খুঁজুন
                               
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলো গোলাম দস্তগীরকে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ
ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলো গোলাম দস্তগীরকে

জুলাই-আগস্টে ‘হত্যা-গণহত্যার’ মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ মোট ১৬ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হচ্ছে। এই মামলায় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে গোলাম দস্তগীর গাজীকে একটি প্রিজনভ্যানে করে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে। জানা গেছে, বিভিন্ন কারাগার থেকে একে একে সাবেক মন্ত্রী-উপদেষ্টা, আমলা, বিচারপতি ও রাজনীতিবিদসহ ১৬ জনকে আদালতে আনা হবে।

এর আগে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষ করে ১৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের কথা রয়েছে। এই মামলাতেই আজ ১৬ জনকে হাজির করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে আছেন সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু ও কামরুল ইসলাম। আরো আছেন সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী ও সালমান এফ রহমান এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। মূলত, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।

এরপর গত ২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।

কসবা প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটি বিলুপ্ত করে আহবায়ক কমিটি গঠন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৮:৪৩ অপরাহ্ণ
কসবা প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটি বিলুপ্ত করে আহবায়ক কমিটি গঠন

ঐতিহ্যবাহী কসবা প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে তিন সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রকৌশলী মোঃ আবদুল বাকের সরকারকে এবং সদস্য হিসেবে রয়েছে  মোঃ আবদুল হান্নান (সাবেক সভাপতি), অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদ।

উল্লেখ্য, ক্লাবের জরুরি সভা অনিবার্য কারণবশতঃ কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের পরিবর্তে গত (৩ মে, ২০২৫) বিকেলে পাক্ষিক সকালের সূর্য পত্রিকা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রেসক্লাবের কিছু সদস্যের সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ড, সদস্যদের মধ্যে দলাদলি, নিজেদের বিভিন্ন স্থানে সভাপতি, সাধারণ স¤পাদক পরিচয় দিয়ে সংগঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন মর্মে আলোচনা হয়। সংগঠনের সভাপতি এ সমস্ত বিষয়ে ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির জন্য গত ২৮ এপ্রিল সাধারণ সদস্য ও কার্যকরি সদস্যদের যৌথসভা আহ্বান করেন। এতে ওই সকল সদস্যগণ উপস্থিত না হয়ে অন্যান্য সদস্যদেরকেও সভায় উপস্থিত না হওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালান। এতে সংগঠনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্বঘোষিত সভাপতি ও সাধারণ স¤পাদক সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে নানা রকম অবান্তর ও অসত্য বিষয় উপস্থাপন করে প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছেন।
ফলে প্রেসক্লাব সভাপতি সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি কসবা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ১৮, ধারা-২৯ উপধারার ক/(রা) এর ক্ষমতা বলে কার্যকরি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট অন্তবর্তীকালীন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। বর্ণিত ধারা অনুযায়ী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ সোলেমান খান, আহ্বায়ক, জয়নগর লিয়াকত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও কসবা প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি জনাব মোঃ আবদুল হান্নান এবং কসবা তফজ্জল আলী কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে সদস্য করা হয়। আহ্বায়ক অন্তবর্তীকালীন কমিটির মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে পরবর্তী কার্যকরি পরিষদ গঠন করবেন। আহ্বায়কের অনুপস্থিতিতে কসবা প্রেসক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করবেন, সাবেক সভাপতি জনাব আবদুল হান্নান। অন্যান্য সদস্যগণ সাধারণ সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
কিন্তু অকস্মাৎ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্মারক নং কপ্রেক/৫(২৪)২০২৫ এর  মর্মানুযায়ী ঐতিহ্যবাহী কসবা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির এক সভা ৬ মে ২০২৫ খ্রি: সকাল ১০টায় মোঃ সোলেমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কসবা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির সকল সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় আহবায়ক শারীরিক ও পারিবারিক সমস্যার কারণে প্রেসক্লাবের আহবায়কের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন এবং প্রকৌশলী মোঃ আবদুল বাকের সরকারকে কো-অপ্ট করে আহবায়ক নির্বাচন করা হয়। আহবায়ক কমিটির সকল সদস্যগণ সম্মতি প্রদান করেন।

সাম্য হত্যা : ছাত্রদলের বিক্ষোভ, ঢাবি ভিসির পদত্যাগ দাবি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ
সাম্য হত্যা : ছাত্রদলের বিক্ষোভ, ঢাবি ভিসির পদত্যাগ দাবি

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) থেকে তাৎক্ষণিক মিছিল বের করেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে ভিসির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ঢাবি ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস। এ সময় ‘দফা এক দাবি এক, ভিসির পদত্যাগ’, আমার ভাইয়ের লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।

মিছিলে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হন। সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা এলাকায়।

গাজায় হাসপাতালেও হামলা চালাল ইসরায়েল, একরাতে নিহত ৮১

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ
গাজায় হাসপাতালেও হামলা চালাল ইসরায়েল, একরাতে নিহত ৮১

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দক্ষিণ গাজায় হাসপাতালে চালানো হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জন। আর উত্তর গাজায় হামলায় মধ্যরাতের পর থেকে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫১ জন। মূলত হাসপাতালে হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই উত্তর গাজায় ওই হামলা চালায় ইসরায়েল। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা তীব্রতর করেছে এবং মধ্যরাত থেকে কমপক্ষে ৫১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে চিকিৎসকরা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৫ জন উত্তর গাজায় নিহত হয়েছেন। আল জাজিরা বলছে, দক্ষিণ গাজার ইউরোপীয় এবং নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৩০ জনকে হত্যা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই সর্বশেষ হামলাগুলো শুরু হয়েছে। হাসপাতালে হওয়া ওই হামলায় নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসা নিতে আসা একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

এদিকে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৫২ হাজার ৯০৮ জনে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৯ হাজার ৭২১ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭৮০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও প্রায় ৭ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের অধিকাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল।