খুঁজুন
                               
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ, ১৪৩২

সীতাকুণ্ডে একই স্থানে মসজিদ-মন্দির ধর্মীয় সম্প্রীতির উজ্জ্বল নিদের্শন

মো. রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম)
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ
সীতাকুণ্ডে একই স্থানে মসজিদ-মন্দির ধর্মীয় সম্প্রীতির উজ্জ্বল নিদের্শন

সীতাকুণ্ডে দেখা যায় ধর্মীয় সম্প্রীতির এমন উজ্জ্বল নিদর্শন। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের, টেলিয়াল ৫নং ওর্য়াড ফেদাই নগর এলাকায় শত বছরের পুরোনো কাশেম আলী চৌধুরী জামে মসজিদ ও শীতলাদেবী মন্দির।

একই স্থানে মসজিদ ও মন্দির। মিলেমিশে চলছে দুই সম্প্রদায়ের ইবাদত ও উপাসনা। সময় মতো হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের আজান, নামাজ, বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব। আর সময় করে পালন করা হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা-অর্চনা এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব। এক পাশে ধুপকাটি সুভাষ আর অন্য পাশে আতরের সুভাষ। একপাশে চলছে উলুকধ্বনি আর এক পাশে চলছে জিকির। এভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে শত বছর ধরে এই পৃথক দুইটি ধর্মীয় মসজিদ ও মন্দিরে। মসজিদ আর মন্দির রয়েছে এখই স্থানে। এই দুই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাঝখানে রয়েছে একটি দেয়াল। দেয়াল থাকলেও দুই এই ধর্মের মানুষের অন্তরে দেয়াল তৈরি করতে পারেনি। সেখানে মুসলিম ও হিন্দু এই দুই ধর্মের অনুসারীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান। এই দুই ধর্মের মানুষজনই তাদের নিজ নিজ ধর্ম-কর্ম পালন করে আসছে নির্বিঘ্নে।তাদের দুই ধর্মের লোকদের কেউ বাধা দেয় না, যতটুকু সম্ভব একজন আরেকজনকে সাহায্য করেন। প্রায় শত বছর ধরে এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ মানবিক নজির স্থাপন করেছেন চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার টেরিয়ার এলাকার ফেদার নগর বাসিন্দারা। প্রায় শত বছরের অধিক সময় ধরে একে অপরের গা ঘেঁসে দাড়িয়ে আছে ফেদার নগরের কাশেম আলী চৌধুরী জামে মসজিদ আর শীতলাদেবী মন্দির,যা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদের্শন।

শুধু কি তাই, হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের শিক্ষা দিচ্ছে। শান্তিপূর্ণভাবেই দুই ধর্মের মানুষ যেখানে যার যার ধর্ম-কর্ম পালন করে আসছেন। এলাকার বাসির কাছে জানা যায়,প্রায় ১০০ বছর আগে সেখানে মন্দির স্থাপন করা হয়।স্বাধীনতার পর থেকে অনেক বার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উসকানির ঘটনা ঘটলেও তার প্রভাব এ গ্রামে পড়েনি। দুই ধর্মের প্রতিষ্ঠান প্রায় ২৫ গজের ব্যবধানে সহাবস্থানে রয়েছে। প্রথমে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনো দেয়ার ছিলো না। তবে বর্তমানে একটি দেয়াল উঠেছে। এ দীর্ঘ সময় ধরে দুই ধর্মের মানুষ কাছাকাছি অবস্থানে তাদের ধর্ম-কর্ম পালন করে আসছে।তাদের দুই ধর্মের মধ্যে কোনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনা ঘটেনি।

কাশেম আলী চৌধুরী জামে মসজিদের ইমাম মো. নুরুল হোসাইন রাশেদ বলেন, এটা আমাদের জন্য একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পারে। পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্মীয় আচার পালন করে আসছেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষ।

চাঁদপুর সদর ইউএনও’র বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১২:৫২ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর সদর ইউএনও’র বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-এর আওতায় চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ব্যাগ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই ২০২৫) সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক সাখাওয়াত জামিল সৈকত।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক ও নৈতিক বিকাশে শুধু পাঠ্যপুস্তক নয়, প্রয়োজন প্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতা। আজকের এই শিক্ষা উপকরণ হয়তো খুব বড় কিছু নয়, কিন্তু এটি একজন শিক্ষার্থীর মনে আত্মবিশ্বাস ও উৎসাহ জোগাবে। এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং ঝরে পড়া রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, একজন শিক্ষার্থী শুধু ভালো ফল করলেই হবে না, তাকে ভালো মানুষ হিসেবেও গড়ে উঠতে হবে। এজন্য প্রয়োজন শিক্ষক-অভিভাবক এবং প্রশাসনের সম্মিলিত ভূমিকা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ.কে. মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, উপসহকারী প্রকৌশলী আহম্মদ হোসেনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে ব্যাগ ও শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া হয় এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

শেরপুরে বিএনপি’র সদর ও পৌর কমিটি ঘোষণা

রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ
শেরপুরে বিএনপি’র সদর ও পৌর কমিটি ঘোষণা

শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপি ও শেরপুর পৌর বিএনপির কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। ২৭ জুলাই রবিবার দুপুরে শেরপুর শহরে নির্জর কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপির আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম কমিটি ঘোষণা করেন। ১০১ সদস্য বিশিষ্ট শেরপুর সদর উপজেলা কমিটিতে আলহাজ্ব হযরত আলীকে আহ্বায়ক ও সাইফুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়। অন্যদিকে শেরপুর পৌর বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান (পিপি) কে আহ্বায়ক ও মোহাম্মদ জাফর আলীকে সদস্য সচিব করা হয়।

সদর উপজেলা কমিটির যুগ্ন আহ্বায়কগণ হলেন, এস এম শহিদুল ইসলাম, মো. শফিউল আলম চাঁন, মো. আব্দুল হামিদ, এ এস এম রফিকুল আলম শিপন, মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু, মো. আব্দুল মালেক, মো. সাইফুল ইসলাম শ্যামল, মোসাম্মৎ পপি আখতার। অন্যদিকে শেরপুর পৌর কমিটির সদস্য সচিবগণ হলো, আলহাজ্ব এডভোকেট খন্দকার মাহবুবুল আলম রকীব, মো. রেজাউল করিম রুমি, মো. এমাদাদুল হক মধু, মো. হাসানুর রেজা জিয়া, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, মো. উমর ফারুক রাহাত, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম মিঠু, মো. সাদেক মিয়া, মো. রবিউল আলম সজিব, মো. ফখরুল ইসলাম।জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সকল সদস্যদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করে সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে এবং সাংগঠনিক টিমের সৎ পরামর্শে শেরপুর সদর ও শেরপুর পৌরসভার কমিটি ঘোষনা করেছি। বাকি সাতটি ইউনিটের কমিটি অতি দ্রুতই ঘোষনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, শেরপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে আমরা স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে চাই।আমরা নিজেরা দুর্নীতি করবো না। কাউকে দুর্নীতি করতে দিবোনা। কেউ দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।পৌর কমিটির নয়া আহ্বায়ক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, বিএনপি প্রতি আমার দীর্ঘদিনের ত্যাগের ফল আজ পেলাম। আমার উপর যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমি যথাযথভাবে পালন করবো। আমি নিজে মহল্লায় মহল্লায় গিয়ে নয়টি ওয়ার্ডের কমিটি দ্রতই উপহার দিবো। আমি জেলা বিএনপি প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বর্ধিত সভায় ৫টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভা সহ মোট ৯টি ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

৩৭ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান

ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ তাসনিমের মরদেহ মিলল বিলে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ
ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ তাসনিমের মরদেহ মিলল বিলে

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে টেকবাড়ি বিলে তার মরদেহটির সন্ধান পায় ফায়ার সার্ভিস। এর আগে, রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকা ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে থাকা স্ল্যাববিহীন ম্যানহোলে পরে নিখোঁজ হন ফারিয়া তাসনিম জ্যোতি। এর পর থেকেই চলছিলো উদ্ধার অভিযান। টানা ৩৭ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে বাঁশপট্টি এলাকার টেকবাড়ি বিলে তার মরদেহটির সন্ধান পায় ফায়ার সার্ভিস।
দুর্ঘটনায় নিহত ফারিয়া তাসনিম জ্যোতির আট বছর বয়সী যমজ সন্তানের মা। কাজ করতেন একটি বেসরকারি কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগে। কাজের সুবাদে এসেছিলেন হোসেন মার্কেট এলাকায়। হালকা বৃষ্টি হলেই সড়কটি পরিণত হয় মৃত্যুকূপে। এমন বাস্তবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান, টঙ্গীর হোসেন মার্কেট ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনের ম্যানহোলটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকনাবিহীন অবস্থায় ছিল। এ বিষয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তারা অভিযোগ করেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন ও সড়ক বিভাগের অবহেলার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পর রাতেই ২০ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল ম্যানহোলে অভিযান শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের টঙ্গী স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহীন আলম জানান, ম্যানহোলটির গভীরতা প্রায় ১০ ফুট এবং টানা বৃষ্টির কারণে সেটি পানিতে পূর্ণ হয়ে গেছে, ফলে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। দ্বিতীয় দিন সিটি করপোরেশনের সহায়তায় আশপাশের ড্রেনের ঢাকনাও খুলে অনুসন্ধান চালানো হয়। তৃতীয় দিনে তাসনিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তার একজোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (২৮ জুলাই) সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মুহাম্মদ সোহেল হাসান। তিনি বলেন, ‘এ সড়কটি সিটি করপোরেশনের আওতায় নয়, এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে। তবে মানবিক বিবেচনায় সিটি করপোরেশন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল দিয়ে উদ্ধার কাজে সহায়তা করেছে।’ এদিকে, এ ঘটনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিবকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সেবা প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

‘আম্মু কি আর আসবে না’, জ্যোতির দাফনে জমজ সন্তানের কান্না
গাজীপুরের টঙ্গীতে খোলা নালায় পড়ে প্রাণ হারানো ফারিয়া তাসনিম জ্যোতির (৩২) মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। দাফনের সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়- জ্যোতির জমজ সন্তানরা মায়ের কবরের পাশে কান্নায় ভেঙে পড়ে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পুরাতন গোরস্থান জামে মসজিদে জানাজা শেষে পুরাতন কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। নিহত জ্যোতি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার মৃত বাবলু মেম্বারের মেয়ে। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। এরআগে গত রোববার রাত সোয়া ৯টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় খোলা ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ হন জ্যোতি।
জানা যায়, জ্যোতি যে ড্রেনে পড়েছিল, ওই ড্রেনের পানি গিয়ে পড়ে শালিকচূড়া বিলে। ঘটনার পর টানা উদ্ধার অভিযানের মাধ্যমে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে শালিকচূড়া (টেকপাড়া) বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। জ্যোতি ঢাকার মিরপুরে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন এবং ‘মনি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল হেলথ’ নামের একটি ওষুধ কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি টঙ্গীর ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহের কাজে গিয়েছিলেন।
জ্যোতির বড় ভাই মো. আক্তারুজ্জামান শোভন জানান, ‘রোববার রাতে বোনের ফোন বন্ধ পেয়ে আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ব্যবহৃত জুতা পাই, তখনই নিশ্চিত হই তিনি নিখোঁজ হয়েছেন।’ আক্তারুজ্জামান শোভন আরও জানান, ‘মঙ্গলবার আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে মরদেহ চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে আসা হয়। রাত ১০টায় জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠিত হয়।’ বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে জানাজায় অংশ নেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। জমজ সন্তান আরিয়ান ও আইয়ানের কান্নায় আবেগে ভেঙে পড়েন অনেকেই। ‘আম্মু কি আর আসবে না?’- শিশুদের এই প্রশ্নে উপস্থিত অনেকের চোখের পানি ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
নিহতের বড় ভাইয়ের ছেলে আশিকুজ্জামান নিশাত বলেন, ‘এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা আমাদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। নিষ্পাপ দুই শিশুকে কীভাবে সান্ত্বনা দেব? ঢাকনাবিহীন ড্রেন তাদের জীবন থেকে মাকে কেড়ে নিল।’ জানাজা ও দাফনে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পিটু, পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা দোকান মালিক সমিতির সদস্যসচিব সুমন পারভেজ খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা ও স্থানীয় জনগণ অংশ নেন।