খুঁজুন
                               
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৩১ বৈশাখ, ১৪৩২

যেকোনো প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গে প্রস্তুত থাকতে হবে : সেনাপ্রধান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৩৫ অপরাহ্ণ
যেকোনো প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গে প্রস্তুত থাকতে হবে : সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, আমি আশা করব বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের প্রতিটি সদস্য তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব, সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করবে। এই রেজিমেন্টের প্রতিটি সদস্য দেশের যেকোনো প্রয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং প্রয়োজনে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকবে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহী সেনানিবাসের শহীদ কর্ণেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে ৭ম ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহীনির রেজিমেন্ট আধুনিকায়ন হয়েছে। নতুন নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠা, আধুনিক অস্ত্র সরঞ্জামাদি সংযোজনসহ ও উন্নয়ন কল্যাণমুখী কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রেজিমেন্টের প্রত্যেক সদস্যকে পেশাদার ও প্রশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বদা বদ্ধপরিকর।

ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট ১৯৭১-এর পর থেকেই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা লাভের পর অতি অল্প সময়ের মধ্যেই কঠোর পরিশ্রম, সময়োপযোগী পরিকল্পনা এবং দেশ প্রেমের দৃঢ অঙ্গীকারের মাধ্যমে আজকের এই মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আসীন হয়েছে। এই রেজিমেন্ট কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১১ সালে জাতীয় পতাকা লাভের দুর্লভ সম্মানে অধিষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে ৭ম ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এর মধ্য দিয়ে সেনাপ্রধান বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করলেন। বৃহস্পতিবার সকাল রাজশাহী সেনানিবাসের শহীদ কর্ণেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাপ্রধান পৌঁছালে তাকে প্রচলিত সামরিক রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে অভিবাদন জানানো হয় এবং একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এরপর সেনাবাহিনী প্রধানকে ‘কর্নেল র‍্যাঙ্ক ব্যাজ’ পরিয়ে দেয়া হয়। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠান শেষে সেনাবাহিনী প্রধান ১৯তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে বক্তব্য দেন এবং এই রেজিমেন্টের উন্নয়ন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও দেশে-বিদেশে পরিচালিত কার্যক্রমের বিষয়ে মতবিনিময় করেন।  তিনি আধুনিক যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে রেজিমেন্টের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে সেনাসদর, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ উপস্থিত ছিলেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে ঢাবি শিক্ষার্থী নিহত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৭:২৬ পূর্বাহ্ণ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে ঢাবি শিক্ষার্থী নিহত

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ১২টায় মৃত ঘোষণা করেন।

মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় অন্য আরেকটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগায় কথা কাটাকাটির জেরে দুর্বৃত্তরা শাহরিয়ার আলমকে ছুরিকাঘাত করে বলে জানা গেছে।

নিহত শাহরিয়ার আলম সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠী রাফি জানান, রাত আনুমানিক ১২টার দিকে শাহরিয়ার মুক্তমঞ্চের পাশ দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় একটি মোটরসাইকেলের সাথে তার ধাক্কা লাগে। পরে ওই মোটরসাইকেলে থাকা ব্যক্তিদের সাথে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে অজ্ঞাত সাত আটজন এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রাফি আরও জানান, শাহরিয়ার ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি স্যার এফ রহমান হলে থাকতেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা এলাকায়।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত আহত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা বন্ধু জানান- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে কথা কাটাকাটির জেরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি শাহবাগ থানা পুলিশ অবগত আছে।

সাহিত্য একাডেমী আমাদের শিল্পগৌরব সৃষ্টিশীল লেখনিতে আনন্দের পৃথিবী

সামীম আহমেদ খান
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ১:৩৯ অপরাহ্ণ
সাহিত্য একাডেমী আমাদের শিল্পগৌরব সৃষ্টিশীল লেখনিতে আনন্দের পৃথিবী

সাহিত্য মানেই আড়ালে থেকে যাওয়া সুন্দর, সাহিত্য মানেই ঊষাবেলার রঙ, সাহিত্য মানেই সন্ধ্যার সাজ, সাহিত্য মানেই কালোত্তীর্ণ কর্মের অনবদ্য ফসল। সাহিত্য মানেই শেক্সপীয়র, শেলী, কীট্স, পাবলো নেরুদা, বেঞ্জামিন মলিয়ের, রবীন্দ্র, নজরুল, জীবনানন্দ ও সুকান্ত অর্থাৎ সাহিত্য শিল্পী মননশীল শিল্পকর্মের স্রষ্টা। শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতির শতাব্দীপ্রাচীন পূর্ণতার ঐতিহ্য বহন করছে চাঁদপুর জেলা। এক অর্থে সংস্কৃতির এক চারণভূমি চাঁদপুর। মেধা ও প্রজ্ঞার সমন্বয় ঘটিয়ে চাঁদপুরের সংস্কৃতিকর্মীরা স্বাক্ষর রেখেছেন বিভিন্ন পর্যায়ে। ভৌগোলিক পরিচিতিকে করেছেন আপন মহিমায় ভাস্বর। এখানকার প্রত্যেকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন স্ব স্ব আভিজাত্য এবং শুভ্রতা নিয়ে সাংস্কৃতিক তথা সামাজিক বলয় সৃষ্টি করে চলছে অবিরত। প্রশান্ত সৃজনশীল বৃত্তিগুলো ব্যক্তিত্ব বিকাশে যেমন সহায়ক, তেমনি সহায়ক মানসিক উৎকর্ষ অর্জনের পথ সুগম করতে। এ উৎকর্ষতার পরিপূর্ণতায় কেটে উঠবে স্থবিরতা, পাশাপাশি আবদ্ধতা। প্রয়োজন তাই মুক্ত চিন্তা এবং সৃষ্টিশীল কর্ম, যা সময়ের দাবিতে উপজীব্য মাধ্যম। এই মহামিলনের অঙ্কুরিত স্বপ্নকে বুকে ধারণ করেই কবি খুরশেদুল ইসলাম তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব এস.এম. শামসুল আলম সাহেবের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে তুলেছিলেন চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী এবং তিনি নিজেই ছিলেন সাহিত্য একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক।
|আরো খবর

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঁচদিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা উদ্বোধন
সাহিত্য একাডেমী চাঁদপুর-এর ভোটার তালিকায় প্রকাশ
আরিফুল ইসলাম শান্তের ‘মৌন বৃক্ষের রাত্রিদিন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের বরাত দিয়েই বলতে হয়, অন্তত পনেরো বছর যাবৎ সাহিত্য একাডেমীর ওপর নিষ্ক্রিয়তার জগদ্দল পাথর চেপে বসেছিলো। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি লোকজনের শতকরা ৯০ ভাগই নানান উপাধি, পদবীতে ভারাক্রান্ত, বয়সের ভারে এদের গতিশীলতা হারিয়ে গেছে। অতএব গ্রহণযোগ্য যে কোনো পদ্ধতিতে সাহিত্য একাডেমীর কমিটিতে গতিশীল, কর্মোদ্যমী নতুন মুখ আনা দরকার। এজন্যে বিদ্যমান গঠনতন্ত্রের মধ্যে যদি পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় তাও করা দরকার।

উল্লেখিত অংশটুকু নিয়ে ‘সাহিত্য একাডেমী হোক আমাদের সমতা সম্পদ আর আনন্দের পৃথিবী’ এ শিরোনামে এ পত্রিকায়ই লিখেছিলাম ২০০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। তখন কলম ধরেছিলাম সাহিত্য একাডেমীর ব্যর্থতার দায়ভার প্রতিটি প্রতীক্ষিত সুন্দরকে যাতে ম্লান করে না দেয় তার জন্যে, কলম ধরেছিলাম সাহিত্য একাডেমীর অর্বাচীন ভূমিকায় সাহিত্যপিপাসুদের যাতে আলোহীন অন্ধকারে যেতে না হয় তার জন্যে। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের আরো একটি শিরোনাম মনকে নাড়া দিয়েছিলো। ২০০৯ সালে চাঁদপুরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক আ.ক.ম. শাহীদুর রহমান মহোদয় বললেন, সাহিত্য একাডেমী ভবন শিশু একাডেমীকে হস্তান্তর করা হবে। সাহিত্যপ্রেমীদের প্রাণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আবার কলম ধরলাম ২০০৯ সালের ২৫ জানুযারি।

ইতিহাস পর্যালোচনা করলে হস্তান্তর প্রক্রিয়ার কিছু নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গি চোখে পড়ে। যেমন : ১৭৬৫ সালের ১২ আগস্ট রবার্ট ক্লাইভ যখন দ্বিতীয় বারের মতো বাংলার গভর্নর হয়ে আসেন, তিনি এসেই সম্রাট দ্বিতীয় শাহআলম ও অযোধ্যার নবাবের সঙ্গে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পাদন করেন।

ইতিহাসে এর একটি ইতিবাচক দিক রয়েছে।

ফ্রান্স স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মূর্ত প্রতীক ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’ ১৮৮৬ সালের ২৮ অক্টোবর আমেরিকার নিকট হস্তান্তর করে, যা মার্কিনীরা লিবার্টি আইল্যান্ড, নিউইয়র্কে ১৯২৪ সালের ১৫ অক্টোবর তাদের জাতীয় স্থাপনা হিসেবে বিশ্বকে পরিচয় করে দেয়।

১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সরকারি নির্দেশে হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মাঝে রাখী বন্ধন হস্তান্তর করেন, যা উভয় সম্প্রদায়ের ঐক্যের প্রতীক ছিলো। তৎকালীন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সে সময়ের প্রেক্ষাপটে সাহিত্য একাডেমী হস্তান্তর প্রক্রিয়া আমাদের জন্যে গৌরবের ছিলো না বরং হতাশার, সুদীপ্ত ইচ্ছার প্রতিফলনতো নয়ই বরং নির্লিপ্ত চেয়ে থাকা মাত্র।

প্রেক্ষাপট সমৃদ্ধ লেখাটি তৎকালীন জেলা প্রশাসক হৃদয়ঙ্গম করায় সাহিত্য একাডেমী তার নিজস্বতা হারায়নি। সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বর্তমান জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন মহোদয়কে দূর থেকে যতটুকু আবিষ্কার করেছি, ওনার রয়েছে বর্ণাঢ্য ও মেধাবী জীবনের ইতিবৃত্ত। পাশাপাশি তিনি একজন সফল ও সৃষ্টিশীল জীবনবোধের অধিকারী। এমন অনুভবে সমৃদ্ধ বর্তমান জেলা প্রশাসক মহোদয় সাহিত্য একাডেমীর স্বকীয়তা বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইতোমধ্যে। গত ১৭ মার্চ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের স্বাক্ষরিত ১২০ সদস্যের একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যা বাস্তবিক অর্থে ইতিবাচক। এ কথা স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে, প্রতিভাধর ব্যক্তির আনন্দবোধের উৎসারণ ঘটে বিভিন্ন উৎস থেকে। সাহিত্যপ্রেমীদের তেমনি এক উৎসের নাম সাহিত্য একাডেমী।

সাহিত্যপ্রেমীদের প্রাণের দাবিকে মূল্যায়ন করে চাঁদপুরের প্রাক্তন জেলা প্রশাসক জনাব মো. আবদুর রব হাওলাদার গণি মডেল হাইস্কুলে সাহিত্যসেবীদের বিশাল সমাবেশে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেন। আমার প্রিয় শিক্ষক চাঁদপুর সরকারি কলেজের তৎকালীন ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কবি খুরশেদুল ইসলাম সাহিত্য একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক। সাহিত্য একাডেমীর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমি একজন সাহিত্যসেবী হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য। প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক কবি খুরশেদুল ইসলাম চিরবিদায় নিয়েছেন। তবে তাঁর আত্মা শান্তি পাবে যদি তাঁর সন্তানতুল্যদের লালিত্যে গড়া সাহিত্য একাডেমী আবার জেগে উঠে। আবার এখানে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, সুকান্তচর্চা শুরু হয়। সময়ের ধমনীতে প্রবহমান স্বচ্ছ প্রাণবিন্দুগুলো, আবার নতুন অবয়বে তার সৌন্দর্য ফিরে পাবে, আবার আমরা সরলা জননীকে নিয়ে লিখবো কবিতা। বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন মহোদয়কে বিনীতভাবে বলছি যে, সাহিত্য একাডেমীকে প্রাণসঞ্চার করার জন্যে অতীতের দগ্ধ-বিগলিত ও বিচ্ছিন্ন অসম্পূর্ণতা দূরে ঠেলে দিয়ে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সাহিত্যপ্রেমীদের প্রতিভার মূল্যায়ন করা হোক। সাহিত্য একাডেমীর সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডের ধমনীতে বিশুদ্ধ চেতনাবোধ প্রবাহিত হোক এটাই প্রত্যাশা। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রলয় শিখা কাব্যগ্রন্থের বিংশ শতাব্দী কবিতার পংক্তিমালা–“সংস্কারের জগদ্দল পাষান/তুলিয়া বিশ্বে আমরা করেছি প্রাণ/সর্ব আচার-বিচার-পঙ্ক হতে/তুলিয়া জগতে এনেছি মুক্ত স্রোতে/অচলায়তনে বাতায়ন খুলি-প্রাণ/এনেছি, গেয়েছি নব আলোকের গান”-এর বাণীমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সাহিত্য একাডেমী যথার্থভাবে উদ্ভাসিত হোক।
লেখক পরিচিতি : সামীম আহমেদ খান, সভাপতি, জাতীয় কবিতা পরিষদ, চাঁদপুর জেলা শাখা।

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত : ইসি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত : ইসি

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। সোমবার (১২ মে) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক শেষে সোয়া ৯টার দিকে ইসি সচিব আখতার আহমেদ এসে সাংবাদিকদের জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে।

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠন ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। তার ধারাবাহিকতায় ইলেকশন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ ‘সে অনুযায়ী আমরা গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছি। আপনারা গেজেটের কপি বিজি প্রেস থেকে পেয়ে যাবেন।’ কোন গ্রাউন্ডে এই নিবন্ধন স্থগিত করা হলো জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে প্রজ্ঞাপন তার ধারাবাহিকতায় আমরা এটা করেছি।’

কমিশন সভায় নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ উপস্থিত ছিলেন। সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ, আইন শাখার যুগ্ম সচিব ফারুক আহমেদসহ কর্মকর্তারা আইনি দিকগুলো তুলে ধরেন। নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর ৯০ জ অনুচ্ছেদ দফা ১ (খ) অনুযায়ী সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে এখনো নিষিদ্ধ করা হয়নি, তাদের দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই আপাতত নির্বাচন কমিশনও নিবন্ধন বাতিল না করে স্থগিত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিবন্ধন স্থগিত হওয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে গেল। এর আগে, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। সোমবার বিকেলে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক

২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন প্রথা চালু করে নির্বাচন কমিশন। গত চারটি নির্বাচনে ৫৫টি দল নিবন্ধন পেয়েছিল। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নম্বর ৬, প্রতীক নৌকা। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিতের মাধ্যমে বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯টি।