খুঁজুন
                               
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ, ১৪৩২

১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে বন্ধ এমএলএম এমটিএফই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩, ৪:০৫ পূর্বাহ্ণ
১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে বন্ধ এমএলএম এমটিএফই

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের নামে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা নিয়ে বন্ধ হয়েছে এমটিএফই নামক একটি প্রতিষ্ঠান। দুবাই ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম পঞ্জি মডেলে ব্যবসা করতো। ভারত ও বাংলাদেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিনিয়োগকারী ছিল। তবে এই ১ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ অর্থই বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের বলে অভিমত সাইবার বিশ্লেষকদের।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাতে বিষয়টি দৈনিক কালবেলাকে নিশ্চিত করেন একাধিক সাইবার বিশ্লেষক এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আবদুল্লাহ আল জাবের দৈনিক কালবেলাকে বলেন, অনেকদিন থেকেই আমরা এই প্ল্যাটফর্মটি নিয়ে সতর্কতা দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু মানুষ লোভের ফাঁদে পড়ে এখানে টাকা দিচ্ছিল। তিন দিন আগে জানতে পারি যে, এখানে যারা টাকা দিচ্ছিলেন তারা আর টাকা উঠাতে পারছিলেন না। আজ পুরোপুরিভাবে এমটিএফই তাদের সিস্টেম বন্ধ করে দিয়েছে।

আরেক সাইবার বিশ্লেষক মাহবুবুর রহমান বলেন, এটা একটা স্ক্যাম। বাংলাদেশে তাদের কোন অফিস নেই, কোন নির্দিষ্ট জনকাঠামো নেই। স্থানীয় কিছু এজেন্টদের দিয়ে তারা মানুষের থেকে টাকা নিতো। তারপর তাদেরকে আবার অন্য বিনিয়োগকারীদের আনতে বলতো। এমএলএম বা পনজি যেভাবে কাজ করে আর কি। ডেসটিনি যেমন গাছ দেখিয়ে টাকা নিয়েছে, এরা ক্রিপ্টোকারেন্সি বলে সাধারণ মানুষদের থেকে টাকা নিয়েছে। বিনিয়োগের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মুনাফা পাওয়া যাবে এমন লোভ দেখানো হতো।

মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, তাদের ওয়েবসাইটে ছিল, অ্যাপ ছিল। সেই অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং বা বাইন্যানসের মাধ্যমে তারা টাকা নিতো। পরে স্থানীয় এজেন্টরা সেটি বাইরে পাচার করতো। বাংলাদেশে এসএসসি এবং এইচএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মুনাফার লোভ দেখিয়ে টার্গেট করা হতো। মুন্সীগঞ্জের অনেক কিশোর এবং তরুণ এর শিকার হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি তে লেনদেন অবৈধ এবং নিষিদ্ধ।

নায়িকা হতে গেলে ক্লিভেজ দরকার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৮:৪০ অপরাহ্ণ
নায়িকা হতে গেলে ক্লিভেজ দরকার

বর্তমানে টলিউডে ‘দেখতে সুন্দর’ হওয়ার চাপ এতটাই বেড়েছে যে, রূপ-সৌন্দর্য ধরে রাখতে বহু অভিনেত্রী বেছে নিচ্ছেন প্লাস্টিক সার্জারি, লিপ ফিলার, নোস জব, এমনকি শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি। কারণ, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একাংশের দাবি, এসব না করালে ‘নায়িকা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায় না। এবার এই বিষয়েই মুখ খুললেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে শোলাঙ্কি জানিয়েছেন, তিনি কখনও নিজের মুখে কোনও ইনজেকশন নেননি, কোনও রকম কসমেটিক সার্জারির পথেও হাঁটেননি। আর এই ‘স্বাভাবিকত্ব’-এর জন্যই তাকে বহুবার কটু কথা শুনতে হয়েছে।
শোলাঙ্কির কথায়, ‘অনেকেই বলেন আমার মুখ টিভির তুলনায় সিনেমায় দেখতে খারাপ লাগে। আসলে মুখে তো কখনও কিছু করাইনি, ইনজেকশন নিইনি। তাই হয়তো!’
এখানেই থামেননি অভিনেত্রী। জানালেন, তিনি যেহেতু চিরকালই রোগা, তা নিয়েও নানা কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাকে। এতটাই যে এক সময় আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে যায়। পারিবারিক অনুষ্ঠানেও যাওয়া বন্ধ করে দেন। ‘অনুষ্ঠানে গেলেই অনেকে জিজ্ঞেস করতেন আমি এত রোগা হয়ে গেছি কেন। যেন এটা কোনও নতুন ব্যাপার! আমি তো ছোটবেলা থেকেই এমন,’ বললেন শোলাঙ্কি।
তবে সবচেয়ে অপমানজনক অভিজ্ঞতার কথাও এদিন অকপটে শেয়ার করেন তিনি। একবার এক পরিচালক তাঁকে সরাসরি পরামর্শ দেন ব্রেস্ট সার্জারির।

শোলাঙ্কির ভাষায়, ‘তিনি বলেছিলেন, ‘নায়িকা হতে গেলে একটু ক্লিভেজ থাকা দরকার’। এই কথাটা শুনে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যদিও আমি যথেষ্ট ম্যাচিওর ছিলাম, তাই কথাটা এড়িয়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলাম। কিন্তু ভাবুন তো, এই কথাটা যদি কোনও নতুন বা কম বয়সি মেয়ে শুনত! কতটা ভেঙে পড়ত সে।’
শোলাঙ্কি আরও বলেন, ‘আজও সেই ঘটনা মাথায় গেঁথে আছে। প্রভাব তো ফেলেছিলই, না হলে এতদিন পরেও এটা নিয়ে বলতাম না। বাইরে থেকে শুনলেই একরকম লাগে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে কী যন্ত্রণা হয়, সেটা শুধু মেয়েরাই বোঝে।’
অভিনেত্রীর এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, গ্ল্যামার দুনিয়ার আড়ালে কতটা নিষ্ঠুর এক মানসিক চাপ কাজ করে প্রতিটি তারকার পরে। সাহস করে সেই রূঢ় বাস্তবের মুখোশ খুলে দিলেন শোলাঙ্কি রায়।

গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একমত রাজনৈতিক দলগুলো : সালাহউদ্দিন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৮:৩৮ অপরাহ্ণ
গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একমত রাজনৈতিক দলগুলো : সালাহউদ্দিন

জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের সদস্যরা গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন, এই প্রস্তাবে সকল রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের শেষ দিনের আলোচনা শেষে এসব কথা জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘উচ্চকক্ষের গঠন বিএনপির প্রস্তাব, বিভিন্ন সেক্টরের বিশিষ্টজনদের নিয়ে উচ্চকক্ষ নির্মাণ চায় বিএনপি, তাই আসনভিত্তিক উচ্চকক্ষ চায় দলটি। কিন্তু সেখানে সংবিধান সংশোধন হোক তা চাই না। সংসদে বসার জন্য ও সংবিধান সংশোধন কঠিন করার জন্য পিআর পদ্ধতির দাবি অনেকের। তবে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের সদস্যরা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দিবেন, সেটাতে সবাই একমত হয়েছে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, সাংবিধানিক পদে নিয়োগে নোট অফ ডিসেন্সসহ একমত বিএনপি। বিদ্যমান আইনের প্রেক্ষিতে নিয়োগ চায় বিএনপি। সংসদে আলোচনার মাধ্যমে পিএসসির আইন করার পক্ষে দলটি। ২০০ নম্বরের ভাইভা পরীক্ষা ৫০ এ নামিয়ে আনার জন্য মত দিয়েছে বিএনপি। ন্যায়পাল নিয়োগের অভিজ্ঞতাই দেশে নাই, এটা ট্রায়াল অ্যান্ড এরোর পদ্ধতি হোক।
জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আইনি ভিত্তির প্রয়োজনীয়তা দেখছে না বিএনপি, জনগণের প্রয়োজনে যে সনদ তৈরি হচ্ছে সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে বৈঠকে জানানো হয়, জুলাই সনদের পটভূমি খসড়া দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর ওপর দলগুলোর সংশোধন নিয়ে কাজ করছে কমিশন। আলোচনার মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। সেখানে দলগুলো স্বাক্ষর করবে। বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে দলগুলো।

চাঁদপুরে এই প্রথম লটারির মাধ্যমে ওএমএস পণ্যের বিক্রয়কেন্দ্র নির্বাচিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৪:৫৬ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে এই প্রথম লটারির মাধ্যমে ওএমএস পণ্যের বিক্রয়কেন্দ্র নির্বাচিত

চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর পৌরসভায় ওএমএস কমিটি কর্তৃক ওএমএস এর পণ্য বিক্রয়কেন্দ্র সমূহ লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই ২০২৫) বিকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলণ কক্ষে সকলের সামনে লটারির মাধ্যমে বিক্রয়কেন্দ্র সমূহদের নির্বাচিত করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

এ সময় জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, একটা ব্যবস্থা করতে গেলে আসলে সবাইকে খুশি করা যায় না। তবে আমরা চেয়েছি সবকিছু স্বচ্ছতার মাধ্যমে করার। আমরা চেয়েছি স্বচ্ছতার মাধ্যমে আমরা এ বিক্রয়কেন্দ্র সমূহের প্রতিনিধি নিয়োগ দেই। যার কারণেই আজকে এ লটারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল হান্নান রনি, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুর রহমান খানসহ জেলা ওএমএস কমিটির কর্মকর্তা ও ওএমএস এর বিক্নয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

লটারির মাধ্যমে বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন, ১নং ওয়ার্ড সাদ্দাম মল্লিক (রিফিউজি কলোনি), ২নং ওয়ার্ড লিটন তালুকদার (হরিসভা রোড সংলগ্ন), ৩নং ওয়ার্ড চুন্নু মিয়া খান (জাফরাবাদ), ৪নং ওয়ার্ডে আব্দুল হাই (পুরানবাজার ব্রীজ সংলগ্ন), ৪নং ওয়ার্ড সাইফুল ইসলাম (লোহারপুল প্রভাতি মার্কেট), ৫নং ওয়ার্ড ফরিদ মিয়াজি (রঘুনাথপুর), ৬নং ওয়ার্ড জাহিদ ভূঁইয়া (পালবাজার), ৭নং ওয়ার্ড মুহাম্মদ হানিফ (মাদ্রাসারোড সংলগ্ন), ৭নং মোস্তফা মিয়া (বড়স্টেশন), ৮নং ওয়ার্ড হানিফ মিজি (কোড়ালিয়া রোড), ৯নং আবুল খায়ের (বিপনীবাগ সংলগ্ন), ১০নং ওয়ার্ড মহিউদ্দিন মোল্লা (নতুন বাজার), ১১নং ওয়ার্ড আব্দুল মাজেদ (ময়দার মিল), ১২নং ওয়ার্ড আজিম মিজি (মিশন রোড), ১২নং ওয়ার্ড আনোয়ার হোসেন স্বপন (দর্জি ঘাট), ১২নং ওয়ার্ড উম্মে কুলছুম (চেয়ারম্যান ঘাট), ১৩নং ওয়ার্ড হারুনুর রশিদ (ওয়ারলেস), ১৪নং ওয়ার্ড মোবারক হোসেন (বাবুরহাট), ১৪ নং ওয়ার্ড মো. কাউছার পাটওয়ারি (বাবুরহাট বাজার সংলগ্ন), ১৫নং ওয়ার্ড সুকুমার রায় (বিটি রোড)।