খুঁজুন
                               
বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১৩ কার্তিক, ১৪৩২

নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিন : এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:১৮ অপরাহ্ণ
নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিন : এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আগামী জুন মাসে জাতীয় নির্বাচন দিয়ে দেশের মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে শহরের তেবাড়িয়া হাট এলাকায় আওয়ামী লীগের হামলায় নিহত ছাত্রদল কর্মী রাকিব ও রায়হানের ১০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, দেশে যে পরিমাণে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি বেড়েছে। এসব নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার ব্যর্থ। বর্তমান সরকারের কাছে দাবি দ্রুত নির্বাচন দিন। আগামী জুন মাসে জাতীয় নির্বাচন দিয়ে দেশের মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিন। সেই সঙ্গে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। নির্বাচিত সরকার তাদের শাসনের মাধ্যমে দেশের আইন-শৃঙ্খলা আবারও স্বাভাবিক হবে।

তিনি বলেন, শেখ মুজিব ১৯৭১ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত দেশে যে অন্যায় অত্যাচার চালিয়েছে তার কারণে ২২ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। আর তার মেয়ে শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ওপর গুম,খুন, হত্যাসহ এতো জুলুম, নির্যাতন চালিয়েছে যে, তার জন্য আগামী ৪২ বছরেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, দেশের আওয়ামী বিরোধী সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাড়াবাড়ি হানাহানি করে কিছু পাওয়া যাবে না। সকলে মিলেমিশে থেকে দেশ গঠন করতে হবে। আগামী দিনে সকলে মিলেই সুন্দর একটি নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার আসবে। সেই সরকারের অধীনে বাংলাদেশ সুন্দরভাবে এগিয়ে যাবে। সেই সরকার এ দেশের সকল হত্যা ও অন্যায়ের বিচার করবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে আমাদের দলের নেতাকর্মীকে হত্যা করে আমাদেরকেই আসামি করা হয়। ১০ বছর রাকিব ও রায়হানের বিচার তার পরিবার পায়নি। আইনের মাধ্যমে এ নাটোরের মাটিতেই এই হত্যার বিচার করা হবে। যত হত্যাকাণ্ড নাটোরে হয়েছে, তাদের সকল বিচার আমরা করবে। নিহতদের পরিবার দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নির্যাতিত ছিল। তাদের পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্যে দেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সাবেক সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, সাইফুল ইসলাম আফতাব, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল প্রমুখ।

১০৪ ভুয়া জুলাই-যোদ্ধার তালিকা প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
১০৪ ভুয়া জুলাই-যোদ্ধার তালিকা প্রকাশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে সম্পৃক্ত না হয়েও জুলাই-যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৪ জন। তাদের ভুয়া জুলাই-যোদ্ধা বলছেন আন্দোলনে সম্পৃক্তকারীরা। এসব ভুয়া ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে সরকার। তাদের নামের গেজেট বাতিল করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের আট বিভাগে ১০৪ জন ভুয়া জুলাই-যোদ্ধা ছাড়াও একই ব্যক্তির নামে একাধিকবার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, এমন ২৩ জনের একটি গেজেট রেখে অন্যটি বাতিল করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের প্রকাশিত গেজেট তালিকায় তারা আহত জুলাই-যোদ্ধা। কিন্তু তারা আসলে আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত হয়নি। তারা প্রতারণা করেছেন এবং কয়েকজনের নামে একাধিক গেজেট প্রকাশিত হওয়ার গেজেট বাতিলের জন্য জেলা কমিটির সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে ২০ জন ভুয়া ও ১ জনের নামে দুবার গেজেট হয়েছে, সিলেট বিভাগ ২৬ জন ও ১ জনের দুবার গেজেট, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৪ জন ও ৪ জনের নামে দুবার গেজেট, খুলনা বিভাগে ৫ জন ও ৪ জনের নামে দুবার গেজেট, রংপুর ২ জন ভুয়া জুলাইযোদ্ধা, ঢাকা বিভাগে ৭ জন ও ৭ জনের নামে দুবার গেজেট, রাজশাহী বিভাগে ৯ জন ভুয়া জুলাইযোদ্ধা ও ৪ জনের নামে দুবার গেজেট, বরিশাল বিভাগের ২ জনের নামে দুবার গেজেট হয়েছে।

সব মিলিয়ে ১২৭ জনের গেজেট বাতিল করবে সরকার। তাদের মধ্যে দুবার করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে ২৩ জনের। বাকি ১০৪ জন অহত নন ও আন্দোলনে সম্পৃক্ত না হয়ে জুলাই-যোদ্ধা হিসেবে গেজেট-ভুক্ত হয়েছে। তাই নামের গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।

যেসব জুলাই-যোদ্ধার গেজেট বাতিল করতে সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটি, এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের ২০ জন হলেন নেত্রকোনার সৈয়দ তরিকুল ইসলাম, গেজেট নম্বর ৮০; মোহাম্মদ নুরুল আমিন, গেজেট নম্বর ৮৮; তানভীর আহমেদ, গেজেট নম্বর ১২১; আছিয়া খাতুন গেজেট, নম্বর ১২৩; রুহুল আমিন, গেজেট নম্বর ১২৭; মো. আমি হাসান রুপম, গেজেট নম্বর ১২৯, মোহাম্মদ আকিব তালুকদার, গেজেট নম্বর ১৪৬; মো. সুজন মিয়া, গেজেট নম্বর ১৫৫; মো. ইমন শাহারিয়া, গেজেট নম্বর ১৬৫; আশরাফুল ইসলাম জাসাম, গেজেট নম্বর ১৭২; মুশফিকুর রহমান, গেজেট নম্বর ১৯৭; মো সজিব, গেজেট নম্বর ১৯৮; সোহাগ মিয়া, গেজেট নম্বর ১৯৯; রুবেল মিয়া, গেজেট নম্বর ৩৬২; মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, গেজেট নম্বর ৩৬৩; রাব্বি হাসান শ্রীনি, গ্যাজেট নম্বর ৫৬৫; মোহাম্মদ আজহারুল ইসলামিক, গেজেট নম্বর ৫৬৬; মো. আবু ফরিদ আহামেদ, গেজেট নম্বর ৫৬৭; আফরিনা জান্নাত, গেজেট নম্বর ৫৭০; মাজহারুল ইসলাম, গেজেট নম্বর ৬৪৮।
ঢাকা বিভাগে ৭ জন ভুয়া জুলাই-যোদ্ধা ও ৭ জনের নাম দুবার গেজেট-ভুক্ত হয়েছে, রাসেলে, গেজেট নম্বর ৬৭০; খন্দকার রাজ, গেজেট নম্বর ১০৬৩; রাফিউল নাঈম, গেজেট নম্বর ১১৬১; রাশেদুল ইসলাম অনিক, গেজেট নাম্বার ১১৬৩, আব্দুল্লাহ আল রাহাত, গেজেট নম্বর ১১৬৬; মো. মঞ্জমুল আলম, জিসান গেজেট নম্বর ১৯৩২; মো. সাইফুল ইসলাম শুভ, গেজেট নম্বর ২৬৮২; রিয়াজুল হাসান, গেজেট নম্বর ২৮৩৮; বেলায়াত হোসেন শাহীন, গেজেট নম্বর ২৮৩৯; মুজবর মৃধা, গেজেট নম্বর ৩৯৬৪; জিহাদ, গেজেট নম্বর ৩৪১৩; মো. রফিকুল সরদার, গেজেট নম্বর ৭৩৩; মো. মাসুদুর রহমান, গেজেট নম্বর ৬৪৫; মোছা রুমি, গেজেট নম্বর ৩৪৩১; মো. রিয়াজ শরীফ, গেজেট নম্বর ১৩৮২।
চট্টগ্রাম বিভাগ ভুয়া জুলাই-যোদ্ধা ৩৫জন তারা হলেন, চট্টগ্রাম জেলার মো. শাগর, গেজেট নম্বর ৩২৮; আবদুল্লাহ আল নোমান গেজেট নম্বর ৪৬৯; নাইম উদ্দীন শাঈদ, গেজেট নম্বর ৪৯২; মোহা. শরিফুল ইসলাম, গেজেট নম্বর ৫১৫; শাহাদাত ইকবাজ তাহনি, গেজেট নম্বর ৫২১; তাহমিনা ইকরার তারকি, গেজেট নম্বর ৫২২; মাহাবী তাজওয়ার, গেজেট নম্বর ৫৩৪; জসিম উদ্দিন, গেজেট নম্বর ৫৪২; মো. আতিকুল ইসলাম, গেজেট নম্বর ৫৫২; মো. ইয়াছিন, গেজেট নম্বর ৫৬০; আরফাতুল ইসলাম, গেজেট নম্বর ৫৯৫; ফরহাদ আলম, গেজেট নম্বর ৬০১; মোদাসাদ সাহাদ কবির এমরান, গেজেট নম্বর ৬০৩; মুনজামিরুল হক চৌধুরী মামুর, গেজেট নম্বর ৬১৬; পঠন চন্দ্র নাথ, গেজেট নম্বর ৬২২; মিশকাত-আলম রিয়াদ, গেজেট নম্বর ৬৭৫; মো. এমরান, গেজেট নম্বর ৭৯৭; মাহাম্মদ সাগর, গেজেট নম্বর ৭৬৮; নুরুল্লাহ, গেজেট নম্বর ৭৮৯; সোহাম্মদ রাফি, গেজেট নম্বর ৭৯৯; ফয়সাল মোহাম্মদ শিয়াস, গেজেট নম্বর ৮০২; মোছা. ইছনিয়া আকতার, গেজেট নম্বর ৮২৪; মো. মাঈনুদ্দীন, গেজেট নম্বর ৮২৫; সাইমন, গেজেট নম্বর ৯৭৩; মো. আরিফ, গেজেট নম্বর ১৯৭৬; রাসেল, গেজেট নম্বর ১৯৮৬; রমজান আলী, গেজেট নম্বর ৯৮৭; মাহিম চৌধুরী, গেজেট নম্বর ৯৯৯; রিফাত বিন আল, গেজেট নম্বর ১৯৯৯।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে সম্পৃক্ত না হয়ে অনেকেই জুলাই যোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে, এমন অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। এরপর ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই-যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়া কথা বলেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক)।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তথ্যমতে, ক শ্রেণিতে অতি গুরুতর আহত ৬০২ জন, খ শ্রেণিতে গুরুতর আহত ১১১৮ জন, গ শ্রেণিতে আহত ১২০৮০ জন। নিহত ৮৪৪ জন। যার মধ্যে ৮ জনের গেজেট বাতিল করা হয়েছে। মোট ১৪ হাজার ৬৩৬ জনের নামে গেজেট করা প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব (জুলাই গণ অভ্যুত্থান অধিদপ্তর) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, যাদের নামে অভিযোগ ছিল সেসব বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাদের গেজেট বাতিল করা হবে এবং গেজেট বাতিল করার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গেজেট বাতিলের কাজ চলমান আছে।
জুলাই-যোদ্ধা না হয়েও যারা এককালীন অর্থসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আগে গেজেট বাতিল করি, তারপর সবই পাওয়া যাবে।

জ্যামাইকাতে তাণ্ডব চালিয়ে কিউবার দিকে এগোচ্ছে মেলিসা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ
জ্যামাইকাতে তাণ্ডব চালিয়ে কিউবার দিকে এগোচ্ছে মেলিসা

ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকাতে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মেলিসা আঘাত হেনেছে। গতকাল মঙ্গলবার ৫ মাত্রার এ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এটি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। মেলিসা এখন ৪ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশ কিউবার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। খবর রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, জ্যামাইকার দক্ষিণ-পশ্চিমের নিউ হোপ শহরের কাছে ঘণ্টায় ১৮৫ মাইল (২৯৫ কিলোমিটার) গতিবেগে আঘাত হানে মেলিসা, যা সাফির সিম্পসন স্কেলে নির্ধারিত ৫ মাত্রার শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের ন্যূনতম গতিবেগের (ঘণ্টায় ১৫৭ মাইল বা ২৫২ কিলোমিটার) চেয়ে বেশি। সাফির সিম্পসন হলো একধরনের মানদণ্ড বা স্কেল, যা ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি ও সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। এটি ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতাকে ৫টি মাত্রা দিয়ে বুঝিয়ে থাকে। ৫ মাত্রা হলো সাফির সিম্পসন স্কেলের সর্বোচ্চ মাত্রা।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, জ্যামাইকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সেন্ট এলিজাবেথ অঞ্চল সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সেখানে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের পর সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হলনেস বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা যেসব তথ্য পেয়েছি, তাতে হাসপাতালগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমনকি সড়ক অবকাঠামোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এখনো পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনা করে আমরা কিছু প্রাণহানির আশঙ্কা করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) বলেছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জ্যামাইকার পাহাড়ি এলাকার মানুষের জন্য ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি এখন কিউবার দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল শহর সান্তিয়াগো দে কিউবা শহরে আঘাত হানতে পারে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার বিশেষজ্ঞ অ্যান-ক্লেয়ার ফোজান্টান প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এটি একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি।’ তিনি চার মিটার উচ্চতা পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আভাস দিয়েছেন। মেলিসা জ্যামাইকার দক্ষিণ-পশ্চিমে আঘাত হানে।
স্থানীয় সরকারের মন্ত্রী ডেসমন্ড ম্যাককেঞ্জি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সেন্ট এলিজাবেথ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এলাকার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে এবং এর একটি ভবন গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকটি পরিবার তাদের বাড়িতে আটকা পড়েছিল। তবে উদ্ধারকর্মীরা কিছু মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন। এর মধ্যে চারটি শিশুও আছে।
ম্যাককেঞ্জি আরও বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে প্রায় ১৫ হাজার জ্যামাইকান নাগরিক অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন। সরকার ২৮ হাজার মানুষকে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে অনেকেই বাড়ি ছাড়তে রাজি হননি।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য রেড ক্রস বলেছে, জ্যামাইকার প্রায় ১৫ লাখ মানুষের ওপর এ ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে।

উত্তাল সাগর, শক্তি সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ
উত্তাল সাগর, শক্তি সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শক্তি সঞ্চয় করছে। এটি ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৮ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সোমবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটি মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা অথবা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর (পুন.) ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য কঠোরভাবে বারণ করা হয়েছে।