খুঁজুন
                               
রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩২

চাঁদপুরে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের তৈরি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:১৮ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের তৈরি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী

এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চাঁদপুরে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পাটজাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়কের চাঁদপুর মহিলা সংসদ মিনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই) আয়োজনে এবং চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় এইকর্মশালায় অংশ নেওয়া ৩০ জন নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী।‌ চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মনিরা আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দৈনিক যুগান্তরের সিটি এডিটর সাংবাদিক মিজান মালিক, জেলা মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাসিমা আক্তার, চাঁদপুর মহিলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও উইমেন চেম্বারের পরিচালক বেবী আকন্দ, বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষক কাজী আশরাফুল হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী বলেন, পাট শিল্প বাংলাদেশের সোনালী আঁশ বলে গোটা পৃথিবীতে খ্যাত ছিল। এই শিল্পকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরে বৃহৎ আকারে দুটি পাটকল স্থাপন করা হয়। ওই সময়ে চাঁদপুরের পাট শিল্পের সুনাম গোটা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। কালের পরিক্রমায় বাংলাদেশের পাটশিল্প অনেকটাই বিলুপ্তের পথে। চাঁদপুরের দুটি পাটকলও খুঁড়েয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। তবে গেল কয়েক বছর পাট শিল্প কিছুটা জৌলুস ফিরে পেয়েছে। সরকার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পলিথিন নিষিদ্ধ করেছে। এতে করে পাট শিল্পের বিপুল সম্ভাবনার দার উন্মোচিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং চাঁদপুর উইমেন চেম্বার এর আয়োজনে স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে বহুমুখী পাটজাত পণ্য তৈরী বিষয়ক পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে। এটি একটি সময়ুপোযোগী সিদ্ধান্ত। আমরা এই প্রশিক্ষণের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং অংশ নেয়া প্রশিক্ষণার্থীদের আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানাই। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের চাঁদপুরে নারী উদ্যোক্তারা অনেক বেশি উপকৃত হয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক মিজান মালিক বলেন, নারী উদোক্তাদের এগিয়ে নিতে এ ধরণের প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এখন প্রয়োজন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেওয়া নারী উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা। তাদের তৈরি পাটজাত পণ্য বিক্রয়, বিপণন এবং প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা। এ বিষয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নারী উদোক্তাদের এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে আমরা উইমেন চেম্বার পাশে আছি।

এ বিষয়ে চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি মনিরা আক্তার বলেন, চাঁদপুরে অসংখ্য মেধাবী নারী আছে যারা নিজের অঙনে থেকেও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাদের জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত প্রশিক্ষণ। আমরা উইমেন চেম্বারের পক্ষ থেকে সে সব নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে তাঁদের যোগ্যতাকে কাজে লাগাতে চাই। আমরা চাই নারীরা তাদের যোগ্যতা নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াক। আমরা আগামীতে এ ধরনের আরো প্রশিক্ষণ দিব এবং উদোক্তাদের বানানো পণ্য বাজারজাত করার জন্য চেম্বারের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা চাঁদপুরে শক্তিশালী পাঁচশত উদোক্তা তৈরি করতে চাই। যাদের পণ্য জাতিয় পর্যায় থেকে বিশ্ববাজারে যাবে। দেশ বিদেশ থেকে ক্রতা আসবে পণ্য অর্ডার করতে। তিনি আরো জানান, দেশে বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্য সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে‌। যার অংশ হিসেবে এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশব্যাপী নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। উদ্যোক্তাদেরও এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য তানিয়া ইসলাম এবং রাখি মনি সিনহার যৌথ পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেওয়া নারী উদ্যোক্তা সুমাইয়া নাজমীন, ফাহিমা মাহজাবীন, উম্মে কুলসুম, তুষমি, সাদিয়া, মালিহা ইসলাম, অর্পিতা মজুমদার।

বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১:০৮ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ (ইউএসসিআইআরএফ) নামের একটি ফেডারেল সংস্থা। জুলাই মাসে নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা। চলতি বছরের মে মাসে ঢাকায় সংস্থাটির সফরের ভিত্তিতে রিপোর্টটি তৈরি করা হয়। তখন তারা সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে। পুরো রিপোর্টটি লিখেছেন সীমা হাসান, যিনি ইউএসসিআইআরএফ-এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে এবং আগস্টে সেনাবাহিনীর সমর্থনে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন। যদিও নতুন সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কার প্রস্তাব করেছে, তারপরও দেশে ধর্মীয় সহনশীলতা এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এখনো অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ থেকে ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ও সরকার পতনের সময় দেশে কার্যকর কোনো প্রশাসন না থাকায় ভয়াবহ সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর একাধিক হামলার খবর পাওয়া যায়, যেগুলো মূলত আওয়ামী লীগের সমর্থক বা সদস্য ভেবে প্রতিশোধমূলকভাবে চালানো হয়।
পুলিশের একটি রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউএসসিআইআরএফ জানায়, ৫ থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে মোট ১,৭৬৯টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১,২৩৪টি রাজনৈতিক, ২০টি সাম্প্রদায়িক ও ১৬১টি ভুয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সংঘটিত হয়। এই সময়ে অনেক মুসলিম শিক্ষার্থী ও নাগরিক সংখ্যালঘু মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয় পাহারা দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন।
রিপোর্টে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে, যার সুপারিশ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কমিশন সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘বহুসংস্কৃতিবাদ’ বা ‘বহুত্ববাদ’ শব্দ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে। এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দলটি প্রস্তাবিত শব্দের পরিবর্তে ‘আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা’ শব্দবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে ইসলামভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আংশিক সমর্থন জানিয়ে ‘বহুত্ববাদ’-এর পরিবর্তে বাংলা বিকল্প ‘বহুসংস্কৃতিবাদ’ ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছে।
২০২৪ সালের আগস্টে নারী সংস্কার কমিশন গঠনের পর চলতি বছরের মে মাসে কমিশনটি ৪৩৩টি সুপারিশ দেয়। এর মধ্যে একটি হলো ধর্মনিরপেক্ষ নাগরিক আইন প্রণয়নের প্রস্তাব, যা ধর্মভিত্তিক পারিবারিক আইনকে সম্পূরক করবে। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেছে ইসলামপন্থি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। তারা কমিশনকে ‘ইসলামবিরোধী’ আখ্যা দেয় এবং কমিশনের সদস্যদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে। নারীদের উদ্দেশ করে কটূক্তি করার অভিযোগে ৬ নারী হেফাজতের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দেন। পরে সংগঠনটি ক্ষমা চায়। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারিতে একটি নারী ফুটবল ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য করে এবং নাদিরা ইয়াসমিন নামের এক নারী অধ্যাপককে হুমকির মুখে কলেজ বদল করতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার পরিচালিত এই সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে এখনো ব্লাসফেমি সংক্রান্ত ধারা (দণ্ডবিধি ১৯৫এ) বলবৎ রয়েছে, যেখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। ২০২৩ সালের সাইবার সিকিউরিটি আইন অনুযায়ী, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন ডিজিটাল কনটেন্ট প্রকাশ করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এসব বিষয় নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউএসসিআইআরএফ।
সংস্থাটির মতে, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ধর্মীয় সহনশীলতার ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে। সংবিধান সংস্কারে সংখ্যালঘুদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত না হলে, এই প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদে বৈষম্য আরও গভীর করতে পারে। ইউএসসিআইআরএফ-এর মতে, বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সহনশীলতা রক্ষায় একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। সংবিধান সংস্কারের এই পর্যায়ে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই দীর্ঘস্থায়ী শান্তির মূল চাবিকাঠি হতে পারে।

শিগগিরই গঠিত হচ্ছে তথ্য কমিশন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১:০৫ অপরাহ্ণ
শিগগিরই গঠিত হচ্ছে তথ্য কমিশন

তথ্য কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। কয়েক দিনের মধ্যে তথ্য কমিশন গঠন-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। শনিবার (২৬ জুলাই) তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ অনুযায়ী একজন প্রধান তথ্য কমিশনার এবং দুজন তথ্য কমিশনার নিয়ে এই কমিশন গঠিত হবে। দুই জন তথ্য কমিশনারের মধ্যে ন্যূনতম এক জন নারী হবেন।

কোথাও কোনো সুশাসন ও নিয়ন্ত্রণ নেই: মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১:০৩ অপরাহ্ণ
কোথাও কোনো সুশাসন ও নিয়ন্ত্রণ নেই: মির্জা ফখরুল

দেশের কোথাও কোনো সুশাসন ও নিয়ন্ত্রণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আগে যে ব্যবসায়ীকে তিন লাখ টাকা চাঁদা দিতে হতো, এখন তাকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। কোথাও কোনো সুশাসন ও নিয়ন্ত্রণ নেই। পুলিশে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের লেখা বই ‌’অর্থনীতি শাসন ও ক্ষমতা: যাপিত জীবনের আলেখ্য’-এর প্রকাশ ও আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হোসেন জিল্লুর রহমান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সংস্কারে সময় লাগবে জানিয়ে ফখরুল বলেন, রাতারাতি সংস্কার করে ফেলা সম্ভব নয়। তবে সে জন্য গণতান্ত্রিক চর্চা বাদ দিয়ে বসে থাকা যাবে না। কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। এ জন্য কোনো রকম বিলম্ব না করে অতি দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। গণতান্ত্রিক উপায়ে জনগণের প্রতিনিধিকে সংসদে পাঠিয়ে সংস্কার করতে হবে। তিনি বলেন, ট্রাম্পের ট্যারিফ (শুল্ক) সামনে বড় বিপদে ফেলতে পারে। মনে রাখবেন, রাজনৈতিক দল দেশের উন্নয়নে জনস্বার্থে সব সময় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।