ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচিতি ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

বসুন্ধরা শুভসংঘ চাঁদপুর জেলা শাখা কমিটির পরিচিতি ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) সভাপতি লায়ন আরমান চৌধুরী রবিনের বাসভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান উজ্জ্বল হোসাইন উপস্থিত সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন। এ ছাড়া আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নিতে এবং জনস্বার্থে কী ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা যায় তা নিয়ে সভায় উপস্থিত সবার মতামত নেওয়া হয়।
সভাপতি লায়ন আরমান চৌধুরী রবিন বলেন, ‘শুভ কাজে সবার পাশে’ স্লোগানটি সময়ের প্রয়োজনে জুতসই স্লোগান। আর এই স্লোগানই আমাদের সব শুভ কাজে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে।’
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বসুন্ধরা-শুভসংঘ চাঁদপুর জেলা কমিটির উপদেষ্টা লায়ন গোলাম হোসেন টিটু, রোটারিয়ান খোরশেদ আলম কাঞ্চন। আর পুরো আয়োজনের সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন কালের কণ্ঠের চাঁদপুর প্রতিনিধি ফারুক আহম্মদ।

মালয়েশিয়ায় এক ঘণ্টার অভিযানে বাংলাদেশিসহ ১৭১ অভিবাসী আটক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ৯:২২ অপরাহ্ণ
মালয়েশিয়ায় এক ঘণ্টার অভিযানে বাংলাদেশিসহ ১৭১ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ার কুয়ালামপুরের জালান মসজিদ ইন্ডিয়া এলাকায় মাত্র এক ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ ১৭১ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন বিভাগের এনফোর্সমেন্ট পরিচালক বাসরি ওথমান। তিনি বলেছেন, ১৬০ কর্মকর্তা জালান মসজিদ ইন্ডিয়া এলাকায় যান। সেখানে তারা ৭৫৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যারমধ্যে ২৫৪ জন স্থানীয় বাসিন্দাও ছিলেন। এছাড়া ১৪টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালান তারা।
যেসব অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়া ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক রয়েছেন। তাদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
বাসরি ওথমান বলেছেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও অবস্থান করা, ভিসা আইন অমান্য করা এবং পরিচয়পত্র না রাখার অভিযোগে ১৭১ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, আটক এড়াতে কিছু অভিবাসী দোকানের কাস্টমার সাজার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের এ চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়।
আটক সবাইকে সেলানগোরের বারানাংয়ের অস্থায়ী ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একই এলাকায় অভিযান চালিয়েছিলেন ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা।
এরআগে গত ২৫ জুলাই মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৮০ বাংলাদেশিসহ ৯৯ বিদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। নিরাপত্তা যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হতে না পারায় তাদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানায় মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি বারনামার।
ওইদিন বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১-এ পরিচালিত সাত ঘণ্টার বিশেষ অভিযানে ৪০০ জনের বেশি যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস)। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ফ্লাইটের যাত্রীদের লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এরপর বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয় তাদের। এরআগে গত ২৫ জুলাই মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৮০ বাংলাদেশিসহ ৯৯ বিদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। নিরাপত্তা যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হতে না পারায় তাদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানায় মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি বারনামার।
ওইদিন বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১-এ পরিচালিত সাত ঘণ্টার বিশেষ অভিযানে ৪০০ জনের বেশি যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস)। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ফ্লাইটের যাত্রীদের লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এরপর বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয় তাদের।
সূত্র: ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে

টেস্টে ৯ বছর পর মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১:২৪ অপরাহ্ণ
টেস্টে ৯ বছর পর মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে

নয় বছর পর টেস্ট ফরম্যাটে মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় কিউইরা। অন্যদিকে হারের বৃত্ত ভেঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের টেস্ট ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য রোডেশিয়ানদের। বুলাওয়েতে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট।
২০১৬ সালের জুলাইয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিল নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে সফর করেছিল ব্ল্যাক-ক্যাপসরা। এরপর আর টেস্ট ফরম্যাটে দেখা হয়নি দু’দলের।
দীর্ঘ ৯ বছর পর আবারও টেস্টে দেখা হচ্ছে নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের। সিরিজ শুরুর আগে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে কিউই শিবির। ঘাড়ের ইনজুরিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলবেন না অধিনায়ক টম ল্যাথাম। তার অনুপস্থিতিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেবেন সাদা বলের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার।
নিউজিল্যান্ডের ৩২তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হবে স্যান্টনারের। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগে সুস্থ হয়ে উঠলে আবারও দলে ফিরবেন ল্যাথাম। জিম্বাবুয়ে সিরিজে নিউজিল্যান্ড দলে নেই কেন উইলিয়ামসন, কাইল জেমিসন, মিচেল ব্রেসওয়েল ও বেন সিয়ার্স।
নতুন মুখ হিসেবে দলে রাখা হয়েছে দুই পেসার জ্যাকব ডাফি ও ম্যাট ফিশারকে। দেশের জার্সিতে ইতোমধ্যে ১৪ ওয়ানডে ও ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ডাফি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৪টি ম্যাচ খেলে ৫১ উইকেট নিয়েছেন ফিশার।
নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ রব ওয়াল্টার বলেন, ‘জয় দিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করতে চাই আমরা। তিন বিভাগেই আমাদের ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে।’
গেল মাসে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে জিম্বাবুয়ে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট-বল হাতে জ্বলে উঠতে মরিয়া স্বাগতিকরা। দলের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাজে ক্রিকেট খেলেছে দল। আশা করি, এবার প্রথমবারের মত টেস্ট ম্যাচ জিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাস গড়তে পারব আমরা।’
১৯৯২ সালে প্রথম টেস্ট ফরম্যাটে মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৭ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এরমধ্যে নিউজিল্যান্ডের জয় ১১টিতে। ড্র হয়েছে ৬টি টেস্ট।