খুঁজুন
                               
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ, ১৪৩১

সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে নাগরিক ও আমজনতা

উজ্জ্বল হোসাইন
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:৫০ অপরাহ্ণ
সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে নাগরিক ও আমজনতা

সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে মানুষের ভূমিকা চিরকালই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ সমাজে দুই ধরনের পরিচয়ে নিজেদের উপস্থাপন করে—নাগরিক এবং আমজনতা। এ দুটো পরিচয়ের মধ্যে রয়েছে দায়িত্ব, অধিকার, ভূমিকা ও মনোভাবের ভিন্নতা। নাগরিক একটি রাজনৈতিক পরিচয় বহন করে এবং রাষ্ট্রের অধিকারভুক্ত সদস্য হিসেবে চিহ্নিত হয়। অন্যদিকে, আমজনতা বলতে সাধারণ জনগোষ্ঠীকে বোঝানো হয়, যারা সচেতন বা অসচেতনভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে জীবন যাপন করে। এ প্রবন্ধে নাগরিক ও আমজনতার সংজ্ঞা, তাদের ভূমিকা, পার্থক্য এবং পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হবে।

নাগরিকের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য

নাগরিক বলতে সাধারণত একটি রাষ্ট্র বা দেশের অধিবাসীকে বোঝানো হয়, যে ব্যক্তি আইনত সেই রাষ্ট্রের সদস্য এবং নাগরিক অধিকার ভোগ করে। নাগরিকের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো : নাগরিক আইনগতভাবে রাষ্ট্রের স্বীকৃত সদস্য। অধিকার ও কর্তব্য: নাগরিকের কিছু মৌলিক অধিকার রয়েছে যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং বাকস্বাধীনতা। পাশাপাশি নাগরিকের দায়িত্ব রয়েছে যেমন কর প্রদান, আইন মেনে চলা, এবং ভোট প্রদান। নাগরিক সাধারণত রাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন। একজন নাগরিক সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

আমজনতা বলতে বোঝানো হয় সাধারণ জনগণ বা জনসাধারণ, যারা প্রতিদিনের জীবনে রাষ্ট্র ও সমাজের অংশ হিসেবে থাকে কিন্তু প্রায়শই রাজনৈতিক সচেতনতা বা সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে দূরে থাকে।

আমজনতার বৈশিষ্ট্যগুলো হলো : আমজনতা কোনো বিশেষ আইনগত পরিচয়ের চেয়ে বৃহৎ জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত।অনেক সময় তারা তাদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন নয়। অনেক সময় রাজনৈতিক বা সামাজিক প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ সীমিত থাকে। আমজনতা প্রায়ই ভোগবাদী চিন্তাভাবনার দিকে ঝুঁকে থাকে এবং তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটানোতেই বেশি আগ্রহী। নাগরিক ও আমজনতার মধ্যে বিভিন্ন দিক থেকে পার্থক্য রয়েছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করা হলো– সচেতন এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত। অনেক সময় নিজেদের দায়িত্ব ও অধিকার সম্পর্কে অসচেতন। ভোট প্রদান, রাজনৈতিক আলোচনায় অংশগ্রহণ এবং সরকারের কার্যক্রমের সমালোচনা করে। ভোট প্রদান করলেও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে উদাসীন থাকতে পারে। অধিকার ও সুবিধা ভোগের ধরণ। অধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং তা দাবি করে। অধিকারের ব্যবহার সম্পর্কে অজ্ঞ থাকায় অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারে না। সামাজিক পরিবর্তনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।প্রায়শই সমাজের পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় নিষ্ক্রিয়। নাগরিকত্ব শুধুমাত্র একটি আইনি ধারণা নয়, এটি সমাজের উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।  সক্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণ গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। নাগরিকদের অধিকার রক্ষার জন্য নাগরিকত্ব প্রয়োজন। নাগরিক সচেতন হলে সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সহজ হয়। যদিও আমজনতা অনেক সময় রাষ্ট্রের কাঠামোয় নিষ্ক্রিয় থাকে, তাদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। আমজনতার মতামত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে। অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হলো আমজনতা।সমাজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে রাখে।

নাগরিকত্ব ও আমজনতার মধ্যে সম্পর্ক : নাগরিক ও আমজনতার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। নাগরিক এবং আমজনতা উভয়েই সমাজ গঠনে ভূমিকা পালন করে।সচেতনতা বৃদ্ধি: নাগরিকদের সচেতনতা আমজনতাকে সচেতন হতে উৎসাহিত করে। সম্প্রীতির উন্নয়ন: উভয়ের সহযোগিতা সামাজিক সম্প্রীতি বাড়ায়।

চ্যালেঞ্জসমূহ : অনেক আমজনতা তাদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন নয়। দায়িত্ববোধের অভাব: নাগরিকদের অনেক সময় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখা যায়। রাজনৈতিক দুর্ব্যবস্থা: রাজনৈতিক অস্থিরতা নাগরিক ও আমজনতার মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে। নাগরিক ও আমজনতার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা ও প্রচার কার্যক্রম প্রয়োজন।স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ে নাগরিকত্বের গুরুত্ব শেখানো উচিত। রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা দরকার।

নাগরিক ও আমজনতা একটি রাষ্ট্র ও সমাজের দুটি অপরিহার্য অংশ। সমাজের উন্নয়নের জন্য উভয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নাগরিকের দায়িত্ব হলো সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করা এবং আমজনতার চেতনা জাগ্রত করা। অন্যদিকে, আমজনতাকে নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিক ও আমজনতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে একটি সুষ্ঠু, সমৃদ্ধ এবং সম্প্রীতিময় সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

লেখক : উজ্জ্বল হোসাইন, সংগঠক ও প্রাবন্ধিক, চাঁদপুর। মোবাইল : 01675127483, ই-মেইল : rtrujjal@gmail.com

চাঁদপুরে পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে মাঠ, নষ্ট হচ্ছে বীজ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:৪১ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে মাঠ, নষ্ট হচ্ছে বীজ

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার খালগুলো শুকিয়ে হাজারো কৃষকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানির অভাবে অধিকাংশ মাঠ শুকিয়ে ফেটে গেছে, বীজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কৃষকরা দ্রুত পানির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে খালে পানি না থাকার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এতে করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাদের এই দুর্দশা অব্যাহত থাকবে। এই খাল খনন সঠিকভাবে হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তারা।

কমলাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান খান বলেন, খালে পানি না থাকাতে আমরা ফসল চাষ করতে পারিনি। জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের আমন ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এখন বোরো ধান রোপণ করবো, কিন্তু পানি পাচ্ছি না। এখন আমরা খুবই কষ্টে আছি, সামনের দিনগুলোতে যে আমরা কি খাবো বা কীভাবে জীবন বাঁচাবো দিশেহারা হয়ে গিয়েছি। যদি আমাদেরকে দ্রুত পানি দেয় তাহলে আমরা বোরো ধান রোপণ করতে পারবো। আমাদের জীবন বাঁচাতে পারবো।

চাঁদপুর পওর শাখা-৩, হাইমচর উপসহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসান গাজী বলেন, হাইমচর উপজেলায় আমরা দুটি খাল খনন করছি। খালগুলো হচ্ছে বিফিফাইভ খালটি হচ্ছে কমলাপুর থেকে মহজমপুর ব্রিজ পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৮৫ কিলোমিটার। অন্যটি ডব্লিউওয়াইসি খাল, এটি টেককান্দি থেকে জনতা বাজার পর্যন্ত ২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। খাল দুটি হাইমচর উপজেলার প্রধান খাল। কাজ করতে গেলে কিছু প্রতিবন্ধকতা আসে, আমরা সেই প্রতিবন্ধকতা রেখে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি দু-চার দিনের মধ্যে খালের খনন কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো. শাকিল খন্দকার বলেন, বোরো মৌসুমে আমার কৃষক ভাইদের বোরো আবাদ করতে তাদের পানির প্রয়োজন হয়। আমাদের হাইমচরে যে দুটি খাল রয়েছে সেই খালগুলোতে দ্রুত পানি দেওয়ার জন্য আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়েছি। সঠিক সময়ে যদি কৃষকরা পানি না পায় বোরো আবাদ বিঘ্নিত হবে। দ্রুত সময়ে যেন কৃষকরা পানি পায় সেজন্য আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্বিতীয়বার চিঠি প্রদান করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, আমরা বেশ কয়েকদিন যাবত অভিযোগ পেয়ে আসছি বিফিফাইভ খালটি খননে অনিয়ম হচ্ছে। তাই আজকে আমি সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বলে দিয়েছি, যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে খাল খনন শেষ করেন এবং সঠিকভাবে খাল খনন করেন। আমি আশা করি, এই খাল খননের মাধ্যমে কৃষকদের দুঃখ-দুর্দশা দূর হবে এবং উপজেলার বিভিন্ন স্থানের জলাবদ্ধতা অনেকাংশেই কমে যাবে।

সারাদেশে বাড়বে দিনের তাপমাত্রা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৩৩ অপরাহ্ণ
সারাদেশে বাড়বে দিনের তাপমাত্রা

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থটি। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে, তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে, তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া বন্ধ থাকতে পারে। তবে শেষ বাত থোকে সকাল পর্যন্ত মারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া পাঁচদিনের প্রথম দিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

হ্যাকিংয়ে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
হ্যাকিংয়ে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অনুমোদিত খসড়া থেকে বিতর্কিত সাইবার বুলিংয়ের বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে কিছু বিষয়ও যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বেআইনি প্রবেশ বা হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের বিধান রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ‘সাইবার স্পেসকে সবার জন্য নিরাপদ করতে’ গত ২৪ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। এদিন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এ সরকার সাইবার স্পেসকে সবার জন্য নিরাপদ করতে চায়। আপনারা জানেন যে সাইবার স্পেসে অনেক ধরনের ক্রাইম হয়। আমাদের মা-বোনরাসহ অনেকেই নানা ধরনের বুলিংয়ের শিকার হন। শিশুদের অনেক ধরনের বুলিংয়ের শিকার হতে হয়। সাইবার স্পেসকে নিরাপদ করা সরকারের দায়িত্ব।

খসড়ার ধারা ২৫-এ সাইবার বুলিংয়ের নামে একটি বিধান ছিল। এ বিধান নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এতে বাক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়। ধারা ২৫-এ উল্লেখ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বার্তা আদান-প্রদান প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট বা সাইবার স্পেসে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান বা হয়রানি করা, মিথ্যা বা ক্ষতিকর তথ্য, অপমানজনক বার্তা, গালিগালাজ, গুজব বা মানহানিকর কনটেন্ট ছড়ানোর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির সুনাম বা মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অবশেষে সমালোচনার মুখে খসড়া থেকে এটি বাদ দেওয়া হয়েছে। খসড়ায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) কনটেন্ট ব্লকের অনুরোধ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব কনটেন্ট ব্লক হবে, সরকার তা জনস্বার্থে প্রকাশ করবে বলেও খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্মীয় বিদ্বেষের সঙ্গে জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার প্রসঙ্গও যুক্ত হয়েছে।