খুঁজুন
                               
রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ৫ শ্রাবণ, ১৪৩২

আপনাকে কেউ পছন্দ না করলে বুঝবেন যেভাবে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
আপনাকে কেউ পছন্দ না করলে বুঝবেন যেভাবে

আমাদের পরিচিত এমন অনেকেই আছেন যারা আমাদের পছন্দ না করলেও মুখে কখনো তা বলে না। বরং অনেক সময় হয়তো তার কথা শুনে আপনার মনে হতে পারে যে সে-ও আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী। কিন্তু তার অন্তরে থাকে ভিন্ন কিছু। এখন কথা হলো, মুখে না বললেও আপনি কীভাবে বুঝতে পারবেন যে সে আসলে আপনাকে ভালোবাসে না? ইনস্টাগ্রামে একটি সাম্প্রতিক ভিডিওতে মনোবিজ্ঞানী ফ্রান্সেস্কা টাইঘিনান বলেছেন, কিছু শারীরিক ভাষার সংকেত প্রকাশ করতে পারে যে কেউ আপনাকে গোপনে অপছন্দ করে কি না, তিনি কয়েকটি মূল লক্ষণের কথা বলেছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. আই কন্ট্যাক্ট এড়িয়ে চলা

কেউ আপনাকে পছন্দ না-ও করতে পারে তার সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণের মধ্যে একটি হলো আই কন্ট্যাক্ট এড়ানোর প্রবণতা। টাইঘিনান ব্যাখ্যা করেন যে, এই আচরণ কথোপকথন এড়িয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। যখন কেউ ঘন ঘন দূরে তাকায়, তখন বুঝে নেবেন যে সে অস্বস্তি বোধ করছে বা আপনার সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী নয়। আপনি যদি কারো সঙ্গে কথা বলছেন এবং সে ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকে বা বা মনোযোগ দেয়, তবে এটি একটি চিহ্ন যে সে আপনার সঙ্গে বা উপস্থিতি পছন্দ করছে না।

২. ঠোঁট ওল্টানো

ঠোঁট ওল্টানোও হতে পারে আরেকটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ। মুখে না বলেও এভাবে অসম্মতি প্রকাশ করা যায়। টাইঘিনানের মতে, এই আচরণ মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে নেতিবাচক অনুভূতি প্রকাশের একটি অবচেতন উপায় হতে পারে। কেউ যদি ঠোঁট ও উত্তেজনাপূর্ণ অভিব্যক্তি সহ আপনার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানায়, তাহলে বুঝে নেবেন যে যা আলোচনা করা হচ্ছে তাতে সে সন্তুষ্ট নয়।

৩. আপনার থেকে দূরে সরে যাওয়া

একজন ব্যক্তির শরীরের অবস্থানও তার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে। যখন কেউ তার পা বা শরীরকে আপনার থেকে দূরে রাখে, তখন বুঝে নেবেন যে সে আপনাকে পছন্দ করছে না। টাইঘিনানের মতে, মানুষ যখন নিজেদেরকে মিথস্ক্রিয়া থেকে সরিয়ে নিতে চায় তখন অবচেতনভাবেই সেখান থেকে সরে যেতে চায়। আপনি যদি কথোপকথনে থাকেন এবং তখন অপর ব্যক্তি তার শরীরকে সরিয়ে বা কাঁধ অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেয়, তাহলে বুঝে নেবেন যে সে কথোপকথনটি বন্ধ করতে চায়।

৪. সীমিত হাসি এবং ব্যস্ততা

কথোপকথনের সময় সত্যিকারের হাসির অভাব এবং সামান্য ব্যস্ততা্র অনাগ্রহের ইঙ্গিত দিতে পারে। যদি কেউ খুব কমই তার মুখের অভিব্যক্তির মাধ্যমে উষ্ণতা দেখায় তবে এটি ইঙ্গিত দিতে পারে যে সে আপনার সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী নয়। আপনি যদি একটি উত্তেজনাপূর্ণ গল্প শেয়ার করেন এবং অন্য ব্যক্তিটি অভিব্যক্তিহীন থাকে বা প্রশ্ন না করে, তাহলে এর অর্থ হতে পারে আপনি যা বলছেন তাতে উৎসাহ বোধ করছে না।

আজ সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ
আজ সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় আজ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ফরিদপুরসহ সারা দেশের এনসিপির পূর্বঘোষিত পদযাত্রা অব্যাহত থাকবে। শুধুমাত্র মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে বৃহস্পতিবারের যে কর্মসূচি ছিল সেটি স্থগিত করে পরবর্তীতে তারিখ ঘোষণা করা হবে। বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সারা দেশে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এনসিপির এটি ছিল পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি। সেই লক্ষ্যে প্রশাসনকে জানিয়ে এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার কথা জেনেই গোপালগঞ্জ সফরে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করেছে। গোপালগঞ্জে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে আওয়ামী লীগের বাইরেও যে অন্য কোনো দল কর্মসূচি করতে পারে সেটি এনসিপি প্রমাণ করে দিয়েছে।
সমাবেশের আগে ও পরে দফায় দফায় হামলার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ হামলা পূর্ব পরিকল্পিত সেটি প্রমাণিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও সতর্ক থাকতে পারতো উল্লেখ করে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেভাবে সহায়তা দিয়েছে সেজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোপালগঞ্জের হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান নাহিদ ইসলাম। উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনা এসে পৌঁছান।

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ২

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ২

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা–সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। হাসপাতাল ও পরিবার সূত্র এ কথা জানিয়েছে। নিহত দুজন হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫) ও কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮)। আজ বুধবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, বিকেলে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁরা গুলিবিদ্ধ ছিলেন।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে নিহত দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। অপরজনের মৃত্যুর বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হাসপাতালের একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই ব্যক্তির লাশ স্বজনেরা নিয়ে গেছেন। হাসপাতালের কর্মকর্তা জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, আরও ৯ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের অস্ত্রোপচার চলছে।
মৃত্যুর তথ্য জানতে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি। তথ্য জানতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ কামরুজ্জামান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবিরকে কল দিলে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি। নিহত দীপ্ত সাহার চাচা বলেন, দীপ্ত দুপুরের খাবার খেয়ে তাঁর দোকানে যাচ্ছিলেন। শহরের চৌরঙ্গীতে তাঁর পেটে গুলি লাগে।
নিহত রমজান কাজীর বাবা কামরুল কাজী বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলছে। আমার ছেলে তো কোনো দোষ করেনি। আমি আমার সন্তানকে কোথায় পাব?’ এর আগে গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশ শেষে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, এনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে নেতা-কর্মীদের ঘিরে হামলা চালান। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্যদিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। হামলার ঘটনার পর এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন। এ সময় পুলিশ-সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। তাদের (এনসিপি) বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তাঁরা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন, পরিস্থিতি ঠিক নেই।

গোপালগঞ্জ কারফিউয়ে থমথমে, আটক ১৪

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
গোপালগঞ্জ কারফিউয়ে থমথমে, আটক ১৪

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় কারফিউ জারি করে প্রশাসন। কারফিউয়ের মধ্যে যৌথ বাহিনী বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করেছে। তাদের গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান।
এদিকে চলমান কারফিউয়ে জেলায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। গতকাল রাত থেকে সীমিত আকারে রিকশা চলাচল করলেও অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি, বন্ধ ছিল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হয়নি। রাতে শহরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এখনো পর্যন্ত রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারে মানুষের আনাগোনা নেই বললেও চলে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কারফিউয়ের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। নেই টহলও। তবে জেলা কারাগারের সামনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।