খুঁজুন
                               
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২

চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর ভোটার তালিকা প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৬:৫৩ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর ভোটার তালিকা প্রকাশ

১৭ মার্চ চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দীন স্বাক্ষরিত ১২০ সদস্যের একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, গঠনতন্ত্র উপ-পরিষদ সদস্য, আজীবন সদস্য, নির্বাহী পরিষদের সদস্য, সাধারণ সদস্যের সমন্বিত তালিকা (খসড়া ভোটার তালিকা) সাহিত্য একাডেমী, চাঁদপুর-এর গঠনতন্ত্র ১৪-এর ‘ক’ ধারা মোতাবেক প্রকাশ করা হলো।
তালিকায় ১৯৮৬ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে সদস্য হওয়াদের নাম রয়েছে। ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তারা হলেন।
১. জনাব এস এম শামসুল আলম, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, প্রথম সভাপতি ও আজীবন সদস্য
২. জনাব কাজী শাহাদাত, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, আজীবন সদস্য, সাবেক প্রধান সম্পাদক ও মহাপরিচালক
৩. অধ্যাপক রুহুল আমিন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
৪. জনাব আবদুল্লাহিল কাফী, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
৫. জনাব আ ত ম আ. মতিন মোল্লা, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
৬. কাজী নজরুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
৭. অধ্যাপক ইসমাইল তপাদার, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
৮. জনাব মোহাম্মদ হোসেন খান, প্রতিষ্ঠাকালীন গঠনতন্ত্র উপ-পরিষদ সদস্য
৯. জনাব জীবন কানাই চক্রবর্তী, প্রতিষ্ঠাকালীন গঠনতন্ত্র উপ-পরিষদ সদস্য, সাবেক সহ-সভাপতি
১০. জনাব শ্যামাপদ ঘোষ ভুলু, প্রতিষ্ঠাকালীন গঠনতন্ত্র উপ-পরিষদ সদস্য
১১. জনাব এম এ মাসুদ ভূঁইয়া, প্রতিষ্ঠাকালীন গঠনতন্ত্র উপ-পরিষদ সদস্য ও সাবেক পরিচালক, নির্বাহী পরিষদ
১২. জনাব রণজিত কুমার বণিক, প্রতিষ্ঠাকালীন গঠনতন্ত্র উপ-পরিষদ সদস্য
১৩. জনাব অজয় কুমার ভৌমিক, সাবেক পরিচালক, নির্বাহী পরিষদ
১৪. জনাব মাহবুব আনোয়ার বাবলু, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
১৫. জনাব মোরশেদা খানম বেবী, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
১৬. জনাব জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
১৭. জনাব সুভাষ চন্দ্র রায়, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
১৮. জনাব ফজলুল হক সরকার, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
১৯. জনাব ইকবাল বিন বাশার, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২০. জনাব গোলাম কিবরিয়া জীবন, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২১. জনাব জালাল চৌধুরী, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২২. জনাব ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাবেক পরিচালক, নির্বাহী পরিষদ
২৩. জনাব সামীম আহমেদ খান, সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২৪. জনাব শহীদ পাটওয়ারী সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২৫. জনাব ইফতেখারুল আলম মাসুম সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২৬. ডা. পীযূষ কান্তি বড়ুয়া সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২৭. জনাব এস এম জয়নাল আবেদীন সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২৮. জনাব মির্জা জাকির সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
২৯. জনাব ম. নূরে আলম পাটওয়ারী সাবেক সদস্য, নির্বাহী পরিষদ
৩০. জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩১. জনাব শেখ মহিউদ্দিন রাসেল, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩২. জনাব মুহাম্মদ শেখ সাদী (সাদী শাশ^ত), সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩৩. জনাব আশিক বিন রহিম, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩৪. জনাব দুখাই মুহাম্মদ, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩৫. জনাব মুহাঃ আবু বকর বিন ফারুক, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩৬. জনাব খান মোঃ মনিরুজ্জামান উজ্জল, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩৭. জনাব মিজানুর রহমান রানা, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩৮. জনাব শ্যামল চন্দ্র দাস, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৩৯. জনাব লিটন ভূঁইয়া, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪০. জনাব এ এফ এম ফতেউল বারী রাজা, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪১. জনাব ডাঃ মোঃ আহসান উল্যাহ, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪২. বিএম ওমর ফারুক, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪৩. জনাব অভিজিৎ আচার্যী, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪৪. জনাব খান-ই-আজম, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪৫. জনাব দুলাল চন্দ্র দাস, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪৬. জনাব জহির উদ্দিন বাবর, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪৭. জনাব তপন সরকার, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪৮. জনাব মোঃ হারুন অর রশীদ, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৪৯. জনাব মোঃ রফিক আহমেদ মিন্টু, সাধারণ সদস্য (২০১২)
৫০. জনাব গিয়াসউদ্দিন মিলন সাধারণ সদস্য (২০১২)
৫১. জনাব সোহেল রুশদী সাধারণ সদস্য (২০১২)
৫২. জনাব ইকবাল পারভেজ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৫৩. জনাব শাহাদাত হোসেন শান্ত, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৫৪. জনাব জসীম মেহেদী, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৫৫. জনাব নুরুন্নাহার মুন্নি, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৫৬. জনাব সৌম্য সালেক, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৫৭. জনাব স্বপন ভঞ্জ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৫৮. জনাব মোঃ সাইদুজ্জামান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৫৯. জনাব শরীফ মাহমুদ চিশ্তী, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬০. জনাব সুমন কুমার দত্ত, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬১. জনাব আবদুল গণি, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬২. জনাব মাইনুল ইসলাম মানিক, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬৩. জনাব মোঃ কবির হোসেন মিজি, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬৪. জনাব এইচ এম জাকির, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬৫. জনাব মুক্তা পীযূষ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬৬. জনাব মনিরা আক্তার, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬৭. জনাব শাহমুব জুয়েল, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬৮. জনাব খোকন চন্দ্র মজুমদার, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৬৯. জনাব জাহিদ নয়ন, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭০. জনাব মাহমুদ হাসান খান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭১. জনাব সঞ্জয় দেওয়ান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭২. জনাব আরিফ রাসেল, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭৩. জনাব মোখলেছুর রহমান ভূঁইয়া, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭৪. জনাব পলাশ কুমার দে, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭৫. জনাব আবু ইউসুফ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭৬. মনিরুজ্জামান বাবলু, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭৭. জনাব আরিফুল ইসলাম শান্ত, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭৮. জনাব ফারজানা মুন্নি, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৭৯. জনাব বিথী নন্দী, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮০. জনাব মোঃ শাহাদাত হোসেন (সৌরভ সালেকীন), সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮১. জনাব মোঃ আরিফ বিল্লাহ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮২. জনাব মোঃ কামরুজ্জামান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮৩. জনাব শিউলি মজুমদার, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮৪. জনাব মুহাম্মদ সালাউদ্দীন, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮৫. জনাব আসাদুল্লাহ কাহাফ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮৬. জনাব কাজী সাইফ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮৭. জনাব উজ্জ্বল হোসাইন, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮৮. জনাব বাঁধন চন্দ্র শীল, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৮৯. জনাব হুসাইন মিলন, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯০. জনাব তাশফীয়া কাফী, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯১. জনাব খোরশেদ আলম বিপ্লব, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯২. জনাব জাহিদ হাসান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯৩. দেওয়ান মাসুদ রহমান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯৪. জনাব আশরাফুজ্জামান কাজী রাসেল, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯৫. জনাব এম. আর. ইসলাম বাবু, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯৬. জনাব মানিক দাস, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯৭. জনাব আলমগীর হোসেন আঁচল, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯৮. জনাব হাজেরা বেগম, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
৯৯. জনাব রাজিব কুমার দাস, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০০. জনাব কাদের পলাশ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০১. জনাব মোঃ আউয়াল হোসেন পাটওয়ারী, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০২. জনাব মুহাম্মদ হানিফ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০৩. জনাব ইমরান শাকির ইমরু, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০৪. জনাব শাদমান শরীফ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০৫. জনাব মোঃ ইয়াছিন দেওয়ান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০৬. জনাব সাদ আল-আমিন, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০৭. জনাব রিয়াজ বেপারী, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০৮. জনাব ইমরান নাহিদ, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১০৯. জনাব মুহাম্মদ ফরিদ হাসান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১০. জনাব মোঃ তাফাজ্জল ইসলাম, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১১. জনাব মাইনুল তোহা, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১২. জনাব সাদিয়া হোসেন মাধুরী, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১৩. জনাব সুধীর বরণ মাঝি, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১৪. জনাব সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১৫. জনাব নূরুল ইসলাম ফরহাদ (অমৃত ফরহাদ), সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১৬. জনাব মোহাম্মদ হাসান খান, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১৭. জনাব আহনাফ আব্দুল কাদির, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১৮. জনাব মোঃ আতিকুর রহমান রুবেল, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১১৯. জনাব মোঃ জিহাদ সরকার, সাধারণ সদস্য (২০২৪)
১২০. জনাব রেজাউল করিম, সাধারণ সদস্য (২০২৪)

ঈদে নতুন জামা : স্বপ্ন আর ভালোবাসা জড়ানো

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ণ
ঈদে নতুন জামা : স্বপ্ন আর ভালোবাসা জড়ানো

ঈদ মানেই আনন্দ, উৎসব, মিলন এবং নতুন করে বাঁচার প্রেরণা। এই দিনে সবাই চায় নিজেকে সাজিয়ে নিতে, নতুন কাপড় পরে প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে। কিন্তু এমন অনেকের মধ্যেও থাকে এমন কেউ, যার জন্য একটি নতুন জামা শুধু পোশাক নয়, বরং স্বপ্ন, গর্ব, আত্মমর্যাদা এবং একটি আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। এই প্রবন্ধে আমরা এমন এক নতুন জামার কথা বলব, যে জামার শুধু দামী কাপড় বা ডিজাইনের গর্ব নেই, বরং রয়েছে আত্মার গভীরে জমে থাকা এক মানুষের স্বপ্নের গল্প।

শহরের এক কোণায় বাস করে ছোট্ট ছেলেটি রিয়াদ। বয়স প্রায় দশ। তার বাবা একজন দিনমজুর, মা গৃহিণী। সংসারে অভাব-অনটনের মধ্যে কোনোভাবে দিন কাটে তাদের। বছরের প্রতিটি দিন কাটে সংগ্রামের মাঝে, কিন্তু ঈদ আসে স্বপ্নের আলো নিয়ে। ঈদে নতুন জামা পাবে, এই আশায় রিয়াদ এক মাস রোজা রাখে, নিজের মনকে শক্ত করে।

তবে এই জামা আসবে কি না, তা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, বাবার মুখে ভাঁজ আর চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। মা বারবার বলেন, “এবার হয়তো পুরনো জামাতেই ঈদ করতে হবে।” কিন্তু রিয়াদ বিশ্বাস করে—আল্লাহ যদি রোজা কবুল করেন, তাহলে একটা নতুন জামা হয়তো আসবেই।

এই জামার অপেক্ষা শুধু রিয়াদের নয়, এটি যেন তার মন-প্রাণের আকুতি। এই জামা তার জন্য স্বপ্নপূরণ, আত্মমর্যাদা, শ্রেষ্ঠত্বের অনুভব।

আমরা অনেক সময় বুঝি না, একটি নতুন জামা একজন শিশুর জন্য কতটা অর্থবহ হতে পারে। ধনী পরিবারের শিশুর কাছে এটি হয়তো একটি চমকপ্রদ পোশাক, কিন্তু রিয়াদের কাছে এটি স্বপ্ন পূরণের মতো। সে ভাবে, ঈদের দিন সবার মতো তাকেও যদি নতুন জামায় দেখা যায়, তাহলে সে আর অবহেলিত হবে না, তার বন্ধুরা তাকে হাসবে না। তারও মুখে হাসি ফুটবে, তারও ছবি উঠবে মোবাইল ক্যামেরায়।

এই জামা তার আত্মবিশ্বাস, যেটা সে স্কুলে পড়ার সময় খুঁজে বেড়ায়, যখন ক্লাসের অন্য ছেলেরা নতুন জামা পরে আসে আর সে পড়ে থাকে একঘেয়ে মলিন কাপড়।

এখানে জামার একটি কল্পিত স্বর ও ভাষা কল্পনা করা যাক—যেখানে জামাটি যেন নিজের মনে নিজের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছে: “আমি কোনো বিলাসী দোকানের শেলফে ঝুলে থাকা দামি জামা নই। আমি সেই জামা, যাকে এক দরিদ্র বাবার কষ্টের টাকায় কিনে আনা হবে তার ছেলের মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাতে।
আমি হয়তো রঙিন নই, হয়তো আমার ডিজাইনে জাঁকজমক নেই, কিন্তু আমি গর্বিত। কারণ আমি হব একটি শিশুর ঈদের স্বপ্ন পূরণের বাহক। আমি হব আত্মমর্যাদার প্রতীক, আমি হব ঈদের প্রাপ্তির প্রতিচ্ছবি।”

এই ভাবনার মধ্যেই ফুটে ওঠে জামার স্বপ্ন—সে চায়, তাকে কেউ ভালোবাসুক, পরিধান করুক, আর আনন্দ পাক।

রিয়াদের মা হয়তো নিজের জন্য কোনো কাপড় কিনবেন না, বাবা হয়তো একজোড়া চপ্পল না কিনে সেই টাকায় ছেলের জামা কিনে দেবেন। কারণ, সন্তানের হাসির চেয়ে বড় কিছু তাদের কাছে নেই। একটি নতুন জামার পেছনে লুকিয়ে থাকে একটি পরিবারের নীরব ত্যাগ, ভালোবাসা আর গোপন কান্না।

ঈদের নতুন জামা এই পরিবারগুলোর কাছে শুধু পোশাক নয়—এটা এক সম্মান, ভালোবাসা এবং আত্মতৃপ্তির চিহ্ন। অনেক সময় বাবা-মায়েরা নিজেদের প্রয়োজন বিসর্জন দিয়ে সন্তানের মুখে হাসি দেখতে চান। নতুন জামা যেন সেই আত্মত্যাগের স্বাক্ষর হয়ে উঠে।

ঈদের দিন আমরা যখন দেখি কেউ চকচকে কাপড় পরে বেরিয়েছে, আর কেউ পুরনো জামা পরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে, তখন সামাজিক বৈষম্যের চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নতুন জামার গুরুত্ব সেখানে দ্বিগুণ। এটি একধরনের সামাজিক মর্যাদা।

রিয়াদ হয়তো তার বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়ে ভাবে—আমারও যদি এমন একটা জামা থাকত! শুধু ঈদের দিনটা নয়, পুরো জীবনজুড়ে সেই হাহাকার থেকে যায়। এই এক টুকরো জামাই তার স্বপ্নকে উঁচুতে নিয়ে যেতে পারে, আর না থাকলে আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়ে।

দরিদ্র শিশুদের জন্য ঈদে জামার প্রাপ্তি মানে কী? সমান মর্যাদা – অন্যদের মতো তাকেও দেখা হয় একজন ‘পূর্ণ’ শিশুর মতো।  আত্মবিশ্বাস – নতুন জামা পরে সে খুশি মনে বন্ধুদের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। পরিবারের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি – সে উপলব্ধি করে, তার মা-বাবা তাকে কত ভালোবাসে।

৪. ভবিষ্যতের স্বপ্ন – একজন শিশু জানে, সে যদি চেষ্টার মধ্যে থাকে, তার স্বপ্ন একদিন পূরণ হবেই।

ঈদের সকালে রিয়াদের ঘুম ভাঙে ভোরবেলা। মা হাসিমুখে এসে বলে—
“এই দেখ, তোমার নতুন জামা।”
রিয়াদ প্রথমে বিশ্বাস করতে পারে না। হাত বাড়িয়ে জামাটা নেয়, চোখে জল চলে আসে। “আমার?”
মা মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়, “হ্যাঁ বাবা, তোমার।”
রিয়াদ তার ছোট জামাটিকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে, যেন এটিই তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

সেই জামা তখন আর শুধু সুতা ও রঙের মিশ্রণ নয়, সেটি তখন একটি ‘স্বপ্ন’। একটি সন্তুষ্টির প্রতীক, একটি ছোট শিশুর গর্বের নিশান।

আমরা যারা সমাজের ভাগ্যবান অংশ, তাদের উচিত এই বৈষম্য দূর করতে সচেষ্ট হওয়া। প্রতিবছর ঈদের আগে আমরা অনেকেই প্রচুর জামা কিনি, কিন্তু ভাবি না পাশের দরিদ্র শিশুটার কথা। যদি আমরা একটি নতুন জামা কাউকে দিতে পারি, তাহলে তার ঈদটা হয়ে উঠতে পারে জীবনের সেরা দিন।সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার—সবাই যদি চায়, তাহলে প্রত্যেক শিশুর ঈদে একটি নতুন জামা নিশ্চিত করা সম্ভব। এটি দান নয়, এটি মানুষের স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা।

“ঈদে একটি নতুন জামা যার স্বপ্ন” এই বাক্যটি শুধুমাত্র কোনো এক জামা বা একটি শিশুর গল্প নয়, এটি হাজারো রিয়াদের গল্প। এটি আমাদের সমাজে লুকিয়ে থাকা অসংখ্য মানুষের জীবনবোধের চিত্র। একটি নতুন জামা কেবল দেহ ঢাকার উপকরণ নয়, এটি মানুষের সম্মান, আত্মবিশ্বাস এবং ভালোবাসার প্রতীক। আমরা যদি এই একটুকরো জামার ভেতর মানুষের আবেগ, স্বপ্ন ও আত্মত্যাগ দেখতে পারি, তাহলে সমাজে সত্যিকার পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। আসুন, এই ঈদে আমরা কেবল নিজেদের জন্য না, অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যও একটি নতুন জামার স্বপ্ন বুনি।

লেখক পরিচিতি : উজ্জ্বল হোসাইন, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক, চাঁদপুর।

চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল আজম সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল আজম সম্পাদক দুলাল চন্দ্র দাস

চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নের নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভা (১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৫) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি (২০২৫-২০২৮) ঘোষণা করা হয়েছে। সমবায় সমিতি আইন ২০০১ (সর্বশেষ সংশোধন ২০১৩) ও সমবায় সমিতি বিধিমালা ২০০৪ (সর্বশেষ সংশোধন ২০২০) অনুযায়ী নির্বাচন কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন (পরিদর্শক, জেলা সমবায় কার্যালয়, চাঁদপুর) কোন পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছয় সদস্য বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটি ঘোষণা করেন। নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি- মোঃ ইকবাল আজম (প্রতিনিধি, দি চাঁদপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ), সহ-সভাপতি- মোঃ আফজাল হোসেন খান (প্রতিনিধি, মিলেনিয়াম বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ), সম্পাদক- দুলাল চন্দ্র দাস (প্রতিনিধি, বাগড়া শিক্ষিত বেকার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ), সদস্য- মোঃ আক্কাস ফরাজী (প্রতিনিধি, রূপসী পল্লী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ), সদস্য- খন্দকার ফখরুল আলম (প্রতিনিধি, আশার আলো মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ), সদস্য- মোঃ খোরশেদ আলম (প্রতিনিধি, খাজুরিয়া বাজার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ)।
জেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ও নির্বাচন কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সমবায়ী ও বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন শেখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন জেলা সমবায় ইউনিয়ন, জেলার সমবায় সমিতি ও সমবায়ীদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব থাকলেও চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নে দীর্ঘদিন নির্বাচিত কমিটি ছিল না, যার কারণে এটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন থেকে চাঁদপুর জেলা সমবায় ইউনিয়নকে কার্যকর করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করি। সমবায় বিভাগ এতে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন করে, যার ফলশ্রুতিতে আজকে আমরা একটি নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করতে পেরেছি। এজন্য তিনি সমবায় বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান পাশাপাশি নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান। সভায় তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা সকলের সামনে উপস্থাপন করেন। সকলের সহযোগিতায় তা বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সভাপতি মুরাদ হোসেন খান, জুন হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর প্রতিনিধি এ ওয়াই এম জাকারিয়া, ওয়ারলেস বাজার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিনিধি মোঃ জিয়াউদ্দিন, ইসলামীয়া সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিনিধি নাজমুল হুদা প্রমূখ।
উল্লেখ্য প্রতি ৩ বছর পর পর নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের বিধান থাকলেও ২০১২ সালের পর, দীর্ঘ ১৩ বছর পর এই ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হলো।

আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ
আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামী ২ জুন নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সম্প্রতি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল ও বাজেট ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, সংসদ না থাকায় এবার সংসদে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে না। অর্থ উপদেষ্টা টেলিভিশনে নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে ২ জুন বাজেট ঘোষণার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণত আগের অর্থবছরগুলোতে বৃহস্পতিবার বাজেট দেওয়া হতো, এবার সোমবার ঘোষণা করা হবে। বাজেট ঘোষণার পর আগের রীতি অনুযায়ী অর্থ উপদেষ্টা বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

সূত্রটি জানিয়েছে, সাধারণত প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের তুলনায় বড় রাখা হয়। তবে এবার বাজেট ঘাটতি কমিয়ে বাজেট ছোট কারার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বাজেটের আকার কমানো হলেও সমাজে বৈষম্য কমানোর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে সামাজিকীকরণ সুরক্ষা কর্মসূচিতে উপকারভোগী ও কিছু ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ থাকছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। একই সঙ্গে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ ধরতে পারে। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার। চলতি অর্থবছরেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। যদিও গত মার্চ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।